মিরর মানে আয়না, কিন্তু ‘ডিরর' হলো ডিজিটাল মিরর বা ডিজিটাল আয়না, যা দিয়ে নতুন হেয়ারস্টাইল থেকে শুরু করে পরবর্তী অ্যাপয়েন্টমেন্ট পর্যন্ত সব কিছু চেক করে নেওয়া যায়৷ চলে উইন্ডোজ ১০-এ৷ ছ'লাখ অ্যাপ থেকে বেছে নেওয়া যায়৷
বিজ্ঞাপন
এসে গেল ডিজিটাল আয়না
04:24
এ যেন সৌন্দর্যের নন্দনকানন৷ স্টার হেয়ারড্রেসার শান রহিমখানের এই সেলুনটি বার্লিনের জনদার্মেনমার্ক্ট এলাকায়; শহরের হাই সোসাইটি এখানে আসেন করাতে৷ চুল কাটার দোকানে আয়না থাকবে, সে তো জানাই কথা৷ কিন্তু কিছুদিন হলো এখানে একটি ‘ডিরর', মানে ডিজিটাল মিরর বা ডিজিটাল আয়না ঝুলছে৷ টাচস্ক্রিন ও ভয়েস ইনপুট দিয়ে এটা সক্রিয় করা যায়৷ ডিরর-এর প্রথম খদ্দেরদের মধ্যে ছিলেন শান রহিমখান৷ তিনি বলেন, ‘‘খুব সাধারণ সব কাজে লাগতে পারে ডিরর৷ আপনার যদি মনে হয় ‘আমি একটা নতুন হেয়ারস্টাইল ট্রাই করতে চাই', তাহলে নিজের একটা ফটো তুলে তার ওপর পছন্দের ডিজিটাল চুলের ছবি বসিয়ে দেখা যায়, দেখতে কেমন লাগছে৷ একটা খেলা আর কী!''
অ্যানালগ আর ডিজিটাল জগতের ঠিক মাঝখানে এই ডিরর৷ বানিয়েছেন ডানিয়েল-ইয়ান গির্ল৷ ডিরর-কে ওয়াইফাই-এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত করা যায়৷ চলে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে৷
চুল বাঁচানোর ১১ উপায়
কম-বেশি মাথার চুল সবারই পড়ে, যা স্বাভাবিক৷ কিন্তু চুল পড়ে মাথা যদি ধীরে ধীরে মাথা খালি হয়ে যায়, তখন সেটা দুঃখ ও কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ তাই চুল পড়া রোধে বা চুলকে বাঁচাতে কী করবেন জেনে নিন৷
ছবি: picture-alliance/ dpa/M. Gerten
কেন চুল পড়ে?
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে যে, শরীরে প্রোটিন ও ভিটামিনের অভাব থেকে চুল পড়তে পারে৷ কিংবা থাইরয়েডের কোনো সমস্যা, মানসিক চাপ, ডায়েটিং, হরমোনের তারতম্য বা কিছু কিছু ওষুধ সেবনও চুল পড়ার কারণ হতে পারে৷
ছবি: Colourbox
চুল পড়া বন্ধে যা খাবেন
মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম, ডাল ইত্যাদি প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখবেন প্রতিদিনের খাবারের তলিকায়৷ প্রোটিনের অভাব হলে শরীরের মতো চুলের স্বস্থ্যেও কিন্তু বড় ক্ষতি হয়ে থাকে৷
ছবি: Colourbox
চুলে গরম পানি ব্যবহার করবেন না
গরম পানি চুলকে রুক্ষ ও নষ্ট করে৷ তাই কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে, সবশেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলবেন৷ এছাড়া মাথা ঘষে ঘষে মুছবেন না৷ এতে চুলে টান পড়ে এবং চুল ছিড়ে যায়৷
ছবি: Colourbox
প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার
যারা চুলে অতিরিক্ত শ্যাম্পু করেন, তারা কোনোভবেই রাসায়নিক পদার্থ দেয়া শ্যম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না৷ কন্ডিশনারে ওয়াক্স এবং সিলিকন জাতীয় উপাদান থাকে৷ তাই কন্ডিশনার চুলের গোড়ায় না দিয়ে শুধু চুলের ওপর দেবেন৷ কন্ডিশনার চুলের গোড়াকে তৈলাক্ত করে, ফলে মাথার ত্বকে বাতাস ঢুকতে বিঘ্ন ঘটে ৷
ছবি: Colourbox/L. Zahner
স্ট্রেইটনার
কোকড়া বা এলোমেলো চুল সোজা করতে শুধু মেয়েরা নয়, ছেলেরাও স্ট্রেইটনার বা চুলের ইস্তিরি ব্যবহার করেন৷ গরম স্ট্রেইনার যে চুল নষ্ট করে তাতে কোনো সন্দেহ নেই, বিশেষ করে এর নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়তে পারে৷
ছবি: DW/Victor Weitz
হেয়ার ড্রায়ার
চুল ধোওয়ার পর শুকিয়ে ফেলাই চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তবে গরম বাতাসে নয়৷ হেয়ার ড্রায়ারের ঠান্ডা বাতাসে চুল শুকালে চুল পড়া এবং ভাঙার সম্ভাবনা কমে৷
ছবি: Colourbox
জিঙ্ক এবং বায়োটিনযুক্ত খাবার
যাদের মানসিক চাপ বা অন্য কোনো কারণে চুল পড়ে, তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে জিঙ্ক এবং বায়োটিনযুক্ত বা ভিটামিন বি-৬ যুক্ত খাবার খাবেন৷ তবে সেটা কখনোই ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের বেশি না হয়৷ আর হ্যাঁ, মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন এবং হাসিখুসি থাকুন৷ এই পরামর্শ দিয়েছেন জার্মান ত্বক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টফ লিবিশ৷
ছবি: imago/M.Zettler
চুলে রঙের কম ব্যবহার
আগে পাকা চুলকে ঢাকতেই মূলত চুলে রং ব্যবহার করা হতো৷ কিন্তু এ যুগের ছেলে-মেয়েরা মূলত ফ্যাশন করতেই খুব কম বয়স থেকে চুলে নানারকম রঙের ব্যবহার করে৷ চুলের রঙে থাকা রাসায়নিক পদার্থ চুল রুক্ষ করে, এতে চুল ভেঙে যায় এবং পড়তে শুরু করে৷ তাই যতটা সম্ভব চুল কম ‘ডাই’ করবেন৷
ছবি: Fotolia/Subbotina Anna
পেট পরিষ্কার রাখুন
পেট বা অন্ত্র এবং চুলের গোড়া একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত৷ অর্থাৎ পেটের সমস্যাও চুলে প্রভাব ফেলে৷ কাজেই চুলকে বাঁচাতে পেট পরিষ্কার রাখুন৷ তাছাড়া সুস্থ, সুন্দর চুলের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করুন৷
ছবি: Imago/Westend61
খুসকিকে দূরে রাখুন
চুল পরিস্কার রাখতে হবে চুলের গোড়ায় যাতে তৈলাক্ত খুসকি না হয়, কারণ খুসকি হলে মাথা চুলকায় এবং তার ফলেও চুল পড়ে৷
ছবি: Colourbox/Andrey Arkusha
টাক পড়া
ছেলেদের টাক পড়ার কারণ যে খাওয়া-দাওয়া আর চুলের যত্ন না নেয়া নয় – সেটা অনেকেরই জানা৷ সাধারণত মাথায় টাক পড়ে বংশোগত কারণে৷ তবে চুলের সঠিক যত্ন ও এ ব্যাপারে সতর্ক হলে টাক পড়া কিছুটা দীর্ঘায়িত করা যায়৷
ছবি: picture-alliance/ dpa/M. Gerten
11 ছবি1 | 11
এতে নানারকম অ্যাপ্লিকেশনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন বোতাম বা আইকন৷ ডিরর-এ প্রায় ছয় লাখ অ্যাপ আছে৷ তাই ব্যবহারকারীরা তাঁর পছন্দের অ্যাপগুলি বেছে নিয়ে আইকনগুলো বাড়িয়ে-কমিয়ে নিতে পারেন৷ একদম কম্পিউটার, আইপ্যাড বা স্মার্টফোনের মতো৷
ডিরর দিয়ে নিজের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডায়েরি খোলা যায়; রুট প্ল্যান করা যায়; আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখা যায়; এমনকি অনলাইন শপিং-ও করা যায়৷ ডিরর-এর স্রষ্টা ডানিয়েল-ইয়ান গির্ল বলেন, ‘‘ডিরর তো শুধু একটা আয়না নয়, ডিরর আমি নিজে৷ আসলে আমাদের কাছে প্রযুক্তি নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষটা৷ মানে আমি, আমার ব্যক্তিত্ব৷ আমি যখন আয়নায় নিজের মুখ দেখি আর প্রশ্ন করি, ‘আমার দিনটা আজ কেমন যাতে?' তখন আমি ডিরর থেকে নিজের জীবনযাত্রা সম্পর্কে সব রকম খবর পাই৷ তখন আমি সঙ্গে সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নিতে পারি, তৈরি হয়ে নিতে পারি দিনটার জন্য৷''
ইন্টারঅ্যাক্টিভ
তবে শুধু ডিরর-ই যে দৈনন্দিন জীবনে অ্যানালগ আর ডিজিটালের মিলন ঘটিয়েছে, তা নয়৷ ফ্রান্সের ব্লু ফগ রোবোটিক্স কোম্পানি ‘বাডি' নামের একটা রোবট সৃষ্টি করেছে৷ বাডি-ও প্রবীণদের দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করে৷ লন্ডনের ‘ইনামো' রেস্টুরেন্টে অতিথিরা ইন্টারঅ্যাক্টিভ টেবিলগুলিতে যে শুধু খাবারের ফরমায়েশ দিতে পারেন, এমন নয়, সেই সঙ্গে বদলে দিতে পারেন চারপাশটা৷ ডিরর-ও তাই শুধু একটা কাজ নয়, ভবিষ্যতে বাড়ির সমস্ত ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির সুইচবোর্ড হিসেবে কাজ করার উচ্চাশা রাখে৷
ফুটবলের হেয়ারস্টাইল
অনেক ফুটবলার আছেন যাঁরা খেলার পাশাপাশি তাঁদের দেখতে কেমন লাগছে, সেদিকেও বিশেষ নজর দিয়ে থাকেন৷ দর্শকরাও তাঁদের পছন্দের ফুটবলারদের বিভিন্ন রূপে দেখতে পছন্দ করে৷
ছবি: Getty Images
রোনাল্ডো, ব্রাজিল
রোনাল্ডো তাঁর সময়ে শুধু যে খেলা দিয়েই বিশ্বের তাবৎ ফুটবলপ্রেমীর নজর কেড়েছিলেন তা নয়৷ ২০০২ সালের বিশ্বকাপে রোনাল্ডোর এই হেয়ারকাট সবাইকে বিস্মিত করেছিল৷ পরবর্তীতে অনেকেই রোনাল্ডোর এই স্টাইল অনুসরণ করেছিলেন৷ নেইমারও ছিলেন সে দলে৷
ছবি: imago/Ulmer
রোব্যার্তো বাজ্জো, ইটালি
বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন এই প্লেমেকার এবং ফ্রি-কিক বিশেষজ্ঞ রোব্যার্তো বাজ্জো৷ তাঁর নাম একসময় বিশ্বকাপের স্বপ্নের দলেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল৷ তবে বাজ্জোর আরেক পরিচয় তাঁর চুলের স্টাইলের জন্য৷ ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় ‘দ্য ডিভাইন পনিটেল’ বাজ্জোর সঙ্গে ছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb
রোমানিয়ার জাতীয় দল
১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ব্রিটেনকে হারানোর পর টিউনিশিয়ার সঙ্গে খেলার পূর্বে রোমানিয়ার ফুটবলাররা সবাই চুলের রং সোনালি করেছিলেন৷ আশা ছিল ‘ব্লন্ড’ চুল তাঁদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে৷ কিন্তু গ্রুপ পর্ব পেরোলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়ে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে যায় রোমানিয়া৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তারিবো ওয়েস্ট, নাইজেরিয়া
কেমন লাগছে দেখতে এই স্টাইলটি? রংটা মাঝেমধ্যে পরিবর্তন করতেন ওয়েস্ট৷ আর বাকিটা ১৫ বছর ধরে একই ছিল৷ এমনকি ইন্টার মিলানের হয়ে ওয়েস্ট যখন উয়েফা কাপ জেতেন তখনও৷
ছবি: Franck Fife/AFP/Getty Images
কার্লস ভালডেরামা, কলম্বিয়া
গত শতকের আশি-নব্বই দশকে মাঠ কাঁপানো কলম্বিয়ার ভালডেরামার কথা নিশ্চয় অনেকের মনে আছে৷
ছবি: Guillermo Legaria/AFP/Getty Images
ফেলাইনি ও লুইস
ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলছেন এ দুজন৷ ব্রাজিল সমর্থক মাত্রই জানেন ছবির বা পাশের জন ডেভিড লুইস৷ আর তার সঙ্গে রয়েছে বেলজিয়ামের ফেলাইনি৷ দুজনই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেন৷ ছবিটি সেখানকার৷
ছবি: imago/BPI
মারিও বালোতেল্লি, ইটালি
খেলার চেয়ে খেলার বাইরের বিষয় নিয়েই গণমাধ্যমে বেশি আলোচনায় থাকেন বালোতেল্লি৷ নিজের চুলের স্টাইলও মাঝেমধ্যে পরিবর্তন করতে ভালবাসেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নেইমার, ব্রাজিল
ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলার পাশাপাশি চুলের স্টাইল দিয়েও সমর্থকদের মন জয় করছেন ২২ বছরের নেইমার৷
ছবি: Getty Images
8 ছবি1 | 8
ডানিয়েল-ইয়ান গির্ল বলেন, ‘‘নানা ছোটখাটো অথচ মজার কাজের জন্য ডিজিটাল সাহায্যকারী তৈরি হচ্ছে৷ উদ্দেশ্য একটাই: দৈনন্দিন জীবনের উন্নতি ঘটানো৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, আসলে এই যন্ত্রগুলো করে কী? কী ধরনের তথ্য এগুলো সংগ্রহ করে অথবা এর থেকে আমার কী লাভ হয়....আমার বিশ্বাস, ডিরর কী করতে সক্ষম, তা বোঝার জন্য আমাদের একটা কেন্দ্রীয় ইন্টারফেসের প্রয়োজন৷''
কেশসজ্জার বিশ্বকাপ
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট যেন কেশশিল্পীদের তীর্থভূমি৷ মে মাসের শুরুতেই সেখানে বসেছিল কেশসজ্জার প্রতিযোগিতা ‘ওএমসি হেয়ারওয়ার্ল্ড ওয়ার্ল্ডকাপ’, যাতে এক হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন সেরা হওয়ার লড়াইয়ে৷
ছবি: Getty Images
বিশ্বসেরা
তিন দিনের এ প্রতিযোগিতার শেষদিন সোমবার ৩৮টি শাখায় বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয় বিশ্বসেরার পুরস্কার৷ এর মধ্যে তিনটি শাখায় দলগতভাবে সেরা পুরস্কার জিতে নিয়েছেন জার্মানির প্রতিযোগীরা৷
ছবি: Arne Dedert/dpa
কনের চুলের সাজ
৫০টি দেশের প্রতিযোগীরা এ প্রতিযোগিতায় এসেছিলেন কেশসজ্জার বিচিত্র সব ‘স্টাইল’ নিয়ে৷ যে সব শাখায় প্রতিযোগিতা হয়েছে, তার মধ্য কনের চুলের সাজ যেমন ছিল, তেমনি ছিল বেড়াতে যাওয়ার চুলের সাজ বা প্রতিদিনের কেশসজ্জা৷
ছবি: Getty Images
রূপেরও প্রদর্শনী
কেশসজ্জার এই প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ফ্রাঙ্কফুর্টে আয়োজন করা হয়েছিল ‘হেয়ার অ্যান্ড বিউটি শো’ শিরোনামে কেশসজ্জার প্রদর্শনী৷ বিশ্বের সেরা হেয়ার ড্রেসাররা এই প্রদর্শনীতে এসেছিলেন তাদের নতুন সব পণ্য এবং কেশসজ্জার নতুন নতুন ধারণা নিয়ে৷
ছবি: picture alliance/AA
‘সামার কাট’
ঝরঝরে ছোট চুল রাঙান সোনালী রংয়ে৷ এবারের গ্রীষ্মে এটাই জার্মান ফ্যাশন৷ এমন চুল ধোয়াও সহজ৷
ছবি: Getty Images
মডেল অথবা ম্যানিকুইন
প্রতিযোগীদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের হাতের জাদু দেখিয়েছেন জলজ্যান্ত মডেলের চুলে চিরুনি-কাঁচি চালিয়ে৷ কেউ আবার ম্যানিকুইনের মাথায় দেখিয়েছেন তাদের শিল্প প্রতিভা৷ প্রতিযোগীদের এই শিল্পের বাহার মাথায় নিয়ে মডেলরা হেঁটেছেন ব়্যাম্পে৷ এ সব দেখেই জুরিরা বিচার করেছেন, কার কেশসজ্জা সবার সেরা৷
ছবি: picture alliance/AA
কালো-লাল-সোনালী
এই বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার আগে জার্মান জাতীয় দলের হেয়ারড্রেসাররা টানা কয়েক মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷ ৩২ জনের এই দলকে শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন ফ্রানৎস ইয়োসেফ ক্যুভেলার৷ তিনি নিজেও ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে পুরস্কার জিতেছিলেন৷
ছবি: Getty Images
6 ছবি1 | 6
এই মুহূর্তে তিন সাইজের ডিরর পাওয়া যায়, তিন ধরনের কাঠের ফ্রেমে৷ সাইজ অনুযায়ী এর দাম পড়ে ৬০০ থেকে ১,৪০০ ইউরো৷ একক গ্রাহকরা ছাড়াও রেস্টুরেন্ট, হোটেল ও সরকারি অফিস থেকে ডিরর-এর অর্ডার আসে৷ তারকাদের হেয়ারড্রেসার শান রহিমখান ডিরর কিনে খুবই সন্তুষ্ট৷ বললেন, ‘‘এটা একটা আয়না, তবে অতটা স্বচ্ছ নয়৷ আমরা খদ্দেরদের মাথার চুলে যে রং দিই, তা এখানে ঠিকমতো দেখা যায় না৷ আইডিয়াটা হলো, সেলুনের মধ্যে ডেকরেশন হিসেবে রইল, কিন্তু এটা দেখতে দারুণ, কম্পিউটার স্ক্রিনের মতো বোকা বোকা নয়৷ আমি চিরকালই নতুন কিছু করতে চাই৷ আগে যা ছিল, তাই ছিল ভালো, বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে চাই না৷''