1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প ও জার্মানির ডানপন্থি দল এএফডি

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

এএফডি মানে ‘অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড’৷ বাংলা করলে হয় ‘জার্মানির জন্য বিকল্প’৷ গত কয়েক বছর ধরে দলটি জার্মান রাজনীতিতে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছে৷ রাজ্য নির্বাচনে ভালো ফলও করেছে তারা৷

Präsident Trump unterschreibt Dekret im Oval Office Weißes Haus
ছবি: picture-alliance/CNP/A. Harrer

শরণার্থী বিষয়ে আঙ্গেলা ম্যার্কেল সরকারের উদারনীতির সমালোচনা করে জার্মানদের একটি অংশের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এএফডি৷ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জার্মানির সংসদ নির্বাচনে ভালো ফল করার আশা করছে দলটি৷

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় খুশি এএফডির শীর্ষ নেতারা৷ ট্রাম্পের জয়ের পর জার্মানির যেসব রাজনৈতিক নেতা সবার আগে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন এএফডি’র দুই কো-চেয়ার ফ্রাউকে পেট্রি ও ইয়োর্গ ময়থেন৷ অভিনন্দন বার্তায় ট্রাম্পের উদ্দেশে তাঁরা লিখেছেন, এএফডি ‘তাঁর স্বাভাবিক মিত্র’ হবে৷

তবে জার্মানির দুজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও এএফডি দলের কার্যক্রমের বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, শিগগিরই ট্রাম্পকে নিয়ে এএফডির উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়তে পারে৷

ট্রাম্প ও এএফডির মধ্যে মিল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিশ্লেষক হেন্ড্রিক ট্র্যাগার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এএফডি আর ট্রাম্প দুজনই বলে থাকেন যে, তারা মানুষের মনের কথা শুনেছেন৷’’ আরেক বিশ্লেষক ভ্যার্নার পাটসেল্ট ডয়চে ভেলেকে বলেন, ট্রাম্পের জয়ে এএফডি মনে করছে, হোয়াইট হাউস এমন একজনকে পেল যিনি রাজনীতিবিদ যেমন হওয়া উচিত সেরকম কাজ করেন৷

তবে...

পাটসেল্ট মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের পক্ষে যা করা সম্ভব হয়েছে জার্মান রাজনৈতিক পরিবেশে সেটি সহজে করা যাবে না, কারণ, জার্মানির দল ও সংসদীয় সরকারব্যবস্থা বেশ পোক্ত৷ তাছাড়া ‘‘এএফডিতে ট্রাম্পের মতো কোনো ধনি ব্যক্তি নেই, যিনি দলের দায়িত্ব নিতে পারেন৷''

হেন্ড্রিক ট্র্যাগার আরেকটি পার্থক্যের কথা বললেন৷ ‘‘ট্রাম্প হচ্ছেন ওয়ান-ম্যান শো৷ কিন্তু এএফডির এমন অনেক সদস্য আছেন যাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন,’’ বলেন তিনি৷ তাঁর আশঙ্কা, এএফডি এখন পর্যন্ত সদস্যদের মধ্যকার ভিন্নতা পাশ কাটিয়ে দল হিসেবে সফল হয়ে উঠতে পারলেও, ‘ট্রাম্প ইফেক্টের’ প্রভাবে দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হলে বিভেদ তৈরি হতে পারে৷

পাটসেল্টের বিশ্বাস, মার্কিন জনগণ একসময় বুঝতে পারবে যে, ট্রাম্প তাদের দেশকে খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন৷ তখন এএফডির কর্মীরাও ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁদের যে কতটা দূরত্ব তা সবাইকে বোঝাতে উঠেপড়ে লাগবেন৷

প্রতিবেদন: কায়-আলেকজান্ডার শলজ/জেডএইচ

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ