1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুটবলে শৃঙ্খলা

৬ মে ২০১২

জার্মান বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড’কে ছেড়ে চীনের গুয়াংঝু’র দিকে পা বাড়াচ্ছেন প্যারাগুয়ের প্লেয়ার লুকাস বারিওস৷ কিন্তু সাবধান, সেখানেও বিদেশি তারকাদের কাছ থেকে শৃঙ্খলা প্রত্যাশা করা হয়৷

Dortmund's Lucas Barrios of Paraguay celebrates scoring the opening goal during the German first division Bundesliga soccer match between VfL Wolfsburg and Borussia Dortmund in Wolfsburg , northern germany, on Saturday, Jan. 29, 2011. (AP Photo/Markus Schreiber) NO MOBILE USE UNTIL 2 HOURS AFTER THE MATCH, WEBSITE USERS ARE OBLIGED TO COMPLY WITH DFL-RESTRICTIONS, SEE INSTRUCTIONS FOR DETAILS
লুকাস বারিওসছবি: AP

২৭ বছর বয়সি বারিওস'এর জন্ম আসলে আর্জেন্টিনায়৷ পরে প্যারাগুয়ের জাতীয় দলে খেলেছেন৷ খেলেছেন চিলির একটি ক্লাবের হয়ে৷ সেখান থেকে জার্মানিতে আসেন ২০০৯ সালে, বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে খেলতে৷ প্রথম দু'টি মরশুমে ডর্টমুন্ডের টপ স্কোরার ছিলেন, যার দ্বিতীয়টিতে ডর্টমুন্ড বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন হয়৷ চলতি মরশুমেও ডর্টমুন্ড সে সম্মান বজায় রাখতে পেরেছে, কিন্তু বারিওস'কে দলে তাঁর বাঁধা জায়গাটি ছেড়ে দিতে হয়েছে ইনজুরির কারণে৷ এই সপ্তাহান্তে ফ্রাইবুর্গের বিরুদ্ধে খেলাতেই বারিওস'এর জার্মানিতে শেষ মাঠে নামা৷ বিশ্বায়িত ফুটবলের পেশাদার ভবঘুরে হিসেবে এবার তিনি যাচ্ছেন চীনের গুয়াংঝু এভারগ্রান্দে'র হয়ে খেলতে, যারা এখন চীনের সুপার লিগের শীর্ষে৷ দরাজ হাতে টাকা খরচ করে বিদেশি প্লেয়ার আনার জন্য খ্যাত গুয়াংঝু৷ তবে বারিওস'এর জন্য তাদের কতো টাকা খসাতে হয়েছে সেটা দুই ক্লাবই জানাতে নারাজ৷

লাতিন অ্যামেরিকার প্লেয়ার বয়সকালে ইউরোপে এসে নাম করবে, আবার ক্যারিয়ারের শেষের দিকে রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য কি এশিয়ায় - অর্থাৎ জাপান, চীন কি দক্ষিণ কোরিয়ায় খোঁজখবর করে দেখবে, পেশাদারি জীবনের শেষে কোথাও একটা মোটা মাইনেয় খেলোয়াড়ি জীবনটা শেষ করা যায় কিনা, এটাই তো স্বাভাবিক৷ কিন্তু এশীয় ফুটবল, বিশেষ করে চীনে, এখন ভয়ঙ্কর রকম প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে, বাড়ছে ক্লাবগুলোর অর্থবল ও উচ্চাশা৷ সেই সঙ্গে বাড়ছে আরো একটা জিনিষ৷

গুয়াংঝু এভারগ্রান্দে স্বদেশে - ডর্টমুন্ডের মতোই - গত মরশুমের চ্যাম্পিয়ন৷ তারা এই শুক্রবার তাদের আর্জেন্টাইন স্টার দারিও কনকা'কে ন' ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করেছে এবং সেই সঙ্গে দশ লক্ষ ইউয়ান, অর্থাৎ প্রায় দেড় লাখ ডলার ফাইন করেছে৷ কারণ? গত মঙ্গলবার এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলায় গুয়াংঝু যখন দক্ষিণ কোরিয়ার জিয়নবুক হিয়ুনদাই মোটর্স'এর কাছে ৩-১ গোলে হারে, তখন কনকা প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে গুয়াংঝু'র একটিমাত্র গোলটি করা সত্ত্বেও কোচ লি জাং-সু কনকা'কে দ্বিতীয়ার্ধে বার করে নেন৷

ক্লাবের ওয়েবসাইট অনুযায়ী: ‘‘কনকা প্রকাশ্যে কোচের বিরুদ্ধে অশোভন মন্তব্য করেন, মুখ্য কোচের কর্তৃত্ব স্বীকার করতে অস্বীকার করেন৷ তিনি গোটা দলের উপর একটি অশুভ প্রভাব সৃষ্টি করেছেন৷'' কাজেই কনকা'কে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে বলা হয়েছে৷ বলতে কি, কনকা'কে গত জানুয়ারি মাসেই দেড় লাখ ইউয়ান ফাইন করা হয়েছিল, দেরী করে ট্রেনিং'এ আসার জন্য৷

এবং সেই গুয়াংঝু'তেই যাচ্ছেন বারিওস৷ অর্থ, প্রতিযোগিতা, শৃঙ্খলা: ফুটবলের বিশ্বায়িত দুনিয়ায় একই মূল্যবোধ এখন সর্বত্র৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (এএফপি, রয়টার্স)
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ