1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডাইনোসর যুগের বিশাল উড়ন্ত প্রাণীকে ঘিরে চাঞ্চল্য

৬ নভেম্বর ২০১৮

জুরাসিক পার্ক চলচ্চিত্রের কল্যাণে প্রাগৈতিহাসিক যুগের ডাইনোসরসহ অনেক প্রাণী সম্পর্কে আমাদের স্বচ্ছ ধারণা হয়েছে৷ তবে জার্মানির এক ডাইনোসর পার্কে বিশাল উড়ন্ত প্রজাতির যে কঙ্কাল শোভা পাচ্ছে, তা সত্যি বিস্ময়কর৷

Dinosaurier Massospondylus Zeichnung Urzeit Dinosauriernest
ছবি: picture-alliance/dpa

অসাধারণ ঘটনা বটে! প্রায় ৬ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগের ডাইনোসরের বিশালাকার হাড়গুলি জোড়া দেওয়া হচ্ছে৷ সেটা আসলে ছিল এক প্টেরোসর, উড়ন্ত প্রাণী৷ এখনো পর্যন্ত জানা এ ধরনের সবচেয়ে বড় আকারের প্রাণী৷ এই প্রথম জোড়া লাগানো গোটা কঙ্কাল চাক্ষুষ করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷

রোমানিয়ার জীবাশ্মবিদ মাটিয়াস ভ্রেমির এই চমকপ্রদ আবিষ্কার করেছেন৷ এ ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও তিনি আবিষ্কারের পর প্রথমে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারেননি৷ ভ্রেমির বলেন, ‘‘এটাই আসল আবিষ্কার৷ টেরোসরস সম্পর্কে আমরা যা জানতাম, তার তুলনায় এটা এত বড় যে, আমার মস্তিষ্ক প্রথমে তা মানতেই চায়নি, মনে হয়েছে এটা অসম্ভব৷''

কিছুকাল আগে পর্যন্তও ভাবা যেত না যে, উড়ন্ত ডাইনোসরদের সর্বোচ্চ পরিধি ১০ মিটারের বেশি হতে পারে৷ অথচ এই প্রজাতির পরিধি ১৫ মিটারেরও বেশি! পরিধি বড় ট্রাকের মতো হওয়ায় মানুষ অনায়াসে তার পিঠে চড়ে উড়তে পারতো৷

রোমানিয়ার ট্রানসিলভানিয়া অঞ্চলে ভ্রেমির ২০০৯ সালে সেই জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন৷ দূরবীনে পর্যবেক্ষণ করার সময়ে সেটি তাঁর চোখে পড়ে৷ খাড়া পাহাড়ের পাশে হাড়ের প্রান্তগুলি উঁকি দিচ্ছিল৷

কিন্তু সেই জীবাশ্ম অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা ছিল অত্যন্ত জটিল কাজ৷রাইমুন্ড আলব্যার্টসডর্ফার নিজেও জীবাশ্মবিজ্ঞানী ও অভিজ্ঞ জীবাশ্ম সংগ্রহকারী৷ রোমানিয়ায় জীবাশ্ম উদ্ধারের সময়ে তিনিও উপস্থিত ছিলেন৷ তিনি বিলক্ষণ জানেন, আদৌ কোনো উড়ন্ত ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কার কত সৌভাগ্যের বিষয়৷ কারণ, স্থলে বিচরণ করা স্বজাতিদের তুলনায় তাদের শরীর অনেক নাজুক ছিল৷ আলব্যার্টসডর্ফার বলেন, ‘‘হাড়ের সবচেয়ে বাইরের স্তর অত্যন্ত পাতলা৷ এমনকি হাড়ের মধ্যের উপকরণও ছিল হড়হড়ে৷ প্রায় ৯০ শতাংশই ছিল ফাঁপা৷ এভাবে কম ওজনের কারণে তাদের আকাশে ওড়ার ক্ষমতা ছিল অনেক বেশি৷ হাড়গোড়ের হালকা গঠনের কারণেই সেটা সম্ভব হতো৷''

মিউনিখ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে আল্টম্যুলটাল ডাইনোসর পার্কে উড়ন্ত ডাইনোসরের পুনর্গঠিত কঙ্কাল প্রথমবার প্রদর্শিত হয়েছে৷ কিন্তু বিশাল এই উড়ন্ত প্রাণী কীভাবে জমির উপর ঘোরাফেরা করতো? ওড়ার ক্ষমতা পাখির মতো হলেও তারা সম্ভবত ৪ পায়ে হাঁটতেও পারতো৷ সম্ভবত ডানার প্রতিটি প্রান্ত মুড়ে উপরের দিকে তুলে ধরতো৷ কিন্তু কীভাবে তারা ডানা মেলে আকাশে উড়ে যেত, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷

কিছু বিজ্ঞানীর অনুমান, ওড়ার প্রস্তুতির জন্য এই প্রাণীর কোনো খাড়া প্রাচীরের প্রয়োজন হতো৷ এটাও সম্ভব যে, খুব বড় আকারের প্রাণীরা আকাশে ওড়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিতো৷

এই আবিষ্কারের কল্যাণে বিজ্ঞানীরা গবেষণার অনেক নতুন দিশা পেয়েছেন৷ ডাইনোসর পার্কের দর্শকদের জন্য বিস্ময়ের আরেকটি উৎস যোগ হয়েছে৷

আমো ট্র্যুম্পার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ