অন্য যানবাহনের তুলনায় ট্রেনে দুর্ঘটনা অনেক কম৷ ট্রেনযাত্রা তারপরও সব সময় নিরাপদ নয়৷ বাইরে থেকে ছোড়া পাথরের আঘাতে আহত হন অনেকে, মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে৷ গত পাঁচ বছরে ট্রেনের ২ হাজারের বেশি জানালা-দরজা ভেঙেছে পাথরের আঘাতে৷
বিজ্ঞাপন
মাহমুদুর হাসান মামুন কাপড়ের ব্যবসায়ী৷ ব্যবসায়িক কারণেই তাঁকে নিয়মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া করতে হয়৷ ট্রেনে যাতায়াত সহজ বলে তিনি ট্রেনেই চড়েন৷
মাস চারেক আগে ট্রেনে চড়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন৷ তেজগাঁও স্টেশন পার হওয়ার সময় হঠাৎ জানালার কাঁচ ভেঙে একটি পাথর তাঁর কপালে লাগে৷ সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু তাঁর সেবাশুশ্রূষা করেন৷ ভাগ্যক্রমে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান তিনি৷ এক ‘টোকাইকে' তিনি নিজে পাথর ছুঁড়তে দেখেছেন৷ বছরখানেক আগে আরেকবার আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি৷ সেবার টঙ্গিতে একটি পাথর এসে মাথায় লাগে৷ তখনও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন৷ ডয়চে ভেলেকে সে কথাই বলছিলেন মামুন৷ সরকারের নানা উদ্যোগের প্রশংসা করে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি৷
মাহমুদুর হাসান মামুন
বছরে দেড়শ' ঘটনা, স্পিকারের ট্রেনও আক্রান্ত
প্রতি বছর ঢিলের আঘাতের ট্রেনযাত্রীর আহত হওয়ার দেড় শতাধিক ঘটনা ঘটছে৷ গত বছর রেল মন্ত্রণালয় থেকে একটা হিসাব প্রকাশ করা হয়েছিল৷ সেখানে বলা হয়েছে, শুধু পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় গত পাঁচ বছরে ট্রেনের ২ হাজারের বেশি জানালা-দরজা ভেঙেছে৷ এসব জানালা-দরজা মেরামতে বছরে পৌনে দুই কোটি খরচ হচ্ছে৷ গত মে মাসে শুধুমাত্র ঢাকা-রাজশাহী রুটে ১৭টি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে৷
গত এপ্রিলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী উত্তরাঞ্চল ভ্রমণের সময় তাঁর ট্রেনেও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে৷ পাথরের আঘাতে জানালার কাঁচ ভেঙে যায়৷ তবে ওই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি৷
ঘটনার মাস খানেক পর রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান৷
প্রীতি দাশের মৃত্যুর পর আলোচনা শুরু
২০১৩ সালের ১০ আগস্ট স্বামীর সঙ্গে বাসায় ফেরার পথে নিহত হন প্রকৌশলী প্রীতি দাশ৷ ওই দিন চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তুর্ণা-নিশীতা ট্রেনের জানালার পাশে বসেছিলেন প্রীতি৷ রাত সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেনটি ভাটিয়ারির ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছানোর পর জানালা বরাবর উপর্যুপরি পাথর ছোঁড়া হয়৷ একটি পাথর তাঁর মাথায় লাগে৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন৷
প্রীতি দাশের মৃত্যুর পর ট্রেনে পাথর ছোড়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে৷ গত বছরের ৩০ এপ্রিল খুলনা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল কমিউটার ট্রেনে দায়িত্ব পালন করছিলেন রেলওয়ের পরিদর্শক বায়েজিদ শিকদার৷ ট্রেনটি বেনাপোল থেকে খুলনা যাওয়ার পথে দৌলতপুর স্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তরা পাথর ছুড়ে মারে৷ এতে মারাত্মকভাবে আহত হন বায়েজিদ৷ দীর্ঘ ৪১ দিন চিকিৎসাধীন থেকে বায়েজিদ মারা যান৷ ২০১৭ সালের অক্টোবরে রাজশাহী থেকে খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি ট্রেনে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া পাথরে চোখের মধ্যে মারাত্মক আঘাত পান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী৷ প্রতিনিয়তই এমন পাথর নিক্ষেপের খবর পাওয়া যায়৷
বাংলাদেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ
ঈদের ছুটিতে যখন ঢাকা শহর খালি করে সবাই ঘরে ফিরতে শুরু করে তখনই এমন ছবি বেশি দেখা যায় সংবাদমাধ্যমে৷ দরজা-জানালায়, ছাদের ওপরে, এমনকি ইঞ্জিনের সামনেও গিজগিজ করে মানুষ৷ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে এমন চিত্র প্রতিদিনের৷ দেখুন...
ছবি: bdnews24.com
ইঞ্জিনের সামনে যাত্রী
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন ছেড়ে যায় কিছু ট্রেন, যেগুলোতে বিনা টিকিটে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন অনেক মানুষ৷ ট্রেনগুলো নারায়ণগঞ্জ, গেন্ডারিয়া, পাগলা, ফতুল্লা এবং চাষাড়ায় থামে৷ ঝুঁকিপূর্ণ ট্রেন ভ্রমণ সেখানে নিয়মিত ব্যাপার৷
ছবি: bdnews24.com
পেছনে ঝুলছে শিশু
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের পিছনে কোনোমতে বসে যাত্রা শুরু করেছে এক শিশু৷
ছবি: bdnews24.com
দুই বগির মাঝখানে
দরজা-জানালা, ছাদ, ইঞ্জিনই শুধু নয়, ট্রেনের দুই বগির সংযোগস্থলেও দিব্যি উঠে পড়েন অনেকে৷ তাঁদের কাছে ঝুঁকির চেয়েও যে কোনো উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছানোটাই বড় কথা৷
ছবি: bdnews24.com
যেন আরামকেদারা
ট্রেনের বাইরের খাঁজটা যেন লম্বা এক আরামকেদারা৷ এমন জায়াগাতেও কিছু মানুষের কী অনায়াস ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা!
ছবি: bdnews24.com
রেল লাইনের পাশেই সবজির দোকান
রেলপথ ঘেঁষেই কতগুলো দোকান৷ দোকান, দোকানদার, ক্রেতা – যে কেউ কখনো একটু অসতর্ক হলেই কাটা পড়তে পারেন ট্রেনে৷
ছবি: bdnews24.com
সচেতনতা, সতর্কতা এবং নজরদারির অভাব
মূলত নাগরিক সেচতনতা, সতর্কতা এবং রেল কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবেই নিয়মিত চলে এমন ঝুঁকিপূর্ণ ট্রেনভ্রমণ৷ বাংলাদেশের প্রায় সব রুটেই এমন প্রবণতা দেখা যায়৷ ফলে মৃত্যুর খবরও নিয়মিতই আসে৷ গত ২০ ফেব্রুয়ারিও নওগাঁর রানীনগরে ওভার ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে মারা গেছেন চার জান৷ নিহতরা ঢাকায় চাকরি করতেন৷ ছুটিতে দ্রুতগামী ট্রেনের ছাদে চড়ে বাড়ি যাবার পথে এভাবে মৃত্যু হয় তাঁদের৷
ছবি: bdnews24.com
6 ছবি1 | 6
২০ জেলায় ৭০ ঝুঁকিপূর্ণ স্পট
রেলওয়ে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে৷ ২০ জেলায় পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে৷ এর মধ্যে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ৫টি ও পশ্চিমাঞ্চলের ১৫টি জেলা রয়েছে৷ ২০ জেলার মধ্যে ৭০টি স্পটকে স্টোন থ্রেয়িং স্পট হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে৷ এসব স্পটে সবচেয়ে বেশি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে৷
এগুলোর মধ্যে আছে গাজীপুরের টঙ্গী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে গঙ্গাসাগর, কুমিল্লার ময়নামতি, চট্টগ্রামের পাহাড়তলি, সীতাকুণ্ড, নরসিংদী, পূবাইল, গফরগাঁও, গৌরিপুর, মোহনগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকার তেজগাঁও, কাওরানবাজার, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, লালমনিরহাট, পীরগঞ্জ, গাইবান্ধা, বুনারপাতা, সোনাতলা, আজিমনগর, খুলনা, পার্বতীপুর, জামতইল, কোট চাঁদপুর, নোয়াপাড়া, দৌলতপুর, রংপুর, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা, ষোলশহর ফৌজদারিহাট, সীতাকুণ্ড, চৌমুহনী, শশীদল, ইমামবাড়ি, কসবা, পাঘাচং, ভাতশালা, শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কাউনিয়া, বামনডাঙ্গা৷ এর বাইরেও অনেক স্পটে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে৷
পাথর নিক্ষেপের কী শাস্তি?
১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের জন্য একজন অপরাধীর যাবজ্জীবন বা ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে৷ উদ্দেশমূলকভাবে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুঁড়ে রেলযাত্রীর মৃত্যুর কারণ বলে প্রমাণিত হলে ৩০২ ধারায় ফাঁসির বিধান রয়েছে৷ এছাড়া ‘অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান' এই অপরাধ করলে অভিভাবকের শাস্তির বিধানও আছে৷
রেলমন্ত্রী যা বললেন
নুরুল ইসলাম সুজন
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা আগের তুলনায় অনেক কমেছে৷ গত তিন মাসে আমরা এমন কোনো ঘটনার খবর পাইনি৷ স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মানুষকে সচেতন করার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা৷ এর ফলে ঘটনা কমে এসেছে৷''
সামনে এ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘‘গ্রামের রাস্তা দিয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় শিশু-কিশোররা কৌতুহলবশত এসব ঘটায়৷ আর এ কারণেই তারা স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করেছি৷ জনসচেতনতার পাশাপাশি যেসব জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটে সেসব জায়গায় পুলিশি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে৷ ফলে এখন ঘটনা যেমন কমে এসেছে, তেমনি অনেকে ধরাও পড়ছে৷''
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা মানুষকে সচেতন করতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি৷ বিশেষ করে স্কুল-কলেজে এই ধরনের প্রচারণা চালানো হয়েছে৷ ফলে মানুষ সচেতন হয়েছেন৷ এতে করে ঘটনা কমে আসছে৷ সবাই সচেতন হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরো কমে যাবে৷''
ন্যারোগেজ রেলপথ অনেক আগেই বাংলাদেশ থেকে উঠে গেছে, এখন মেট্রোরেল উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে ঢাকাবাসী৷ বাংলাদেশের রেল যোগাযোগের আদ্যোপান্ত দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: DW/M. Rahman
ব্রিটিশ আমলে শুরু
বাংলাদেশে রেলওয়ের কার্যক্রম শুরু হয় ব্রিটিশ শাসনামলে৷ ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর দর্শনা-জগতি রেললাইন স্থাপনের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় রেল যুগের৷
ছবি: DW/M. Rahman
এখন যা আছে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ২৭৮টি লোকোমোটিভ, এক হাজার ৬৫৬টি মিটারগেজ ও ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ এবং আট হাজার ৬৮০টি পণ্যবাহী ওয়াগন আছে৷ তবে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় অধিকাংশের অবস্থাই জরাজীর্ন৷
ছবি: DW/M. Rahman
দুই ধরনের পথ
বাংলাদেশে বর্তমানে ‘ব্রডগেজ’ এবং ‘মিটারগেজ’ এই দুই ধরনের রেলপথ চালু রয়েছে৷ দেশের পূর্বাঞ্চলে রয়েছে মিটার ও ব্রডগেজ রেলপথ৷ পূর্বাঞ্চলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব স্টেশন থেকে ঢাকা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ রয়েছে৷ আগে ন্যারোগেজ রেলপথ চালু থাকলেও এখন আর তার ব্যবহার নেই৷
ছবি: DW/M. Rahman
রেলপথ
বাংলাদেশে দুই হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার রেলপথ আছে৷ তবে অনেকটাই ব্যবহারের উপযোগী নয়৷ দেশের ৪৪ টি জেলার সঙ্গে রেললাইন নেটওয়ার্ক সংযুক্ত৷
ছবি: Samdani Haque Najum
বোর্ড
১৯৮২ সালের ২ জুন পর্যন্ত একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য নিয়ে রেলওয়ে বোর্ডের মাধ্যমে রেলপথের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো৷
ছবি: DW/M. Rahman
রেলওয়ে বিভাগ
১৯৮২ সালের ৩ জুন রেলওয়ে বোর্ড বিলুপ্ত করে এর কার্যক্রম যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের রেলওয়ে বিভাগের আওতায় নেয়া হয়৷ তখন থেকে এই বিভাগের সচিব রেলওয়ের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করতেন৷ পরে রেলওয়েকে পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে ভাগ করা হয়৷
ছবি: DW/M. Rahman
মহাপরিচালকের হাতে রেল
১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট রেলপথের দৈনন্দিন কার্যক্রম যোগাোযাগ মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে মহাপরিচালকের হাতে ন্যস্ত করা হয়৷ তবে নীতি নির্ধারণের জন্য যোগাযোগমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে গঠন করা হয় নয় সদস্যের বাংলাদেশ রেলওয়ে অথরিটি৷
ছবি: DW/M. Rahman
রেলপথ মন্ত্রণালয়
২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করে আদেশ জারি করে৷ বর্তমানে সচিবালয় সংলগ্ন রেলভবনে এই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/M. Ponir
দীর্ঘ রুট
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড় স্টেশন পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব প্রায় ৫০৫ কিলোমিটার, এটিই দেশের সবচেয়ে বেশি দীর্ঘ রেলরুট৷ এই রুটে ‘দ্রুতযান’ ও ‘একতা এক্সপ্রেস’ চলাচল করে৷
ছবি: bdnews24.com
ই-টিকেটিং
বাংলাদেশ রেলওয়ে কয়ক বছর আগে ই-টিকেটিং চালু করেছে৷ যাত্রীরা অনলাইনে তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন৷
ছবি: Sony World Photography Awards/Md Enamul Kabir
সেরা পথ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলের রেলপথকে সব থেকে সুন্দর রেললাইন হিসেবে অভিহিত করেছে টেলিগ্রাফ৷ শ্রীমঙ্গলের সবুজে ঘেরা পথটুকু আসলেই দৃষ্টিনন্দন৷
ছবি: bdnews24.com/Mustafiz Mamun
জনবল
বাংলাদেশ রেলওয়েতে ২৫ হাজার ৮৩ জন নিয়মিত কর্মচারী রয়েছে৷ এর বাইরে বিভিন্ন কারিগরি পদে চুক্তিতে কয়েক হাজার মানুষ কাজ করেন৷
ছবি: Samdani Haque Najum
মেট্রোরেল
মেট্রেরেল চালুর জন্য কয়েক বছর আগে কাজ শুরু হলেও ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রথমবারের মতো এই রেল সার্ভিস চালু হতে পারে৷ মেট্রেরেল চালু করতে রেলপথ স্থাপনের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে৷
ছবি: Samdani Haque Najum
লোকসান
রেলে ভ্রমণকারীর সংখ্যা বাড়লেও এর সেবার মানে উন্নতি না হওয়ায় লোকসানের মুখ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না রেলওয়ে৷ ২০১৭ সালের থেকে ২০১৮ সালে রেলের যাত্রী বেড়েছে এক কোটিরও বেশি, কিন্তু ২০১৭ সালে রেলে এক হাজার ২০০ কোটি এবং ২০১৮ সালে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে৷
ছবি: Samdani Haque Najum
১০ খাতে দুর্নীতি
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিকিট বিক্রিতে কালোবাজারি, যাত্রীবাহী ট্রেন ইজারা দেয়া এবং ট্রেনে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনসহ বাংলাদেশের রেলখাতের ১০টি দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে প্রতিবেদন দিয়েছে৷