1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ডারবানে সমন্বিত, আইনসম্মত নীতিমালা গ্রহণ সম্ভব নয়’

৭ ডিসেম্বর ২০১১

দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান শহরে অনুষ্ঠানরত জলবায়ু সম্মেলন প্রায় শেষ হওয়ার পথে৷ কিন্তু এ সম্মেলনেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা নিয়ে একটি সর্ব-সম্মত নীতি নির্ধারণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেননা জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন৷

ডারবান শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনছবি: DW

বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কিয়োটো প্রোটোকল যে পথ দেখিয়েছিল, কোপেনহেগেন সম্মেলন সে পথে এগোতে কার্যত ব্যর্থ হয়৷ তাই এই ডারবান সম্মেলনের দিকেই নজর ছিল সবার৷ কিন্তু সেখানেও সাফল্যের সম্ভাবনা তেমনটা দেখা গেল না৷

বরং যেটা দেখা গেল, সেটা হলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রশ্নে শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে একটা বিভাজনরেখা৷ অ্যামেরিকা, ইউরোপ সহ শিল্পোন্নত বিশ্ব বহু দশক ধরে যে কার্বন নির্গমন করে আসছে, সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত মূলত তাদেরই করতে হবে – দাবি করছে বাকিরা৷ আর সেখানেই সৃষ্টি হয়েছে এই বিভাজনরেখা৷ বিতর্ক উঠেছে ভারত ও চীনের মতো উদীয়মান শক্তিধর দেশ অথবা দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো শিল্পোন্নত দেশগুলোকে আর উন্নয়নশীল বিশ্বের মধ্যে ধরা চলে কি না, তা নিয়ে৷

আসলে আলোচনার গোটা প্রক্রিয়াটাই অত্যন্ত জটিল৷ যার অন্যতম কারণ হলো, সব প্রশ্নেই ১৯৪টি দেশের প্রতিনিধিদলকে ঐকমত্যে আসতে হবে৷ তাই এবার ভারত ও চীন বেঁকে বসায় আবারো নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা৷ ফলে সর্বসম্মতিক্রমে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া কিছুতেই সহজসাধ্য নয়৷ এমনটাই মঙ্গলবার জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন৷

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনছবি: picture alliance/ZUMA Press

ডারবান সম্মেলনের প্রধান লক্ষ্যগুলোই ছিল – প্রথমত ‘গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড'-কে কার্যকর করা, দ্বিতীয়ত অভিযোজন নীতিমালা ও অভিযোজন কমিটি কার্যকর করা৷ তৃতীয়ত কিয়োটো প্রটোকলকে বাঁচিয়ে রাখতে দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘কমিটমেন্ট পিরিয়ড' কার্যকর করা যা ২০১৩ সাল থেকে শুরু হবে এবং চতুর্থত ‘ইউরোপীয় রোডম্যাপ' অনুযায়ী, সময়োপযোগী, সমন্বিত ও আইনসম্মত নীতিমালা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়ে ঐ প্রটোকলকে আইনগত একটা চুক্তিতে রূপান্তর করা, যেটা ২০২০ সালের পর কার্যকর হবে৷

বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রের জন্য এটা ছিল অত্যন্ত জরুরি৷ আর সে জন্যই, কিয়োটো প্রটোকলের মৃত্যুঘণ্টা বাজতে দেওয়া হবে না বলে সরাসরি ঘোষণা করেন দেশটির পরিবেশ ও বন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ৷ তিনি বলেন, আমরা কিয়োটো প্রটোকলের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি৷ যা শিল্পোন্নত দেশগুলো ‘ব়্যাটিফাই' করবে ২০১২ সালের পর৷ স্বাভাবিকভাবেই, আফ্রিকার দেশগুলোসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাই চায়৷ কিন্তু বাদ সাধছে চীন, ভারত, ক্যানাডা, জাপান আর অ্যামেরিকাসহ কয়েকটি দেশ৷

পৃথিবী একটাই৷ তাই এই পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখাই সকলের কর্তব্য৷ অথচ নিজ নিজ স্বার্থই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে আজ সম্মেলনে উপস্থিত দেশগুলোর সামনে৷ তাই কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও, ডারবান সম্মেলনে সব প্রশ্নের যে মীমাংসা হবে না – তা বলাই বাহুল্য!

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ