1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডার্ক ম্যাটার-ও আর রহস্য থাকবে না

করনেলিয়া বরমান/এসবি১৯ জুলাই ২০১৪

সুইজারল্যান্ডের জেনিভা শহরে চলছে মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের বৈজ্ঞানিক উদ্যোগ৷ একের পর এক পরীক্ষার মাধ্যমে পদার্থবিদরা সেখানে ‘ডার্ক ম্যাটার’-এরও নাগাল পাবার স্বপ্ন দেখছেন৷

সার্নে অ্যাটলাস ডিটেক্টরের কন্ট্রোল রুমছবি: DW/F.Schmidt

‘ডার্ক ম্যাটার’-এর খোঁজে

03:52

This browser does not support the video element.

জেনিভা শহরের হ্রদ ও পাহাড়ের মাঝে চলছে বিশাল বৈজ্ঞানিক কর্মযজ্ঞ৷ চুম্বক দিয়ে তৈরি ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রিং, তাতে রয়েছে ৪টি ডিটেক্টর৷ গবেষকরা সেখানে আগামী কয়েক বছরে পার্টিকেলের গতি আরও বেশি বাড়াতে এবং তাদের মধ্যে আরও সংঘাত ঘটাতে চান৷

এই প্রক্রিয়ায় ডিটেক্টরের মধ্যেও আরও বেশি পার্টিকেল ম্যাটার তৈরি হয়৷ তবে তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্টিকেলগুলি খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠছে৷

গবেষকদের তাই ডিটেক্টর-কে আরও দ্রুত ও সংবেদনশীল করে তুলতে হবে৷ মাটির নীচে রয়েছে এক মিউয়ন চেম্বার৷ এই পার্টিকেলগুলি এত ভারী ও স্থিতিশীল, যে তারা অ্যাটলাস ডিটেক্টরের সব স্তর ভেদ করতে পারে৷ পদার্থবিদদের কাছে মিউয়ন অজানা নতুন পার্টিকেল ম্যাটার-এর ইঙ্গিতবাহক৷

এক যন্ত্র মিউয়ন-এর গতিপথ ও শক্তির পরিমাপ করতে পারে৷ তার মধ্যে রয়েছে গ্যাস ভরা ৪০০টি পাইপ, প্রতিটির মধ্যে বসানো রয়েছে তার৷ পরিমাপের যন্ত্র ডিটেক্টরের এমন এক স্তরে রয়েছে, যা আস্ত ফুটবল মাঠের মতো বড়ো৷ মাক্স প্লাংক ইন্সটিটিউটের হুবার্ট ক্রোহা বলেন, ‘‘গোটা অ্যাটলাস ডিটেক্টর-এর মধ্যে প্রায় ১,২০০ এমন মিউয়ন ডিটেক্টর রয়েছে৷ অর্থাৎ প্রায় ১০ লাখ তার৷ সামান্য কয়েক মাইক্রো মিটার পর্যায়েও মিউয়ন পাইপগুলি দৃশ্যমান থাকতে হবে৷ এমন সব ডিটেক্টর তৈরির ক্ষেত্রে এটাই হলো চ্যালেঞ্জ৷''

এই গবেষণাগারে পদার্থবিদরা অন্য এক ডিটেক্টর স্তর তৈরি করছেন৷ সেটি অ্যাটলাস-এর মাঝখানে বসানো হবে, যেখানে পার্টিকেলগুলির সংঘাত ঘটে এবং ম্যাটার-এর ভগ্নাংশ তৈরি হয়৷ সেন্সর তখন তাদের গতিপথের প্রথম কয়েক সেন্টিমিটার নিপুণভাবে পরিমাপ করে৷ এই সেন্সরের চোখের বিশাল ক্ষমতা – সামান্য কয়েক সেন্টিমিটারে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ পিক্সেল৷ গোটা অ্যাটলাস ডিটেক্টরে যে তথ্য সৃষ্টি হয়, তার এক দশমাংশ এই স্তরে সংগ্রহ করা হয়৷ সার্ন প্রকল্পের ডানিয়েল আডাম ডোবোস বলেন, ‘‘প্রতিদিন নতুন সহকর্মীদের সঙ্গে নতুন চ্যালেঞ্জ৷ গোটা বিশ্বের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, নতুন সহকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় হয়৷ তাঁরা নতুন আইডিয়া, নতুন ডিটেক্টর নিয়ে এখানে আসেন৷ গোটা কাঠামোর মধ্যে তাঁদের খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা চলে৷''

৩৫টি দেশের ১৭০টি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা বিশাল অ্যাটলাস ডিটেক্টরের অংশ তৈরি করেন৷ স্ট্যানফোর্ড লিনেয়ার অ্যাকসিলারেটর সেন্টার-এর অধ্যাপক ডং সু বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে পার্টিকেল পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে সবার নজর সার্ন-এর দিকে৷ অবশ্যই আমরাও অ্যামেরিকায় ভবিষ্যতে বিকল্প দেখতে চাই৷ হয়তো একদিন আমাদেরও এমন সুযোগ আসবে৷''

অ্যাটলাস ডিটেক্টরছবি: Lashkar Kashif

আগামী বছর কাঠামোর মধ্যে রদবদল শেষ হবার কথা৷ তখন গবেষকরা শক্তির এমন এক ক্ষেত্রে ম্যাটার পরীক্ষা করতে পারবেন, যা পৃথিবীতে এর আগে সম্ভব ছিলো না৷ ম্যাটার-এর অজানা উপাদানও খুঁজে পাবেন৷ পছন্দের তালিকার সবার উপরে রয়েছে ডার্ক ম্যাটার৷ হুবার্ট ক্রোহা বলেন, ‘‘এলএইচসি-তে কী আবিষ্কৃত হবে বা হবে না, তা পার্টিকেল ফিজিক্স-এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে৷ বিশেষ করে ডার্ক ম্যাটার যদি সত্যি পাওয়া যায়৷ তখন শুধু পার্টিকেল ফিজিসিস্ট নয়, মহাকাশবিজ্ঞানী ও মহাকাশ পদার্থবিদরাও খুশি হবেন৷''

কারণ মহাকাশে ম্যাটার-এর একটা বড় অংশই অদৃশ্য৷ একমাত্র অভিকর্ষের কারণেই তাদের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়৷ এটাই হলো তত্ত্ব৷ এই রহস্যজনক বস্তু কী দিয়ে তৈরি, সেই ধাঁধার সমাধানই হতে পারে বিশ্বের বৃহত্তম গবেষণা যন্ত্রের আগামী সাফল্য৷

বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ