1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রেনের কামরাই যখন বসতবাড়ি

ডানিয়েল বিন্ডার/এসবি৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ট্রেনে চড়তে অনেকেই ভালোবাসেন৷ কিন্তু ট্রেনের মধ্যে পাকাপাকিভাবে থেকে যাওয়ার কথা শুনেছেন কি? এক দম্পতি রেলের কামরা কিনে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাসা৷ অভিনব এই প্রকল্পের জন্য তাঁদের কম পরিশ্রম করতে হয়নি৷

ট্রেনের কামরায় বসতবাড়ি
ছবি: DW

ট্রেনের কামরাই যখন বসতবাড়ি

04:15

This browser does not support the video element.

ট্রেনে চড়তে অনেকেই ভালোবাসেন৷ কিন্তু ট্রেনের মধ্যে পাকাপাকিভাবে থেকে যাওয়ার কথা শুনেছেন কি? এক দম্পতি রেলের কামরা কিনে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাসা৷ অভিনব এই প্রকল্পের জন্য তাঁদের কম পরিশ্রম করতে হয়নি৷

জার্মানির উত্তর পশ্চিমে মার্ল শহরের শিল্প এলাকার এক প্রান্তে দুটি ট্রেনের কামরা শোভা পাচ্ছে৷ মাঝে একটি বাড়ি৷ বাড়ির মালিক এক ফটোগ্রাফার দম্পতি৷ নাম মার্কো স্টেপনিয়াক ও ভানেসা স্টালবাউম৷ এই অদ্ভুত বাড়ি সৃষ্টি করতে বছর দুয়েক সময় লেগেছে৷ তাঁরাই প্রথম এমন এক প্রকল্প কার্যকর করছেন বলে অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার সুযোগ পাননি৷

২০০৯ সালে তাঁরা ৪০,০০০ ইউরো খরচ করে ইন্টারনেটে ট্রেনের দু'টি অংশ কেনেন৷ সবার আগে ট্রেনের গা থেকে ৩০ বছরের পুরানো রং দূর করতে হয়েছে৷ তারপর ট্রেন, বিশাল ট্রাক ও ক্রেনে করে সেগুলি গন্তব্যে পৌঁছাল৷ পরিবহণের খরচ ২৬,০০০ ইউরো, সময় লেগেছে তিনদিন৷ খোলনলচে বদলানোর কাজ করতে প্রায় ১০ মাস লেগে গেছে৷ ২০১০ সালের শুরুতে দুই রেল কামরার মাঝে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়৷

তারপর একই বছরের ডিসেম্বর মাসে এই দম্পতি গৃহপ্রবেশ করেন৷ দেড় বছর ধরে অবসর সময়ের সবটাই কাজে লাগিয়ে তিলে তিলে নতুন বাসা গড়ে তুলেছিলেন তাঁরা৷ মার্কো স্টেপনিয়াক বলেন, ‘‘কাজের কিছুই দেখা যায় না৷ মাসের পর মাস রেলের কামরায় থেকেও নয়৷ জানালার সিলিং খুলেছি, ফ্রেম রং করেছি, চোখে পড়ে না এমন অনেক জিনিস বাদ দিয়েছি৷ এ যেন এক মনস্তাত্ত্বিক নিপীড়ন৷''

তখনো বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হয়নি৷ রান্নাঘরের দেওয়ালে তাক লাগাতে হবে৷ সত্তরের দশকে এই সব খোপে চিঠিপত্র রাখা হতো৷ এখন সেখানে গ্লাস, প্লেট ও কাঁটাচামচের জায়গা করতে হবে৷ ফুটো করা কঠিন কাজ, কারণ রেলের কামরার দেওয়াল ধাতুর তৈরি৷ মার্কো বলেন, ‘‘স্কুলে থাকতেই ক্যারাভ্যানের আইডিয়া মাথায় এসেছিল৷ এতদিনে সেটা করতে পারলাম৷ যারা এখানে ছিল, তাদের অনেকের মনে পড়েছে যে আমি স্কুলজীবনে এ কথা বলেছিলাম৷ আমি কিন্তু রেলের বড় ফ্যান নই৷ আমি শুধু এমন জায়গায় থাকতে চেয়েছিলাম৷''

রেলের দুই বিশাল অংশের তুলনায় মাঝের বাড়িটি ছোট দেখায়৷ একটি ওয়াগানের ওজন ৪১ টন৷ দৈর্ঘ্য ২৭ মিটার, প্রস্থ ৩ মিটার৷ জমির জায়গা বেশি নয়৷ তাই রেলের কামরা দু'টো সমান্তরালভাবে রাখা হয়েছে৷ একেবারে রেললাইনের উপর৷ ২০১১ সালের আগস্ট মাসে রান্নাঘরের কাজ শেষ হলো৷ ডাক বিভাগের রেল কামরার আমেজ পেতে মালিকরা মূল জিনিসপত্র যতটা সম্ভব অক্ষত রেখে নতুন আসবাবপত্র ও যন্ত্র বসিয়েছেন৷

তবে কী থাকবে, কী বাদ পড়বে – সে বিষয়ে সব সময়ে তাঁরা মোটেই একমত ছিলেন না৷ ভানেসা স্টালবাউম বলেন, ‘‘আসলে মার্কোই সাধারণত সবকিছু জমিয়ে রাখতে, সত্তরের দশকের আদলে সবকিছু অক্ষত রাখতে ভালোবাসে৷ রেলের সবুজ রঙের প্লাস্টিক টয়লেট ফেলতে চায়নি৷ সে বললো, স্টিম দিয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে৷ মৌলিক এই জিনিসটি বেশ খাপ খেয়ে যাচ্ছে৷ আমি রাজি না হওয়ায় সে একটু মুষড়ে পড়েছিল৷ আমি বিকল্প চেয়েছিলাম৷ এভাবে ঝগড়া লাগতে পারে৷''

প্রায় আড়াই লাখ ইউরো খরচ করে এই দম্পতি তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন৷ আবার স্বাভাবিক বাড়িঘরে থাকার কথা তাঁরা আর ভাবতেই পারেন না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ