মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কখনো সাক্ষাৎ ঘটেনি৷ এবার যখন ঘটবে, তখন ম্যার্কেল সম্পর্কে ট্রাম্পের নানা সাম্প্রতিক মন্তব্য কোনো আড়ষ্টতা সৃষ্টি করবে না, বলে আশা করা যায়৷
বিজ্ঞাপন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কখনো সাক্ষাৎ ঘটেনি৷ এবার যখন ঘটবে, তখন ম্যার্কেল সম্পর্কে ট্রাম্পের নানা সাম্প্রতিক মন্তব্য কোনো আড়ষ্টতা সৃষ্টি করবে না, বলে আশা করা যায়৷
কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জার্মান ও মার্কিন রাজনৈতিক নেতাদের মতবিরোধ নতুন কিছু নয়৷
‘‘আমার নেতৃত্বে এই দেশ কোনো অ্যাডভেঞ্চারে লিপ্ত হবে না'', ২০০২ সালের গ্রীষ্মে বলেছিলেন সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার৷ তার পরের বছরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের আমলে ইরাকে মার্কিন অভিযান শুরু হয়৷ বুশ নাকি শ্র্যোডারের মন্তব্যে বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং দু'জনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক আর কোনোদিনই স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারেনি৷
ট্রাম্পের প্রথম সাতদিনের নির্বাহী আদেশ ও নির্দেশ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতা গ্রহণের সাতদিনের মধ্যেই ডজন খানেক নির্বাহী পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার মধ্যে ‘এক্সিকিউটিভ অর্ডার’ ও ‘মেমোরান্ডাম’, দুই’ই আছে৷
ছবি: Reuters/K. Lamarque
অভিবাসন
শুক্রবারের একটি নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প সাতটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেন ও সিরীয় উদ্বাস্তু গ্রহণ অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখেন৷
ছবি: Picture-Alliance/AP Photo/K. Willens
ওবামাকেয়ার
শপথগ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প তাঁর প্রথম এক্সিকিউটিভ অর্ডারে স্বাক্ষর করেন৷ আদেশটির ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল ওবামার ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’-এর ‘‘অনাবশ্যক অর্থনৈতিক ও নিয়ন্ত্রণমূলক বোঝা’’ হ্রাস করা৷
ছবি: Getty Images/A. Wong
মেক্সিকো সীমান্তে প্রাকার
বুধবার ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পরিদর্শন করার অবকাশে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যাতে ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি (মন্ত্রীকে) ‘‘অবিলম্বে দক্ষিণ সীমান্ত বরাবর একটি প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনা, নকশা ও নির্মাণকার্য শুরু করার’’ যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Torres
‘স্যাঙ্কচুয়ারি সিটিজ’
বুধবার ট্রাম্প আরো একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডার স্বাক্ষর করেন, যা অনুযায়ী যে সব ‘অভয়াশ্রমের’ শহর বেআইনি অভিবাসীদের নথিবদ্ধ বা বহিষ্কার করে না, তাদের ফেডারাল অনুদান বাতিল করা হবে৷
ছবি: AP
দু’টি তেলের পাইপলাইনের অনুমতি
তাঁর কর্মকালের দ্বিতীয় দিনেই ডোনাল্ড ট্রাম্প দু’টি আদেশের মাধ্যমে দু’টি বিতর্কিত পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে বলেছেন৷ কি-স্টোন এক্সএল পাইপলাইনটি যাবে ক্যানাডা থেকে গাল্ফ কোস্টে মার্কিন রিফাইনারিগুলি অবধি: প্রেসিডেন্ট ওবামা ২০১৫ সালে এই পাইপলাইন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখেন৷ ডাকোটা অ্যাক্সেস পাইপলাইনটি ইন্ডিয়ান উপজাতিদের এলাকার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে ব্যাপক বিক্ষোভের অবতারণা ঘটে৷
ছবি: REUTERS/L. Jackson
গর্ভপাত সংক্রান্ত ‘গ্লোবাল গ্যাগ রুল’
‘বিশ্বের মুখ চেপে ধরার নীতি’ হিসেবে পরিচিত এই নীতি প্রথম বাস্তবায়িত হয় ১৯৮৪ সালে, প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের আমলে৷ মেক্সিকো সিটি পলিসি নামেও পরিচিত এই নীতি অনুযায়ী যে সব বিদেশি এনজিও গর্ভপাত সংক্রান্ত পরামর্শ বা সাহায্য দেয়, তাদের ফেডারাল সাহায্য না পাবার কথা৷ ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞা পুনরায় সক্রিয় করেছেন৷
ছবি: AP
টিটিপ থেকে পশ্চাদপসারণ
তাঁর কর্মকালের তৃতীয় দিনে (সোমবার) ট্রাম্প একটি মেমোরান্ডামের মাধ্যমে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিকে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বাণিজ্য চুক্তি থেকে স্থায়ীভাবে পশ্চাদপসারণ করার নির্দেশ দেন৷
ছবি: Reuters/K. Lamarque
7 ছবি1 | 7
২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়শকা ফিশার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রাম্সফেল্ডকে বলেন, ‘‘আমার এখনও প্রত্যয় হচ্ছে না'' – যার এক মাস পরেই ইরাকে মার্কিন অভিযান শুরু হয়৷ সারা বিশ্ব থেকে আগত বিশিষ্ট অতিথিদের সামনে ফিশারের এই মন্তব্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে, বিশেষ করে জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যখন প্রথাগতভাবে ঘনিষ্ঠ এবং – অন্তত প্রকাশ্যে – সামঞ্জস্যপূর্ণ৷
‘‘লিবিয়া, কিউবা ও জার্মানি আভাস দিয়েছে যে, তারা কোনোভাবে সাহায্য করবে না'', রাম্সফেল্ডকে প্রত্যুত্তরে বলতে শোনা যায়৷ পেন্টাগন প্রধান যে জার্মানিকে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রথাগত বৈরির পর্যায়ে ফেলছেন, তাতে বার্লিন বিশেষ সন্তুষ্ট হয়নি৷
‘‘জার্মানির বারোটা বাজাচ্ছেন''
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনি প্রচার অভিযানে ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ বিরূপ মন্তব্য করেছেন, তা সত্যিই অভূতপূর্ব৷
ম্যার্কেল যে দশ লক্ষের বেশি উদ্বাস্তুকে জার্মানিতে ঢুকতে দিয়েছেন, সে বিষয়ে ট্রাম্প ২০১৫ সালের একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমি চিরকালই ভেবেছিলাম, ম্যার্কেল একজন মহান নেতা৷ কিন্তু তিনি জার্মানির যে দশা করছেন, তা স্রেফ পাগলামো৷ জার্মানিতে এবার দাঙ্গা হবে৷''
দু'মাস পরে টাইম ম্যাগাজিন যখন ম্যার্কেলকে ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার' নির্বাচন করে, তখন ট্রাম্প টুইট করেন...
‘‘আমি বলেছিলাম, আমি বিগ ফেবারিট হওয়া সত্ত্বেও টাইম ম্যাগাজিন কোনোদিন আমাকে মনোনীত করবে না৷ ওরা সেই ব্যক্তিটিকে মনোনীত করবে, যিনি জার্মানির বারোটা বাজাচ্ছেন'', টুইট করেন ট্রাম্প৷
২০১৫ সালের বর্ষশেষে কোলন রেলওয়ে স্টেশনের সামনে শত শত মহিলার যৌন হয়রানির ঘটনা সম্পর্কে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে আইওয়ার একটি নির্বাচনি প্রচার সভায় ট্রাম্পের মন্তব্য: ‘‘জার্মান জনগণ এবার দাঙ্গা করবে৷ জার্মান জনগণ এই মহিলাকে (আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে) ক্ষমতাচ্যুত করবে৷ আমি জানি না, উনি মাথামুণ্ডু কী ভাবছেন৷''
হাওয়া বদল
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ হঠাৎ ভোল পাল্টে ফেলেন ট্রাম্প, তাঁর মুখে ম্যার্কেলের প্রভূত প্রশংসা শোনা যায় – যদিও একেবারে নিঃশর্ত প্রশংসা নয়৷
ট্রাম্পের কয়েকজন তারকা শত্রু-মিত্র
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব আলোচিত নাম৷ তখন থেকেই তারকাও তিনি৷ সেই সুবাদে অনেক সেলেব্রিটিই তাঁর বন্ধুর মতো, তবে ‘শত্রু’ও আছে অনেক৷ ছবিঘরে থাকছে সেরকমই কয়েকজন সেলিব্রেটির কথা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Jakwerth
মেরিল স্ট্রিপ
এক প্রতিবন্ধী সাংবাদিককে কটাক্ষ করায় ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেন অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিট৷ সঙ্গে সঙ্গেই টুইটারে তার জবাব দিয়েছেন ট্রাম্প৷ লিখেছেন,অস্কারজয়ী মেরিল স্ট্রিপ নাকি ‘‘অন্যতম সেরা ওভার রেটেড অভিনেত্রী’’৷ অর্থাৎ আসলে যত ভালো অভিনেত্রী, তার চেয়ে অনেক বেশি খ্যাতি নাকি অর্জন করে ফেলেছেন স্ট্রিপ৷ অথচ ২০১৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে এই ট্রাম্পই কিন্তু বলেছিলেন মেরিল স্ট্রিপ তাঁর প্রিয় অভিনেত্রী৷
ছবি: Reuters/NBC/P. Drinkwater
কানইয়ে ওয়েস্ট
কয়েকদিন আগে গায়ক কানইয়ে ওয়েস্টের সঙ্গে কথোপকথন সবাইকে বিভ্রান্তিতে ফেলেছিল৷ কথোপকথন শেষে ট্রাম্প বেশ হেসেই বলছিলেন, ‘‘আমাদের বন্ধুত্ব অনেক দিনের৷’’ অথচ ২০০৯ সালে বিষয়টি অন্যরকম ছিল৷ টেলর সুইফটের মিউজিক ভিডিও নিয়ে ঝামেলায় জড়ানোয় ক্যানে ওয়েস্টকে ‘বিরক্তিকর’ বলে তাঁকে ‘বর্জন’ করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প৷
ছবি: Getty Images/AFP/T.A. Clary
আর্নল্ড শোয়ারৎসেনেগার
হালে হলিউড অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ারৎসেনেগারের সঙ্গেও ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো নয়৷ হবে কী করে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শোয়ারৎসেনেগার যে হিলারি ক্লিন্টনকে সমর্থন দিয়েছেন!
ছবি: picture-alliance/AP Photo/L. Trinh
আন্দ্রেয়া বোচেলি
এতদিন ইটালির শিল্পী বোচেলিকে খুব পছন্দ করতেন ট্রাম্প৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে তাই ধ্রুপদী শিল্পীকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট৷ কিন্তু বোচেলি জানিয়ে দিয়েছেন, এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তিনি আগ্রহী নন৷ বলা বাহুল্য, বিষয়টি ট্রাম্পকে মনক্ষুণ্ণ করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Z. Szigetvary
মবি
বোচেলি, এল্টন জন, সেলিন ডিয়নদের মতো তারকারা অভিষেক অনুষ্ঠানে আসতে অস্বীকৃতি জানানোয় অনুষ্ঠানের আয়োজকরা খুব বিপদে পড়েছেন৷ নতুন করে আমন্ত্রণপত্র পাঠাতে হচ্ছে অনেকের কাছে৷ এমন অনেককেই আমন্ত্রণ পাঠানো হচ্ছে, যাঁরা খুব বড় তারকা নন৷পশু অধিকার কর্মী, গায়ক এবং ডিজে মবিকেও পাঠানো হয়েছে চিঠি৷ টুইটারে মবি লিখেছেন, ‘‘হা হা হা হা... আচ্ছা, ট্রাম্প যদি আয়করের হিসেব দেন, তাহলে আমি বিবেচনা করে দেখতে পারি৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/Lp/Yann Foreix
জ্যাকি ইভাঙ্কো
ক্লাসিক্যাল ক্রসওভার গায়িকা জ্যাকি ইভাঙ্কোর বয়স মাত্র ১৭ বছর৷ এই বয়সেই তিনি বড় তারকা৷ ট্রাম্পের অভিষেকে অনেক তারকাই আসছেন না, কিন্তু জ্যাকি থাকছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Jakwerth
6 ছবি1 | 6
‘‘হ্যাঁ, আমি সত্যিই মনে করি যে, ম্যার্কেল বাস্তবিক একজন মহান বিশ্বনেতা'', একটি সাক্ষাৎকারে বলেন ট্রাম্প৷ ‘‘কিন্তু আমি খুবই হতাশ হয়েছিলাম যখন তিনি – গোটা অভিবাসন প্রসঙ্গটি একটি বড় সমস্যা, বলে আমি মনে করি, গত দেড় বছরে উনি যা করেছেন, তা যখন দেখি৷ আমি চিরকালই ম্যার্কেলের তরফে ছিলাম৷ (উনি) সত্যিই দারুণ, বলে আমি ভাবতাম৷ কিন্তু দেড় বছর আগে উনি একটি ট্র্যাজিক ভুল করেন, বলে আমার ধারণা৷''
ম্যার্কেল ঠান্ডা, কিন্তু নীরব নন
ম্যার্কেল তাঁর যা বক্তব্য, সেটা ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার আগে প্রকাশ্যে ব্যক্ত করেননি৷ কিন্তু ট্রাম্পের জয়ের পর তিনি অভিনন্দন জানিয়ে যে বার্তা পাঠান, তাতে ম্যার্কেল দুই দেশের যৌথ মূল্যবোধের ভিত্তিতে সহযোগিতার আমন্ত্রণ জানান – সঙ্গে সেই মূল্যবোধের তালিকাও জুড়ে দেন: ‘‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, আইনের প্রতি সম্মান এবং বংশ, গাত্রবর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, যৌন প্রবণতা ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিচারে সব মানুষের মর্যাদার প্রতি সম্মান৷''
এ যেন ম্যার্কেল ট্রাম্পকে পশ্চিমি সভ্যতার ভিত্তি যে মূল্যবোধ, সে সম্পর্কে একটি বিশেষ পাঠ দিচ্ছেন – যা এক মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি একজন জার্মান চ্যান্সেলরের মন্তব্য হিসেবে প্রায় ভর্ৎসনার সমতুল৷
প্রধানত মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলির নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র যাত্রার উপর ট্রাম্প যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, তার বিরুদ্ধেও ম্যার্কেল জোরালো বক্তব্য রেখেছেন: ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও চূড়ান্ত সংগ্রাম কয়েকটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণভাবে সন্দেহ করার কারণ হতে পারে না, এক্ষেত্রে মুসলমান ধর্মাবলম্বী অথবা বিশেষ বিশেষ দেশের নাগরিকদের (প্রতি সন্দেহ)'', গত জানুয়ারি মাসে বার্লিনে মন্তব্য করেন ম্যার্কেল৷
দুই নেতার এই পরোক্ষ বার্তালাপের পরিপ্রেক্ষিতে উভয়ের প্রত্যক্ষ সাক্ষাতে যে কি ঘটবে, তা বলা শক্ত৷ তবে এক মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ নাকি রসিকতা করে বলেছেন যে, ট্রাম্প খারাপ ব্যবহার না করলে আর সাক্ষাৎটা শেষমেষ বচসায় পর্যবসিত না হলেই নাকি তিনি খুশি!
মিশায়েল ক্নিগে/এসি
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মজার ৯টি উক্তি
ট্রাম্পকে পছন্দ বা অপছন্দ যা-ই করুন, তিনি যে পুরোদস্তুর একজন এন্টারটেইনার বা বিনোদনকারী তা আপনিও হয়ত মানবেন৷ এবার ছবিঘরে থাকছে তার অদ্ভুত ও মজার কিছু উক্তি৷
ছবি: Getty Images/B. Pugliano
৭/১১?
‘‘আমি ওখানেই ছিলাম, আমি দেখছিলাম পুলিশ আর দমকলবাহিনী ছোটাছুটি করছে৷ ৭/১১ এ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঠিক পর মুহূর্তের ঘটনা৷’’ ট্রাম্প আসলে ৯/১১-র কথা বলতে গিয়ে ভুল তারিখ বলেছিলেন৷
ছবি: Reuters/C. Allegri
গোপনাঙ্গের ইঙ্গিত
‘‘এই হাতগুলোর দিকে তাকান, এগুলো ছোট? (রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কোর উদ্দেশে) সে বলেছে, যেহেতু আমার হাতগুলো ছোট, তাই অন্য অঙ্গগুলোও ছোট৷ কিন্তু আমি বলছি, না, সেখানে কোনো সমস্যা নেই৷’’ (আসলে ট্রাম্প এখানে পুরুষাঙ্গ বোঝাতে চেয়েছেন৷)
ছবি: Reuters/M. Segar
অন্যের স্ত্রীর ঢাক পেটানো
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টেড ক্রুজের উদ্দেশ্যে টুইটারে: ‘‘টেড আমার স্ত্রী মেলানিয়ার একটি ছবি তার প্রচারণায় ব্যবহার করেছেন৷ সাবধান টেড, আমিও তোমার স্ত্রীর ঢাক পেটাতে পারি৷’’
ছবি: Reuters/M. Segar
মেয়ে
‘‘ইভাঙ্কা যদি আমার মেয়ে না হতো তাহলে আমি তার সঙ্গে হয়ত প্রেম করতাম৷’’ ইভাঙ্কা ট্রাম্পের বয়স ৩৪ বছর৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Scott Applewhite
হিলারির স্বামী সন্তুষ্টি
‘‘হিলারি যেখানে নিজের স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে পারে না, সেখানে পুরো অ্যামেরিকার জনগণকে কীভাবে সন্তুষ্ট করবেন?’’ ট্রাম্পের ইশারা বিল ক্লিনটন আর মনিকার সেই স্ক্যান্ডালের প্রতি৷
ছবি: DW/R. Spina
হিলারি প্রসঙ্গ
‘‘হিলারি ক্লিনটনের জনপ্রিয়তা আসলে ‘নারী’ স্ট্যাম্প এর জন্য৷ সত্যি কথা হলো, তিনি যা অঙ্গীকার করছেন, তার কিছুই দিতে পারবেন না৷ যদি হিলারি পুরুষ হতেন, তাহলে ৫ ভাগও ভোট পেতেন না৷ তিনি নারী বলেই এত ভোট পাচ্ছেন৷ আর মজার ব্যাপার হলো, নারীরা তাকে একদম পছন্দ করেন না৷’’
ছবি: Getty Images/S. Platt
বারাক ওবামার জন্মনিবন্ধন জাল
‘‘একটা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র জানিয়েছে, বারাক ওবামার জন্ম নিবন্ধন আসলে জাল-’’ ট্রাম্পের উদ্দেশ্য ওবামার জন্ম যে যুক্তরাষ্ট্রে নয় তা খুঁজে বের করা এবং মানুষকে জানানো৷
ছবি: Getty Images/J.-J. Mitchell
ট্রাম্পের আইকিউ
‘‘আমার আইকিউ সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি৷ দুঃখিত, এ নিয়ে আপনাদের দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই, কারণ, এতে আপনাদের কোনো হাত নেই৷’’
ছবি: picture alliance/AP Photo/E. Vucci
মেক্সিকোর মানুষ
‘‘যখন মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রে মানুষ পাঠায়, তারা তাদের সেরা মানুষদের পাঠায় না৷ এমন মানুষদের পাঠায় যাদের সমস্যা রয়েছে আর সেই সমস্যাগুলো তারা আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়৷ সেইসব মানুষ মাদক আনে, অপরাধ আনে, পাশাপাশি তারা ধর্ষক৷ কেবল অল্প কয়েকজন ভালো মানুষ৷’’