এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেছেন, একজন ব্যবসায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরও সে দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা বাড়েনি৷ এটি সে দেশের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজন ব্যবসায়ী মার্কিন প্রশাসনের প্রধান নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা খুশি হয়েছিলেন৷ নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর এফবিসিসিআই-এর তৎকালীন সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বাংলাদেশে ডিডাব্লিউর কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, একজন ব্যবসায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় তিনি আনন্দিত৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কিছু পায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘...তাই আমাদের হারানোর কিছু নেই৷''
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসের পর জুন মাসে পোশাক কারখানার কাজের পরিবেশ ও শ্রমিকের স্বার্থ সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ বাজার সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করেছিল ওবামা প্রশাসন৷ সেই সুবিধা এখনও ফিরে পায়নি বাংলাদেশ৷ অবশ্য পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশের কথা বলা হলেও এই খাত এমনিতেই জিএসপি সুবিধা পেতো না৷ তবে এই সুবিধা না থাকায় কয়েকটি রপ্তানি পণ্যের খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়ে আসছে৷ এরপর বিভিন্ন সময়ে এই সম্পর্কে যোগ হয়েছে নানা মাত্রা৷ বর্তমানে দেশটি বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি-গন্তব্য এবং রেমিটেন্সের অন্যতম উৎস৷
ছবি: Minara Begum
বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরোধিতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ যুদ্ধে তাণ্ডবলীলা চালাতে পাকিস্তান যে সব ব্যবহার করে, তার মধ্যে বহু অস্ত্রই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি৷ এমনকি তারা বাংলাদেশ অভিমুখে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে নতুন এই রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঠেকাতে চেয়েছিল৷ পাকিস্তানের পরাজয় ঠেকাতে জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আনারও উদ্যোগ নিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র৷ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূকিকায় এসব নস্যাৎ হয়ে যায়৷
ছবি: picture alliance/dpa/Everett Collection
শেষ পর্যন্ত স্বীকৃতি
যুদ্ধের সময় মার্কিন সরকার বাংলাদেশের বিরোধিতা করলেও দেশটির বহু মানুষ বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা এবং তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রাখে৷ পাকিস্তানের মানবাধিকার লঙ্ঘণের বিরুদ্ধেও তাঁরা সরব হন৷ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বাধীন হলে দৃশ্যত অবস্থান বদলায় মার্কিন সরকার৷ স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে৷ তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি রোধে দেশটির তৎপরতা দেখা গেছে৷
ছবি: Getty Images
বিনিয়োগ ও উন্নয়নে
স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ নতুন দেশটির উন্নয়নে অংশীদারিত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়েও যায় তারা৷ ইউএসএইড-এর মতে, বর্তমানে তাদের অন্যতম বৃহৎ ‘ফরেন এইড মিশন’ রয়েছে বাংলাদেশে৷ অবশ্য শেভরন, কনকো ফিলিপের মতো জ্বালানি খাতে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনাও রয়েছে৷
ছবি: AP
বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার
একক দেশ হিসাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যে আবার আমদানি-রপ্তানির হিসাব বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে৷ গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রপ্তানির মধ্যে ৬ বিলিয়নই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Masterson
রেমিটেন্স
২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রবাসী আয়ের ১ হাজার ৫৩২ কোটি মার্কিন ডলারের যে রেকর্ড হয়, তার মধ্যে ২৩৮ কোটি ডলারই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে৷ দীর্ঘদিন যাবত দেশটি বাংলাদেশর প্রবাসী আয়ের শীর্ষ ৫ দেশের মধ্যে থাকছে৷
ছবি: Muntasir Mamun Imran
তৈরি পোশাক
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক৷ এই পণ্যও সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷ তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই রপ্তানি কিছুটা পড়তির দিকে৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press
জিএসপি
জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস বা অগ্রাধিকারমূলক বাজার-সুবিধা (জিএসপি) আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করা যায়৷ যদিও তৈরি পোশাকখাত কোনোদিনই এই সুবিধা পায়নি, তথাপি রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য এই সুবিধা বাতিল করে দেয়৷ বাংলাদেশ সরকার এখন বলছে, জিএসপি সুবিধা পাওয়া পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ কম হওয়ায় এটা কেবল মর্যাদার প্রশ্ন হয়ে আছে৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/Suvra Kanti Das
ট্রাম্পযুগ
গ্রামীণ ব্যাংক থেকে মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণের ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে বাংলাদেশের তিক্ততার পর আসে মার্কিন নির্বাচন৷ সেখানে মুসলিমবিরোধী নানা মন্তব্য করলেও ট্রাম্প জিতে যাওয়ার পর মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবার আগে উষ্ণ অভিনন্দন জানায় বাংলাদেশ সরকার৷
ছবি: Reuters/J. Ernst
টিপিপি বাতিল
ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বা টিপিপি চুক্তিতে বাংলাদেশ সরাসরি ছিল না৷ তবে এটা ঘিরে বাংলাদেশের উদ্বেগ ছিল৷ কারণ, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ভিয়েতনাম পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে যেতো৷ তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের প্রধান এই রপ্তানি পণ্য অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়তো৷ নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুসারে ট্রাম্প এই চুক্তি বাতিল করলে বাংলাদেশ সরকার থেকে অভিনন্দনও জানানো হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/
ভূ-রাজনীতি
অদূরে চীন, পাশেই ভারত৷ সীমান্ত রয়েছে চীনের দীর্ঘদিনের মিত্র মিয়ানমারের সঙ্গেও৷ ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব পায় বড় শক্তিগুলোর কাছে৷ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশগুলোর পক্ষে ভূমিকা রেখেও আলাদা অবস্থান তৈরি করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ভূক্তভোগী দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ৷ এই চুক্তির আওতায় প্রতি বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের কথা রয়েছে৷ ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় টান পড়বে এই অর্থ জোগানে৷ এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র কার্বন নিঃসরণ না কমালে এর ফল ভোগ করতে হবে বাংলাদেশকেও৷
শান্তিরক্ষী বাহিনী
জাতিসংঘ পরিচালিত শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের বড় একটা অংশ বাংলাদেশের৷ এটা বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়েরও একটা উৎসে পরিণত হয়েছে৷ অন্যদিকে জাতিসংঘের বাজেটের বড় একটা অংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, যা কমিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করেছেন ট্রাম্প৷ সেক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা মিশনসহ অনেক কাজ পরিচালনা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে বলে জানায় সংস্থাটির এক মুখপাত্র৷ এটা উদ্বেগে ফেলেছে বাংলাদেশকেও৷
ছবি: UNMIS/John Charles
অভিবাসন নীতি
যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ অভিবাসী কমাতে ট্রাম্পের নানা পদক্ষেপ সমস্যায় ফেলবে সেখানে থাকা অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিকে৷
ছবি: Imago/Zuma Press
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে বড় একটা জায়গা জুড়ে থাকে দেশটির গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি৷ বাংলাদেশে নিয়োগ পাওয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রায়ই এটা নিয়ে কথা বলতে বা সক্রিয় হতে দেখা যায়৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
14 ছবি1 | 14
এছাড়া এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের পোশাক খাতকে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দেয়নি৷
এইসব বিবেচনায় এফবিসিসিআই-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট মাতলুব মনে করেছিলেন, ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার মধ্য দিয়ে বাণিজ্যের বিচারে বাংলাদেশের সামনে একটি নতুন সূচনার সুযোগ হয়েছে৷
কিন্তু ট্রাম্প (২০ জানুয়ারি, ২০১৭) ক্ষমতা গ্রহণের পাঁচ মাস পর বর্তমান এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা আশা করেছিলাম, নতুন মার্কিন প্রশাসনের প্রধান ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের একজন হওয়ায় ঐ প্রশাসন ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে৷ কিন্তু এখনও দুই দেশের মধ্যে সেরকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি৷ অ্যামেরিকাতে তো আমাদের ব্যবসা বাড়ছে না৷ আমরা তো প্রধানত অ্যাপারেল রপ্তানি করি৷ সেখানে ছয় শতাংশের বেশি নেগেটিভ গ্রোথ দেখা যাচ্ছে৷’’
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এখনও শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশ সুবিধা না পাওয়ায় হতাশ তিনি৷ ‘‘আমাদের যেটা দীর্ঘদিন থেকে ওদের সাথে হচ্ছে না, সেটা হলো শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশ - যা এলডিসির সদস্য হিসেবে আমাদের পাওয়ার কথা৷ কিন্তু লেবার স্ট্যান্ডার্ড, সেফটি ইত্যাদির নামে তারা আমাদের সেটা দিচ্ছে না,’’ বলেন এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন৷ বিজিএমইএ-র সাবেক প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন মে মাসের মাঝামাঝি এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন৷
তিনি অবশ্য মনে করছেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকায় হয়ত বাণিজ্যের বিষয়গুলোর দিকে নজর দেয়ার সময় এখনও পায়নি৷
তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করার মতো বিভিন্ন সুযোগ আছে বলে মনে করেন এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা৷ তিনি বলেন, ‘‘অ্যামেরিকায় টেক্সটাইলসহ যে সানসেট ইন্ডাস্ট্রিগুলো (পুরনো ও ক্ষয়ে যাওয়া শিল্প) আছে সেগুলো আমরা যৌথভাবে এক্সপ্লোর করতে পারি৷’’
‘‘যখনই আলোচনা করতে যাওয়া হয়, তখনই তারা একটা করে ইস্যু নিয়ে আসে’’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা অনুযায়ী, বাংলাদেশ কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা বাড়াতে কাজ করছে৷ ইতিমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখনও জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে না দেয়ায় তাদের সমালোচনা করেছেন তিনি৷ ‘‘(দুই দেশের মধ্যে) আলোচনার সময় ওরা সঠিক কারণ বলতে পারে না৷ যেমন শিকাগোতে ‘শোয়েটশপ’ (যে কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ গ্রহণযোগ্য নয়) আছে, কিন্তু আমাদের এখানে একটা শোয়েটশপ থাকলেই ওটা নিয়ে অনেক আলোচনা করে,’’ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন মহিউদ্দিন৷
উল্লেখ্য, গত মাসের ১৭ তারিখ ঢাকায় দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানে জিএসপি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান ভারপ্রাপ্ত বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু৷
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে কেন জিএসপিসহ শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা আদায় করা যাচ্ছে না, সে প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমি মনে করি, এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত৷ ট্রাম্প প্রশাসন যদি মনে করে বাংলাদেশ একটি অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র, তাহলে হয়ত হতে পারে৷ আমার মাঝে মধ্যে মনে হয়েছে, বাংলাদেশ একটা ‘ডিসপ্রপোর্শনেটলি অ্যাফেক্টেড কান্ট্রি’, মানে যেটা ডিজার্ভ করে সেটা পায় না৷’’
তিনি বলেন, ‘‘যখনই আলোচনা করতে যাওয়া হয়, তখনই তারা (যুক্তরাষ্ট্র) একটা করে ইস্যু নিয়ে আসে, ইন্ডিভিজুয়াল দু-একটা ইস্যুকে দাঁড় করিয়ে দিতে চায়৷’’
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...