ডাটা কুইজিন, মানে রাঁধছেন, অথচ সেই রান্নার ভিতর দিয়ে বড় বড় কোম্পানিতে মহিলা পরিচালকদের অনুপাত কত, সেই পরিসংখ্যানটিও ব্যক্ত করছেন৷ বেলজিয়ামের একটি রান্নার স্কুলে সেই রান্না শেখানো হয়৷
বিজ্ঞাপন
ডাটা কুইজিন – রান্নার এক নতুন পরিসংখ্যান
03:47
পরিসংখ্যান কি রান্না করে দেখানো যায়? একে বলে ডাটা কুইজিন, বাংলায় বলা যেতে পারে তথ্যের মুড়িঘণ্ট! কিন্তু বেলজিয়ামের এই রান্নার কোর্সটিতে খাবারের মাধ্যমে কিছু বিশেষ খবরাখবর, সেই সঙ্গে একটি বিশেষ মনোভাব বা দৃষ্টিভঙ্গি পরিবেশন করা হচ্ছে৷ যেমন বিভিন্ন দেশে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মহিলাদের অনুপাত৷ ‘ডাটা কুইজিন' প্রকল্পটি উদ্ভাবন করেছেন মোরিৎস স্টেফানার ও সুজানে ইয়াশকো৷ দু'দিনের ওয়ার্কশপ৷ গত চার বছর ধরে এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করে আসছেন মোরিৎস আর সুজানে৷
শিল্পকলার ইতিহাসের স্নাতক সুজানে ইয়াশকো, ‘‘আমি ভেবেছিলাম, কত ধরনের তথ্য আছে; মানুষজনের যাতে সে সব তথ্যে আগ্রহ জন্মায়, সে জন্য কিছু একটা করা দরকার৷ এগুলো সহজ তথ্য, কিন্তু শুধু পরিসংখ্যান বা সংখ্যা হিসেবে তা সব মানুষকে বোঝানো যায় না৷ সেই কারণেই আমরা খাবার বা রান্নাবান্নার মতো এমন একটা মাধ্যম খুঁজে বার করার চেষ্টা করেছি, যা ব্যক্তিগত অথচ আবেগপূর্ণ, যা দিয়ে এই সব তথ্যের মধ্যে অবরুদ্ধ কাহিনিগুলোকে দৃষ্টিগোচর করে তোলা যায়৷''
ক্যালোরি কম, তাই যত ইচ্ছে খান
টিভি দেখা বা আড্ডার সময় অনেকেই চিপস, চকলেট, বিস্কুট, ইত্যাদি খায়৷ এ সমস্ত ‘ফাস্ট ফুড’ ওজন বাড়ায় তাছাড়াও জন্ম দেয় নানা অসুখের৷ জেনে নিন মুখরোচক কিছু খাবারের কথা, যেগুলো মোটা না করেও মুখে আনবে স্বাদ, রাখবে সুস্থ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
অলিভ বা জলপাই
আচারের কথা ভাবলেই জিবে জল এসে যায়, তাই না? হ্যাঁ, তেলে ভাজা চিপসের বদলে অলিভ অয়েলে ডোবানো জলপাইয়ের আচার বা শুধু জলপাই খেতে পারেন৷ এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সোডিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন৷ বলা হয়, জলপাই নাকি কার্ডিওভাসকুলার রোগ দূরে রাখে৷ ১০০ গ্রাম জলপাইয়ে ক্যালোরির পরিমাণ ১৪০, অন্যদিকে সম পরিমাণ চিপসে রয়েছে ৫৩৫ ক্যালোরি৷
ছবি: picture-alliance/chromorange
এক মুঠো বিভিন্ন বাদাম
যদিও বাদামে রয়েছে প্রচুর চর্বি, তবুও কোনো চিন্তা ছাড়াই বাদাম খাওয়া যায়৷ তবে তা যেন অতিরিক্ত পরিমাণে না হয় এবং তাতে যেন লবণ দেয়া না থাকে৷ বাদামে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম, যা শরীর ও ব্রেনের জন্য প্রয়োজন৷ তবে তা দিনে একমুঠোর বেশি নয়! এক মুঠো বাদাম একটা বাটিতে নিয়ে ধীরে ধীরে খেলে যেমন ক্যালোরির ভয় নেই, তেমনি টিভি দেখাও হয় আনন্দময়৷
ছবি: Colourbox
পপকর্ন
পপকর্নকে যতটা অস্বাস্থ্যকর ভাবা হয় আসলে কিন্তু ততটা নয়, যদি না পপকর্নকে চর্বি, লবণ এবং চিনিতে ডোবানো হয়৷ গবেষণায় দেখা গেছে পপকর্নে রয়েছে যথেষ্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আঁশ৷ একজন মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনের শষ্যদানার দুই ততীয়াংশ মেটায় এক বাটি পপকর্ন৷
ছবি: Fotolia/shaiith
মিষ্টি কুমড়োর শুকনো বিচি
মিষ্টি কুমড়োর বিচি শরীরে শক্তি সরবরাহ করে৷ এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে জিঙ্ক এবং মিনারেল, যা খাবারের রুচি বাড়ায় এবং এনজাইমকে সক্রিয় করে৷ তাছাড়াও রয়েছে যথেষ্ট প্রোটিন৷ টিভি দেখার সময় এগুলো বেশ ভালোভাবেই খাওয়া যায়, অথচ ওজন বাড়ার কোনো চিন্তা থাকে না৷
ছবি: Colourbox
মুখরোচক স্বাস্থ্যকর শসার আচার
টিভি দেখা বা অন্য যে কোনো সময় শসা খাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যকর এবং খুবই অল্প ক্যালরিযুক্ত৷ ১০০ গ্রাম ছোট ছোট শসায় রয়েছে মাত্র ৭০ গ্রাম ক্যালরি৷ জার্মানিতে এ রকম শসার আচার বাজারে পাওয়া যায়৷ তবে কেউ ইচ্ছে করলে খুব সহজে ঘরেই তৈরি করে যখন তখন খেতে পারেন শসার আচার৷
ছবি: Colourbox/Galina
ছোলা বা বুট
সঙ্গী ছাড়া পার্কে বেড়ানোর যেমন মজা নেই, তেমনি সে সময় চানাচুর, বুট ছাড়া ঠিক জমে না৷ তবে শুকনো বুট বা ছোলা নিঃসন্দেহে চর্বিযুক্ত আলুর চিপস বা চানাচুরের চেয়ে ভালো৷ এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, আঁশ, ভিটামিন, মিনারেল ও আয়রন৷ আঁশযুক্ত ছোলা সহজেই পেট ভরায় এবং অনেকক্ষণ পেটে থাকে৷ ছোলা জার্মানিতেও বেশ জনপ্রিয়, যা নানাভাবে খাওয়া হয়ে থাকে৷ টিভি দেখার সময় নিশ্চিন্তে ছোলা খেতে পারেন৷
ছবি: Fotolia
পেয়াজের আচার
পেয়াজের আচার বা অলিভ অয়েলে ডোবানো পেঁয়াজ খুব বেশি খাওয়া সম্ভব নয়৷ তবে অন্যান্য খাবারের সাথে এটা খেলে, অন্যরকম একটা একটা স্বাদ এনে দেয়, বিশেষ করে ছোলার সাথে৷ তবে হ্যাঁ, পেয়াজের আচার বা অলিভ অয়েলে ডোবানো পেঁয়াজ খাওয়ার পর চুইংগাম, এলাচ বা মৌরি চিবাতে ভুলবেন না কিন্তু!
ছবি: AP
7 ছবি1 | 7
কোর্সে যারা অংশ নিচ্ছেন,তারাই ঠিক করবেন, তারা ঠিক কোন পরিসংখ্যান ‘রান্না' করবেন৷ যে সব তথ্য তাদের নিজেদের কাছে অর্থপূর্ণ, আবার তাদের পারিপার্শ্বিক থেকেই এসেছে৷ এগুলোকে বলে স্থানীয় তথ্য৷ ওয়ার্কশপটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্রাসেলসের কাছে জেমব্লু-তে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মার্ট গ্যাস্ট্রনমি ল্যাবে সর্বাধুনিক কিচেন রেঞ্জ ও অন্যান্য সাজসরঞ্জাম রাখা আছে, এমনকি চকোলেট দিয়ে প্রিন্ট করার থ্রি-ডি প্রিন্টার পর্যন্ত৷ ডাটা কুইজিন কোর্সে অংশগ্রহণকারী আর্লেনের প্রিয় যন্ত্র এটি৷
ডিজাইনার আর্লেনে, ‘‘বেলজিয়ামের ‘প্রেলিন' চকোলেটটার মজা হলো, ওর ভেতরে কী আছে, তা কেউ জানে না৷ তাই আমরা চকোলেট দিয়ে এই ছোট ছোট কফিনগুলো তৈরি করে নানা ধরনের পুর দিয়ে সেগুলো ভর্তি করি৷ এর পিছনে পরিসংখ্যান হলো, বেলজিয়ামে মানুষ কতরকমভাবে মারা যায়৷''
‘মুখরোচক' পরিসংখ্যান?
এখন সেই কাজই চলেছে৷ কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে এক শেফ তাদের সাহায্য করছেন, দেখিয়ে দিচ্ছেন, তথ্য মিষ্টান্ন কীভাবে সত্যিই মুখরোচক হয়৷ আর্লেনে চার ধরনের পুর তৈরি করেছেন,যা চার ধরনের মৃত্যুর কারণ দেখাচ্ছে৷ অ্যান্টওয়ার্প থেকে আসা আর্লেনে মেপে মেপে, হিসেব করে করে কফিনগুলোকে ভরেছেন ছ'ঘণ্টা সময় ধরে, যাতে বেলজিয়ামে মানুষের মৃত্যুর কারণের যে বাস্তব পরিসংখ্যান, তার সঠিক প্রতিফলন ঘটে৷ এখন শুধু ফটোগ্রাফারের ছবি তোলা বাকি৷ কেননা খাবার আগে তথ্য মিষ্টান্নের ছবি তুলে রাখা হয়৷
ওজন বাড়ানোর কিছু উপায়
বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষের শরীরের ওজন বেশি হলেও এমন রোগা পাতলা মানুষও অনেক আছেন যারা ওজন বাড়াতে খুবই আগ্রহী৷ তাদের কথা ভেবেই ওজন বাড়ানোর কিছু উপায় দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: Colourbox
বেশি রোগা-পাতলা
অনেকেই আছেন ভীষণ রোগা-পাতলা, বয়স এবং উচ্চতার তুলনায় ওজন অনেক কম৷ এজন্য তো তাদের কষ্ট আছেই আর সে কষ্টকে আরো বাড়িয়ে দেয় অনেকে – অপুষ্ট, রুগ্ন, কাঠির মতো শুকনো, শীর্ণ ইত্যাদি মন্তব্য করে৷ যদিও পাতলা মানুষরা এতো রোগা থাকার জন্য নিজেরা দায়ী নয়৷ তাছাড়া অনেক মোটা মানুষের তা ঈর্ষার কারণও হয়!
ছবি: Fotolia/rico287
জেনেটিক
জার্মানির লাইপশিস শহরের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়েন্স পুটসিগারের মতে, ‘‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জেনেটিক কারণেই মানুষ এতো বেশি রোগা হয়ে থাকে৷ এমন মানুষও আছেন যাঁরা খুবই কর্মঠ, নিয়মিত খেলাধুলা করেন এবং যথেষ্ট এনার্জি আছে তারপরও তাঁরা বেশি খাওয়া-দাওয়া করেন না, তাঁদের খেতে ইচ্ছে হয় না৷’’
ছবি: DW/A. Gazazyan
মডেলদের অনুকরণ
‘‘তরুণীরা না খাওয়ার সমস্যায় বেশি ভোগে’’ এর কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলে এক সমীক্ষায় জানা গেছে৷ সমীক্ষাটি করেছে অ্যামেরিকার নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা৷ জানা গেছে, ফেসবুক বা অন্যান্য গণমাধ্যমে সুন্দরী পাতলা বান্ধবী বা অন্যান্য তরুণীদের ছবি দেখে তারা সেরকম হতে চায়, আর তা থেকেই নাকি খাওয়ার আগ্রহ কমে যায়৷
ছবি: haveseen - Fotolia
ডাক্তারি চেকআপ
আপনাদের মধ্যে যাঁদের ওজন সত্যিই খুব কম তাঁরা চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জেনে নিন তাদের থাইরয়েডের কোনো সমস্যা, কিংবা পেটের বা হজমের সমস্যা আছে কি না? তাছাড়া মানসিক কোনো সমস্যা বা বিষন্নতাও ওজন বাড়াতে বাধার সৃষ্টি করতে পারে৷
ছবি: Fotolia/contrastwerkstatt
সতর্কতা
যাদের ওজন খুব কম কিন্তু শারীরিক কোনো সমস্যা নেই, ডাক্তারি চেকআপে সুস্থ তাদেরও ভয়ের কারণ থাকতে পারে৷ কারণ দিনের পর দিন কম খাওয়ায় শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন না ঢোকায় শরীর আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে৷ ফলে বিপাক ক্রিয়ার সমস্যা হতে পারে, যা নিয়মিত ক্লান্তবোধের কারণ হতে পারে৷ শরীরে গ্লোবিন, হরমোন, এনজাইম, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ইত্যাদির অভাবে হাড়ের ক্ষয়রোগও হতে পারে, অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
ছবি: Colourbox
আরো বেশি প্রোটিন, আরো চর্বি
খাবারের তালিকায় নিয়মিত ডিম, দুধ, মাংস, ডিম, মুরগি থাকতে হবে৷ তাছাড়া ডিম সেদ্ধর বদলে ডিম ভাজি এবং সব খাবারেই আগের তুলনায় একটু বেশি চর্বি বা ফ্যাট দেয়া যেতে পারে৷ সালাদ, সবজি বা আলু ভাজিতে অবশ্যই অলিভ অয়েল বা অন্য তেলের পরিমাণ একটু বেশি থাকতে পারে৷ তাছাড়া খাবারের পরিমাণও আগের তুলনায় একটু বাড়াতে হবে৷ খাবারে যেন যথেষ্ট আঁশ থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন৷
ছবি: Marketa Schellenberg
খাওয়া-দাওয়ায় পরিবর্তন
যাঁরা ওজন বাড়াতে চান, তাঁরা খাবার টেবিলে রঙিন খাবার রাখুন তাহলে খাওয়ায় রুচি ও আগ্রহ বাড়বে৷ খাবারগুলো একটু ধনে পাতা, পুদিনা পাতা ইত্যাদি দিয়ে একটু সাজিয়ে নিন৷ তাছাড়াও সর্ষে আর আদার ব্যবহার বাড়িয়ে দিন৷ আদা পেটের উদ্দীপক, রুচি বাড়াতেও সহায়তা করে৷ খাবার আগে স্যুপ খেতে পারেন, সালাদ বা সবজিতে সামান্য বাদাম ছেড়ে দিতে পারেন৷ খাবারে প্রোটিন এবং চর্বি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডা: পুটসিগার৷
ছবি: RKI
একটু ধৈর্য্য ধরে নিয়ম মেনে চলুন
খাওয়া-দাওয়ায় পরিবর্তন এনে নিয়মমতো এবং একটু খেয়াল করে প্রয়োজনীয় সবকিছুই একটু বেশি করে খেলে ছয়মাসের মধ্যে শরীরের ওজন দুই থেকে চার কেজি বাড়ার কথা৷
ছবি: Colourbox
8 ছবি1 | 8
রান্না করা অন্যান্য পরিসংখ্যানগুলোও কিছু কম যায় না: বেলজিয়ামের শ্রমজীবীদের কাজের উৎসাহ থেকে শুরু করে পরমাণু শক্তি, সব বিষয় নিয়েই পরিসংখ্যান আছে, আবার রান্নাও আছে৷ এপ্রিল মাসের ক্যালেন্ডারটা দেখতে এইরকম৷
ডাটা ডিজাইনার মোরিৎস স্টেফানার বলেন, ‘‘তথ্য পরিবেশন করার জন্য আমরা সাধারণত খাবারদাবার ব্যবহার করি না৷ এই পন্থায় তথ্য নিখুঁতভাবে পরিবেশন করাও সম্ভব নয়৷ যেমন বলা সম্ভব নয়, এটায় দ্বিগুণ মিষ্টি দেওয়া হয়েছে না তিনগুণ৷ অপরদিকে এটা স্বাভাবিক যে, এভাবে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য করে তুলতে পারলে, লোকজন তথ্য সম্পর্কে অন্যরকম করে ভাবে৷''
ডাটা কুইজিন বা তথ্য রান্নার লক্ষ্যই হলো তাই৷ স্বাদ-গন্ধের মাধ্যমে তথ্য বাস্তবিক ‘অন্তরে প্রবেশ করবে'৷ যে কারণে তথ্যের মুড়িঘণ্ট শেষমেষ চেখেও দেখা হয়, যাতে তথ্যের পিছনে যে কাহিনি লুকিয়ে রয়েছে, তা বেরিয়ে আসতে পারে৷
খাওয়া না কমিয়েও মেদ কমানোর কিছু উপায়
বাড়তি মেদ নিয়ে অনেকেই মহা দুশ্চিন্তায়৷ মেদ কমাতে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে নতুন সমস্যাও ডেকে আনেন কেউ কেউ৷ অথচ খাওয়া-দাওয়া না কমিয়ে, অর্থাৎ ‘ডায়েট’ না করেও কিন্তু মেদ কমানো যায়৷
ছবি: Fotolia/Markus W. Lambrecht
অট্টহাসি মেদ কমায়!
দিনে দশ মিনিট করে জোরে জোরে হাসলেও নাকি মেদ কমে৷ হাসলে নাকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, রক্তপ্রবাহেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসে৷ রীতিমতো গবেষণা করে তা জানা গেছে৷ গবেষকরা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্করা দিনে সাধারণত আটবারের মতো হাসেন, অন্যদিকে কোনো কোনো শিশু নাকি তিনশ’বার পর্যন্ত হাসে৷
ছবি: Fololia/olly
নিয়মিত ঘরের কাজ করুন
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে ঘরের সাধারণ কাজগুলো করলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়৷ ঘরের মেঝে পরিষ্কার করা, বিছানার চাদর বদলানো- এ ধরণের কাজগুলো করলেও মেদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ তো করা যায়ই, এমনকি মেদও কমানো যায়৷
ছবি: mmphotographie.de/Fotolia.com
মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন
খাবারে যত কম মশলা থাকবে ততই ভালো৷ মশলায় যে অ্যালকালয়েড থাকে তা মেদ বৃদ্ধিতে সহায়ক৷ তাই মশলাযুক্ত খাবার যত ভালোই লাগুক, মেদ কমাতে চাইলে সেরকম খাবার কম খাওয়াই উত্তম৷ তবে মরিচ এবং দারুচিনির উপকার আছে৷ এগুলো রক্তে চিনির মাত্রা কমায়৷ দারুচিনি তো মেদও কমায়৷
ছবি: Fotolia/karepa
চুমুও মহৌষধ
এক মিনিট চুমু খেলে শরীর থেকে ২০ ক্যালরির মতো চর্বি ধ্বংস হয়৷ পুরুষরা যখন চুমু খায় তখন তাদের মুখমণ্ডলের ৩৮টি পেশির সংকোচন-প্রসারন হয়৷ বলতে পারেন মুখের ব্যায়ামও হয় তখন৷
ছবি: nikkytok / Fotolia
বাস, ট্রেন, ট্রামে চড়ুন
এসি লাগানো গাড়িতে বসে কর্মস্থলে যেতে খুব আরাম, তবে তাতে কিন্তু মেদ বাড়ে৷ পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াতের ধকল সহ্য করুন দেখবেন তাতেও মেদ খুব একটা বাড়ছেনা৷ দৌড়ে বাস, ট্রেন ধরার মতো প্রাত্যহিক ধকল দিনে ৩০ মিনিট সহ্য করলে নাকি ২৭০ ক্যালরি মেদ ক্ষয় হয়৷
ছবি: AP
হরর মুভি দেখুন
ওয়েস্টমিনস্টার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, হরর মুভি বা ভৌতিক ছবি দেখলেও নাকি মেদ কমে৷ তাঁরা বলছেন, একটা ভৌতিক ছবি দেখলে ১৩৩ ক্যালরি মেদ ধ্বংস হয়৷ তাঁরা জানিয়েছেন, ভীতিকর দৃশ্য দেখার সময় শরীর থেকে অ্যাড্রেনালিন নিঃসরন বেড়ে যায়৷ এ প্রক্রিয়ায় চর্বিও গলে যায়৷
ছবি: Fotolia/Deklofenak
যৌনমিলন
ডায়েট না করে মেদ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় নাকি যৌনমিলন৷ একবারের পরিপূর্ণ যৌনমিলনে নাকি ৮০ থেকে ৩৫০ ক্যালরি মেদ ক্ষয় হয়৷