ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর উদ্যোগে মঙ্গলবার প্যারিসে একটি জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ৫০টির বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ নামকরা বিনিয়োগকারী ও প্রখ্যাত কয়েকজন অ্যামেরিকান এতে অংশ নেন৷
বিজ্ঞাপন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়ার পর অনেকের মধ্যে সৃষ্ট হওয়া আশংকা দূর করতে এই সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নেন এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ এক্ষেত্রে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত হওয়া প্যারিস চুক্তির দু'বছর পূর্তিকে বেছে নেন তিনি৷ জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক এই সম্মেলনের অন্য দুই আয়োজক ছিল৷
নির্বাচনের পর এখনও সরকার গঠন করতে না পারায় জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নিজ দেশে দুর্বল অবস্থানে আছেন৷ সে কারণে তিনি প্যারিস সম্মেলনে যাননি৷ এই অবস্থায় ফ্রান্সের মাক্রোঁ জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে নেতৃত্ব দেয়ার ভার কাঁধে তুলে নেন৷ প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন ধীরগতিতে চলছে মন্তব্য করে মাক্রোঁ সবাইকে আরও দ্রুতগতিতে কাজ করার আহ্বান জানান৷ সম্মেলনের শুরুতে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘আমরা (প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে) যথেষ্ট দ্রুত এগোচ্ছি না৷ যুদ্ধ জয় করতে আমাদের আরও দ্রুত হতে হবে৷''
বিশ্ব উষ্ণায়নের শৈল্পিক প্রতিবাদ
জার্মানির বন শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে ভবিষ্যতের লক্ষ্য নিয়ে৷ বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও তহবিল সংক্রান্ত আলোচনাও ছিল এতে৷ তবে কেবল কথা নয়, সম্মেলন ঘিরে ছিল নানা সৃজনশীল প্রকাশও৷
ছবি: DW/P. Große
সবকিছু একসাথে
কপ২৩ সম্মেলনে স্বাগতিক দেশ ফিজির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাংক বাইনিমারামা বলেন, ‘‘লক্ষ্যে পৌঁছাতে একটি আকাঙ্খাকে সামনে রেখে একসাথে আমাদের নৌকা ভাসাতে হবে৷’’ সম্মেলনে অংশ নেয়া ১৯৬টি দেশের প্রতিনিধিরা সেই বক্তব্যের প্রতিফলনই যেন দেখতে পায় ফিজির নিজস্ব নৌ-যানের এ অবয়বে৷
ছবি: DW/H. Kaschel
প্রতিবাদে হস্তশিল্প
জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো, বিশেষত আদিবাসী গোষ্ঠির মানুষেরা৷ এ ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা৷ কপ২৩ চলাকালীন রাইনাউয়ে পার্কে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের হাতের কাজের নমুনা দিয়ে তৈরি করা এই তাঁবু সেই সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতীকী রূপ৷
ছবি: DW/P. Große
মেরু ভল্লুকের দুঃখজনক পরিণতি
কেবল মানুষ নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরা, বন্যা বা ঝড়ের তাণ্ডবে ভুগছে প্রাণীরাও৷ মেরু ভল্লুকের মতো অনেক প্রাণীই চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে৷ সম্মেলনে মেরু ভল্লুকের বিদ্ধ করা মূর্তি যেন জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণাম জানান দিয়েছে৷
ছবি: DW/P. Große
গাছবন্ধু
গাছ আমাদের পরম বন্ধু৷ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গাছের কোনো বিকল্প নেই৷ জার্মান ফরেস্ট অ্যাসোসিয়েশন গাছের গুরুত্ব বোঝাতে এই ৮ মিটার লম্বা গাছের ভাস্কর্যটি তৈরি করে৷
ছবি: DW/P. Große
বিপদের মুখে বিশ্ব
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিদিন আরো বিপদগ্রস্থ হয়ে উঠছে পৃথিবী৷ বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে আবহাওয়ার তীব্রতা মারাত্মক আকার ধারণ করছে৷ পৃথিবীর বিপন্নতার কথা মনে করিয়ে দিতেই যেন জার্মানির উন্নয়ন মন্ত্রণালয় পৃথিবীর এই ২০ মিটার লম্বা অবয়বটি বসিয়েছিল রাইনাউয়ে পার্কে৷
ছবি: DW/P. Große
নবায়নযোগ্য জ্বালানি
গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতই সবচেয়ে বেশি দায়ী৷ তবে যুক্তরাষ্ট্র যেখানে জলবায়ু চুক্তি থেকে পিছু হঠছে, সেখানে ভারত ও চীন ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে৷ অদূর ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উপর নির্ভর বাড়ানোর ইঙ্গিত ছিল ভারতীয় প্যাভেলিয়নে৷
ছবি: DW/P. Große
রাজপথে প্রতিবাদ
জলবায়ু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পরিবেশ কর্মীদের প্রতিবাদ সমাবেশ ছিল বন শহরে৷ জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে এ প্রতিবাদে সামিল হয় হাজারো মানুষ৷ পরে বন থিয়েটারে এ সব প্রতিবাদী পোস্টার প্রদর্শিত হয়৷
ছবি: DW/P. Große
প্রতিবাদে মুখোশ
প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসতে চাওয়া একমাত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র৷ জলবায়ু সম্মেলনে প্রতিবাদকারীদের অন্যতম লক্ষ্যও তাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
ছবি: Reuters/W. Rattay
8 ছবি1 | 8
এরপর দিনশেষে সমাপনী বক্তব্যে মাক্রোঁকে ইতিবাচক দেখা গেছে৷ কারণ সম্মেলন থেকে আশ্বস্ত হওয়ার মতো অঙ্গীকার পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি৷ বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলোর জন্য তেল ও কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসা সহজ করতে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের অঙ্গীকার পাওয়া গেছে৷ এছাড়া কয়েক বিলিয়ন ডলারের ডাইভেস্টমেন্টের (কোথাও থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়া) ঘোষণাও এসেছে৷ যেমন ফ্রান্সের বিমা কোম্পানি আক্সা বলেছে, তারা কার্বন সেক্টর থেকে সরে আসার প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করবে৷ কয়লা থেকে যেসব কোম্পানির রাজস্ব আয় ৩০ শতাংশের বেশি হয়ে থাকে, সেসব কোম্পানি থেকে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেবে আক্সা৷ এছাড়া বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান দুই বছরের মধ্যে তেল ও গ্যাস প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করবে৷
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মিলে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন আগামী তিন বছরের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে৷ কৃষিখাতে অভিযোজন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এই অর্থ ব্যয় করা হবে৷
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী কোম্পানিগুলোর উপর চাপ প্রয়োগ করতে ২০০-র বেশি বিনিয়োগকারী একটি কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে৷ তারা বিপি, এয়ারবাস, ফল্কসভাগেন ও গ্লেনকোরকে আরও সবুজ হতে চাপ দেবে৷
প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রির মধ্যে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে৷ লক্ষ্য পূরণে সফল হতে হলে প্রতিবছর গড়ে সাড়ে তিন ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা৷ বর্তমানের বিনিয়োগের চেয়ে সংখ্যাটি প্রায় দ্বিগুণ৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ভূমিকা রাখতে পারেন যেভাবে
লক্ষ্যটি খুবই সহজ৷ কার্বন ডাই অক্সাইড জলবায়ুর সবচেয়ে বড় শত্রু৷ আর গাড়ি, স্মার্টফোনের মতো কিছু জিনিস, যা থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদিত হয়, সেগুলোর ব্যবহার কম করলে অর্থ খরচ কমবে, জলবায়ুর জন্যও মঙ্গল বয়ে আনবে৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/Chinatopix
এ বিষয়ে কথা বলা
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আপনার কোন ছোট পদক্ষেপ বড় প্রভাব ফেলতে পারে? এটা নিয়ে কথা বলুন পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে৷ আর এটা নিশ্চিত করুন যে, এ বিষয়ে তারা যাতে ভালো সিদ্ধান্ত নেয়৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে৷
ছবি: Gemeinde Saerbeck/U.Gunnka
নিজের বাড়িতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার
বাড়িতে বৈদ্যুতিক সেবা দেয়ার জন্য এমন কোম্পানিকে বেছে নিতে হবে যারা তাদের বিদ্যুত উৎপাদনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাতাস বা সৌরশক্তি ব্যবহার করে এবং যাতে তারা ‘গ্রিন ই এনার্জি’র অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়৷ যদি এটা সম্ভব না হয়, তাহলে নিজের বিদ্যুৎ বিলের দিকে নজর রাখুন৷ অনেক কোম্পানি বিলে লিখে দেয়, তাদের বিদ্যুত উৎপাদনে কতটা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/Chinatopix
আবহাওয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা
ঠান্ডার সময় বাড়ির তাপমাত্রা বাড়ানো বা গরমের সময় শীতল করতে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়৷ তাই নিজের আবাসস্থলকে ‘এনার্জি এফিসিয়েন্ট’ বা জ্বালানি সাশ্রয়ী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন, যাতে ঘরে বাতাস চলাচল এবং বাতাস বন্ধ রেখে উত্তাপ বাড়ানোর সহজ ব্যবস্থা থাকে৷
ছবি: Imago/Westend61
জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি
১৯৮৭ সালে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের যন্ত্রপাতির প্রচলন হয়৷ এ ধরনের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে এ পর্যন্ত সেখানকার বাতাসকে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড মুক্ত রাখা গেছে, যা বছরে ৪৪ কোটি গাড়ি থেকে নিঃসরণ হয়৷ জ্বালানি সাশ্রয়ী খুব কম খরচে কার্বন নিঃসরণ রোধের সহজ উপায়৷ তাই রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন এবং এ ধরনের যন্ত্রপাতি কেনার সময় ‘এনার্জি স্টার’ লেবেল দেখে কেনা উচিত৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel/C. Ohde
পানি খরচ কমানো
পানির অপচয় রোধ করেও কার্বন দূষণ কমানো যায়, কেননা, পানি পাম্প করতে, গরম করতে বা ঠাণ্ডা করতে প্রচুর জ্বালানি খরচ হয়৷ তাই গোসল করার সময় কম পানি খরচ করুন৷ প্রয়োজন না হলে দাঁত মাজার সময় পানির কল বন্ধ রাখুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Wuestenhagen
যেসব খাবার কিনছেন পুরোটা খান, মাংসের উপর চাপ কমান
যুক্তরাষ্ট্রে ১০ ভাগ জ্বালানি খরচ হয় খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেটজাত করা এবং সরবরাহে৷ তাই খাবার কম অপচয় করলে জ্বালানি বা শক্তি কম খরচ হয়৷ গবাদি পশু পালনে প্রচুর জ্বালানি অপচয় হয়৷ তাই মাংস খাওয়া কমালে বিরাট পরিবর্তন আসতে বাধ্য৷
ছবি: Colourbox
ভালো বাল্ব কিনুন
অন্য সব বাল্বের চেয়ে এলইডি বাল্ব শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত কম বিদ্যুৎ খরচ করে৷ এসব বাল্ব দীর্ঘস্থায়ী এবং খরচও কম৷ ১০ ওয়াটের এলইডি বাল্ব, সাধারণ ৬০ ওয়াটের বাল্বের কাজ দেয় এবং এতে অনেক কম খরচ হয়৷
ছবি: AP
প্লাগ খুলে রাখুন
বাড়ির সব যন্ত্রপাতি যোগ করলে হয়ত দেখা যাবে ৬৫টি আলাদা যন্ত্রপাতি আছে যেগুলো বিদ্যুতের সাহায্যে চলে৷ তাই যেসব যন্ত্রপাতি পুরোপুরি চার্জ হয়ে গেছে, সেগুলো চার্জে দিয়ে না রাখা, বা কোনো টাইমার সেট করা যাতে নির্দিষ্ট সময় পর চার্জিং বন্ধ হয়ে যায়৷ এছাড়া কম্পিউটার বা ট্যাব, ফোনের মনিটর কম পাওয়ার মোডে দিলেও জ্বালানির কম অপচয় হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Pape
জ্বালানি সাশ্রয়ী যানবাহন ব্যবহার
গ্যাস-স্মার্ট গাড়ি, যেমন হাইব্রিড বা ইলেকট্রিক যান চালালে জ্বালানি এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়৷
ছবি: picture-alliance/CTK Photo/P. Mlch
বিমান, ট্রেন এবং অটোমোবাইলের ক্ষেত্রে আর একবার ভাবুন
বড় শহরগুলোতে যতটা পারেন হাঁটুন বা গণ পরিবহন ব্যবহার করুন৷ এর ফলে ব্যয়ও কমবে, জ্বালানির অপচয়ও কম হবে৷ সবচেয়ে বড় কথা এর ফলে বায়ু দূষণ অনেক কমবে৷ এছাড়া অনেক মানুষ যদি বিমানে চড়া কমিয়ে দেয়, তাহলে বড় ধরনের পার্থক্য লক্ষ্য করা যাবে৷ কেননা, আকাশ পথে চলাচল জলবায়ু দূষণের অন্যতম বড় মাধ্যম৷ বিমানের বিকল্প হিসেবে যদি ট্রেনে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকে, সেটাই বেছে নিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Balzarini
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ধান
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ এরইমধ্যে লবণ সহিষ্ণু ধান নিয়ে কাজ শুরু করেছে৷ মাটি লবণ সহিষ্ণু হওয়ায় সূর্যমুখীর ফুলের আবাদও বেড়েছে৷ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম কিছু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট৷ প্রচলিত ধানের বদলে এ ধরনের ধান চাষ যত বাড়বে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ততই সহজ হবে৷