‘ডিজিটাল ডিভাইস' ব্যবহার করে পরিচালিত সব ধরনের নেতিবাচক কার্যক্রম আইনের আওতায় আনতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করতে যাচ্ছে সরকার৷ পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি আইন থেকে বিতর্কিত ৫৭ ধারাসহ চারটি ধারা বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে৷
বিজ্ঞাপন
[No title]
তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বা ‘আর্টিকেল-৫৭' বাকস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের অন্তরায় বলে আলোচিত ও সমালোচিত হয়ে আসছিল৷ আইনের এই ধারাটি জামিনযোগ্য নয়৷ এছাড়া এই ধারায় অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪, সর্বনিম্ন সাত বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে৷ সর্বশেষ এই আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে৷ যদিও সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে আদালত শেষ পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেয়৷ আর নতুন এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে৷ প্রশ্ন উঠেছে, বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করার নামে তাহলে কি সরকার আরো কঠোর কোনো আইন প্রণয়ন করতে চলেছে?
তথ্য গোপন রাখার সাতটি সহজ উপায়
আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষের সুযোগ-সুবিধা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে তথ্য চুরির ঘটনা৷ ফোর্বস জানাচ্ছে কোন সাতটি উপায়ে আপনি খুব সহজেই ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/davidevison
পাসওয়ার্ড নিজের কাছে রাখুন
কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের পাসওয়ার্ড যেন কখনই এক না হয়৷ আর ব্যাংক কার্ড-এর সঙ্গে যেন এই পাসওয়ার্ডের মিল না থাকে৷ এছাড়া কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে কোনো পাসওয়ার্ড লিখে রাখবেন না৷ এর ফলে আপনার তথ্য চুরির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়৷ বাড়ির বাইরে গেলে এগুলি ‘লক’ করে যাবেন৷
ছবি: Sergey Nivens - Fotolia.com
নামে ‘গুগল অ্যালার্ট’ ব্যবহার করুন
এটা খুব সহজ পন্থা, আপনি যদি দেখতে চান ইন্টারনেটে আপনার সম্পর্কে সবাই কী বলছে৷ সোজা এই ঠিকানায় যান – http://www.google.com/alerts এবং আপনার নাম লিখুন৷ তারপর আপনার নামের বিভিন্ন ধরন লিখে, তার আগে ও পরে ‘কোটেশন মার্ক’ জুড়ে দিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
ব্যবহারের পর লক্ষ্য রাখা
আপনি যদি অন্য কারো কম্পিউটার বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, তবে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন৷ আপনার পর যিনি সেটা ব্যবহার করবেন, তিনি যাতে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারে – সেটা খেয়াল রাখুন৷ আপনি যদি এটা করতে ভুলে যান, তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে৷
ছবি: AFP/Getty Images
ফোন, ই-মেল বা জিপ কোড ব্যবহার করতে না দেয়া
অচেনা কোনো মানুষ এই নম্বরগুলো জানতে চাইলে, আপনারা দেবেন না৷ দেখা যায় কোনো অফিস তাঁর কর্মীর কাছ থেকে এ সব তথ্য চাইলে, অনেকেই সেচ্ছ্বায় তা দিয়ে দেয়৷ বহু অফিস এ নিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করে৷ আপনার কিন্তু এ সব তথ্য না দেয়ার অধিকার আছে৷ তাই আপনি যদি এতে স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ না করেন, তবে দেবেন না৷
ছবি: picture-alliance/ZB
কার্ড নয় ক্যাশ
আপনি যদি চান আপনি যে পণ্যটি কিনছেন, সেই কোম্পানি আপনারা পরিচয় না জানুক, তবে নগদ অর্থে জিনিস কিনুন৷
ছবি: AP
ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য ‘ফ্রেন্ডস’ ব্যবহার করুন
ফেসবুকে সবসময় ‘সিকিউরিটি’ বা নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন৷ পোস্ট করার পর লক্ষ্য রাখুন আপনি আপনার ছবি বা মন্তব্য ‘ফ্রেন্ডস’ করে রেখেছেন, নাকি ‘পাবলিক’ করেছেন৷ আপনি যদি ‘স্পেশ্যাল’ নির্বাচন করেন এবং ঠিক করে দেন কে কে আপনার পোস্ট দেখতে পাবে, তবে সেটা আপনার তথ্য নিরাপত্তার জন্য তুলনামূলকভাবে ভালো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Bozoglu
‘হিস্ট্রি’ এবং ‘কুকিস’ মুছে ফেলুন
আপনি সবশেষ কবে এটা করেছেন? আপনি যদি নিশ্চিত না হন, ব্রাউজারে গিয়ে এটা পরিবর্তন করুন৷ ব্রাউজারের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’-এ যান, সেখানে ‘নেভার রিমেমবার হিস্ট্রি’ নির্বাচন করুন৷ এর ফলে ইন্টারনেটে আপনাকে ‘ট্র্যাক’ করাটা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হবে৷ এছাড়া আপনি ‘অ্যাড অন’-ও ব্যবহার করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/davidevison
7 ছবি1 | 7
বাংলাদেশের তিনজন আইনজীবী ইতিমধ্যেই অবশ্য ঐ ৫৭ ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন৷ ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার একটি রিট নিয়ে গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ৫৭ ধারা কেন সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না – তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন৷ এটি এখনও শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে৷
নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নতুন এই আইনে কী থাকছে, তা আমরা এখনও জানি না৷ নতুন আইন প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কিত ৫৭ ধারাসহ চারটি ধারা বাতিলের কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী৷ এখন কথা হলো, এই ধারাগুলো এখান থেকে বাদ দিয়ে যদি নতুন আইনে ঢোকানো হয়, তাহলে তা হবে নিন্দাযোগ্য৷ অবশ্য সত্যিই যদি ৫৭ ধারা বাদ দেয়া হয়, তাহলে এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই৷ তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হওয়ার আগে এটি নিয়ে আলোচনা ও জনমত নেয়ার দরকার ছিল৷ আমরা আশা করি, নতুন এই আইনে অবশ্যই যেন বিতর্কিত কিছু না থাকে৷''
অথচ যে প্রক্রিয়ায় নতুন আইনটি হচ্ছে, তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়৷
গত বছরের ২৫ আগস্ট ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষৎকারে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিচালক নূর খান বলেছিলেন, আসক-এর কাছে ১১ জনের তথ্য রয়েছে, যাঁরা এই আইনের অপব্যবহারের শিকার হয়ে কারাগারে আটক আছেন৷
তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের কথায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে নতুন আইন হওয়া প্রয়োজন৷ তবে বিতর্ক তৈরি হয় – এমন কোনো কিছু বলা, মতপ্রকাশ ও বাকস্বাধীনতা চর্চার জন্য কারাদণ্ড হতে পারে না৷ তাছাড়া বইয়ে লেখার জন্য একরকম এবং অনলাইনে লেখার জন্য আরেকরকম শাস্তি হতে পারে না বলেও মত দেন তাঁরা৷
ওরা ইন্টারনেটে যা দেখে
জার্মানির মাইনৎস মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোদৈহিক বিভাগের একটি জরিপের ফলাফলে জানা গেছে, আজকের কিশোর-কিশোরীরা অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে৷ কী দেখে তারা? ছবিঘরে পাবেন...
ছবি: Pub Crawl Cologne
অতিরিক্ত ইন্টারনেট টিন-এজারদের নিঃসঙ্গ করে তোলে
সম্প্রতি ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সি ২,৪০০ কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে একটি জরিপ করা হয়েছিলো৷ যারা দিনের ৬ ঘণ্টাই কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল বা ট্যাবলেটের সামনে বসে সময় কাটায়, তাদের সমবয়সি বা বন্ধুবান্ধবদের সাথে মেশার তেমন কোনো আগ্রহ নেই৷ কারণ সামনে থাকা যন্ত্রটিই তাদের বড় বন্ধু ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. von Jutrczenka
কম্পিউটার গেম
যখন মানুষের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার সবচেয়ে ভালো সময় ঠিক সেসময়ই যদি তারা দিনের এতটা সময় কম্পিউটার গেম বা যৌন বিষয়ক ওয়েবসাইট নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটায় তাহলে কারো সাথে বন্ধুত্ব হওয়া খুব কঠিন৷ এ কথা বলেন গবেষক টিমের প্রধান ডা.মানফ্রেড বয়টেল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নেশা
যাদের নিয়ে গবেষণা করা হয়, তাদের মধ্যে শতকরা ৩.৪ শতাংশই ইন্টারনেটে নেশাগ্রস্ত৷ অর্থাৎ তারা দিনে ৬ ঘণ্টার বেশি অনলাইনে থাকে, অন্য কিছুর প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই৷ ১৩.৮ শতাংশ কিশোর-কিশোরীদের নেশা না হলেও তারাও ইন্টারনেটের প্রতি খুবই আগ্রহী৷ সময়ের দিক থেকে ছেলেমেয়ে সমানভাবেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে৷
ছবি: Shaikh Azizur Rahman
ছেলে-মেয়ের পার্থক্য
সময়ের দিক থেকে পার্থক্য না থাকলেও ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে৷ যেমন মেয়েরা বেশি সময় কাটায় সামাজিক যোগাযোগ এবং অনলাইন শপিং-এ, আরা ছেলেরা বেশি সময় খরচ করে কম্পিউটার গেম এ, এবং যৌনআনন্দে৷
ছবি: Fotolia/apops
বন্ধু চাই
যেসব টিন-এজ বা কিশোর-কিশোরীরা সমাজে ভালোভাবে মেলামেশা করতে পারেনা, তারা এমন অনলাইন কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকে যেগুলোতে সামাজিক যোগাযোগ কম হয়৷ এ তথ্য জানান ড.বয়টেল তাঁদের ক্লিনিকের আউটডোর পেশেন্ট হিসেবে আসা কম্পিউটারে ‘নেশা’ টিন-এজারদের সম্পর্কে৷
ছবি: Fotolia/Doreen Salcher
সামাজিকভাবে মেলামেশার পরামর্শ
এরকম ছেলে-মেয়েদের বাবা-মা এবং শিক্ষকদের প্রতি ডা.মানফ্রেড বয়টেলের পরামর্শ, টিন-এজারদের প্রযুক্তির উন্নয়ন ব্যবহারের পাশাপাশি সামাজিকভাবে মেলামেশার বিষয়টির দিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া এবং লক্ষ্য রাখা উচিত৷
ছবি: Pub Crawl Cologne
6 ছবি1 | 6
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক রবিবার এ প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে সরকার সাইবার অপরাধকে দেশের সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসাবে গণ্য করছে৷ তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হলে তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি আইন থেকে ৫৪, ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ ধারা বাতিল করা হবে এনং ধারাগুলো নতুন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে৷ তবে ঠিক কীভাবে সেটা হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি আইনমন্ত্রী৷
রবিবার সচিবালয়ে আইন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া পর্যালোচনা করা হয়৷ বৈঠকে আইনমন্ত্রী ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি ও আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক উপস্থিত ছিলেন৷
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ আইনের ৪৩টি ধারা আমরা যাচাই-বাছাই করেছি৷ কিছু কিছু জায়গা ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় যে খসড়া প্রস্তুত করেছে, আমরা তাতে সম্মতি দিয়েছি৷ তবে কিছু কিছু জায়গা সংশোধন করা হবে৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘কিছুদিন আগেও তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছিল৷ আমার মনে হয় সেসব আলোচনা, দুশ্চিন্তা, শঙ্কা এবার দূর হবে৷''
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘অনলাইনে একটি অপরাধ হলে তার প্রভাব অনেক বেশি, প্রচারও বেশি৷ অফলাইনে সেটা কম৷ তাই অনলাইনের অপরাধ রোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হচ্ছে৷''
তাঁর কথায়, এখন একটি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার জন্য অ্যাটম বোমা হামলার প্রয়োজন নেই৷ সাইবার আক্রমণ করে একটি রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিকভাবে এবং প্রশাসনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা যায় এখন খুব সহজেই৷
বন্ধুরা, আপনার কী মনে হয়? ৫৭ ধারা বাতিল করে নতুন আইন করা সরকারের কি কোনো নতুন চাল?
ডার্কনেটের ব্যবহার বাড়ছে
বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন হওয়ার পরও তথ্য পাওয়া মুশকিল৷ নিরাপত্তা সংস্থাগুলি যে প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করছে, তাতে সব সময় তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় পাওয়া নাও যেতে পারে৷
ছবি: Fotolia/Amir Kaljikovic
ইন্টারনেটে তথ্য
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রতিদিনই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কিছু না কিছু তথ্য যোগ করেন৷ স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনগুলোও ব্যবহারকারীদের ধারণার চেয়ে বেশি তথ্য নিয়ে থাকে৷
ছবি: imago/Schöning
মেটাডাটা
গুপ্তচর বিভাগ বেশি আগ্রহী ‘মেটাডাটা’ সম্পর্কে৷ নেট ব্যবহারকারী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ওয়েবভিত্তিক বিষয়বস্তুর সঙ্গে পাওয়া যায়, যাকে বলা হয় মেটাডাটা৷
ছবি: Reuters
মেটাডাটার তথ্য
কে কাকে ই-মেল করছেন, সেই ব্যক্তির পরিচয়, সময় সম্পর্কে তথ্য থাকে মেটাডাটায় যা গুপ্তচর বিভাগ পেতে চায়৷ প্রেরক, ঠিকানা, তারিখ থেকে শুরু করে যে সার্ভার ব্যবহার করে ই-মেলটি করা হয়েছে, সেই তথ্যও এভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব৷
ছবি: Raigo Pajula/AFP/Getty Images
ডার্কনেটের ব্যবহার
ডার্কনেটের মাধ্যমে পরিচয় গোপন রেখে যোগাযোগ করা সম্ভব৷ প্রযুক্তিগত কারণে এখনো সরকার বা নিরাপত্তা কর্মীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের সনাক্ত করতে পারেন না৷
ছবি: Fotolia/Gina Sanders
ফ্রিনেট
সবচেয়ে আলোচিত ডার্কনেটের নাম ফ্রিনেট৷ তাদের ওয়েবসাইটে গেলে বিনামূল্যে একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যায়৷
ছবি: Reuters
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য
ফেসবুক এবং টুইটারে একজন ব্যবহারকারী শুধু নিজের সম্পর্কে সাধারণ তথ্যই জানান না, তাঁরা তাঁদের পছন্দ, অপছন্দ, এমনকি বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও জানান৷ ব্লগে সমাজ সচেতনতা, মানবাধিকার, সরকার বিরোধী লেখাও লেখা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাংলাদেশে ডার্কনেট
বাংলাদেশে ডার্কনেটের ব্যবহার আগে না হয়ে থাকলেও খুব শিগগিরই যে সেটা শুরু হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷