হোয়াইট হাউস সামরিক খাতে ‘ঐতিহাসিক ব্যয়বৃদ্ধির' প্রস্তাব দিয়েছে, যার পরিমাণ হবে ৫,৪০০ কোটি ডলার (৪৩ লক্ষ কোটি টাকা)৷ ট্রাম্পের খসড়া বাজেটে এই অর্থ আসবে বিভিন্ন বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ সাহায্য কর্মসূচি হ্রাস করে৷
বিজ্ঞাপন
ট্রাম্প চান সামরিক খাতে ‘ঐতিহাসিক' ব্যয়বৃদ্ধি, যদিও কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান, উভয় গোষ্ঠীই এই পরিকল্পনার বিরোধী – এবং তারাই এই বাজেট পাশ করবেন৷
হোয়াইট হাউসের পরিকল্পনা অনুযায়ী পেন্টাগনের বাজেট ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ৬০৩ বিলিয়ন ডলারে৷ ঐ বাড়তি অর্থ আসবে বৈদেশিক সাহায্য এবং স্বদেশে নানা সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি হ্রাস করে৷ ট্রাম্প যে সরকারকে ‘‘কৃশ'' করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এটা সম্ভবত সেই নীতির অঙ্গ৷ দৃশ্যত পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা ও পররাষ্ট্র দপ্তরের বাজেট, ও সেই সঙ্গে বৈদেশিক সাহায্য কমানো হবে – যদিও পরিকল্পনার খুঁটিনাটি মার্চের আগে জানার সম্ভাবনা নেই৷
Trump to propose 10pct hike in military spending
00:18
ট্রাম্প প্রশাসনের এর কর্মকর্তা ‘‘বৈদেশিক সাহায্যে বড় ধরনের হ্রাসের'' কথা বলেছেন৷ বস্তুত মার্কিন বাজেটের মাত্র এক শতাংশ যায় বৈদেশিক সাহায্যে, কাজেই সেই সাহায্য পুরোপুরি বাদ দিলেও সামরিক খাতে যা প্রয়োজন, তার সিকিভাগও উঠবে না৷
তবুও হোয়াইট হাউসের বাজেট পরিচালক মিক মালভেনি এই বাজেটকে বাস্তবিক একটি ‘‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট বাজেট'' বলে অভিহিত করেছেন৷ এই বাজেট ‘‘আমাদের পারমাণবিক শক্তিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা'' করবে ও ‘‘আমাদের সামরিক বাহিনীকে পুনর্গঠন'' করবে, ‘‘দেশকে সুরক্ষিত ও সীমান্তকে নিরাপদ'' করবে – বলেছেন মালভেনি৷ এ'জন্য দৃশ্যত বাজেটের এক-ষষ্ঠমাংশ যাবে প্রতিরক্ষায় – যা কিনা সামরিক খাতে ব্যয়ের তালিকায় পরবর্তী সাতটি দেশের সামগ্রিক খরচের সমান৷
ডেমোক্র্যাটরা এই বাজেট রুখতে পারেন: তারা গোড়া থেকেই এই পরিকল্পনার বিরোধী, বিশেষ করে যে সব কর্মসূচি ‘‘মধ্যবিত্ত শ্রেণির উপকার করে'', সেগুলি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনায়৷ অপরদিকে রিপাবলিকান সেনেটর জন ম্যাককেইন হোয়াইট হাউসের নতুন বাজেটে সামরিক ব্যয়কে ওবামার বাজেট থেকে মাত্র তিন শতাংশ বাড়তে দেখছেন৷
আসল চমক সম্ভবত এই যে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর ১২০ জনের বেশি অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ও অ্যাডমিরালরা ট্রাম্পের প্রতি কূটনীতি ও বৈদেশিক সাহায্য হ্রাস না করার আহ্বান জানিয়েছেন৷
এসি/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)
প্রেসিডেন্ট হয়েই যা যা বললেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণে জনতার প্রশংসা করেন ট্রাম্প৷ বলেন, ‘‘আজ ওয়াশিংটন থেকে ক্ষমতা তুলে দেয়া হচ্ছে আপনাদের হাতে৷’’
ছবি: Reuters/C. Barria
জনগণের হাতেই ক্ষমতা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই দিনটিকে স্মরণ করা হবে জনগণের জয় হিসেবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Loeb
বিক্ষোভ সত্ত্বেও ভিড়
ট্রাম্পের শপথগ্রহণের দিনেও যুক্তরাষ্ট্র শান্ত ছিল না৷ এমনকি ওয়াশিংটন ডিসিতেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে৷ তারপরও তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লাখো মানুষ৷ ট্রাম্প তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন৷
ছবি: Reuters/K. Lamarque
সবার জন্য শিক্ষা, সুরক্ষা, চাকরি
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণে সবার জন্য উন্নত শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থানের আশ্বাস দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
ছবি: Getty Images/A. Wong
প্রেসিডেন্টের কাছে জনতাই সব
‘‘আপনার-আমার সবারই এক দেশ, আপনাদের সাফল্যই আমার সাফল্য, আপনাদের হৃদয়ই আমার হৃদয়৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/M. Ralston
শুধু দেশের জন্য কাজ
ধনকুবের থেকে রাজনীতির ময়দানে এসেই রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে যাওয়া ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘এখন থেকে আমার লক্ষ্য শুধু দেশের ভবিষ্যৎ গড়া৷’’
ছবি: Reuters/L. Nicholson
‘ওবামা পরিবার ছিল চমৎকার’
ট্রাম্প ভাষণ শুরু করেছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে৷ এ সময় ওবামা দম্পতির প্রশংসা করেছেন৷ ওবামা ও মিশেলের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওবামা পরিবার ছিল চমৎকার৷’’
ছবি: Reuters/B. Snyder
অ্যামেরিকায় উগ্রবাদীদের জায়গা নেই
‘‘অ্যামেরিকার মানুষের আর ভয়ের কারণ নেই৷’’ এ কথা বলে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, উগ্রবাদী ইসলামপন্থিদের সমূলে উৎপাটন করা হবে৷
ছবি: Reuters/B. Snyder
দেখুন বড় স্বপ্ন
ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমাদের এখন আগামীর পথে এগিয়ে যেতে হবে৷ বড় কাজের জন্য দেখতে হবে বড় স্বপ্ন৷’’
ছবি: Reuters/L. Nicholson
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক স্মরণীয় দিন
২০ জানুয়ারি, ২০১৭ – এই তারিখটিকে অ্যামেরিকা চিরকাল স্মরণ করবে বলেও মনে করেন ট্রাম্প৷
ছবি: Reuters/C. Barria
‘অ্যামেরিকা উইল বি গ্রেট এগেইন’
ট্রাম্প বলেন, ‘‘আজ থেকে এ দেশ চলবে নতুন দৃষ্টভঙ্গি নিয়ে আর তা হবে ‘অ্যামেরিকা প্রথম’৷’’ পাশাপাশি নির্বাচনি প্রচারাভিযানের সময় থেকে বলে আসা ‘আমরা আবার একসঙ্গে অ্যামেরিকাকে মহান জাতির উচ্চতায় নিয়ে যাবো’ অঙ্গিকারেরও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি৷