ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেশি, বিচারের তৎপরতা কম
হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৭ জানুয়ারি ২০২২
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ উঠেছে বউ পেটানো ও হত্যার হুমকির৷ তারপরও তিনি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে৷
বিজ্ঞাপন
মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান বৃহস্পতিবার ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান৷ তার অভিযোগ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান তাকে ও তার সন্তানদের মারধর ও হত্যার হুমকি দিচ্ছেন৷ ফোন পেয়ে পুলিশ তাদের ধানমন্ডির বাসায় যায়৷ কিন্তু ততক্ষণে মুরাদ হাসান বাসা ছেড়ে চলে গেছেন৷ এরপর তার স্ত্রী একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন৷ জিডিতে তিনি বলেন, তাদের ১৯ বছরের বিবাহিত জীবন৷ তাদের একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে৷ তার স্বামী সাম্প্রতিক সময়ে তাকে এবং তার সন্তানদের কারণে-অকারণে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছেন৷ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে তিনটার দিকে একইভাবে তাকে ও তার সন্তানদের গালাগাল করেন এবং মারধরের চেষ্টা করেন৷ এরপর তিনি (ডা. জাহানারা এহসান) ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন৷ কিন্তু পুলিশ আসার আগেই মুরাদ হাসান বের হয়ে যান৷
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ‘‘আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি৷ আমার স্বামী যে-কোনো সময় আমার এবং আমার সন্তানদের ক্ষতি করতে পারে৷’’
আমরা যাওয়ার আগেই তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান: সাইফুল ইসলাম
জিডির তদন্ত করছেন ধানমন্ডি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত মুরাদ হাসানকে গ্রেপ্তার বা জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা নেই৷ আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করছি৷ এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবো৷ তখন যদি মনে হয় অপরাধ মামলার মতো, তাহলে মামলা হবে৷ আর গ্রেপ্তারের প্রশ্ন তখন আসবে৷ আমরা তখন প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে তাকে গ্রেপ্তারে উদ্যোগী হবো৷’’
জিডির ভিত্তিতে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি সেনসিটিভ৷ আর আমরা যাওয়ার আগেই তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান৷’’
যে ধরনের অপরাধ তাতে সরাসরি মামলা না নিয়ে কেন জিডি নেয়া হলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘তার স্ত্রী মামলা করতে চাননি, তাই আমরা জিডি নিয়েছি৷’’ তবে চেষ্টা করেও এ বিষয়ে মুরাদ হাসানের স্ত্রীর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি৷
স্পষ্ট যে মুরাদ হাসান আইনের সুবিধা পাচ্ছেন: ওমর ফারুক ফারুকি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য এবং একজন চিত্র নায়িকাকে টেলিফোনে ধর্ষণের হুমকি দেয়ার অডিও ফাঁস হওয়ার পর মুরাদ হাসান প্রধানমমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৭ ডিসেম্বর পদত্যাগে বাধ্য হন৷ এরপর তিনি ক্যানাডা যাওয়ার চেষ্টা করলেও সেদেশে ঢুকতে না পেরে দেশে ফেরত আসেন৷ এরপর দেশের অন্তত ৩০ টি জেলার আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন হয়৷ কিন্তু সব মামলাই খারিজ হয়ে যায়৷ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালেও তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিলেন দুই আইনজীবী৷ কিন্তু আদালত দুটি মামলাই খারিজ করে দিয়েছেন৷
ঢাকার আদালতের দুটি মামলার একটির বাদী ছিলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকি৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আদালত বলেছেন, মুরাদ হাসানের বক্তব্যে আমি নিজে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত না৷ এই কারণে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন৷’’ তবে তার কথা, ‘‘এর আগে সারাদেশে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, মাহফুজ আনাম ও মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷ তখন আদালত মামলা নিয়েছেন৷ কিন্তু এখন নিচ্ছেন না৷ তাতে স্পষ্ট যে মুরাদ হাসান আইনের সুবিধা পাচ্ছেন৷ আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে না৷’’
তিনি জানান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতি ৬৪ জেলায়ই মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ অনেক জেলায় মামলা হয়েছে৷ আবার পরিস্থিতি দেখে অনেক জেলায় মামলা করাও হয়নি৷
তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব সংদদেরও: ইশরাত হাসান
মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকার শহবাগ থানায়ও একটি মামলা করা হয়৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুলিয়াস সিজার তালুকদার মামলাটি করেছিলেন ৭ ডিসেম্বর৷ কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, ‘‘আমরা ওই ছাত্রের অভিযোগকে মামলা হিসেবে নেইনি৷ আবেদন হিসেবে নিয়েছি৷ ওই আবেদনের ওপর এখন কোনো তদন্ত হচ্ছে না৷ আমরা ডিএপির জিজিটাল নিরাপত্তা আইন সেলে আবেদনটির ওপর মতামত চেয়েছি৷ এখনো মতামত পাইনি৷ মামলা করার পক্ষে মতামত এলে মামলা হবে৷’’
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, ‘‘মুরাদ হাসান নারীদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তাতে পুরো নারী সমাজেরই অপমান, অবমাননা হয়েছে৷ সুতরাং যে কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করতে পারেন৷ এখানে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো বিষয় নেই৷ নিম্ন আদালত মামলা না নিলে উচ্চ আদালতে যাওয়া যায়৷ আর নারী সংগঠনগুলোও তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে৷ এখানে সরকার ও রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব আছে৷ পুলিশ সরাসরি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে৷ তিনি একজন সংসদ সদস্য৷ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব সংদদেরও৷’’
মুরাদ হাসানের স্ত্রীর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘তিনি যে অভিযোগ করেছেন তাতে অপরাধ সংঘটন হয়ে গেছে৷ এখানে মামলা হবে৷ জিডি তখনই হয় যখন অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকে৷ আর পুলিশ মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে৷ কিন্তু এই ক্ষেত্রে মুরাদ হাসানকে সুবিধা দেয়া হয়েছে৷”
সামাজিক শিষ্টাচার কমছে, রোধের উপায় কী?
বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে যেন ভালো ব্যবহার করার অভ্যাস দিন দিন কমছে৷ কথায় কথায় অন্যকে ছোট করতে পারার মনোভাব দেখা যাচ্ছে৷ কেন এমন হচ্ছে, পরিবর্তন আনার উপায় কী?
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের একজন দায়িত্বশীল প্রতিমন্ত্রী নারীদের জড়িয়ে যেসব কথা বলেছেন, ওনার পদ-পদবি থেকে এ ধরণের কথা কখনোই গ্রহণযোগ্য না৷ আসলে আমাদের যে নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে, সেটার প্রতিফলন আমরা এখন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দেখতে পাচ্ছি৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
অনেকেই এমন, শুধু প্রমাণের অভাব
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হুমায়রা রেজওয়ানা বলেন, ‘‘মেয়েরা একা চলতে ভয় পায়৷ কিছুক্ষেত্রে মেয়েরা এমনভাবে উত্যক্তের শিকার হয়, যা সাধারণত প্রকাশ্যে আসে না৷ গণপরিবহণে শারীরিক নিগ্রহ, মানুষের বাজে চাহনি, হঠাৎ করে ইচ্ছাকৃত ধাক্কা- এসব হরহামেশা ঘটে৷ কেউ কেউ প্রতিবাদ করেন, তবে অনেকেই চেপে যান৷ এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে প্রমাণ চান সবাই৷ ব্যাপারগুলো এত দ্রুত ঘটে যে কিছু বুঝার আগেই অপরাধী ভিড়ে হারিয়ে যায়৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
‘আগের ধর্মীয় সম্প্রীতি এখন কি আছে?’
ঢাকার মিরপুরের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘‘বাপ-দাদাদের আমলে আমরা সব ধর্মের মানুষ ভাইয়ের মতন এক সাথে থাকসি, পড়সি, চলাফেরা করসি৷ এখন মাঝেমাঝেই শুনি জঙ্গি হামলা, মন্দির ভাঙসে, মূর্তি ভাঙসে, মানুষ মারা গেসে- এইসব৷ এত এত মিডিয়ার কারণেই হোক আর যা-ই হোক, আমার মনে হয় ধর্ম নিয়া এখন অনেক কিছু চলে যা আমরা সাধারণ মানুষ বুঝি না৷’’
ছবি: bdnews24.com
‘আমরা গরিব, আমাগো কি সম্মানের দাম আছে?’
ঢাকার মিরপুর ১২র এক পোশাক কারখানার কর্মী সালেহা আক্তারকে দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরায় একজন নারী হিসেবে কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা স্যার গরিব মানুষ৷ সবারই আমাগো উপর অধিকার আছে৷ মার্কেটে, ফুটপাথে, বাসে সব জায়গাতেই আমরা অসম্মানের শিকার হই৷ আমার মনে হয় বাংলাদেশের সব মাইয়ারাই কম-বেশি এই জিনিস সহ্য কইরাই পথেঘাটে চলাফেরা করে৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মানোই এ দেশে পাপ
ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকেন ঠিকাদার মো. আব্দুস সালাম৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সমাজের একটা বড় অংশ কিন্তু শারীরিক অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী৷ এই দেশে যার পরিবারে একজন প্রতিবন্ধী আছে, সে-ই শুধু বুঝে এর জ্বালা কী৷ অনেকে লোকলজ্জার ভয়ে এমন সন্তানের তো পরিচয়ই দেন না৷ আত্মীয়-স্বজন-পাড়া প্রতিবেশী কেউই বাঁকা কথা শোনাতে ছাড়ে না৷ এই দেশে অসুস্থ তো দূর, সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ হয়ে জন্মানোও পাপ৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
‘মেয়েদের সন্ধ্যার পর বাইরে পাঠাতে ভয় পাই’
ঢাকার নাখালপাড়ায় পরিবার নিয়ে বাস করেন ফারহানা ইয়াসমিন৷ তিনি বলেন, ‘‘অবস্থা এখন এমন হয়েছে যে আমরা মেয়েদের সন্ধ্যার পর বাইরে পাঠাতে ভয় পাই৷ দেখা যায়, টিউশনি বা এ রকম জরুরি কিছু থাকলেও আমরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগি কী করবো সেটা নিয়ে৷ ছেলেমেয়েরা যখন এ রকম হেনস্থার শিকার হয়, তখন তাদের সৃজনশীলতাসহ যাবতীয় কাজকর্মে এসবের বাজে প্রভাব পড়ে, যা কখনোই কাম্য না৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
‘আমার নিজের হেল্পারই বেয়াদবি করসে’
ঢাকার আব্দুল্লাহপুর-মতিঝিল রুটে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসের চালক সোহেল রানা বলেন, ‘‘রাস্তাঘাটে চলাফেরা করি, অনেক ন্যায়-অন্যায়ই চোখে পড়ে৷ আমগো সামর্থ্য কম, তাই ইচ্ছা থাকলেও কিছু করতে পারি না৷ বাইরের কথা কী কমু, আমারই এক হেল্পার মেয়ের লগে অসম্মানি আচরণ করতো৷ কী আর কমু কন?’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
পরিবর্তন কবে আসবে জানা নেই
ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট উম্মে কুলসুম বলেন, ‘‘নারীর প্রতি হেনস্থা বা কটু মন্তব্য ছুঁড়ে দেওয়া খুবই নীচু মন-মানসিকতার লক্ষণ৷ অধিকাংশ পুরুষ মানুষ নারীদের ভোগ্য পণ্যই মনে করে৷ শিক্ষা-অশিক্ষা এ ক্ষেত্রে কোনো ভেদাভেদ তৈরি করতে পারে না৷ বডি শেমিং বলেন আর ইভটিজিং বলেন, সব সূত্র একই সুতোয় গাঁথা৷ এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা থেকে আমরা কবে বের হয়ে আসতে পারবো কেউ জানে না৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
পারিবারিক শিক্ষা
সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থী মো. সাকিবুল হাসান বলেন, ‘‘আমাদের যে আচরণগত বৈশিষ্ট্য, এগুলো মূলত তৈরি হয় পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে৷ নারীদের প্রতি মনোভাব, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ, ভদ্রতাবোধ আপনি যা-ই বলেন না কেন, পারিবারিক শিক্ষাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে৷ তাই আমার মনে হয়, আমাদের অভিভাবকদের এই ক্ষেত্রে আরো বেশি সচেতন হতে হবে৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষায় নম্বর থাকা উচিত
রাজনৈতিক কর্মী আফজাল হোসেন খান বলেন, ‘‘আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল অর্থনৈতিক উপার্জন করার দিকে ধাবিত হচ্ছে, কিন্তু নৈতিকতা বা মূল্যবোধের মূল্যায়ন এখানে তেমনভাবে করা হয় না৷ আমার মনে হয়, অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি নৈতিকতা শিক্ষাও আমাদের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত৷’’
ছবি: Mortuza Rashed/DW
তরুণ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সানজীদা আখতার বলেন, ‘‘নারীর প্রতি যৌন হয়রানি সমাজের হতাশাজনক চিত্র তুলে ধরে৷ বিষয়টি আরো হতাশাজনক হয় যখন দেখি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা এমন মন্তব্য করেন৷ নীতিনির্ধারক পর্যায়ে এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার এখনই সময়৷ তা না হলে নারীর প্রতি কেমন আচরণ করতে হবে, সেক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্ম তার রোল মডেল নির্বাচনে দিশেহারা হয়ে পড়তে পারে৷’’
ছবি: privat
পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম বলেন, বর্তমানে বাবা-মা দুজনই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ছে৷ ফলে পারিবারিক বন্ধন কমে যাচ্ছে৷ ছেলে-মেয়েরা পরিবারের বদলে নিজেদের মতো করে যে-কোনো উৎস থেকে শিখছে, যা অনেক ক্ষেত্রে তাদের ভুল পথে পরিচালিত করে৷ এ থেকে পরিত্রাণের জন্য পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করার পাশাপাশি বাচ্চারা যেন মোবাইল, ইন্টারনেটে অবাধে প্রবেশাধিকার না পায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে৷