1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডায়াবেটিস ও ইনসুলিন

১৩ অক্টোবর ২০১৫

ডায়াবেটিস আজ দক্ষিণ এশিয়ার ঘরে ঘরে৷ হতাশার কারণ নেই, কেননা আছে ইনসুলিন নামের একটি পদার্থ৷ নিয়মিত ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিলে ডায়াবেটিস রোগীরা প্রায় সাধারণ জীবনযাপন করতে পারেন৷

Medizin Diabetes Insulinspritze
ছবি: Fotolia/Dmitry Lobanov

মানুষ না খেয়ে বাঁচতে পারে না৷ অথচ কিছু কিছু মানুষের শরীর শর্করা ‘হজম' করতে পারে না৷ তাদের যে রোগ, তার নাম ডায়াবেটিস, বাংলায় যাকে বলে বহুমূত্র৷ ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিবার খাবার আগে একটি হরমোন ইঞ্জেকশন নিতে হয়, যার নাম ইনসুলিন৷ ইনসুলিন আবিষ্কৃত হবার আগে ডায়াবেটিস ছিল একটি মারাত্মক রোগ৷ মানুষ ডায়াবেটিসের লক্ষণ চেনে হাজার হাজার বছর ধরে৷ অতীতে কমবয়সিরাই এই রোগে আক্রান্ত হত৷ লক্ষণ ছিল তেষ্টা আর পেট-জ্বলে-যাওয়া খিদে৷ পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া সত্ত্বেও রোগীরা অপুষ্টিতে মারা যেতো৷

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে কুকুরদের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, ডায়াবেটিক-দের যে পদার্থটির অভাব, সেটির উৎস হল পাকস্থলীর কাছে পরিপাকরস নিঃসরণকারী গ্ল্যান্ড প্যানক্রিয়াস৷ প্যানক্রিয়াস নিঃসৃত নির্যাস দিয়ে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করার প্রচেষ্টা চলে৷ কিন্তু সেই নির্যাস বার করার সময় প্যানক্রিয়াসের পরিপাক এনজাইম-গুলি বাকি সব পদার্থ বিনষ্ট করে ফেলে৷ চূড়ান্ত সমাধানটি দেন ক্যানাডা-র দুই চিকিৎসাবিদ: ফ্রেডেরিক ব্যান্টিং এবং চার্লস বেস্ট৷ তাঁরা ইনসুলিন আবিষ্কার করেন ১৯২০ সালে৷

ইনসুলিনের কল্যাণেই দেহের কোষগুলি খাদ্য থেকে রক্তে যে শর্করার অণুগুলি ঢোকে, তা শুষে নিতে পারে৷ শর্করার অণু থেকে শরীরের যাবতীয় প্রক্রিয়া তাদের জ্বালানি পায়৷ ইনসুলিন না থাকলে দেহের কোষগুলি বাস্তবিক না খেয়ে মরে – তা রোগী যতোই খাদ্য গ্রহণ করুক না কেন৷ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ব্যাপক হানি ঘটে৷ ব্যান্টিং ও বেস্ট মৃত পশুর প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন সংগ্রহ করেছিলেন৷ সেই ইনসুলিন দিয়ে তাঁরা প্রথমে পশুর ও পরে মানবের শরীরে সফলভাবে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করেন৷ মৃত পশুর প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন বার করা ছিল যেমন কঠিন তেমনই ব্যয়সাপেক্ষ৷

সস্তার ওষুধ

গত শতাব্দীর আশির দশকের আগে সস্তায় ইনসুলিন উৎপাদনের কোনো প্রক্রিয়া আবিষ্কৃত হয়নি৷ সেই সময় ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুতে মানুষের ইনসুলিন জিনটি ঢুকিয়ে নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে ইনসুলিন উৎপাদন করা হয়৷ কাজেই ইনসুলিনই প্রথম ওষুধ, যা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে উৎপাদন করা হয়েছে৷ ইনসুলিনের কল্যাণে ডায়াবেটিসের রোগীরা আজ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন৷

অথচ সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলেছে৷ এর কারণ হল বেশি খাওয়া ও কম দৌড়ঝাঁপ বা হাঁটাচলা করা৷ যার ফলে ডায়াবেটিস আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গী হয়ে উঠেছে৷ সারা বিশ্বে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন৷ তবে খাওয়াদাওয়া ঠিক রাখলে আর নিয়মিত ব্যায়াম করলে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ