1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশ ও প্রাণিজগত

৫ জুলাই ২০১৩

ভূমধ্যসাগরে শুশুকদের সুরক্ষায় চলছে উদ্যোগ৷ ব্লু ওয়ার্ল্ড শুশুক কেন্দ্রের গবেষকরা তাদের পর্যবেক্ষণ করছেন৷ শব্দ দূষণ কমিয়ে তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে চান তাঁরা৷

ছবি: Fotolia/davidpitu

ক্রোয়েশিয়ার লশিন্শ দ্বীপ৷ ব্লু ওয়ার্ল্ড শুশুক কেন্দ্রের গবেষকরা আমাদের রিপোর্টারকে একটি অভিযানে নিয়ে যাচ্ছেন৷ গবেষকরা ভূমধ্যসাগরে ডলফিন বা শুশুকদের নিয়ে গবেষণা করছেন৷ আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রতিদিনই তারা সাগরে বেরিয়ে ডলফিনদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন৷

একদিন দিগন্তে দু'টি বড় ইয়ট নৌকা দেখা গেলো৷ আন্ডারওয়াটার মাইক্রোফোন দিয়ে নিকোলিনা রাকো ও তাঁর সহকর্মীরা দেখতে চান, পানির নীচে ইয়টের ইঞ্জিনগুলো কতোটা শব্দ করে৷ যা কিনা শুশুকদেরও শুনতে হয়৷ ব্লু ওয়ার্ল্ড শুশুক কেন্দ্রের নিকোলিনা রাকো বলেন, ‘‘পানির মধ্যে শব্দ প্রায় পাঁচগুণ বেশি হয়৷ ফলে বেশ দূরে থাকলেও ইয়টের ইঞ্জিনের শব্দ শোনা যাচ্ছে৷''

গাঙ্গেয় ব-দ্বীপেও হুমকির মুখে শুশুকছবি: Rubaiyat Mansur

তিনি আরও জানালেন, বিশেষ করে গ্রীষ্মে, যখন অনেক ইয়ট আসে, তখন শুশুকদের অসুবিধা হয়৷

ব্লু ওয়ার্ল্ড গবেষণা কেন্দ্রটি রোভেনস্কা উপসাগরের তীরে৷ ক্রেস-লশিন্শ দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে ‘কমন বটলনোজ ডলফিন'-দের বাস৷ ১৯৮৭ সাল থেকে ব্লু ওয়ার্ল্ড গবেষণা কেন্দ্রের মায়া নিমাক ও অন্যান্য মেরিন বায়োলজিস্টরা প্রায় ১৬০টি ডলফিনকে শনাক্ত করেছেন, তাদের ছবি তুলেছেন, আচার-আচরণ পর্যবেক্ষণ করেছেন৷

ব্লু ওয়ার্লড-এর মেরিন বায়োলজিস্ট মায়া নিমাক জানালেন, ছবিগুলো থেকে কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়৷ তিনি বললেন, ‘‘প্রত্যেক ডলফিনের পাখনাগুলো আলাদা৷ বয়সের সঙ্গে পাখনাগুলোর ওপর দাগ ধরে, ছড়ে যায়, কেটে যায়৷ সব মিলিয়ে মানুষের আঙুলের ছাপের মতন৷ কোনো দু'টো ডলফিনের পাখনা এক হতে পারে না৷ কাজেই আমরা প্রত্যেক ডলফিনকে তাদের ছবি থেকে চিনতে পারি৷ এখানকার কিছু ডলফিনের আমরা নামও দিয়েছি: মারেন, মেটা, শিব৷ এতে ওদের আলাদা করা যায়, ফটো থেকে আরো তথ্য পাওয়া যায়, সে সব বিশ্লেষণ করা যায়৷ আরও জানা যায়, কতোগুলো ডলফিন আছে, তাদের সংখ্যা বাড়ছে না কমছে৷ দৃশ্যত কমছে, সর্বশেষ পরিসংখ্যান যা বলে৷''

ডলফিনরা মোটরবোটের ইঞ্জিনের আওয়াজ শুনলে ভয় পায়, পালিয়ে যায়, জানালেন ব্লু ওয়ার্ল্ডের ডক্টর পিটার ম্যাকেলওয়ার্থ৷ কাজেই তারা নিয়মকানুন আরো কড়া করতে চান৷ এই তত্ত্ব প্রমাণ করতে তারা আরও তথ্য সংগ্রহ করছেন৷

রোভেনস্কার উপকূলে ডলফিনগুলিকে দেখা গেছে৷ ব্লু ওয়ার্ল্ড-এর পরিবেশ সংরক্ষণ প্রধান ড. পিটার ম্যাকেলওয়ার্থ সহকর্মীদের তাড়াতাড়ি সেখানে যাবার নির্দেশ দিলেন৷ ডলফিনদের সুরক্ষার জন্য কী চাই – এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, ‘‘সবচেয়ে দরকারি হল মোটরবোটগুলোর গতি সীমিত করা৷ তাহলে শুধু ডলফিনদেরই নয়, সবারই উপকার হবে৷ এছাড়া গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রেঞ্জার চাই, যেমন অন্যান্য সংরক্ষিত এলাকায় থাকে৷''

এটা বিশাল চ্যালেঞ্জ, সন্দেহ নেই৷ একদিকে ডলফিন সুরক্ষার প্রচেষ্টা, অন্যদিকে অর্থনৈতিক স্বার্থ৷ জেলে ও পর্যটকদের নৌকার গতি কমানো কঠিন কাজ৷

এসি / এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ