কেনিয়ার মাসাইমারা গেম রিজার্ভের দৃশ্য৷ কোনো এক সিংহশাবক একটা লম্বা গাছে চড়ে তারপর আর নামতে পারছে না; কুঁই কুঁই করে মাকে ডাকছে৷ মা-ই বা এসে কী করবে? শেষমেষ – সকলকেই স্বাবলম্বী হতে শিখতে হয়৷
বিজ্ঞাপন
মাস খানেক আগে মারা সাইটিংস-এ আপলোড করা ভিডিও৷ বলতে কি, প্রায় ফাঁকা মাঠের মধ্যে লম্বা, সরু একটা গাছ; মাটি থেকে অনেকটা ওপরে কিছু ডালপালা আছে৷ বাচ্চা সিংহটা তার ওপরে উঠেছিল খেলতে গিয়ে নয়, হায়নাদের হাত থেকে প্রাণ বাঁচানোর জন্য৷ তার নিজের যমজ ভাইকে নাকি ঐ হায়নারাই মেরেছে৷ তাই মা শিকারে যেতেই আমাদের চালাক সিং সোজা পড়ি-কি-মরি করে গাছে উঠে গিয়েছে, যতটা পারে, যতদূর পারে – আপাতত জান বাঁচলেই হল৷ পরে দেখা যাবে গাছ থেকে কী করে নামা যায়৷
মা সুদ্ধু সিংহের দলটা বোধহয় কাছেই ছিল৷ তাই সিংহপুঙ্গব যখন খোঁটার মতো শেষ ডালটায় এসে আটকা পড়েছে – সেখানেই ঝুলে আছে – তা সে-ও মাটি থেকে অন্তত ২০-২৫ ফুট উঁচুতে, তখন নীচের দিকে তাকিয়ে বেচারার আর নামার সাহস নেই – যদি পড়ে যায়! কাজেই কুঁই কুঁই করে মাকে ডাকা৷
মা এসে একবার লাফ দিয়ে গুঁড়ি বেয়ে ওঠার চেষ্টা করল বটে – কিন্তু তার শরীর খোকা সিংগির শরীর তুলনায় অনেক ভারী, খানিকটা উঠেই আবার নেমে আসতে হল৷ তবে মা-মাসিরা কাছাকাছিই থাকল: দেখা যাক খোকা কবে গাছ থেকে নামে৷ ঠিক সেই মুহূর্তে খোকার পা হড়কাল...
আর ঐ হড়কাল বলেই সে এবার মাথা নীচের দিকে করে নামবার চেষ্টা না করে, ন্যাজ নীচের দিকে করে, গাছের কাঠে নখ বিঁধিয়ে সুন্দরভাবে খানিকটা নেমে এসে, লাফ দিয়ে মাটিতে পড়ল আর দৌড়ে মায়ের কাছে গেল৷
মা তখন তাকে বলছেন: তুই তো সিংগি৷ যদি বাঘ হতিস, তাহলে বাংলা নামে দেশে গিয়ে দেখতিস মানুষজন কীভাবে শুধু হাতে আর পায়ে দড়ি বেঁধে সর সর করে তালগাছ, নারকেলগাছে ওঠে আর নামে...৷
এসি/ডিজি
হুমকির মুখে পশুরাজ ও অন্যান্য প্রাণী
জীববৈচিত্র্যকে হুমকির হাত থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা৷ কেননা হুমকির মুখে রয়েছে হাঙর, বরফ চিতা, আফ্রিকার সিংহ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হুমকির মুখে পশুরাজ
আফ্রিকার সিংহ হিসেবে পরিচিত হলেও বলকান এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে একসময় তারা রাজত্ব করে বেড়িয়েছে৷ এদের সংখ্যা বর্তমানে এতই কমে গেছে যে কেবল ভারতের কিছু অঞ্চল এবং সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে এদের দেখা মেলে৷
ছবি: picture alliance/dpa-Zentralbild
রাশিয়ার বৃদ্ধ মানুষ
সায়গা নামে হরিণের মতো দেখতে এই প্রাণীটি কিন্তু বরফ যুগের প্রাণী৷ এই প্রাণীদের এখন কেবল রাশিয়ায় পাওয়া যায়৷ পাচারের কারণে দিন দিন কমছে এদের সংখ্যা৷ প্রাণীগুলো শুধু যে দিনে ১২০ মাইল হাঁটতেই পারে তাই না, সাঁতরাতেও পারে এরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb
পাখনার কারণে হাঙর শিকার
হাঙরের পাখনা জাপান ও চীনে খুবই জনপ্রিয়৷ এ কারণে জেলেরা জীবন্ত হাঙরের বাচ্চা ধরে এদের পাখনা কেটে আবার তাদের সমুদ্রে ফেলে দেয়৷ ফল এদের মৃত্যু৷ এছাড়া হাঙরের মাংসও ঐসব অঞ্চলে খাওয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
লম্বা করাত
লম্বা করাতের হাঙর এখন বিলুপ্তির পথে৷ প্রায় আট মিটার লম্বা হয় এই করাত৷ আর করাতের কারণেই খুব সহজে জেলেদের জালে ধরা পড়ে এরা৷
ছবি: TORSTEN BLACKWOOD/AFP/Getty Images
বিষের শিকার শিকারীরা
ডাইক্লোফেনাক শিকারী পাখিদের জন্য শত্রু৷ দক্ষিণ এশিয়া, স্পেন ও ইটালিতে গরু, শুকর আর ঘোড়াদের এই বেদনানাশক দেয়া হয়৷ আর এদের মৃত্যু হলে যেসব শিকারি পাখি এদের খায় খায় তারা কিডনি নষ্ট হওয়ার কারণে মারা যায়৷
ছবি: Vulture Conservation Foundation
চিড়িয়াখানার শরণার্থী
এশিয়ার বন্য গাধাদের এখন নতুন উপনাম হচ্ছে চিড়িয়াখানার শরণার্থী৷ গত ১৫ বছরে এদের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel/D. & M. Sheldon
সিল মাছ
এদের চামড়া খুব মূল্যবান৷ এ কারণে শিকারীদের চোখ থাকে এদের উপর৷ তবে গত কয়েক বছর ধরে প্রাণী অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলোর উদ্যোগে এদের রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে৷ এমনকি সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্লাস্টিক যখন কচ্ছপের খাবার
সাড়ে ২২ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে বসবাস করছে কচ্ছপরা৷ কারণ বিবর্তনের সাথে অভিযোজন করার দারুণ ক্ষমতা রয়েছে এদের৷ তবে মানুষ প্রায়ই এদের ডিম চুরি করে এবং সমুদ্রে প্লাস্টিকসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য বাড়ার কারণে মৃত্যুর মুখে পড়ে এসব কচ্ছপ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মেরু ভাল্লুক
মেরু ভাল্লুকের অবস্থান তখনই শক্ত হয়, যখন পায়ের নীচে কঠিন বরফ থাকে৷ কেবল আর্কটিকে এদের পাওয়া যায়৷ সেখানে শক্ত বরফখণ্ডের নীচে এরা ভেসে বেড়ায়৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বরফ গলে যাওয়ায় এদের লুকিয়ে থাকা কঠিন হচ্ছে৷ ফলে সহজেই শিকারীদের হাতে ধরা পড়ছে এরা৷ কমে যাচ্ছে এদের সংখ্যা৷
ছবি: picture alliance/dpa
স্টিং রে মাছের কাটা
এ ধরনের স্টিং রে মাছদের যে কাটা থাকে তা খুব সহজেই জালে ধরা পড়ে৷