প্রথমে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার ইসরায়েলের নতুন বসতি নির্মাণকে ‘বিশেষ সহায়ক নয়’ বলে বর্ণনা করেন৷ পরে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেইলিকে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘আগ্রাসী কার্যকলাপের’ নিন্দা করতে শোনা যায়৷
বিজ্ঞাপন
এ পর্যন্ত ট্রাম্পকে অধিকৃত এলাকায় ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের প্রতি সহানুভূতিশীল বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছিল৷ ক্ষমতা গ্রহণের স্বল্প আগেও তিনি ওবামা প্রশাসনের জোরালো সমালোচনা করেছেন, কেননা, ওবামা প্রশাসন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলি বসতিনির্মাণের নিন্দা জানিয়ে গৃহীত প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে ‘ভেটো’ প্রয়োগ করেনি৷ অনুরূপভাবে ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাসকে তেল আভিভ থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করার ধুয়ো তুলেছিলেন ট্রাম্প, যদিও আপাতত তারও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার এক বিবৃতিতে বলেন: ‘‘যদিও আমরা বসতিগুলির অস্তিত্বকে শান্তির পথে অন্তরায় বলে মনে করি না, নতুন বসতি নির্মাণ বা বর্তমান বসতিগুলির সম্প্রসারণ... সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক না-ও হতে পারে৷’’ অবশ্য তিনি যুগপৎ স্পষ্ট করে দেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন ‘‘বসতি নির্মাণ সংক্রান্ত গতিবিধির ব্যাপারে (এযাবৎ) কোনো সরকারি অবস্থান গ্রহণ করেনি৷’’
স্পাইসারের এই বিবৃতির মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন যে, তিনি আদালতের নির্দেশে ধ্বংসপ্রাপ্ত আমোনা নামধারী বসতিটির পরিবর্তে ‘‘যথাশীঘ্র সম্ভব’’ নতুন বসতি নির্মাণ করতে বদ্ধপরিকর৷ মনে রাখা দরকার, ১৯৯২ সাল থেকে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে কোনো নতুন বসতি স্থাপন করেনি৷
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি নেতানিয়াহুকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানাবেন৷ তখন উভয়ের সাক্ষাতের পরিবেশ কতটা হার্দিক হবে কিংবা হবে না, তা নির্ভর করবে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমশ প্রকাশ্য মধ্যপ্রাচ্য নীতির উপর৷
রাশিয়ার নিন্দা
একদিকে যেমন ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি সাধনের কথা বলে আসছেন, তেমনই মস্কো তথা গোটা রাশিয়ায় রাজনীতিক থেকে শুরু করে মানুষজন রুশ-মার্কিন সম্পর্কে একটা নতুন যুগের সূচনা প্রত্যাশা করছিলেন এবং সে যুগ যে তুষার যুগ হবে না, তা ধরেই নেওয়া হচ্ছিল৷
ট্রাম্পের প্রথম সাতদিনের নির্বাহী আদেশ ও নির্দেশ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতা গ্রহণের সাতদিনের মধ্যেই ডজন খানেক নির্বাহী পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার মধ্যে ‘এক্সিকিউটিভ অর্ডার’ ও ‘মেমোরান্ডাম’, দুই’ই আছে৷
ছবি: Reuters/K. Lamarque
অভিবাসন
শুক্রবারের একটি নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প সাতটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেন ও সিরীয় উদ্বাস্তু গ্রহণ অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখেন৷
ছবি: Picture-Alliance/AP Photo/K. Willens
ওবামাকেয়ার
শপথগ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প তাঁর প্রথম এক্সিকিউটিভ অর্ডারে স্বাক্ষর করেন৷ আদেশটির ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল ওবামার ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’-এর ‘‘অনাবশ্যক অর্থনৈতিক ও নিয়ন্ত্রণমূলক বোঝা’’ হ্রাস করা৷
ছবি: Getty Images/A. Wong
মেক্সিকো সীমান্তে প্রাকার
বুধবার ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পরিদর্শন করার অবকাশে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যাতে ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি (মন্ত্রীকে) ‘‘অবিলম্বে দক্ষিণ সীমান্ত বরাবর একটি প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনা, নকশা ও নির্মাণকার্য শুরু করার’’ যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Torres
‘স্যাঙ্কচুয়ারি সিটিজ’
বুধবার ট্রাম্প আরো একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডার স্বাক্ষর করেন, যা অনুযায়ী যে সব ‘অভয়াশ্রমের’ শহর বেআইনি অভিবাসীদের নথিবদ্ধ বা বহিষ্কার করে না, তাদের ফেডারাল অনুদান বাতিল করা হবে৷
ছবি: AP
দু’টি তেলের পাইপলাইনের অনুমতি
তাঁর কর্মকালের দ্বিতীয় দিনেই ডোনাল্ড ট্রাম্প দু’টি আদেশের মাধ্যমে দু’টি বিতর্কিত পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে বলেছেন৷ কি-স্টোন এক্সএল পাইপলাইনটি যাবে ক্যানাডা থেকে গাল্ফ কোস্টে মার্কিন রিফাইনারিগুলি অবধি: প্রেসিডেন্ট ওবামা ২০১৫ সালে এই পাইপলাইন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখেন৷ ডাকোটা অ্যাক্সেস পাইপলাইনটি ইন্ডিয়ান উপজাতিদের এলাকার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে ব্যাপক বিক্ষোভের অবতারণা ঘটে৷
ছবি: REUTERS/L. Jackson
গর্ভপাত সংক্রান্ত ‘গ্লোবাল গ্যাগ রুল’
‘বিশ্বের মুখ চেপে ধরার নীতি’ হিসেবে পরিচিত এই নীতি প্রথম বাস্তবায়িত হয় ১৯৮৪ সালে, প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের আমলে৷ মেক্সিকো সিটি পলিসি নামেও পরিচিত এই নীতি অনুযায়ী যে সব বিদেশি এনজিও গর্ভপাত সংক্রান্ত পরামর্শ বা সাহায্য দেয়, তাদের ফেডারাল সাহায্য না পাবার কথা৷ ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞা পুনরায় সক্রিয় করেছেন৷
ছবি: AP
টিটিপ থেকে পশ্চাদপসারণ
তাঁর কর্মকালের তৃতীয় দিনে (সোমবার) ট্রাম্প একটি মেমোরান্ডামের মাধ্যমে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিকে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বাণিজ্য চুক্তি থেকে স্থায়ীভাবে পশ্চাদপসারণ করার নির্দেশ দেন৷
ছবি: Reuters/K. Lamarque
7 ছবি1 | 7
কিন্তু জাতিসংঘে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেইলি বৃহস্পতিবার বললেন, যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘আগ্রাসী কার্যকলাপের’ নিন্দা করে৷ রাশিয়া ইউক্রেনকে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ফিরিয়ে না দেওয়া অবধি রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বজায় থাকবে৷ এটা ছিল নিরাপত্তা পরিষদে হেইলির প্রথম আবির্ভাব৷ অবশ্য হেইলি পরে তাঁর সুর কিছুটা নরম করে বলেন, ‘‘আমরা সত্যিই রাশিয়ার সঙ্গে উন্নততর সম্পর্ক চাই৷’’
হেইলি ইউক্রেনের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের জোরালো সমর্থনের কথা স্পষ্ট করে দেন: ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জনসাধারণের পাশে, যারা প্রায় তিন বছর ধরে রুশ জবরদখল ও সামরিক হস্তক্ষেপে নিপীড়িত হচ্ছেন৷ রাশিয়া ও তাদের সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও রাজ্যাঞ্চলীয় অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো অবধি এই সংকট চলতে থাকবে৷’’
হেইলি যোগ করেন, ‘‘পূ্র্ব ইউক্রেনের ভয়াবহ পরিস্থিতি এমন যে, রুশ কার্যকলাপের স্পষ্ট ও জোরালো নিন্দা না করে কোনো উপায় থাকে না৷’’ হেইলি অবিলম্বে যুদ্ধের অন্ত ও মিন্স্ক চুক্তির ‘পূর্ণ ও অব্যবহিত বাস্তবায়ন' দাবি করেন৷
জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন হেইলির সমালোচনা সম্পর্কে পরে বলেন যে, তিনি ‘‘কথার সুরে বেশ কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন৷ আমি সেটাকে ঠিক বন্ধুত্বপূর্ণ বলতে পারি না,’’ বলে চুরকিন যোগ করেন৷
এসি/এসিবি (এপি, এএফপি)
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পদ ও সাম্রাজ্য
ডোনাল্ড ট্রাম্প ঠিক কতটা ধনি? সেই সম্পদের ভিত্তিই বা কী? ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সম্পদ নিয়ে বড়াই করে থাকেন, কিন্তু বিশদ কিছু না জানিয়ে৷ যেটুকু জানা গেছে, তা হলো...
ছবি: picture-alliance/AA
ট্রাম্প কতটা বড়লোক?
ট্রাম্পের সম্পত্তি নিয়ে কথা উঠলে প্রথমে কিছুটা ধাঁধা লাগে৷ তাঁর ধনসম্পদ সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার অভিযান থেকেও কোনো বিশদ খবরাখবর পাওয়া যায়নি, যেহেতু ট্রাম্প অপরাপর প্রার্থীদের মতো তাঁর আয়করের খতিয়ান প্রকাশ করেননি৷
ছবি: Getty Images/C. Somodevilla
ট্রাম্প নিজে যে বিবৃতি দিয়েছেন
...তা অন্যান্যদের হিসেবনিকেশের সঙ্গে মেলে না৷ ২০১৫ সালের জুন মাসে ট্রাম্প বলেন যে, তাঁর সম্পদের মূল্য আটশ’ কোটি ডলারের বেশি৷ কিন্তু ফর্বসের হিসেব অনুযায়ী তাঁর সম্পদ ৪১০ কোটি ডলার৷ ২০১৫-র জুলাই মাসের মাঝামাঝি ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায় যে, তাঁর বিত্তের পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলার৷ কিন্তু ব্লুমবার্গ সংবাদ সংস্থার মতে তখন ট্রাম্পের সম্পদ ২৯০ কোটি ডলারের বেশি নয়৷
ছবি: Reuters/J. Bourg
গ্লোবাল কর্পোরেট নেটওয়ার্ক
ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত জার্মান পত্রিকা ‘হান্ডেলসব্লাট’-এর বিবরণ অনুযায়ী, ২৫টি দেশের ৫০০ কোম্পানিতে ট্রাম্পের শেয়ার আছে৷ এই সব কোম্পানির কার্যকলাপ, আয়-ব্যয় বা মুনাফা সম্পর্কে প্রায় কিছু জানা নেই৷ ২৫টি দেশে ট্রাম্পের ১৪৪টি কোম্পানি আছে, বলে সিএনএন দাবি করে থাকে৷ ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার খবর অনুযায়ী ট্রাম্পের অন্তত ১৮টি দেশে ১১১টি কোম্পানি আছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Probst
রিয়্যাল এস্টেট
ট্রাম্পের সাম্রাজ্য হলো ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’, যা তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন৷ ১৯৭১ সাল যাবৎ তিনি এই কোম্পানিটির দায়িত্বে৷ সারা বিশ্বে এই কোম্পানির বড় বড় প্রপার্টি আছে, যেমন নিউ ইয়র্কে ৪০ নম্বর ওয়াল স্ট্রিট, ভ্যানকুভারে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ার বা (ছবিতে) লাস ভেগাসের ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল৷
ছবি: Getty Images/J.Raedle
চার বাড়িতেই বাজি মাত
ট্রাম্পের সম্পদ মোটামুটি চারটি বহুতল ভবনে আবদ্ধ, বলে ফর্বস পত্রিকার অভিমত৷ নিউ ইয়র্কে ট্রাম্পের দু’টি অফিস ভবন আছে, এছাড়া তিনি ফিফ্থ অ্যাভিনিউ-এর ট্রাম্প টাওয়ারের অংশীদার৷ সান ফ্রান্সিস্কোতেও তাঁর একটি বহুতল ভবন আছে৷ এই চারটি বহুমূল্য স্থাবর সম্পত্তি ট্রাম্পের সম্পদের মোট ৪০ শতাংশ, বলে ফর্বস-এর ধারণা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W.G. Allgoewer
গল্ফ কোর্স
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত মিলিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প মোট ১৭টি গল্ফ কোর্সের মালিক৷ ২০১৬ সালের মে মাসে ট্রাম্প বলেন যে, এই গল্ফ কোর্সগুলি থেকে তাঁর বছরে ৩০ কোটি ডলারের বেশি আয় হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/D. Lawson
তাজ মহল
হ্যাঁ, তবে অ্যাটলান্টিক সিটিতে, এবং এটি একটি ক্যাসিনো৷ ট্রাম্প অ্যাটলান্টিক সিটি ও ফ্লরিডায় তাঁর ক্যাসিনোগুলিতে অনেক টাকা ঢেলেছেন৷ অ্যাটলান্টিক সিটির তাজ মহল ক্যাসিনোটি তৈরি করতে নাকি ট্রাম্পকে প্রায় ১০০ কোটি ডলার খরচ করতে হয়েছে৷ ক্যাসিনোটি প্রথমবার দেউলিয়া হয় ১৯৯১ সালে; তারপর ২০০৪, ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আরো তিনবার দেউলিয়া হয়৷ শেষমেষ ২০১৬ সালের ১০ই অক্টোবর ক্যাসিনোটি বন্ধ করে দেওয়া হয়৷
ছবি: Getty Images/W.T.Cain
‘ইউ’র ফায়ার্ড’
টেলিভিশন মনোরঞ্জনের জগতেও ভাগ্যানুসন্ধান করেছেন ট্রাম্প৷ ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’ নামের সফল টিভি সিরিজটির সঞ্চালক ও প্রযোজক ছিলেন ট্রাম্প৷ শো’টি চলে ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল অবধি৷ ১৭টি দেশে তা সম্প্রচার করা হয়েছে৷
আদালতে মামলা আর ব্যর্থ চুক্তির কারণে অধিকাংশ মার্কিন ব্যাংক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টাকা ধার দিতে চায় না৷ জার্মানির ডয়চে ব্যাংক কিন্তু কোনোদিনই ট্রাম্পকে না বলেনি, বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা৷ ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ পত্রিকার খবর অনুযায়ী ডয়চে ব্যাংক ১৯৯৮ সাল যাবৎ ট্রাম্পকে ২৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে৷ সিএনএন-এর খবর অনুযায়ী ডয়চে ব্যাংকের কাছে ট্রাম্পের এখনও ৩৬ কোটি ডলার ধার আছে৷
ছবি: picture-alliance/Markus Ulmer
স্বার্থের সংঘাত?
ঘটতে বাধ্য, বলে মনে হতে পারে৷ অতীতে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা তাদের ব্যবসা কোনো ট্রাস্ট বা নিধির হাতে তুলে দিয়েছেন৷ মালিকানা বজায় থাকলেও, ব্যবসা চালানোয় আর তাঁদের কোনো হাত থাকেনি৷ ট্রাম্পও তাঁর ব্যবসা তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের হাতে তুলে দেবার কথা ভাবছেন৷ খুঁটিনাটি নাকি তিনি ২০১৬-র জানুয়ারি মাসে জানাবেন৷