দুনিয়া জুড়ে ডিজিটাল তথ্যের প্লাবন৷ কিন্তু এই পাহাড়প্রমাণ তথ্য সংরক্ষণ করা হবে কীভাবে? ক্যালিফোর্নিয়ার দুই তরুণ গবেষক ডিএনএ-র মধ্যে ডাটা ধরে রাখার পদ্ধতি নিয়ে একটি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠা করেছেন৷
বিজ্ঞাপন
তথ্য সংরক্ষণের অভিনব উপায়
04:21
ইউএসবি স্টিক, হার্ড ডিস্ক অথবা কমপিউটার টেপ – ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের সব ডিজিটাল ডাটা স্টোর করার জন্য আমাদের কয়েকশ' কোটি স্টোরেজ মিডিয়া লাগবে৷
৩৩ বছর বয়সি মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিউনজুন পার্ক বলেন, ‘‘কিন্তু ডিএনএ-তে স্টোর করলে, আমাদের প্রত্যেকের শরীরে যে পরিমাণ ডিএনএ আছে, তাতে ঐ সমস্ত তথ্য স্টোর করা যেতে পারে৷''
ঠিক সেটাই করতে চান নাথানিয়েল রকে আর হিউনজুন পার্ক: ভবিষ্যতে তারা বিপুল পরিমাণ ডাটা স্টোর করতে চান ডিএনএ-তে৷ সেটা যে ঠিক কিভাবে করবেন, তা তারা বলতে রাজি নন – শুধু এটুকু যে, এনজাইমের সাহায্যে তারা ডিএনএ-র ‘স্ট্র্যান্ড' বা ফিতেগুলোর একক উপাদানগুলোকে অন্যভাবে সাজাতে চান, যাতে সেই নতুন সিকোয়েন্সের একটা বিশেষ অর্থ দাঁড়ায়৷
টিউবের মধ্যে রবার্ট ফ্রস্টের কবিতা
ক্যাটালগ টেকনোলজিস-এর মলিকিউলার বায়োলজিস্ট নাথানিয়েল রকে বলেন, ‘‘এই টিউবটাতে রবার্ট ফ্রস্টের একটি কবিতা আছে, যার নাম ‘দ্য রোড নট টেকেন'৷ ঠিক এক কিলোবাইট তথ্য৷''
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত অণু ডিএনএ৷ কারণ স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রেই ডিএনএ-র ব্যবহার রয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Gernot Krautberger
ডিএনএ কী?
পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত অণু ডিএনএ যাকে বংশগতির বাহক বলা হয়৷ অর্থাৎ জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে তা এই ডিএনএ-র জিন বিন্যাসের ওপর নির্ভর করে৷
কৃষি
ডিএনএ ও জিন নিয়ে গবেষণা করে নতুন প্রজাতির উন্নত উদ্ভিদ বা ফসল উদ্ভাবন করা সম্ভব৷ বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা যেমন পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন৷ এর ফলে পাটের নতুন ও উন্নত জাত আবিষ্কার সম্ভব হবে৷ এছাড়া প্রায় পাঁচ শতাধিক উদ্ভিদের বিধ্বংসী রোগ সৃষ্টিকারী ছত্রাকের জীবনরহস্যও আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা৷
ছবি: DW
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা
জিন প্রকৌশল এর মাধ্যমে বন্যা, খরা ও লবণ সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করা যায়৷ বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ধানের এ ধরনের কিছু জাত উদ্ভাবিত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাণিজ্য বাড়াতে
বাংলাদেশ প্রতি বছর চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে৷ তবে মাঝেমধ্যে রপ্তানি করা চিংড়ি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়৷ কারণ মাছে ক্ষতিকর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি৷ এ ক্ষেত্রে একটি ডিএনএ ল্যাবরেটরি স্থাপন করে রপ্তানির আগেই চিংড়ির মান পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে৷
ছবি: dapd
খাবার
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর আরেক উদ্ভাবন জিএম খাবার৷ যদিও এর পক্ষ, বিপক্ষ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে৷
ছবি: Imago
রোগ নির্ণয়
ডিএনএ-র বিশেষ পরিবর্তন চিহ্নিত করে বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয় করা যায়৷
ছবি: Fotolia/kasto
পরিচয় শনাক্ত
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রানা প্লাজা ধসে নিহত অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে৷ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ‘ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি-তে এই পরীক্ষা হয়৷ আগুনে নিহত কয়েকজনের পরিচয়ও এভাবে শনাক্ত করা হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
অপরাধী চিহ্নিত
উন্নত বিশ্বে অপরাধী চিহ্নিত করতে ডিএনএ বিশ্লেষণ এখন প্রায় নিয়মিত এক ঘটনা৷
ছবি: Fotolia/GrafiStart
পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নিরূপণ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নিরূপণে এখন পর্যন্ত ৯০৬টি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে সরকারি হিসেবে জানা গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ওষুধ শিল্প
ফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক চাকরিই সবচেয়ে আকর্ষণীয়৷ বিশেষ করে ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা বাড়াতে জীবপ্রযুক্তিকে অন্যতম প্রধান অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Gernot Krautberger
10 ছবি1 | 10
সলিউশনটায় নাকি ঐ কবিতার লক্ষ লক্ষ কপি আছে৷ সেটা কীভাবে হয়, তা জানালেন রকে৷ বললেন, ‘‘কবিতার প্রথম লাইনটি হলো, ‘টু রোডস ডাইভার্জড ইন দ্য ইয়েলো উড'৷ প্রত্যেকটি অক্ষর, এমনকি দু'টি অক্ষরের মধ্যে স্পেস বা ফাঁকা জায়গাটার জন্য একটি আট ঘরের নম্বর আছে৷ আমরা সেই নম্বরটাকে ডিএনএ-তে এনকোড করি৷ কাজেই আমরা জিরো আর ওয়ান-এর এই পঙক্তিগুলোকে এ-জি-সি-টি-এ-র পঙক্তিতে বদলে নিই৷ আপাতত আমরা এই ‘ম্যাপিং' করার সফটওয়্যার তৈরি করছি৷ তারপর আমরা সত্যিই ডিএনএ-টা তৈরি করি৷''
প্রশ্ন হলো, ডিএনএ কি সত্যিই এই তথ্য বহণ করছে? ‘‘হ্যাঁ, ডিএনএ সেই তথ্য বহণ করছে'', বললেন রকে৷ ‘‘কাজেই আমরা ওটাকে স্টোর করতে চাই৷ কিন্তু সেই তথ্য যদি আবার ফেরৎ পেতে চান, মানে ‘রিট্রিভ' করতে চান? সেটা কীভাবে করবেন? তখন সেটাকে সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠাতে হবে৷ অবশ্য নিজের সিকোয়েন্সার থাকলে নিজেই করা যায়৷ সিকোয়েন্সিংয়ের সময় আবার পুরোটা এ, জি, সি, টি ইত্যাদিতে ডিকোড হয়ে যায়৷ ঠিকমতো এনকোড করা হয়ে থাকলে, গোড়ায় যে ডিএনএ-র পঙক্তিটা ছিল, শেষেও সেই ডিএনএ-র পঙক্তিটা পাওয়া যাবে৷''
ম্যামথের জেনোম
এই পদ্ধতির নাকি অনেক সুবিধা আছে৷ রকে জানালেন, ‘‘স্টোরেজ ক্যাপাসিটি, স্বল্প পরিসরে বিপুল পরিমাণ তথ্য স্টোর করা যায়৷ এছাড়া নির্ভরযোগ্যতা: ডিএনএ হিমায়িত করে রাখলে তা বহুদিন টেকে, চাই কি হাজার হাজার বছর! তাই আমরা বরফে জমে থাকা পশমি ম্যামথের জেনোম ৬০ হাজার বছর পরেও সিকোয়েন্স করতে পারি৷ তৃতীয়ত, বহণযোগ্যতা, কেননা, ডিএনএ কপি করাটা সত্যিই খুব সহজ৷''
বাংলাদেশে ডিএনএ পরীক্ষা: সাফল্য, হতাশা
বাংলাদেশে এখন ডিএনএ পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে৷ সম্প্রতি রানা প্লাজা ধসে নিহত অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে৷ তবে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি এখনও৷ এই নিয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Fotolia/Vasiliy Koval
আগুনে পোড়া মরদেহ শনাক্ত
২০১২ সালের নভেম্বরে ঢাকার আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় আগুনে প্রাণ হারায় কমপক্ষে ১১২ কর্মী৷ নিহতদের অনেকের মরদেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে স্বাভাবিকভাবে তাদের শনাক্ত সম্ভব ছিল না৷ পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP
ভবন ধসে নিহতদের শনাক্ত
ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহতদের শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে৷ ২০১৩ সালের এপ্রিলে ভবন ধসে প্রাণ হারায় এক হাজারের বেশি মানুষ, যাদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক৷
ছবি: Reuters
২০০ জনকে শনাক্ত
ভবন ধসে নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় স্বাভাবিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি, তাদের মধ্য থেকে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২০০ জনের পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়েছে৷ তবে এখনও ১১২টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়নি৷
শুধু ভবন ধস বা আগুনে পুড়ে নিহতদের শনাক্ত নয়, হত্যাকাণ্ডেদর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তেও এখন বাংলাদেশে ব্যবহার হচ্ছে ডিএনএ প্রযুক্তি৷ গত বছর এক কিশোরীর বিরুদ্ধে তার বাবামাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়৷ এক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কিশোরীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Fotolia/GrafiStart
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির যাত্রা শুরু করে ২০০৬ সালে৷ প্রতিষ্ঠার পর এই ল্যাবরেটরিতে কয়েক হাজার মানুষের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে৷ বাংলাদেশে ডিএনএ পরীক্ষার মূল কেন্দ্র এই ল্যাবরেটরি৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: picture-alliance/dpa
চাঞ্চল্যকর মামলার ডিএনএ টেস্ট
ডিএনএ ল্যাবরেটরির প্রধান অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান জানান, বিডিআর বিদ্রোহে নিহত ৪ সেনা কর্মকর্তাসহ অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে তাঁর ল্যাবরেটরিতে৷ তবে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার এবং মেহেরুন রুনির হত্যাকারীদের শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের সুযোগ পায়নি এই ল্যাব৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
টেস্টের নামেই কেটে গেছে ২ বছর
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকারীদের শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার নামে দু’বছর সময় কাটিয়ে দিয়েছে ব়্যাব৷ তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার পর ব়্যাব হত্যাকারীদের শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু নমুনা পাঠায়৷ কিন্তু দু’বছর পরও সেসব নমুনার ভিত্তিতে হত্যাকারী শনাক্ত সম্ভব হয়নি৷
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan
‘বাংলাদেশেই সম্ভব’
ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির প্রধান অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা বাংলাদেশেই সম্ভব৷ ব়্যাব অবশ্য তখন বাংলাদেশে পরীক্ষা সম্ভব নয় দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রে আলামত পাঠায়৷
ছবি: dapd
ডিএনএ নমুনা নষ্ট করলে শাস্তি
আগুনের পোড়া কিংবা পচে যাওয়া মরদেহ শনাক্ত থেকে শুরু করে অপরাধী শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় গত বছর একটি নতুন আইন অনুমোদন হয়েছে বাংলাদেশে৷ ‘ডি-অক্সি-রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) আইন, ২০১৩ সালের আওতায় ডিএনএ নমুনা নষ্ট করলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Vasiliy Koval
10 ছবি1 | 10
কিন্তু এখনও পর্যন্ত এসবই কল্পনাবিলাস৷ নিজেদের গবেষণা থেকে এরা দু'জন তাদের বায়োটেক স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠা করেছেন৷ প্রত্যেক সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়কদের বোঝাতে হয়, কাজ কতটা এগিয়েছে৷ রকের কথায়, ‘‘... ভালো খবর হলো, আমরা আমাদের প্রথম কিলোবাইট এনকোড করেছি৷''
সাফল্য বৈকি – যদিও মাইক্রোসফ্টের মতো প্রতিযোগীরা ইতিমধ্যেই এর চেয়ে বেশি ডাটা স্টোর করতে পেরেছে৷ কিন্তু মাইক্রোসফটের পদ্ধতিটা খুবই ব্যয়সাপেক্ষ বলে এই তরুণ বিজ্ঞানীদের ধারণা, কেননা, ঐ পদ্ধতিতে প্রতিবার একক উপাদানগুলি থেকে নতুন করে ডিএনএ সৃষ্টি করতে হয়৷ রুবিক'স কিউব করতে গিয়ে যদি প্রতিবার নতুন নতুন কিউব ঢুকিয়ে নকশাটা তৈরি করতে হতো, তাহলে যেমন হতো৷
রকে জানালেন, ‘‘আমাদের পদ্ধতিটা আলাদা: আমরা এক পর্যায়ে প্রিফ্যাব্রিকেটেড ডিএনএ তৈরি করি৷ সে সব ডিএনএ-ই এক এবং অর্থহীন৷ পরে আমরা এনজাইম ব্যবহার করে সেই ডিএনএ-কে আমরা যে মেসেজ এনকোড করতে চাই, সেই মেসেজে পরিণত করি৷''
এই পন্থা অনেক বেশি সস্তা, কিন্তু আগে বিনিয়োগকারীদের সেটা বোঝাতে হবে, কেননা, সান ফ্রান্সিস্কোতে বাস করে গবেষণা করাটা খুব সস্তা নয়!