প্রফেশনাল ক্যামেরার বিক্রি নাকি পড়তির দিকে৷ আর এজন্য কেউ কেউ দায়ী করছেন স্মার্টফোনকে, বিশেষ করে আইফোনের নতুন সংস্করণ সেভেন প্লাসকে৷ কিন্তু ডিএসএলআর-এর সঙ্গে কি আইফোনের তুলনা চলে? চলুন দেখি৷
বিজ্ঞাপন
আইফোন সেভেন প্লাসের প্রশংসা শুনতে শুনতে ক্লান্ত এক ইউটিউবার নিজের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিলেন৷ একদিকে আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণ, অন্যদিকে একটি নাইকন ডিএসএলআর ক্যামেরা৷ সাতটি ভিন্ন ধরনের পরীক্ষার পর তিনি যে সিদ্ধান্ত পৌঁছালেন তা আপনাকে বিস্মিত করবে৷
আইফোন সেভেন প্লাসে পেছনের অংশে রয়েছে দু'টি ক্যামেরা৷ অ্যাপল এমনভাবে ক্যামেরা দু'টি বসিয়েছে যাতে ছবি বা ভিডিও করার সময় এগুলো একত্রে কাজ করে৷ তাই পোট্রেট মোডে ছবি তুললে ডেপথ এখন বোঝা যায় চমৎকারভাবে৷ আর সুযোগ থাকছে আগের চেয়ে অনেক বেশি ডিজিটাল জুম করার এবং সেটা ছবির কোয়ালিটির মান খারাপ না করেই৷ ভিডিও করার ক্ষেত্রেও গভীরতা এবং উজ্জ্বলতা আগের চেয়ে বেড়েছে, এমনকি কম আলোতেও এখন চমৎকার ছবি তোলা যায় আইফোন ব্যবহার করে৷
অবশ্য আইফোনের ক্যামেরা যে সবক্ষেত্রে নাইকনের চেয়ে ভালো সেটা ভাবার কারণ নেই৷ বরং এর রয়েছে কিছু সীমাবদ্ধতাও৷ সেসব জানতে দেখুন ভিডিওটি৷
এআই/ডিজি
আইফোন নিয়ে কিছু মজার তথ্য
আধুনিক এবং বিশ্বব্যাপী আলোচিত এই স্মার্টফোন অ্যাপল-এর ৬৩ শতাংশ আয়ের উৎস৷ আইফোন সম্পর্কে আরো কিছু মজার তথ্য পাবেন এখানে৷
ছবি: picture alliance/AP Images/P. Sakuma
এটা ঠিক: ‘পার্পেল’
আইফোন তৈরির প্রাথমিক স্তরে, যখন বিভিন্ন আইডিয়া বিবেচনা করা হচ্ছিল, তখন অ্যাপল এই প্রকল্পের সাংকেতিক নাম দেয় ‘পার্পেল’৷ অ্যাপল-এর এক সাবেক নির্বাহী জানান, পার্পেল টিমের অফিস অনেকটা কলেজ ডর্মের মতো ছিল৷ সেখানে পিৎসার গন্ধ থেকে শুরু করে ‘ফাইট ক্লাবের’ নিয়মকানুন সবই ছিল৷
ছবি: picture alliance/AP Images/P. Sakuma
সঠিক সময় প্রদর্শন
স্টিভ জবস ২০০৭ সালের ২৯শে জুন সকাল ৯:৪২-এ প্রথম আইফোন জনসম্মুখে প্রকাশ করেন৷ মজার ব্যাপর হচ্ছে, ‘আই গড’ জবসের পেছনে প্রদর্শিত আইফোন-এর ছবিতে ঠিক এই সময়টাই প্রদর্শন করা হয়েছিল তখন৷ অ্যাপল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সময়ের ব্যাপারে এই সচেতনতা দেখিয়েছে৷ তবে ২০১০ সালে আইপ্যাড প্রকাশের সময় এক মিনিট এগিয়ে গিয়েছিল তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Mabanglo
পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি
প্রথম আইফোন-এর দাম ছিল ৫৯৯ মার্কিন ডলার৷ তবে সেসময় আইফোন-এ যেসব কাজ করা যেত তা নব্বইয়ের দশকে করা যায় এমন ডিভাইসগুলো কিনতে গেলে খরচ পড়তো ৩,০০০ মার্কিন ডলার৷ এটা একইসঙ্গে ছিল কম্পিউটার, সিডি প্লেয়ার, ফোন এবং আনসারিং মেশিন৷ অ্যাপল যদি গত দশকের বদলে নব্বইয়ের দশকে আইফোন বানানোর চেষ্টা করতো, তাহলে একটি ফোনের পেছনেই খরচ হতো তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
ছবি: colourbox
আপনি মনে করছেন স্ক্রিনে চিড় ধরেছে?
অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে পকেট থেকে ফোন নিতে গিয়ে, কিংবা আঙুলের ফাঁক গলে পড়ে গিয়ে আইফোন-এর পর্দায় চিড় ধরতে পারে৷ তবে আপনি কি কখনো ১৩,৫০০ ফুট উপর দিয়ে আপনার ফোনটা নীচে ফেলেছেন? এক স্কাইডাইভার কাজটি করেছেন৷ তারপরও সেই আইফোন দিয়ে কল করা যেত৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
আইপ্যাড গড়তে গিয়ে আইফোন
গত দশকের শুরুর দিকে অ্যাপল একটি ভার্চুয়াল কি-বোর্ডযুক্ত ট্যাবলেট কম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা করে৷ সেসময় অ্যাপল-এর ইঞ্জিনিয়াররা তাদের ফোনের উপর বিরক্ত ছিল৷ সেই বিরক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে আইডিয়াটা মাথায় আসে৷ আইপ্যাড-এর বদলে ছোট আকারে একই সুবিধাসম্পন্ন ফোন চালু করলে কেমন হয়? এভাবেই আসে আইফোন-এর ধারণা৷
ছবি: Getty Images/Feng Li
অসংখ্য আইফোন
২০০৭ সালে মানুষের জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা আইফোন বাজারে ছাড়ার পর এখন পর্যন্ত প্রায় নয়শ’ মিলিয়ন আইফোন বিক্রি করেছে অ্যাপল৷ কিন্তু চীনের অর্থনীতিতে অস্বস্তি আইফোন-এর বিক্রিতে প্রভাব ফেলার আশঙ্কা তৈরি করছে৷
ছবি: DW/M.Bösch
‘লাভ-হেইট’ সম্পর্ক
অ্যাপল এবং স্যামসাং-এর মধ্যকার বৈরী সম্পর্কের কথা কারো অজানা নয়৷ এমনকি সিরিও জানে তা৷ এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই পেটেন্ট ইস্যুতে চলছে মামলা-মোকদ্দমা৷ তবে এক জায়গায় তারা কিন্তু মিত্র৷ জনশ্রুতি রয়েছে স্যামসাং-এর তৈরি কম্পিউটার চিপ হচ্ছে আইফোন-এর চালিকাশক্তি৷