৩২ বছর আগে জার্মানি আর অস্ট্রিয়া পারস্পরিক সাজশে গ্রুপ স্টেজের খেলায় ১-০ ফলাফল করে আলজেরিয়াকে বাদ দিয়ে নিজেরা প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে৷ এতদিনে ডিজন-এর সেই ‘‘ষড়যন্ত্রের’’ প্রতিশোধ নেবার সুযোগ পাচ্ছে আলজেরিয়া৷
বিজ্ঞাপন
তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি প্রথমেই পর্তুগালের বিরুদ্ধে ঝলসে উঠে তারপর ঘানার বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করে৷ তারও পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিরুদ্ধে খেলাতে জার্মানদের ব্রহ্মাস্ত্র টোমাস ম্যুলার দলকে ১-০ গোলে জিতিয়ে দিয়েছেন বটে, কিন্তু সব মিলিয়ে জার্মানরা যে ঠিক হবু চ্যাম্পিয়নের মতো খেলেছে, এ কথা তাদের অতি বড় মিত্রও বলবে না৷
ল্যোভের সমস্যা কি শুধু একটা?
প্রথমে তো ক্যাপ্টেন ফিলিপ লামকে বাঁ দিকের ডিফেন্স থেকে তুলে এনে তাঁকে ফরোয়ার্ড আর ডিফেন্সের মধ্যে যোগসূত্র করে রাখার উর্বর পরিকল্পনাটি কতটা সফল হয়েছে, তা বলা শক্ত৷ লামকে আজও-ইনজুরি-থেকে-পুরোপুরি-সেরে-না-ওঠা সামি খেদিরার সঙ্গে জুটি বাঁধতে বাধ্য করে বিশেষ কোনো লাভ হয়নি৷ ওদিকে মেসুত ও্যজিল যে কেন এত ম্রিয়মান, তা শুধু তিনি একাই জানেন৷ আশার কথা, বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার মাঠে ফিরেছেন তাঁর পুরো ব্যক্তিত্ব ও অভিজ্ঞতা নিয়ে৷ কিন্তু তাঁকে গোড়া থেকে খেলানো ডাক্তারি দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা সমীচিন হবে, তা শুধু জার্মান ডাক্তার ম্যুলার-ভোলফার্টই বলতে পারবেন এবং কোচ ইওয়াখিম ল্যোভকে বলেছেনও নিশ্চয়৷ আবার ঐ ম্যুলার-ভোলফার্টই নিশ্চয় লুকাস পোডোলস্কি সম্পর্কে বলেছেন, ওর যা থাইয়ের চোট, তা-তে ওকে খেলানোর কথা ভুলে যান৷
পুরনো কাসুন্দি
আসল কথা হলো, আলজেরিয়া যতই ‘‘প্রতিশোধ'' নেবার স্বপ্ন দেখুক না কেন, হালের বিশ্বকাপ জেতার এক ফেবারিট জার্মানির বিরুদ্ধে তাদের বানের মুখে কুটোর মতো ভেসে যাওয়া কথা৷ মজার কথা, সাম্প্রতিক ইতিহাসে ‘‘মরুভূমির শৃগালদের'' সঙ্গে জার্মানির মোলাকাত হয়েছে সাকুল্যে দু'বার – ১৯৬৪ সালের একটি ফ্রেন্ডলিতে এবং ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে, যখন গ্রুপ পর্যায়ের খেলায় আলজেরিয়া জার্মানিকে হারায় ২-১ গোলে, যার পরেই আসে ‘‘ডিজন-এর লজ্জা''৷ এবার আলজেরিয়ার কাঁধে সারা আরব দুনিয়ার আশা৷ আলজেরিয়া স্বয়ং সে আশা উস্কে দিয়েছে গ্রুপ পর্যায়ে রাশিয়ার সঙ্গে ড্র করে এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-২ গোলে নস্যাৎ করে – সেটা আবার ঘটে পোর্তো আলেগ্রোর এই বায়রা রিও স্টেডিয়ামেই, যেখানে আজ আলজেরিয়া-জার্মানি মোলাকাত৷
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
বিশ্বকাপ জয়ের জন্য জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ ২৩ জন খেলোয়াড় নিয়ে এখন ব্রাজিলে৷ জার্মান দলে পরিচিত মুখ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে কিছু নতুন মুখও, যাঁরা চমক দেখাতে পারেন৷ এই ছবিঘরে পাবেন তাঁদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য৷
ছবি: Lennart Preiss/Bongarts/Getty Images
মানুয়েল নয়ার
সেই ২০১০ সালের বিশ্বকাপ থেকেই জার্মানির এক নম্বর গোলরক্ষক হিসেবে রয়েছেন নয়ার৷ অবশ্য ঘাড়ে ইনজুরির কারণে চলতি বিশ্বকাপের আগে তাঁর ফিটনেস নিয়ে খানিকটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল৷ তবে আশার কথা হচ্ছে, তিনি সেরে উঠেছেন৷ জাতীয় দলের হয়ে ৪৫ বার মাঠে নেমেছেন নয়ার৷
ছবি: Patrik Stollarz/AFP/Getty Images
রোমান ভাইডেনফেলার
ভাইডেনফেলার জার্মান দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক৷ ক্যামেরুনের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিটই খেলেছেন তিনি৷ তবে জাতীয় দলের পক্ষে এখন অবধি শুধুমাত্র দু’বার খেলার সুযোগ পেয়েছেন ডর্টমুন্ডের এই গোলরক্ষক৷
ছবি: Getty Images
রন-রবার্ট সিলার
বুন্ডেসলিগায় অন্যতম শক্তিশালী গোলরক্ষক হিসেবে বিবেচিত সিলার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত৷ তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে জার্মান দলের সঙ্গে আছেন তিনি৷ বলাবাহুল্য, জার্মান দলের এই অবস্থানটিতেও প্রতিযোগিতা কম নয়৷ কোচ ল্যোভের অবশ্য ২৪ বছর বয়সি সিলারকে দারুণ পছন্দ৷
ছবি: Wagner/Bongarts/Getty Images
পেয়ার ম্যার্টেসাকার
আর্সেনালে চমৎকার একটি মৌসুম পার করা ম্যার্টেসাকার বিশ্বকাপেও ভালো করার আশা রাখছেন৷ ক্যামেরুনের বিপক্ষে অধিনায়কের ‘আর্মব্যান্ড’ পরে মাঠে নেমেছিলেন তিনি৷
ছবি: Reuters
জেরোম বোয়াটেং
ল্যোভের রক্ষণভাগের এক শক্তিশালী খেলোয়াড় বোয়াটেং, যিনি ৩৮ বার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন৷ প্রীতি ম্যাচে লামের অনুপস্থিতি বুঝতেই দেননি তিনি৷ তবে বোয়াটিং মধ্যমাঠেই সবচেয়ে ভালো খেলেন৷
ছবি: Getty Images
মাটস হুমেলস
জাতীয় দলের হয়ে ২৯ বার মাঠে নামা হুমেলস তাঁর সতীর্থদের তুলনায় অভিজ্ঞতার বিচারে হয়ত পিছিয়ে থাকতে পারেন৷ কিন্তু রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে বুন্ডেসলিগায় ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি৷
ছবি: Reuters
বেনেডিক্ট হ্যোভেডেজ
শালকের অধিনায়ক হ্যোভেডেজ দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন৷ ব্রাজিলেও তাঁর ব্যতিক্রম ঘটেনি৷ ‘সেন্টার-ব্যাক’ অবস্থানে সবচেয়ে যোগ্য হ্যোভেডেজ প্রয়োজনে ‘রাইট-ব্যাকেও’ খেলতে পারেন৷ তবে তিনি জাতীয় দলের হয়ে এখন অবধি মাত্র ১৮ বার মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এরিক ডুর্ম
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ভালো করা ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড় ডুর্ম জাতীয় দলে একেবারেই নতুন৷ ক্যামেরুনের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি দিয়ে তাঁর জাতীয় দলে যাত্রা শুরু হয়৷
ছবি: Getty Images
কেভিন গ্রোসক্রয়েৎস
গ্রোসক্রয়েৎসের মতো খেলোয়াড় দলে পেলে যে কোনো ম্যানেজারই খুশি হবেন৷ ডর্টমুন্ডের এই তারকা ‘ডিফেন্ডার’ হিসেবে তো বটেই, মাঠের যে কোনো অবস্থানেই ভালো খেলতে পারেন৷ ফলে জাতীয় দলের ২৩ জনের তালিকায় তাঁর স্থান পাওয়ায় বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই!
ছবি: Getty Images
ফিলিপ লাম
দল এবং দেশের পক্ষে খেলাগুলিতে ফিলিপ লামকে বিভিন্ন অবস্থানে খেলানো হয়েছে৷ তবে ল্যোভের বিবেচনায় ‘রাইট ব্যাক’ অবস্থানের জন্যই সবচেয়ে উপযুক্ত তিনি৷ জাতীয় দলের পক্ষে ১০৫ বার মাঠে নামা লাম এবার তাঁর সাফল্যের তালিকায় বিশ্বকাপ ট্রফিও যোগ করতে চান৷ ৩০ বছর বয়সি এই ফুটবলার জার্মান জাতীয় দলের অধিনায়ক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মাটিয়াস গিন্টার
ফুটবল মাঠে বিভিন্ন পজিশনে খেলতে পারদর্শী মাটিয়াস গিন্টারও কোচ ল্যোভের বিশেষ পছন্দের তালিকায় রয়েছেন৷ জার্মানির ঘরোয়া ফুটবলে চমৎকার একটি বছর কাটিয়েছেন ফ্রাইবুর্গের এই তরুণ খেলোয়াড়৷
ছবি: Getty Images
বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার
জাতীয় দলের হয়ে একশোবার মাঠে নামার সৌভাগ্যবানদের তালিকায় কিছু দিন আগেই নাম লিখিয়েছেন শোয়াইনস্টাইগার৷ মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা এবারের বিশ্বকাপে জার্মানিকে সহায়তা করবে বলে আশা করছেন অনেকেই৷ পাশাপাশি তরুণ খেলোয়াড়দেরও তাঁর কাছ থেকে শেখার আছে অনেক৷
ছবি: Getty Images
ক্রিস্টোফ ক্রামার
মাঠে নিরলস ভাবে দৌঁড়ানো এবং নির্ভুল ‘পাস’ দেয়ার সুনামের অধিকারী ক্রামার পোল্যান্ডের বিপক্ষে চমৎকার খেলেছেন৷ আর ক্যামেরুনের বিপক্ষে শেষের ১৫ মিনিটে তাঁর খেলা ল্যোভের মন জয় করার জন্য ছিল যথেষ্ট৷
ছবি: Getty Images
সামি খেদিরা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এক পর্যায় মাঠ থেকে তুলে নেয়া হয় সামি খেদিরাকে৷ গত নভেম্বরে হাঁটুতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলেন তিনি৷ তবে তিনি দ্রুতই সেরে উঠছেন৷ পুরোপুরি ফর্ম ফিরে পেলে জার্মানির বিশ্বকাপ দৌঁড়ে বড় অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে তাঁর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
টোনি ক্রোস
বায়ার্ন মিউনিখে নিজের ভবিষ্যত কী হবে – সেটা নিয়ে এখন সম্ভবত ভাবছেন না ক্রোস৷ তাঁর চিন্তা এখন শুধুই বিশ্বকাপকে ঘিরে৷ অসাধারণ ‘পাস’ দিতে দক্ষ এই তারকা জাতীয় দলের অন্যতম কাণ্ডারি৷
ছবি: Getty Images
ইউলিয়ান ড্রাক্সলার
ল্যোভের আরেক আবিষ্কার ড্রাক্সলার৷ মধ্যমাঠের আক্রমণাত্মক মেজাজের এই খেলোয়াড়ের বয়স মাত্র ২০ বছর৷ গত মৌসুমে অবশ্য তাঁর খেলায় ছন্দটি ঠিক ছিল না৷ তবে এবার দলের সঙ্গে থেকে যে অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করবেন, তা ভবিষ্যতেও কাজে দেবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শ্কদ্রান মুস্তাফি
বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে মার্কো রয়েসের ইনজুরি যেন মুস্তাফির কপাল খুলে দিয়েছে৷ ২০০৯ সালে উয়েফা অনুর্ধ-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী জার্মান দলের সদস্য তিনি৷ তাঁর বয়স এখন ২২৷
ছবি: Martin Rose/Bongarts/Getty Images
মেসুত ও্যজিল
চলতি মৌসুমের শেষের দিকে খানিকটা নিষ্প্রভ হয়ে যান ও্যজিল৷ তবে শুধুমাত্র একটি মৌসুম দিয়ে ‘পারফর্মেন্স’ বিবেচনা করার মতো খেলোয়াড় তিনি নন৷ জাতীয় দলের হয়ে পঞ্চাশবারের বেশি মাঠে নেমেছেন তিনি৷ চূড়ান্ত বিবেচনায় তাই জার্মান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মেসুত ও্যজিল৷
ছবি: Alexander Hassenstein/Bongarts/Getty Images
মারিও গ্যোটৎসে
সর্বশেষ মৌসুমে ডর্টমুন্ড ছেড়ে মিউনিখে যাওয়ায় খানিকটা সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন গ্যোটৎসে৷ এমনকি পুরাতন ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে নিজের সাবকে ভক্তদেরও মন ভেঙে দিয়েছেন তিনি৷ চলতি বিশ্বকাপে আক্রমণভাগে বেশি দেখা যেতে পারে গ্যোটৎসেকে৷
ছবি: Reuters
আন্দ্রে শ্যুর্লে
জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলেও মাঠে শ্যুর্লের অবস্থান কী হবে – তা এখনো নিশ্চিত নয়৷ কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ তাঁকে আক্রমণভাগে রাখতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
লুকাস পোডোলস্কি
জাতীয় দলের হয়ে ১১২ বার মাঠে নেমেছেন পোডোলস্কি, যা এক রেকর্ড৷ খুব কম খেলোয়াড়ের পক্ষেই এমন রেকর্ড ভাঙা সম্ভব৷ ইদানীং অবশ্য দলের হয়ে মাঠে নামার চেয়ে ‘সাইড বেঞ্চে’ বসে থাকতেই বেশি দেখা যায় তাঁকে৷ তবে যে কোনো সময় জ্বলে ওঠার ক্ষমতা রাখেন পোডোলস্কি৷
ছবি: Getty Images
টোমাস ম্যুলার
জার্মান দলের হয়ে গোল করতে অন্যতম দক্ষ ম্যুলার৷ সতীর্থ ক্লোজের সঙ্গে এক্ষেত্রে তাঁর মিল অনেক৷ জাতীয় দলের হয়ে ৪৭ বার মাঠে নেমে ১৮ গোল করেছেন ম্যুলার৷
ছবি: Getty Images
মিরোস্লাভ ক্লোজে
জাতীয় দলের হয়ে ৬৮টি গোল করা ক্লোজের সামনে দুটি রেকর্ড ভাঙার সুযোগ রয়েছে৷ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডটি রোনাল্ডোর কাছ থেকে নিয়ে নিতে পারেন তিনি৷ আর জার্মানির হয়ে সর্বোচ্চ গোল করে গের্ট ম্যুলারের গড়া রেকর্ডও এবার ভাঙতে পারেন তিনি৷
ছবি: Lennart Preiss/Bongarts/Getty Images
23 ছবি1 | 23
আলজেরিয়ার কোচ ফাহিদ হালিহোজিচ বলেছেন, তাঁর প্লেয়াররা ১৯৮২ সালকে ‘‘ভুলে যায়নি'', যদিও জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভের মতে অতীতের সে ঘটনার আজ আর কোনো প্রাসঙ্গিক তাৎপর্য নেই, কেননা বর্তমান জার্মান দলের অধিকাংশ প্লেয়ারের তখন জন্মই হয়নি৷ অপরদিকে ল্যোভ – সাধারণভাবেই – নক-আউট স্টেজে কোনো প্রতিপক্ষকেই সহজ বলে গণ্য করার বিরুদ্ধে সাবধান করে দিয়েছেন৷ আসল কথা হলো, কোচ হিসেবে ল্যোভকে আশাবাদী হতে হবে বৈকি; যেমন বাস্তববাদী হিসেবে তাঁকে জানতে হবে: (১) এই জার্মান দলের খেলা দেখে কেউ মুচ্ছো যাবে না; (২) ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনাই বা কোনো আকাশের চাঁদ পেড়ে এনেছে? (৩) বড় দলগুলোর সাবধানতার কারণ হলো: ফুটবল খেলাটাকে কোনোদিনই ঠিক ভদ্দরলোক কি বড়লোকদের খেলায় পরিণত করা যাবে না – তা সে ফিফা যতই প্রতি বিশ্বকাপে চার বিলিয়ন ডলার মুনাফা করুক না কেন৷
ফুটবলের জোয়ার-ভাটা
ফুটবল হলো জোয়ার-ভাটার মতো, জল এখন বইছে আবার মোহানার দিকে, ছোট দেশ, ছোট ছোট মানুষ, গলি আর বস্তিতে খালিপায়ের ফুটবলের দিকে – যেখানে বড়রা নাও সামলায় আর ছোটরা অঘটন ঘটায়৷ তাই আজ আলজেরিয়া জার্মানির বিরুদ্ধে, অথবা নাইজেরিয়া ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অঘটন ঘটালে কেউ যেন আশ্চর্য না হন৷
ইউরোপের বিরুদ্ধে আফ্রিকার দিন যে একদিন আসবে, সে তো সবাই জানতো৷