1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প-কিম বৈঠকে সৌজন্য, আশার আলো

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)১২ জুন ২০১৮

আদৌ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় ও দুই নেতার মধ্যে সৌজন্য ও উষ্ণতার কারণেই ট্রাম্প-কিম আলোচনাকে সফল হিসেবে তুলে ধরছেন অনেক মহল৷ এবার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু হবার কথা৷

কিম জং উন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/J. Ernst

ঐতিহাসিক বৈঠকে ট্রাম্প-কিম

01:29

This browser does not support the video element.

দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে সূচনা ভালই হলো৷ অনেক জল্পনাকল্পনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সিঙ্গাপুরে মুখোমুখি হলেন৷ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দুই দেশের ক্ষমতাসীন নেতাদের এই প্রথম সাক্ষাতের ঘটনা ঐতিহাসিক হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷ কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে মতবিরোধ কাটাতে তাঁরা কয়েক দফায় আলোচনায় বসেন৷ তারপর কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে এক দলিলে স্বাক্ষর করেন৷ এখনো পর্যন্ত সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও ট্রাম্প আশা করছেন, যে নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুত শুরু হবে৷

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, প্রথম সাক্ষাতেই কিম জং উন-এর সঙ্গে তাঁর ‘সুসম্পর্ক' তৈরি হয়েছে৷ উত্তর কোরিয়ার নেতাও এই আলোচনাকে শান্তির পথে ভালো সূচনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷ তবে তার ফলে ভবিষ্যতে কতটা অগ্রগতি হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ সিঙ্গাপুরের কাপেলা হোটেলে পৌঁছানোর পর গোটা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাঁরা প্রথমে সহাস্যে করমর্দন করেন৷ তারপর পরস্পরের হাত ধরেন৷ তারপর তাঁরা লাইব্রেরিতে তাঁরা একান্ত আলোচনায় বসেন৷ দোভাষী ছাড়া সে সময়ে অন্য কেউ উপস্থিত ছিলেন না৷ ৪০ মিনিটের প্রাথমিক আলোচনার পর তাঁরা বেরিয়ে আসেন৷

তারপর দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও আলোচনায় যোগ দেন৷ দোভাষীর মাধ্যমে কিম বলেন, ‘‘গোটা বিশ্ব মনে হয় এই মুহূর্ত পর্যবেক্ষণ করছে৷ অনেকের মনে হচ্ছে, এটা স্বপ্ন৷ কোনো কল্পবিজ্ঞান কাহিনির দৃশ্য৷'' সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আলোচনা খুব ভালোভাবে এগোচ্ছে৷ আলোচনার ফাঁকে ট্রাম্প কিমকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত গাড়ি ‘দ্য বিস্ট' ঘুরিয়ে দেখান৷

ট্রাম্প-এর প্রতিনিধিদলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ও হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ জন কেলি উপস্থিত রয়েছেন৷ অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদলে রয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাক্তন প্রধান কিম ইয়ং চল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি সু ইয়ং৷ কিম জং উন-এর বোন ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী কিম ইয়ো জং মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়েছেন৷ মঙ্গলবারই দুই শীর্ষ নেতা যে যার দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছেন৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও আগেই বলেছিলেন, যে এই ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলনের ফলে পরবর্তী আলোচনার কাঠামো সৃষ্টি করা হচ্ছে৷ তারপর কঠিন আলোচনার পালা৷ কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের সংজ্ঞা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে হবে৷ ট্রাম্প নিজে ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে জানিয়েছিলেন৷ ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি অত্যন্ত প্রতিভাঘর ব্যক্তি ও নিজের দেশকে অত্যন্ত ভালোবাসেন৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ