দরজায় কড়া নাড়ছে মার্কিন নির্বাচন৷ ভোটারদের আকর্ষণে দুই প্রার্থী শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷
বিজ্ঞাপন
বুধবার ক্লিন্টন জনসভা করেছেন অ্যারিজোনায়৷ সেখানে রিপাবলিকানদের দুর্গ ভাঙতে চাইছেন তিনি৷ তাইতো ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে কী কী হতে পারে তার একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি৷ ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ‘টুইটার-যুদ্ধের পরিবর্তে সত্যিকারের যুদ্ধ' শুরু হতে পারে বলে ভোটারদের সতর্ক করে দেন তিনি৷ জনসভায় জড়ো হওয়া প্রায় ১৫ হাজার নাগরিকের উদ্দেশে ক্লিন্টন বলেন, ‘‘একবার শুধু ভাবুন আজ ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি৷ আর ভাবুন ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপিটলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে৷ চিন্তা করে দেখুন তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন আর ওভাল অফিসে বসে এমন সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন যার সঙ্গে আমাদের জীবন আর ভবিষ্যৎ জড়িত৷''
ক্লিন্টনের মতো সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামাও৷ নর্থ ক্যারোলাইনায় তিনি বলেন, ‘‘ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের নিকট ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়তে পারে৷ দেশের ভবিষ্যৎ আমাদের উপর নির্ভরশীল৷ এমনকি বিশ্ব কোনদিকে যাবে, সেটিও ঠিক হবে এই নির্বাচনে৷ সুতরাং নর্থ ক্যারোলাইনা, আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে, এটি যেন সঠিক দিকে এগোয় তা নিশ্চিত করা৷'' উল্লেখ্য, নির্বাচনে বিজয়ী নির্ধারণে যে কয়েকটি রাজ্যের ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তার মধ্যে একটি নর্থ ক্যারোলাইনা৷
ওবামা বৃহস্পতিবার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য ফ্লোরিডায় ক্লিন্টনের পক্ষে প্রচারণা চালাবেন৷ ট্রাম্পও এদিন ফ্লোরিডায় জনসমাবেশ করবেন৷ এর আগে এক সভায় ওয়াশিংটনকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ট্রাম্প কী করবেন তা জানান৷ অনেক নীতিনির্ধারক আর ভোটার এখন তাঁর দিকে আসছে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প৷ ‘‘শুধু একজন আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন না৷ তিনি অসৎ হিলারি ক্লিন্টন৷ আমরা জিততে যাচ্ছি,'' বলেন ৭০ বছর বয়সি এই রিপাবলিকান৷
ক্লিন্টনের জন্য ভাল খবর
নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে মঙ্গলবার৷ তবে ৩৭টি রাজ্যের ভোটাররা চাইলে চিঠির মাধ্যমে কিংবা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারছেন৷ ২০১২ সালে যত ভোট পড়েছিল তার প্রায় এক চতুর্থাংশ ভোট (৩১ মিলিয়নের বেশি) ইতিমধ্যে দেয়া হয়ে গেছে৷ মঙ্গলবারের আগে ৪৬ মিলিয়নের মতো ভোটগ্রহণ হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি৷
আপনার কী মনে হয়? কে জিতবেন – ট্রাম্প না হিলারি? লিখুন মন্তব্যের ঘরে৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, এপি)
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মজার ৯টি উক্তি
ট্রাম্পকে পছন্দ বা অপছন্দ যা-ই করুন, তিনি যে পুরোদস্তুর একজন এন্টারটেইনার বা বিনোদনকারী তা আপনিও হয়ত মানবেন৷ এবার ছবিঘরে থাকছে তার অদ্ভুত ও মজার কিছু উক্তি৷
ছবি: Getty Images/B. Pugliano
৭/১১?
‘‘আমি ওখানেই ছিলাম, আমি দেখছিলাম পুলিশ আর দমকলবাহিনী ছোটাছুটি করছে৷ ৭/১১ এ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঠিক পর মুহূর্তের ঘটনা৷’’ ট্রাম্প আসলে ৯/১১-র কথা বলতে গিয়ে ভুল তারিখ বলেছিলেন৷
ছবি: Reuters/C. Allegri
গোপনাঙ্গের ইঙ্গিত
‘‘এই হাতগুলোর দিকে তাকান, এগুলো ছোট? (রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কোর উদ্দেশে) সে বলেছে, যেহেতু আমার হাতগুলো ছোট, তাই অন্য অঙ্গগুলোও ছোট৷ কিন্তু আমি বলছি, না, সেখানে কোনো সমস্যা নেই৷’’ (আসলে ট্রাম্প এখানে পুরুষাঙ্গ বোঝাতে চেয়েছেন৷)
ছবি: Reuters/M. Segar
অন্যের স্ত্রীর ঢাক পেটানো
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টেড ক্রুজের উদ্দেশ্যে টুইটারে: ‘‘টেড আমার স্ত্রী মেলানিয়ার একটি ছবি তার প্রচারণায় ব্যবহার করেছেন৷ সাবধান টেড, আমিও তোমার স্ত্রীর ঢাক পেটাতে পারি৷’’
ছবি: Reuters/M. Segar
মেয়ে
‘‘ইভাঙ্কা যদি আমার মেয়ে না হতো তাহলে আমি তার সঙ্গে হয়ত প্রেম করতাম৷’’ ইভাঙ্কা ট্রাম্পের বয়স ৩৪ বছর৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Scott Applewhite
হিলারির স্বামী সন্তুষ্টি
‘‘হিলারি যেখানে নিজের স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে পারে না, সেখানে পুরো অ্যামেরিকার জনগণকে কীভাবে সন্তুষ্ট করবেন?’’ ট্রাম্পের ইশারা বিল ক্লিনটন আর মনিকার সেই স্ক্যান্ডালের প্রতি৷
ছবি: DW/R. Spina
হিলারি প্রসঙ্গ
‘‘হিলারি ক্লিনটনের জনপ্রিয়তা আসলে ‘নারী’ স্ট্যাম্প এর জন্য৷ সত্যি কথা হলো, তিনি যা অঙ্গীকার করছেন, তার কিছুই দিতে পারবেন না৷ যদি হিলারি পুরুষ হতেন, তাহলে ৫ ভাগও ভোট পেতেন না৷ তিনি নারী বলেই এত ভোট পাচ্ছেন৷ আর মজার ব্যাপার হলো, নারীরা তাকে একদম পছন্দ করেন না৷’’
ছবি: Getty Images/S. Platt
বারাক ওবামার জন্মনিবন্ধন জাল
‘‘একটা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র জানিয়েছে, বারাক ওবামার জন্ম নিবন্ধন আসলে জাল-’’ ট্রাম্পের উদ্দেশ্য ওবামার জন্ম যে যুক্তরাষ্ট্রে নয় তা খুঁজে বের করা এবং মানুষকে জানানো৷
ছবি: Getty Images/J.-J. Mitchell
ট্রাম্পের আইকিউ
‘‘আমার আইকিউ সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি৷ দুঃখিত, এ নিয়ে আপনাদের দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই, কারণ, এতে আপনাদের কোনো হাত নেই৷’’
ছবি: picture alliance/AP Photo/E. Vucci
মেক্সিকোর মানুষ
‘‘যখন মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রে মানুষ পাঠায়, তারা তাদের সেরা মানুষদের পাঠায় না৷ এমন মানুষদের পাঠায় যাদের সমস্যা রয়েছে আর সেই সমস্যাগুলো তারা আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়৷ সেইসব মানুষ মাদক আনে, অপরাধ আনে, পাশাপাশি তারা ধর্ষক৷ কেবল অল্প কয়েকজন ভালো মানুষ৷’’