1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন নির্বাচন

১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

যতই বিতর্কিত হোক, নিজের অবস্থানে অনড় থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর শুভবুদ্ধি সম্পর্কে ক্ষীণ আশার আলোও নিভিয়ে দিলেন৷ প্রতিশ্রুতি দিলেন, বেআইনি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তিনি আপোশহীন থাকবেন৷

ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. York

রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যতই সমালোচনার ঝড় উঠুক না কেন, মৌলিক বিষয়গুলির ক্ষেত্রে তিনি যে এখনো পর্যন্ত অনড় রয়েছেন, নিন্দুকেরাও তা স্বীকার করতে বাধ্য৷ ফলে সামান্য সংখ্যক যে সব মানুষ এখনো তাঁর চিত্তশুদ্ধির আশা করেন, তাঁদের সংখ্যা কমে চলেছে৷ মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে সে দেশে গিয়ে আলোচনার পরেও ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেআইনি অভিবাসনের বিরুদ্ধে তিনি আপোশহীন সংগ্রাম চালাবেন৷ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে তিনি মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর গড়ে তোলার প্রস্তাব প্রত্যাহার করেননি৷ মেক্সিকো-কেই সেই প্রাচীরে ব্যয় বহন করতে হবে, এমন হুঁশিয়ারি থেকে সরে আসেননি৷

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো বেশ ফাঁপরে পড়েছেন৷ তিনি ভেবেছিলেন, ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ করে তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বললে সুর হয়তো কিছুটা নরম হবে৷ রিপাবলিকান পদপ্রার্থীকে আমন্ত্রণ করে প্রেসিডেন্ট নিজের দেশে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন৷ ট্রাম্প বিদায় নেবার পর সেই সমালোচনার মাত্রা আরও বেড়ে গেল৷ সফরের পর প্রেসিডেন্ট নিয়েতো ট্রাম্পকে হিটলার ও মুসোলিনির সঙ্গে তুলনা করেন৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অভিবাসন একটা বড় বিষয় হয়ে উঠেছে৷ ডেমোক্র্যাট দলে তাঁর প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিন্টনকে এ ক্ষেত্রে নরমপন্থি হিসেবে তুলে ধরে ট্রাম্প সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও বেআইনি অভিবাসন বন্ধ করতে ১০ দফার এক পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন৷

Trump returns to hardline position on illegal immigration

01:24

This browser does not support the video element.

মেক্সিকো থেকে ফিরে অ্যারিজোনা রাজ্যে এক জনসভায় তিনি বলেন, থেকে থেকে সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে বেআইনি অভিবাসনকে কার্যত যেভাবে উৎসাহ দেওয়া হয়ে চলেছে, সেই নীতি বন্ধ করবেন৷ এমন সব মানুষ কখনো অ্যামেরিকায় আইনি বৈধতা ও নাগরিকত্ব পেতে পারবেনা৷ এমনকি প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ বেআইনি অভিবাসীকে দেশ থেকে বিতাড়নের প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি৷ এই সব মানুষকে ট্রাম্প অপরাধী, ধর্ষণকারী ইত্যাদি তকমা দিয়ে থাকেন৷

ট্রাম্পের মেক্সিকো সফরের তুমুল সমালোচনা করেছেন হিলারি ক্লিন্টন৷ সে দেশে গিয়ে ট্রাম্প পরিণত নেতা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করলেও দেশে ফিরেই বিষোদগার শুরু করে দিয়েছেন৷ তাছাড়া প্রস্তাবিত সীমান্ত প্রাচীরের ব্যয়ভার নিয়ে আলোচনা হয়নি, ট্রাম্পের এই দাবিকে মিথ্যা বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন ক্লিন্টন৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ