যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছে চীনের দৈনিক ‘গ্লোবাল টাইমস'৷ দেশটির শাসক দলের অফিসিয়াল সংবাদপত্র ‘পিপলস ডেইলি'-র পৃষ্ঠপোষকতায় ঐ দৈনিকটি প্রকাশিত হয়৷
বিজ্ঞাপন
মার্কিন ফক্স টেলিভিশনকে রবিবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে চীন সম্পর্কে ট্রাম্পের একটি মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভবিষ্যৎ মার্কিন প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলে ঐ দৈনিকটি৷ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি বুঝতে পারেন না কেন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘এক চীন' নীতি মেনে চলতে হবে৷ কদিন আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর টেলিফোন আলাপ সঠিক ছিল বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প৷
উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অঙ্গরাজ্য মনে করে যেটি ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে একত্ব হওয়ার অপেক্ষায় আছে৷ অবশ্য গত ৬০ বছর ধরে তাইওয়ান চীনের নিয়ন্ত্রণে নেই৷ এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের বন্ধু রাষ্ট্র হলেও এবং তাদের কাছে অনেক অস্ত্র বিক্রি করলেও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখতে দেশটি ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে৷ অর্থাৎ সেই সময় থেকে ‘এক চীন' নীতিকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র৷
কিন্তু কয়েকদিন আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ট্রাম্প৷ এতে চীনা নেতারা অবাক হলেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাননি৷ কিন্তু রবিবার ‘এক চীন' নীতি নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের পর শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে চীন৷
ট্রাম্পকে নিয়ে কার্টুন: না হেসে উপায় কী!
ট্রাম্পের জয়ে বিশ্ব জুড়ে কার্টুনিস্টদের পোয়াবারো
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Cortez
মেক্সিকোয় ট্রাম্পের জন্য ‘দেয়াল’
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প৷ তাই অলঙ্করণ শিল্পী আর্টুরো কেম্চস মেক্সিকো সিটির ক্যারিকেচার মিউজিয়ামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন৷ কেম্চস ইবেরো-অ্যামেরিকান ইউনিয়ন অফ গ্র্যফিক হিউমরিস্টস সমিতির সভাপতি৷ প্রদর্শনীর জন্য তিনি তাঁর সতীর্থদের কাছ থেকে শত শত ড্রয়িং পেয়েছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Cortez
২০১৭ সাল থেকে ভ্রাম্যমান প্রদর্শনী
‘ট্রাম্প: এ ওয়াল অফ ক্যারিকেচার্স’ প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হয় গত অক্টোবর মাসে৷ ইউরোপীয় শিল্পীরাও এই প্রদর্শনীতে অবদান রেখেছেন৷ অনেক কার্টুনে নাৎসিদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে৷ সাড়া জাগানো প্রদর্শনীটি ২০১৭ সালের সূচনায় অন্যান্য শহরে যাবে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে দেখানো হবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Cortez
ফ্যাশন গুরু কার্ল লাগারফেল্ডও কম যান না
ট্রাম্প সম্পর্কে ফ্যাশন ডিজাইনার কার্ল লাগারফেল্ড লিখেছেন, ‘‘রাজনীতিতেও উনি মহিলাদের দিকে এমনভাবে তাকান যেন ঘোড়ার ব্যাপারি৷’’ কার্টুনের মাঝখানে যে মূর্তিটিকে রেখেছেন, তিনি হলেন জার্মানির দক্ষিণ ঘেঁষা এএফডি দলের প্রধান ফ্রাউকে পেট্রি৷ পেট্রিরও নাকি কার্টুনটা ভালো লেগেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Frankfurter Allgemeine Magazin
#হেয়ারফোর্সওয়ান
ট্রাম্পের চুল নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা গোড়া থেকেই চলেছে৷ কোথায় নরওয়ের কোন মাঠে খড় পড়ে রয়েছে, তার ছবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘পরচুলোর খামার’ হিসেবে ইন্টারনেট মাতিয়েছে৷ কাজেই মার্ক নাইট মার্কিন প্রেসিডেন্টের এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানকেও ট্রাম্পের হেয়ারস্টাইলে সজ্জিত করেছেন৷
ছবি: Twitter/@Knightcartoons
আফ্রিকান দৃষ্টিকোণ
আব্দুলকরিম বাবা আমিনু নাইজেরিয়ার একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, শিল্প সমালোচক ও অলঙ্করণ শিল্পী৷ তাঁর কার্টুনের ক্যাপশন হলো, ‘‘ডোনাল্ড ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গদের ঘৃণা করেন বলে আমরা দেশ ছেড়ে চলে যাব৷ তারপর তিনি এই দেশ নিয়ে যা খুশি করুন!’’
ছবি: DW/Abdulkareem Baba Aminu
স্ট্যাচু অফ লিবার্টি ক্যানাডার দ্বারস্থ
কার্টুনিস্ট ইগ্রেক-এর ট্রাম্প-বিরোধী কার্টুনগুলোতে প্রায়ই স্ট্যাচু অফ লিবার্টির দেখা পাওয়া যায়৷ এখানে ট্রাম্পের জয়ের পর ‘লিবার্টি’ বা স্বাধীনতা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন৷ টুইটারে ইংরেজিতে @ইগ্রেক দেখুন৷
ছবি: Twitter/@ygreck
যে কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারে
বেলজিয়ামের অলঙ্করণ শিল্পী লেকটরর (টুইটারে ইংরেজিতে @লেকটরর) ট্রাম্পকে নিয়ে অনেক কার্টুন এঁকেছেন৷ এই কার্টুনটার বক্তব্য হলো, ‘‘যে কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারে’’, এই কথাটার মানে মাত্র আট বছরে কিভাবে বদলে গেছে...
ছবি: Twitter/@lectrr
দেয়াল লিখন
স্পেনের বার্সেলোনায় ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে এই গ্র্যাফিটির উদয়: চোয়াড়ে চেহারার এক গুণ্ডা প্রকৃতির মানুষ৷ সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে ‘অর্ধেক পৃথিবী নির্বাক’, লিখেছিলেন স্প্যানিশ দৈনিক ‘এল পাইস’-এর এক কলামনিস্ট৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Lago
গুয়ের মাছি
পথশিল্পী হানস্কি যখন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই কার্টুনটি আঁকেন, ট্রাম্প তখনো রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাননি৷ নিউইয়র্কের লোয়ার ইস্ট সাইডের একটি শপিং এলাকার দেয়ালে স্প্রে করে ছবিটি আঁকা হয় ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে৷
ছবি: picture-alliance/abaca/Van Tine Dennis
ধর্মের নামে
গাডো আফ্রিকার সবচেয়ে বিখ্যাত কার্টুনিস্টদের অন্যতম৷ ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনি প্রচারণায় বলেছিলেন, ‘‘আমি খ্রিষ্টধর্মের ঐতিহ্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি৷’’ তাই গাডো তাঁর কার্টুনে দেখিয়েছেন, ট্রাম্প কিভাবে মুসলিমদের ক্রুশবিদ্ধ করছেন৷
10 ছবি1 | 10
গ্লোবাল টাইমস পত্রিকায় চীনা ভাষায় প্রকাশিত এক সংবাদভাষ্যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন জানায় এবং তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি বাড়ায় তাহলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদের সহায়তা' দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়৷ ‘‘ট্রাম্পের উসকানির প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদের সমর্থন, এমনকি সামরিক সহায়তা দিতে পারে,'' বলে সংবাদভাষ্যে লেখা হয়েছে৷
ট্রাম্পের বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছ থেকেও৷ গেঙ শুয়াং বলেন, ‘‘চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভিত্তি হল ‘এক চীন' নীতি৷ সেটি যদি ব্যাহত হয় তাহলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নষ্ট হবে৷ ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার আর কোনো সুযোগ থাকবে না৷''
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)
ডনাল্ড ট্রাম্প: ব্যবসায়ী থেকে প্রেসিডেন্ট
রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী, জনপ্রিয় বইয়ের লেখক এবং রিয়েলিটি টিভি স্টার হিসেবে পরিচিত ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট৷ হোয়াইট হাউজে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পরিবার, সাম্রাজ্য
তিনি যাদের ভালোবাসেন তাদের নিয়ে তোলা ছবি৷ এখানে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া, মেয়ে ইভানকা এবং টিফানি, ছেলে এরিক এবং ডোনাল্ড জুনিয়র এবং নাতি কাই ও ডোনাল্ড জন থ্রি৷ তাঁর তিন বড় সন্তান ট্রাম্প অরর্গানাইজেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিলিয়নিয়ার থেকে বিলিয়নিয়ার
১৯৮৪ সালে তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে নিউ জার্সির ট্রাম্প প্লাজায় হারাহ’স ক্যাসিনো উদ্বোধন করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এটা অন্যতম এক খাত যেখানে বিনিয়োগ করে বাপের টাকায় মিলিয়নিয়ার হওয়া ট্রাম্প নিজেকে বিলিয়নিয়ারে পরিণত করেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/M. Lederhandler
বাপের টাকায় ব্যবসা শুরু
রিয়েল স্টেট সাম্রাজ্যের শুরুটা ট্রাম্প করেছিলেন তাঁর বাবা ফ্রিডরিকের কাছ থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে৷ তিনি তাঁর ছেলেকে শুরুতে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন৷ এবং তাঁর মৃত্যুর পর ট্রাম্প এবং তাঁর তিন ভাইবোন উত্তরাধিকার সূত্রে চার’শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক হন৷
ছবি: imago/ZUMA Press
একটি নামের মধ্যে কী আছে?
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগ্রাসীভাবে বিভিন্ন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন এবং মার্কেটের উত্থান পতনের অভিজ্ঞতা পেয়েছেন৷ নিউ ইয়র্ক সিটির ট্রাম্প টাওয়ার তাঁকে দীর্ঘমেয়াদে সাফল্য এনে দিয়েছে৷ ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর সম্পদের পরিমাণ দশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ তবে কখনো তিনি তাঁর এই দাবির পক্ষে কোনো আর্থিক কাগজপত্র প্রকাশ করেননি৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তাঁর সম্পদের পরিমাণ তিনি যা বলেন তাঁর এক-তৃতীয়াংশ মাত্র৷
ছবি: Getty Images/D. Angerer
‘খুব ভালো, খুব স্মার্ট’
ট্রাম্প নিজের সম্পর্কে নিজেই বলেন একথা৷ তিনি সুপরিচিত সুপরিচিত ‘ওয়ার্টন স্কুল অফ দ্য ইউনিভার্সিটি অফ পেনসেলভেনিয়ায়’ লেখাপড়া করেছেন এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B.J. Harpaz
ক্যাপ্টেন ট্রাম্প
কলেজে পাঠানোর আগে ১৩ বছর বয়সে মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে পাঠানো হয়েছিল ট্রাম্পকে৷ স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের আগেই একাডেমি থেকে একটি অফিসার’স ব়্যাংক অর্জন করেন তিনি৷ নির্বাচনি প্রচারাভিযানকালে তিনি জানান যে, তিনি স্কুলে কাঠামো এবং সামরিক সংস্কৃতি উপভোগ করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/
ভিয়েতনাম যাওয়ার বদলে গোড়ালির চিকিৎসা
মিলিটারি শিক্ষা সত্ত্বেও ভিয়েতনাম যুদ্ধে যাননি ট্রাম্প৷ পড়াশোনা করার সময় তিনি চারবার কালহরণ করেছিলেন এবং গোড়ালির চিকিৎসার জন্য একবার বিরতি নিয়েছিলেন৷ ট্রাম্প হবেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি দায়িত্ব গ্রহণের আগ অবধি কোনো সরকারি কার্যালয় বা সামরিক বাহিনীতে কাজ করেননি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
প্রথম স্ত্রী: ইভানা জেলনিউকোভা
১৯৭৭ সালে তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার ইভানা জেলনিউকোভাকে বিয়ে করেন ট্রাম্প৷ তাঁদের তিন সন্তান হয়৷ ডোনাল্ড জন জুনিয়র, ইভানকা মারি এবং এরিক ফ্রেডরিক৷ তবে বিবাহবহিভূর্ত সম্পর্কসহ নানা জটিলতায় ১৯৯০ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়৷ ইভানা হচ্ছেন সেই নারী, যিনি ট্রাম্পের ডাক নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য ডোনাল্ড৷’
ছবি: Getty Images/AFP/Swerzey
দ্বিতীয় পরিবার
ট্রাম্প পরবর্তীতে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপলসকে বিয়ে করেন৷ ১৯৯৩ সালে তাঁদের মেয়ে টিফানির জন্ম দেন ম্যাপেলস৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/J. Minchillo
অন্য নারীদের সঙ্গে ট্রাম্প
ট্রাম্প সম্ভবত নিজের স্ত্রীর বদলে অন্য নারীদের সঙ্গে ছবি তুলতে ভালোবাসেন৷ তিনি প্রায়ই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় যেতেন এবং তরুণী মডেলদের সঙ্গে ছবি তুলতেন৷ ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ অবধি আয়োজিত সব ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার একজন অংশীদার ছিলেন তিনি৷ নির্বাচনের আগে আগে এক অডিও প্রকাশ হয় যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর খ্যাতি তাঁকে কোনোরকম পরিণতির ভয় ছাড়াই মেয়েদের ‘গায়ে হাত দেয়ার’ সুযোগ করে দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Lemm
বাণিজ্য এবং বিনোদনের মিশ্রণ
ট্রাম্প জানতেন কীভাবে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়৷ এই ছবিতে তাঁকে ‘ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের’ একটি শোতে দেখা যাচ্ছে৷ রিয়েলিটি টিভি শো ‘দ্য এপ্রেন্টিস’, যেখানে প্রার্থীদের নিয়োগ অথবা বাতিল করা হতো, ট্রাম্পকে খ্যাতি অর্জনে সহায়তা করেছে৷ শোতে ট্রাম্পের প্রিয় লাইন ছিলে, ‘ইউ আর ফায়ার্ড!’
ছবি: Getty Images/B. Pugliano
রাজনীতিতে ট্রাম্প
যদিও অতীতে রাজনীতির সঙ্গে তাঁর খুব কম যোগাযোগ ছিল, তারপরও ২০১৫ সালে সালের ১৬ জুলাই তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন৷ রাজনৈতিক স্লোগান হিসেবে তিনি ব্যবহার করেছেন ‘মেক অ্যামেরিকা গ্রেট এগেইন৷’ নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় তিনি অভিবাসী, মুসলমান, নারী এবং তাঁর বিরুদ্ধে থাকা প্রত্যেককে অপমান করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Lane
ওয়াশিংটনের পথে
প্রেসিডেন্ট হিসেবেও হোয়াইট হাউসে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ট্রাম্প৷ ৷ সবশেষ তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করল সে দেশের সংসদের নিম্নকক্ষ। অ্যামেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনা হয়েছে।