মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ ইউরোপ সফরে এখন জার্মানির বার্লিনে আছেন বারাক ওবামা৷ বুধবার তিনি জার্মান রাজধানীতে পৌঁছেছেন৷ রাতের খাবারে তাঁর সঙ্গী ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷
বিজ্ঞাপন
অনানুষ্ঠানিক এই ডিনারে যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ও সিরিয়া সংকট নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে৷
তবে ম্যার্কেল এবং ওবামার মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সোয়া তিনটায়৷ এরপর পাঁচটায় সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে৷ আগামীকাল শুক্রবার এই দুই নেতার সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও ইটালির প্রধানমন্ত্রী৷
ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় রাশিয়ার উপর কার্যকর থাকা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কথা হতে পারে৷ ইউক্রেনের সঙ্গে সমস্যায় জড়িয়ে পড়ার কারণে ২০১৪ সালে রাশিয়ার উপর ঐ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল৷ আগামী জানুয়ারি মাসের শেষে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা৷ সিরিয়ায় বোমা হামলার কারণে নতুন করে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় কিনা, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে৷
নানা মুডে আঙ্গেলা ম্যার্কেল
সারা বিশ্বের মিডিয়া জুড়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ছবি৷ তাঁর সরকারি মুখাবয়ব প্রায়শই গম্ভীর, কথা বলেন সুচিন্তিতভাবে৷ ছবি তোলেন দু’হাতের আঙুলগুলো জুড়ে, তাঁর সুপরিচিত ভঙ্গি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সুবিখ্যাত ম্যার্কেল মুদ্রা
ব্রীড়া থেকেই হোক, বা ঝানু রাজনীতিকের পরিশীলিত ভঙ্গিই হোক, ম্যার্কেল যে হাতের আঙুলগুলো জোড়া দিয়ে কী বলতে চাইছেন, তা তিনি নিজেই জানেন...
ছবি: picture-alliance/dpa/Michael Kappeler
ইউরোপীয় রাজনীতিক
সার্বভৌম, উৎসাহী অথচ নিরুদ্বেগ অভিব্যক্তি নিয়ে ইউরোপীয় রাজনীতির মঞ্চে চলাফেরা করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ ছবিতে তিনি ব্রাতিস্লাভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক শীর্ষবৈঠকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Hoslet
চ্যান্সেলরের সঙ্গে সেলফি
উদ্বাস্তু সংকট ম্যার্কেলের রাজনৈতিক জীবনে একটা বড় প্রসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তবুও গতবছর বার্লিনের মারৎসান এলাকার একটি উদ্বাস্তু শিবিরে সিরিয়া থেকে আগত এক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীকে তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ দেন ম্যার্কেল৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
সরকারপ্রধান
চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেলকে দেখা যায় তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমা ও ভূমিকায়৷ সঙ্গে ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গাব্রিয়েল৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
নারীসুলভ
হঠাৎ কিছুটা অন্তরঙ্গতা ও একটি হাসি৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদকেও পার্ফেক্ট জেন্টলম্যান বলা চলে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Mori
জোট সরকার
ম্যার্কেলের দুই জোট সহযোগী, এসপিডি প্রধান সিগমার গাব্রিয়েল ও সিএসইউ প্রধান হর্স্ট জেহোফারকে দেখলে বোঝা যায়, ‘অ্যাঞ্জি’ মাথা ঠান্ডা না রাখলে বিপদ ঘটতে কতক্ষণ?
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. von Jutrczenka
বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তি
পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রির অধিকারিনী ম্যার্কেলের ইন্টারনেট বা ডিজিটাল মিডিয়াগুলোর জন্যে খুব একটা সময় থাকে না৷ তবে টুইট করতে ভালোবাসেন৷ ২০১৫ সালে জাতিসংঘের একটি ফোরামে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গের সঙ্গে আগ্রহ নিয়েই আলোচনা করছেন!
ছবি: picture-alliance/dpa
যাজক তনয়া
২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ প্রটেস্টান্ট যাজকের কন্যা ম্যার্কেলের পক্ষে একটি বিশেষ মুহূর্ত৷
ছবি: Reuters/A. Pizzoli
শ্যাম্পেন পান করার মতো উপলক্ষ্য চাই
যেমন জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে এলিসি চুক্তির ৫০ বছর পূর্তি৷
ছবি: AP
ক্ষমতার নেশা চেনেন ম্যার্কেল
২০১১ সালে ডয়চে ব্যাংকের প্রধান ইয়োসেফ আকারমান-এর সঙ্গে বৈঠকে সম্ভবত চলতি আর্থিক সংকট নিয়েই কথা হয়েছিল৷
ছবি: AP
ছুটিছাটায়
চ্যান্সেলরও মানুষ, তাঁরও ছুটি লাগে৷ তবে ছুটিতেও পাপারাৎসিদের হাত থেকে মুক্তি নেই আঙ্গেলা ম্যার্কেলের৷ ছবিতে তাঁর স্বামী ইওয়াখিম সাওয়ারকে দেখা যাচ্ছে (বাঁয়ে)৷
ছবি: dapd
সে অনেকদিন আগের কথা
তরুণ সিডিইউ রাজনীতিক আঙ্গেলা ম্যার্কেল দলীয় সতীর্থ আনেট শাভান ও প্রবীণ সিডিইউ রাজনীতিক এর্ভিন টয়ফেল-এর সঙ্গে দক্ষিণ জার্মানিতে সাইকেল টুরে৷ তখনও তাঁর মুখে অভিজ্ঞতা ও ক্ষমতার ছাপ পড়েনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
12 ছবি1 | 12
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে কিছু আশংকা তৈরি হয়েছে৷ ট্রাম্প ইতিমধ্যে ওবামার সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ সেই অভিজ্ঞতা থেকে ওবামার কাছ থেকে ট্রাম্পের ব্যাপারে জানতে চাইবেন ইউরোপীয় নেতারা৷
‘মুক্ত বিশ্বের' নতুন নেতা ম্যার্কেল?
বার্তা সংস্থা এএফপি এই শিরোনাম দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পশ্চিমা বিশ্বের মূল্যবোধ রক্ষার দায়িত্ব এখন ম্যার্কেলের ঘাড়ে চাপছে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন৷ ইতিহাসবিদ ও কলামিস্ট টিমোথি গার্টন গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, ‘‘আমি বলতে আনন্দ বোধ করছি যে, মুক্ত বিশ্বের নেতা এখন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷''
জার্মানির বামপন্থি দৈনিক টাৎস লিখেছে, ‘‘ম্যার্কেল....হঠাৎ করেই মুক্ত, গণতান্ত্রিক আর উদারপন্থি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠেছেন৷''
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ শেষের আগে ইউরোপ সফরে এসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইংল্যান্ডে না গিয়ে জার্মানিতে আসার ঘটনাকেও একটি সংকেত হিসেবে দেখছে এএফপি৷ এই ঘটনাকে ‘ম্যার্কেলের কাছে ব্যাটন হস্তান্তর' বলে মনে করছে বার্তা সংস্থাটি৷ ইউরোপ সফরের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবামা ম্যার্কেলকে গত আট বছরে (সম্ভবত) তাঁর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক সহযোগী বলে উল্লেখ করেছেন৷
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ম্যার্কেলের দেয়া বক্তব্যের প্রশংসা হচ্ছে অনেক৷ ম্যার্কেল বলেছিলেন, ‘‘(সব মানুষের) জন্ম, গাত্রবর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, যৌন প্রবণতা বা রাজনৈতিক মতামত নির্বিশেষে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, আইনের শাসন ও মানবমর্যাদার মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা জার্মানি ও অ্যামেরিকার মধ্যে যোগসূত্র৷ এই মূল্যবোধের ভিত্তিতে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রস্তাব দিচ্ছি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জার্মানির বিদেশনীতির ভিত্তি ও ভবিষ্যতেও তাই থাকবে৷''
‘‘এই বক্তব্যের মাধ্যমে ম্যার্কেল বাস্তব বিশ্বের নেতার দায়িত্ব গ্রহণে আগ্রহ দেখালেন এবং ট্রাম্পকে মূল্যবোধের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলেন'', বলে মনে করছে জার্মান দৈনিক ডি ভেল্ট৷
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)
ট্রাম্পের জয়ে বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
প্রথমে বিমূঢ়তা, পরে পরিস্থিতি সামাল দেবার প্রচেষ্টা, এই ছিল ইউরোপের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া, তবে দক্ষিণপন্থি মহল ট্রাম্পের জয়ে উৎসাহিত বোধ করছে৷ অপরদিকে মুসলিম দেশগুলিতে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷
ছবি: Reuters/C. Allegri
মুসলিম দেশগুলিতে উদ্বেগ
পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া অথবা বাংলাদেশের মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে ট্রাম্পের এই জয় ইসলামি দুনিয়ার পক্ষে কী তাৎপর্য বহন করছে, তাই নিয়েই দুশ্চিন্তা৷ বিশেষ করে ট্রাম্প যে মুসলিমদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছেন, তা নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন কেননা অ্যামেরিকায় তাদের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজন আছেন৷ এছাড়া ট্রাম্পের নীতি ইসলামি চরমপন্থিদের উসকে দিতে পারে, বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Indahono
বাংলাদেশ: আমন্ত্রণ
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, উভয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ শেখ হাসিনা তাঁর পত্রে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ও তাঁর ফার্স্ট লেডিকে বাংলাদেশে এসে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন দেখে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও ট্রাম্পকে একটি বার্তা পাঠিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
ছবি: imago/Xinhua
জার্মানি: ‘একটা বড় ধাক্কা’
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উর্সুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হবার পর পরই টেলিভিশনে তাঁর প্রতিক্রিয়া হিসেবে একটা বড় ‘শক’ পাওয়ার কথা বলেন৷ অপরদিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেছেন, ‘‘আমাদের (ট্রাম্পের জয়) মেনে নিতে হবে’’৷ তাঁর মতে আগামীতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি আগের মতো ভবিষ্যৎবাচ্য থাকবে না৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Schwarz
ব্রিটেন: ‘বিশেষ সম্পর্ক’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে উভয় দেশের ‘‘বিশেষ সম্পর্কের’’ কথা বলেছেন৷ ‘‘আমরা বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষায় আগের মতোই জোরালো ও ঘনিষ্ঠ অংশীদার থাকব’’, বলে মে তাঁর বিবৃতিতে মন্তব্য করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Rain
ভারত: ‘ভারতের প্রতি বন্ধুত্ব’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছে বলেছেন, ‘‘আপনি আপনার নির্বাচনি প্রচার অভিযানে ভারতের প্রতি যে বন্ধুত্ব দেখিয়েছেন, আমরা তা উপলব্ধি করি৷ ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটা নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবার আশা রাখি৷’’
ছবি: picture-alliance/Xinhua
ইসরায়েল: ‘প্রকৃত বন্ধু’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রকৃত বন্ধু’’ বলে অভিহিত করেছেন৷ অপরদিকে কট্টরপন্থি ইহুদি স্বদেশ দলের প্রধান শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট মন্তব্য করেছেন, ‘‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণার এখানেই অবসান৷’’ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস একটি বিবৃতিতে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘তাঁর কর্মকালে শান্তি অর্জিত হবে’’, বলে আব্বাস আশা করেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Sultan
রাশিয়া: ‘গঠনমূলক সংলাপ’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ডেনাল্ড ট্রাম্পকে টেলিগ্রাম পাঠিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ পুটিন একটি বিবৃতিতে বলেন, তিনি রুশ-মার্কিন সম্পর্ককে বর্তমান ‘‘সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি’’ থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার আশা রাখেন৷ মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ‘‘গঠনমূলক সংলাপ’’ গড়ে উঠবে, বলে তাঁর আস্থা আছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M.Schreiber
ইউরোপীয় ইউনিয়ন: গভীর সম্পর্ক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোঘেরিনি একটি টুইটে বলেছেন যে, ইইউ-মার্কিন সম্পর্ক রাজনৈতিক পরিবর্তনের চেয়ে বেশি গভীর৷ আমরা একত্রে কাজ করে ইউরোপের শক্তি পুনরাবিষ্কার করব’’, লিখেছেন মোঘেরিনি৷ অপরদিকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলৎস ট্রাম্পকে ‘‘লক্ষ লক্ষ মার্কিনির ভয়ভীতির প্রতিনিধি’’ বলে অভিহিত করেছেন৷
ছবি: DW/B. Riegert
হাঙ্গেরি: ‘গণতন্ত্র আজও বেঁচে’
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বান ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়কে ‘‘দারুণ খবর’’ বলে অভিহিত করেছেন৷ এর থেকে বোঝা যায় যে, ‘‘গণতন্ত্র আজও বেঁচে’’৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ইতিপূর্বে ওর্বানের সমালোচনা করা হয়েছে, তিনি হাঙ্গেরিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে দুর্বল করছেন বলে – পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনও যে সমালোচনায় যোগ দিয়েছিলেন৷ ওর্বান তাঁর ফেসবুক পেজে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷