ড.ইউনূসের আপিল শুনানি ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত মুলতুবি
২৯ মার্চ ২০১১প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ শুনানি হয়েছে৷ শুনানিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে তৌফিক নেওয়াজ এবং সরকারের পক্ষে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে অংশ নেন৷ আদালত বলেন, যেহেতু হাইকোর্টের পুরো রায় প্রকাশিত হয়েছে তাই ড. মুহাম্মদ ইউনূস চাইলে এখন পূর্ণাঙ্গ আপিল করতে পারেন৷ ব্যারিস্টার রোকন এজন্য সময় চাইলে আদালত ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত শুনানি মুলতুবি করে এ সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আপিল করতে বলেন৷ ব্যারিস্টার রোকন বলেন এসময়ের মধ্যে তারা পূর্ণাঙ্গ আপিল করবেন৷
এদিকে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৯৯ সালের পর থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অবৈধভাবে গ্রামীণ ব্যাংকে ছিলেন৷ ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর রিট আবেদনকারী ড. ইউনূসের চাকরিতে থাকার আর কোন বৈধ অধিকার ছিলনা৷ ৬০ বছর বয়স সংক্রান্ত ১৯৯৩ সালের চাকরিবিধি সবার জন্যই প্রযোজ্য হবে৷ গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জন্য যে চাকরি বিধি করা হয়েছিল, তা আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত৷ গ্রামীণ ব্যাংকের মূল আইনের সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷ ১৯৯৩ সালের চাকরিবিধি সংশোধন না করে কেবলমাত্র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যক্রমকে বৈধতা দেয়ার জন্য এটি করা হয়েছে৷
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলছেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রামীণ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা৷ তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে ওই পদে রয়েছেন৷ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে থাকার কোন সম্পর্ক নেই৷
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২রা মার্চ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়৷ এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিট করলে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন৷ হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ আপিল করার অনুমতি দিলেন৷
অন্যদিকে ড. ইউনূসের বিষয়টির একটি সম্মানজনক সমাধানের জন্য কূটনৈতিক চেষ্টা অব্যাহত আছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন