‘‘ডিজিটাল পৃথিবীতে যদি থাকতে হয়, তাহলে প্রত্যেক মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়কে ফেসবুকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে৷ ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে হলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের সঙ্গে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করতে হবে’’, বলেন তথ্যমন্ত্রী৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলে: সরকারে যাঁরা আছেন, তাঁরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারে কতদূর এগিয়েছেন?
হাসানুল হক ইনু: প্রশাসনের একটা পর্যায় পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে৷ আমাদের জেলা প্রশাসক বা উপজেলা প্রশাসকরা ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে সরাসরি জবাবদিহিতায় চলে এসেছেন৷ এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পর্যায়ে তাঁদের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের জন্য ফেসবুক যেটাকে বলে, সে ব্যাপারে প্রচেষ্টা চলছে, তবে তেমন অগ্রগতি সাধিত হয়নি৷
বিভিন্ন রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলরা কোনো সফরে গেলে বা তাঁদের কোনো খবর বিফ্রিংয়ের আগেই তাঁদের টুইটারে দেখতে পাই৷ আমাদের দেশে যাঁরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছেন, তাঁরা কি এগুলো ব্যবহার করছেন? কতটা করছেন?
ইনুর সাক্ষাৎকার
এখনও পর্যন্ত এই ব্যবহারে আমরা রপ্ত হয়নি৷ তবে বিকাশমান সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, জনগণের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে৷ সুতারাং জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার জন্য ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহার বাঞ্ছনীয়৷ এবং সেই লক্ষ্যে সরকারের মন্ত্রী পর্যায় থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত নির্বাচিত ও অনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সবারই ফেসবুক ও টুইটারের আশ্রয় গ্রহণ করা উচিত৷
বাংলাদেশ তো ডিজিটাল অবস্থার দিকে যাচ্ছে এবং অনেকটাই এগিয়েও গেছে৷ আমাদের যাঁরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেন, তাঁরা কতটা ‘ডিজিটাল' হতে পেরেছেন?
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব বলতে যারা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন, যেমন জেলা প্রশাসকরা ডিসি হিসেবে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছেন৷ সেখানে তাঁরা জনগণের সমস্যার কথা শুনছেন এবং জবাব দিচ্ছেন৷ জেলার প্রশাসন পর্যায়ে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে৷ মন্ত্রী পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার ক্ষেত্রে মন্ত্রীদের নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে৷ কিন্তু মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁরা অতি দ্রুতই জনগণের সামনে তুলে ধরবেন এবং জনগনের সমস্যা শুনবেন ও উত্তর দেবেন৷
এ সব মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীরও তো একটা নির্দেশনা আছে?
প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা হচ্ছে – ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে ডিজিটাল প্রশাসন৷ সেই লক্ষে অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে৷ প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ডিজিটালাইজেশন যেটাকে বলে, সেই ডিজিটালাইজেশনের কাজে অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে৷ কীভাবে জবাবদিহি করতে হয়, কীভাবে ই-টেন্ডার করতে হয় – এ সবের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, কাজকর্ম শেখানো হচ্ছে, যাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আয়ত্ব করতে পারে এবং এটা প্রয়োগ করতে পারে৷ প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয়ের পুরো ডিজিটালাইজেশন হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে৷ সেটারই অংশ হিসেবে ফেসবুকের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ স্থাপন এবং সেটাকে চালু রাখা৷ এই কাজটাও শুরু হচ্ছে৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোরালো যেসব আন্দোলন
ফেসবুক বা টুইটারের মাধ্যমে প্রতিবাদ থেকে গড়ে উঠেছে তীব্র আন্দোলন৷ আরব বসন্ত থেকে হালের সুন্দরবন বাঁচাও আন্দোলনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি আদায়ে সোচ্চার মানুষ৷ এমন কিছু আন্দোলনের কথা থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Pacific Press/M. Hasan
শাহবাগ আন্দোলন
ঘটনা ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলে এর প্রতিবাদে এবং কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে জড়ো হন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা৷ ফেসবুকে তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আপামর জনতা নেমে আসেন রাস্তায়৷ গড়ে ওঠে প্রতিবাদ৷ দেশের অনেক স্থানেই গড়ে ওঠে গণজাগরণ মঞ্চ৷ ঐ বছরই ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়৷
ছবি: Reuters
নির্ভয়া কাণ্ডে প্রতিবাদ
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের শিকার হন জ্যোতি নামের এক তরুণী৷ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি জানার পর রাস্তায় নেমে আসে সর্বস্তরের মানুষ৷ গড়ে ওঠে প্রতিবাদ৷ ধর্ষণবিরোধী আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়৷
ছবি: Reuters
আরব বসন্ত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়া প্রথম শুরু হয়েছিলো ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময়৷ ২০১০ সালে টিউনিশিয়ার মোহামেদ বুয়াজিজি নামের এক ফেরিওলা গায়ে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ জানান শাসকের বিরুদ্ধে৷ ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বেন আলির পতন হয়৷ মিশর, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন, টিউনিশিয়া ও বাহরাইনে প্রতিবাদ আন্দোলন চরম রূপ ধারণ করে৷ তবে, আরব বসন্তের একটি ভয়াবহ রূপ ইসলামি জঙ্গিবাদ, তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের উত্থান৷
ছবি: AP
#BringBackOurGirls
২০১৪ সালের ঘটনা৷ জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম নাইজেরিয়ার একটি স্কুল থেকে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রীকে অপহরণ করে৷ ঘটনা ঘটে ১৪ এপ্রিল৷ তার একদিন পর সেটা নিয়ে রিপোর্ট করে এএফপি৷ কিন্তু তখনও বিষয়টা বিশ্বের নজর কাড়তে পারেনি৷ পরে টুইটারে শুরু হয় বহুল আলোচিত #bringbackourgirls বা ‘আমাদের মেয়েদের ফিরিয়ে আনো’ প্রচারণা৷ মে মাসের প্রথম সপ্তাহে টুইট হয় ৫ লাখ বার৷
ছবি: Twitter
#UmbrellaRevolution
২০১৪ সালে পূর্ণ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দাবিতে হংকং-এ যে বিক্ষোভে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা৷ ছাতা হাতে তারা এই প্রতিবাদ জানায়৷ অভিনব এই প্রতিবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ‘আমব্রেলা রেভোলিউশন’ নামে৷
ছবি: Reuters/B. Yip
#IfTheyGunnedMeDown
২০১৪ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ফার্গুসন শহরে পুলিশের গুলিতে মারা যায় কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর মাইকেল ব্রাউন৷ নিরস্ত্র ব্রাউনকে গুলি করে হত্যা করে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা উইলসন৷ এর প্রতিবাদে স্মরণকালের ভয়াবহতম বিক্ষোভ শুরু হয় ফার্গুসনে৷ টুইটারে প্রতিবাদ জানানো হয় #IfTheyGunnedMeDown লিখে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Maury
‘সুন্দরবন বাঁচাও’
বাংলাদেশের সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অরণ্যে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে চলছে সামাজিক আন্দোলন৷ গত এক মাস ধরে সাধারণ মানুষ এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে৷ টুইটারে ব্যবহার করা হচ্ছে #savesundarbans৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Pacific Press/M. Hasan
7 ছবি1 | 7
‘ইয়াং' মন্ত্রীরা ফেসবুক, টুইটারে অনেক বেশি সোচ্চার এবং তাঁরা এসব মাধ্যম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের অভিযোগ-হয়রানির কথা আমলে নিচ্ছেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিচ্ছেন৷ এমন উদাহরণও কিন্তু আছে...
আমি বলব, শুরু হয়েছে৷ তবে এর দু'টো ব্যাপার আছে৷ একটা হলো, আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট৷ আরেকটা হলো, তথ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার অ্যাকাউন্ট৷ যেটা মন্ত্রণালয়ের অ্যাকাউন্ট৷ সেখানে মন্ত্রী হিসেবে আমি উত্তর দেবো৷
তথ্যমন্ত্রী হিসেবে এগুলো নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমি মনে করি, ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে হলে সামাজিক গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হওয়া দরকার৷ যা করার, তা দ্রুত করাই বাঞ্ছনীয়৷
আপনার মন্ত্রণালয় থেকে কি এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে?
আমার মন্ত্রণালয় থেকে ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেছিলাম অনেকদিন আগেই৷ এবং সেটা সক্রিয় আছে, চালু আছে৷ তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আছে এবং তথ্য মন্ত্রীর একটা আছে৷ এটা করেছিলাম উদাহরণ হিসেবে৷ সেখানে কোনো প্রশ্ন এলে আমি উত্তর দিই৷
আপনি তো মন্ত্রীসভার সিনিয়র সদস্য৷ তা জুনিয়রদের প্রতি এ সব মাধ্যম ব্যবহারে আপনার পরামর্শ কী?
২০১৫ সালে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক কিছু ঘটেছে৷ সন্ত্রাসী হামলার পর মানুষের প্রতিবাদ, একাত্মতার পাশাপাশি শরণার্থীদের নিয়ে আলোচনা ছিল সারা বছর৷ এখানে থাকছে গত ১২ মাসে আলোচিত ১২টি হ্যাশট্যাগের কথা৷
ছবি: picture-alliance/empics/D. Lipinski
জানুয়ারি: #জেসুইশার্লি
জানুয়ারি মাসে ফরাসি ভাষায় হ্যাশট্যাগ #জেসুইশার্লি, যার অর্থ ‘আই অ্যাম শার্লি’ বা ‘আমি শার্লি’ সারাবিশ্বে ট্রেন্ড করেছে৷ প্যারিসে শার্লি এব্দো পত্রিকার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ১২ ব্যক্তি নিহতের ঘটনার পর হ্যাশট্যাগটি ছড়িয়ে পড়ে৷
ছবি: CHARLIE HEBDO
ফেব্রুয়ারি: #দ্যড্রেস
কালো এবং নীল নাকি সাদা এবং সোনালি? একটি পোশাকের রং নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে বিভক্ত হয়ে যায় গোটা ইন্টারনেট বিশ্ব৷ তবে #দ্যড্রেস ব্যবহার করে ব্যাপক, আলোচনা, টুইট, পোস্টের পরও জানা যায়নি পোশাকের রং আসলে কোনটা৷ আপনার কী মনে হয়?
ছবি: tumblr
মার্চ: #জার্মানউইংস
গত মার্চে জার্মান উইংসের ফ্লাইট ৪ইউ৯৫২৫ ফরাসি আল্পসে বিধ্বস্ত হলে ১৫০ ব্যক্তি প্রাণ হারান৷ পরবর্তীতে জানা যায়, বিমানটি সহ-পাইলট আন্দ্রেস ল্যুবিৎস ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটি বিধ্বস্ত করেছিলেন৷ গোটা বিশ্বে এই ঘটনা আলোচিত হয়েছে #জার্মানউইংস হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
এপ্রিল: #ব্ল্যাকলাইভসম্যাটার
গত এপ্রিলে দুই নিরস্ত্র কৃষ্ণাজ্ঞ ব্যক্তি, ওয়াল্টার স্কট এবং ফ্রেডি গ্রে, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত হন৷ তাঁদের মৃত্যু গোটা দেশে প্রতিবাদের সূচনা করে, সৃষ্টি হয় #ব্ল্যাকলাইভসম্যাটার হ্যাশট্যাগ৷ পরবর্তীতে আরো অনেক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার হয়েছে৷ সাক্যুলে ২০১৫ সালে এটি টুইটারে ব্যবহার হয়েছে ৯০ লাখের বেশি বার৷
ছবি: Reuters/A. Latif
মে: #হোমটুভোট
মে মাসে আয়ারল্যান্ডে সমকামীদের বিয়ে নিয়ে গণভোটের আয়োজন করা হয়৷ সেসময় এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অন্যত্র থাকা আইরিশরা ভোট দিতে ঘরে ফেরার কথা জানান৷ গণভোটে সমকামিদের বিয়ে বৈধ করার পক্ষে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে৷
ছবি: Reuters/C. McNaughton
জুন: #সেলফিউইথডটার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত জুনে মেয়ের সঙ্গে বাবার সেলফি ইন্টারনেটে পোস্ট করতে ভারতবাসীকে অনুরোধ করেন৷ এরপর অগুনতি গর্বিত পিতা #সেলফিউইথডটার হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে মেয়ের সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করেছেন৷ হ্যাশট্যাগটি শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে৷
ছবি: www.narendramodi.in
জুলাই: #গ্রিফারেন্ডাম
গ্রিসের ঋণ সঙ্কট ২০১৫ সালের অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল৷ জুলাইয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেন্ড করে হ্যাশট্যাগ #গ্রিফারেন্ডাম৷ কৃচ্ছ্বতাসাধনের বিনিময়ে আরো আন্তর্জাতিক ঋণ নেয়া হবে কিনা সেটা নির্ধারণে এই গণভোটের আয়োজন করা হয়৷ বলাবাহুল্য, গ্রিসের অধিকাংশ মানুষ তাতে না ভোট দিয়েছিল৷ বরং ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেয় তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
আগস্ট: #রিফিউজিসওয়েলকাম
২০১৫ সালে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক শরণার্থী দেখেছে বিশ্ব৷ প্রায় দুই কোটি মানুষ নিজের বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে এবছর৷ #রিফিউজিসওয়েলকাম ব্যবহার করে অগুনতি মানুষ শরণার্থীদের গ্রহণে ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ ইউরোপীয়রাও হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করে বিভিন্ন সাহায্য কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
সেপ্টেম্বর: #আইস্ট্যান্ডউইথআহমেদ
যখন ১৪ বছর বয়সি একটি ছেলেকে তার ব্যাগ থাকা ঘড়িতে বোমা ভেবে ক্লাসরুম থেকে বের করে দেয়া হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয়, তখন বিষয়টি অনলাইনে পৌঁছাতে বেশি দেরি লাগেনি৷ টুইটারে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে বিশ্বের নামি-দামি অনেক ব্যক্তিত্ব আহমেদ মাহমুদের পাশে দাঁড়ান, সূচনা হয় #আইস্ট্যান্ডউইথআহমেদ হ্যাশট্যাগের৷
অক্টোবরে টিউশন ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে দক্ষিণ আফ্রিকার শিক্ষার্থীরা৷ সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদ, পুলিশের হামলার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা টিউশন ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা স্থগিত করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Hendricks
নভেম্বর: #প্রেফরপ্যারিস
প্যারিসের ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি এব্দোতে হামলার প্রায় একছর প্যারিসে আবারো সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান ১৩০ ব্যক্তি, আহত ৩৫০ জনের বেশি৷ এই ঘটনা গোটা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দেয়৷ #প্রেফরপ্যারিস ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন গোটা বিশ্বের মানুষ৷
ছবি: Reuters/Charles Platiau
ডিসেম্বর: #কপ২১
ডিসেম্বরে সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল জলবায়ু সম্মেলন৷ প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন ঘিরে কার্যত সারা বছরই আলোচনায় ছিল #কপ২১ হ্যাশট্যাগ৷
ছবি: picture-alliance/empics/D. Lipinski
12 ছবি1 | 12
সরকারে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন, তাঁদের এক ধরনের প্রচেষ্টা আমরা দেখতে পাচ্ছি৷ কিন্তু আমাদের যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে তাদের এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না...
রাজনৈতিক দলগুলো ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে৷ যেমন- আমার জাসদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে৷ আমাদের ওয়েবপোর্টাল চালু আছে৷
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে কর্মীদের অভিযোগ শোনা বা তাঁদের অভিযোগের জবাব দেয়া- এই ধরনের কোনো উদ্যোগ নেবেন?
জাসদ-এর নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে৷ রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে আমার দল কিন্তু এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে৷ অন্য দলের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কর্মীদের সঙ্গে, জনগণের সঙ্গে যেন সবাই যোগাযোগ স্থাপন করে৷
আপনি কি তথ্যমন্ত্রীর কথার সঙ্গে কিছু যোগ করতে চান? লিখুন নীচে, মন্তব্যের ঘরে৷