1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কারাগারে ওসি মোয়াজ্জেম

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৭ জুন ২০১৯

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ ২৭ মে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়ার ২০ দিন পর রবিবার তাকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়৷

Bangladesch Cyber Tribunal
ছবি: bdnews24.com

গ্রেপ্তারের পর তাকে হাতকড়া পরানো হয়নি৷ আর ছবিও যাতে না তোলা যায় তার জন্য নানা কৌশল নেয় পুলিশ৷মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী রফিক আহমেদের দাবি তার মক্কেল এই ২০ দিন পলাতক ছিলেন না৷ তিনি বলেন,‘নিরাপত্তার কারণে তিনি এই সময়ে সাইবার ট্রাইবুন্যালে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেননি বরং হাইকোর্টে  জামিনের আবেদন করেছেন৷ তাকে রবিবার হাইকোর্ট থেকে বের হওয়ার পরই গ্রেপ্তার করা হয়'৷

রফিক আহমেদের দাবি, তার মক্কেল এই ২০ দিন পলাতক ছিলেন না

This browser does not support the audio element.


আর সাইবার ট্রাইবুন্যালের পাবলিক প্রসিকিউটার নজরুল ইসলাম বলেন,‘মোয়াজ্জেম হোসেন আইনকে অবজ্ঞা করেছেন৷ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি৷ তার বিরুদ্ধে যে মামলা তা জামিন অযোগ্য৷ তদন্তে এরই মধ্যে তার অপরাধ প্রমাণ হয়েছে'৷
রবিবার মেয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর শাহবাগ থানায় রাখা হলেও সেখানে তার ছবি তুলতে দেয়া হয়নি৷ এরপর সোমবার সকালে তাকে আদালতে নেয়ার পথেও পুলিশ ব্যাপক কৌশল অবলম্বন করে৷ তাকে অনেক পুলিশ সদস্য মিলে ঘিরে রাখে৷ কোর্ট হাজত এবং আদালত এলাকায়ও একই অবস্থা করে পুলিশ৷ ফটোগ্রাফার সাজ্জাদ হোসেন বলেন,‘আমরা অনেক কষ্টে তার অল্প কয়েকটি ছবি নিতে পেরেছি৷ পুলিশ বারবার সামনে হাত দিয়ে ছবি তুলতে বাধা দিয়েছে'৷ পুলিশের দাবি, অভিযুক্তের নিরাপত্তার জন্যই এমন করা হয়েছে৷

সাধারণ মানুষকে আটকের পর হ্যান্ডকাপ পরানো হয়, তাকে পরানো হয়নি:সায়েদুল ইসলাম সুমন

This browser does not support the audio element.

মোয়াজ্জেম হোসেনে বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনের মামলার বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল ইসলাম সুমন ডয়চে ভেলেকে বলেন,‘এটাতো স্পষ্ট যে শুরু থেকেই পুলিশ ওসি মোয়াজ্জেমের প্রতি সহানুভূতিশীল৷ সাধারণ মানুষকে আটকের পর হ্যান্ডকাপ পরানো হয়, তাকে পরানো হয়নি৷ আর পুলিশ তাকে সুযোগ দিয়েছে৷ চাইলে তাকে আরো আগে গ্রেপ্তার করতে পারতো৷ আমরা চাই সাধারণ মানুষের প্রতিও পুলিশ যেন এরকম আচরণ করে'৷
ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার আগে ২৭ মার্চ তাকে যৌন হয়রানি করে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা৷ অভিযোগ রয়েছে, যৌন হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ করতে গেলে সোনাগাজী থানার তখনকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন অসহযোগিতা এবং অবহেলা করেন৷ এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের নামে নুসরাতকে না জানিয়ে তার বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করেন এবং তা ছড়িয়ে দেন৷ নুসরাত হত্যার পর এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে জিজিটাল আইনে মামলা হয়৷ ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুন্যাল ডিজিটাল আইনের ওই মামলায় ২৭ মে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে৷ ২০ দিন পর শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে৷ এই সময়ে পুলিশ ‘পলাতক' বললেও সে হাইকোর্টে আইনজীবীর চেম্বারে গিয়ে জামিনের আবেদনও করেছে৷
৬ এপ্রিল সোনাগাজী মাদ্রাসায় নুসরাতের শরীরে আগুন দেয়ার পর ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান৷ ওই দিনই মেয়াজ্জেমকে প্রত্যাহার করা হয় রংপুর রেঞ্জে৷ ৮ মে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ