এখনকার বিশ্বটা তথ্যপ্রযুক্তির যাদুমন্ত্রে পাল্টে গেছে৷ দৈনন্দিন জীবনধারা আধুনিক প্রযুক্তির মোক্ষম প্রয়োগে একবিংশ শতকে এসে পাল্টে গেছে৷ এখন ইন্টারনেটের কল্যাণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিও বাংলাদেশে পৌছাতে আর একদমই সময় লাগে না৷
বিজ্ঞাপন
বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশেও তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব শুরু হয়েছে৷ প্রথমে এসেছে মোবাইল ফোন, কথাবার্তায় যোগাযোগে এনেছে বিপ্লব৷ কিন্তু আরো বড় পরিবর্তন এনেছে তথ্যপ্রযুক্তি, ইন্টারনেট আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম৷ বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ' শিরোনামে সারা দেশে প্রযুক্তির বিকাশে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার অংশ হিসাবে আজ বাংলাদেশে অনলাইন ব্যাংকিং, কেনাকাটা, সামাজিক মেলামেশা, সমাজ পাল্টানো আন্দোলন, সবকিছুই চলছে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে৷ কিন্তু এখানে একটা বড় ব্যাপারে মনযোগ বেশি দেয়া হচ্ছেনা আদৌ, তা হলো ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপত্তা৷ সাইবারসিকিউরিটির উপরে গবেষণা করা একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসাবে আমার আশংকাটা এখানেই৷ খুব দ্রুত এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনা ও সতর্কতা ছাড়াই আমরা তথ্যপ্রযুক্তিকে আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে ফেলছি, যা অভাবনীয় সব সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে ব্যক্তি, সমাজ, ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে৷ গত বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১ বিলিয়ন ডলার চুরির চেষ্টা এবং ৮১ মিলিয়ন ডলার আসলেই চুরি হয়ে যাওয়াটা প্রমাণ করে, ডিজিটাল অর্থ ব্যবস্থা বা কম্পিউটার সিস্টেমগুলোর নিরাপত্তার ব্যাপারে সাংগঠনিক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আরো অনেক জোর দেয়ার অবকাশ আছে৷
ডিজিটাল বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে সুসংহত করতে হলে কিসের দিকে মন দিতে হবে? আসুন দেখা যাক, আমাদের জীবনের নানা অংশে কী কী করা যেতে পারে — আমাদের ব্যাংকিং সিস্টেম, সামাজিক যোগাযোগ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, এবং রাষ্টীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী কী করার আছে৷
ডিজিটাল বাংলাদেশ ‘রূপকল্প ২০২১’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণা করেছিল৷ ইতোমধ্যে জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে৷
ছবি: Munir Hasan
আওয়ামী লীগের ইশতেহার
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ‘দিন বদলের সনদ’-এর অংশ হিসেবে ‘২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর উদ্ভব৷ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর এ ঘোষণা দেয়া হয়৷
ছবি: dapd
কম পরিশ্রমে, স্বল্প ব্যয়ে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা
ডিজিটাল বাংলাদেশ হলো তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ যেখানে আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সকল সুবিধা ব্যবহার করে অল্প সময়ে, কম পরিশ্রমে, স্বল্প ব্যয়ে, মানুষের দোরগোড়ায় তথ্য ও সেবা পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দান৷
ছবি: D.net/Amirul Rajiv
কৃষিক্ষেত্রে সুবিধা
কৃষিক্ষেত্রেও লেগেছে তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া৷ সারাদেশে স্থাপিত প্রায় ২৪৫ কৃষি তথ্য যোগাযোগ কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের কৃষি সেবা প্রদান করা হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
উন্নত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র
দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের কনীনিকার (আইরিশ) প্রতিচ্ছবি সংগ্রহ করে নিবন্ধিত নাগরিকদের ‘স্মার্ট’ জাতীয় পরিচয়পত্রের পরীক্ষামূলক বিতরণ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে৷ যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে বা যারা ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তারা এই ‘স্মার্ট’ এই পরিচয়পত্র পাবেন৷ (এখানে পুরানো পরিচয়পত্রের ছবি)
ছবি: DW/S. Kumar Day
মোবাইল ব্যাংকিং চালু
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সব ধরণের জরুরি সেবাই পাওয়া যায়৷ এ সবের মধ্যে রয়েছে – টাকা জমা, টাকা তোলা ও পাঠানো, বিভিন্ন ধরণের বিল প্রদান (বিদ্যুৎ বিল,গ্যাস বিল,পানি বিল ), কেনাকাটা করা, বেতন ভাতা প্রদান ও গ্রহণ, মোবাইল ফোন টপ আপ ইত্যাদি৷
ছবি: TAUSEEF MUSTAFA/AFP/Getty Images
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেবা
২০ হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম নির্মাণ ও ল্যাপটপসহ ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে৷ ডিজিটাল কন্টেন্ট শেয়ার করার জন্য ‘শিক্ষক বাতায়ন’ নামে একটি ওয়েবপোর্টাল চালু করেছে সরকার৷
ছবি: Munir Hasan
২২টি কর্মপন্থা
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ২২ কর্মপস্থা নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নে জোর দেয়া হচ্ছে৷ এগুলো হচ্ছে – সরকারি অফিস আদালতে ই-সেবা চালু করা, ই-গভর্নেন্স চালুর মাধ্যমে সরকারি কর্মকাণ্ডের গতি বাড়ানো, ভূমি রেকর্ড ডিজিটাইজেশন, সরকারি সেবাসমূহ ইউনিয়ন অফিস থেকেই প্রদানের ব্যবস্থা, তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি৷
ছবি: play.google.com
ঘরে বসে অর্থ উপার্জন
আইসিটি খাতে উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গেই ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের ধারণা বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে শুরু করেছে৷ বর্তমানে দেশে তরুণ ফ্রিল্যান্সার একটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে৷ তথ্যমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে৷ লাখো তরুণ বিভিন্ন পর্যায়ে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে নিজে সাবলম্বী হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/M.U. Zaman
ডট বাংলা ডোমেইন
ইন্টারনেট জগতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডোমেইন (ইন্টারন্যাশনালাইজড ডোমেইন নেম-আইডিএন) ডট বাংলা (.বাংলা) ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ পেয়েছে বাংলাদেশ৷ ইন্টারনেটে একটি রাষ্ট্রের জাতীয় পরিচয়ের স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করে এই ডোমেইন৷
ছবি: Ministry of Women and Children Affairs
তথ্য আদান-প্রদান
দেশে বর্তমানে নানা ধরনের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম রয়েছে৷ স্বল্প খরচে এ সব মাধ্যম ব্যবহার করে অনায়াসেই এক স্থান থেকে আরেক স্থানে তথ্য আদান প্রদান ও ভাবের বিনিময় হচ্ছে৷ ভিডিওতে কথা বলার জন্য রয়েছে একাধিক সফটওয়্যার৷ স্কাইপ, ইমো, ফেসবুক, গুগুল ছাড়াও যে কোনো মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থ্রি জি প্রযুক্তির সংযোজনের ফলে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সব ধরনের তথ্য ও ভাবের আদান প্রদান করা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন, ড্রাইভিং লাইসেন্স
এখন আয়কর রিটার্ন ফরম অনলাইনে পূরণ করা যায়৷ অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রেলওয়ে ও বাস টিকেট
অনলাইনে অনেক সহজে টিকেট কাটা ও সিট বুকিং করা যায়৷ এসএমএস-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক যাত্রীদের জন্য তথ্যসেবা প্রদান করা হয়৷ এছাড়া বাসের টিকেট কাটা যায় অনলাইনেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Warnecke
সব ইউনিয়নে ইন্টারনেট সংযোগ
২০২০ সালের মধ্যে দেশের সকল ইউনিয়নে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করার প্রচেষ্টা আছে সরকারের৷ এছাড়া ২০১৮ সালের মধ্যে ব্রডব্যান্ডের সম্প্রসারণ ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে৷
ছবি: DW/A. Islam
13 ছবি1 | 13
১) অর্থ ব্যবস্থার নিরাপত্তা: কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগের অপরাধীরা ছিল প্রতিভাবান প্রোগ্রামারেরা, নিছক শখের বশেই হয়তো চলতো সে সময়ের নানা সাইবার ক্রাইম৷ টিন-এজ বয়সের অনেকে হাতের অফুরন্ত সময় কাটাতে ওয়েবসাইট নষ্ট করা, নিজেদের ছবি বা মজাদার কিছু সেখানে দেখিয়ে নিজের ক্ষমতা জাহির করা, এসবেই ছিল ব্যস্ত৷ কিন্তু আস্তে আস্তে মূলধারার অপরাধীরা বুঝতে পেরেছে, সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ একেবারে নিরুপদ্রবে চুরি কিংবা ডাকাতি করা সম্ভব৷ তাই এখন বিশ্বের বড় বড় ডাকাতিগুলো হয় ডিজিটাল ডাকাতের হাতে৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিলিয়ন ডলার ডাকাতির কাজটা এর উদাহরণ৷
ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হিসাবে আমাদের ব্যাংকিং সেক্টর এখন আস্তে আস্তে এগিয়েছে অনলাইনের দিকে৷ কিন্তু সেটা পুরোপুরি করতে গেলে শুরু থেকেই নিরাপত্তার দিকটা দেখতে হবে৷ কেবলমাত্র ডিজিটাল মানেই আধুনিক, তা না ভেবে প্রথম থেকেই সিকিউরিটি বা নিরাপত্তার দিকটি বিশ্লেষণ করা দরকার৷ সম্প্রতি একজন সহকর্মী জানালেন, বাংলাদেশের অনেকগুলো ব্যাংকের সাইটের নিরাপত্তা খুব দুর্বল৷ সহজেই সেখান থেকে গ্রাহকদের তথ্য বের করে নেয়া সম্ভব হয়েছে৷ আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এতো বিশাল অংকের টাকা যেভাবে চুরি হলো, তাতে বোঝা যায়, নিরাপত্তার ব্যাপারে অর্থব্যবস্থার সাথে জড়িত সবাই আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির অনেক কিছু থেকেই বহু বছর পিছিয়ে আছেন৷
এই সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের জন্য খুব জরুরি৷ অর্থব্যবস্থার সাথে জড়িত সব প্রতিষ্ঠান , যেমন রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি সব ব্যাংককের জন্য তথ্য নিরাপত্তা আইন ও নীতিমালার অধীনে সাইবার নিরাপত্তা অডিট বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে৷ তথ্য অথবা টাকা চুরি গেলে বড় অংকের জরিমানা ও অন্যান্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকা এবং জনমানুষের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা আইনের মাধ্যমে সুনিশ্চিত হলে এই সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে বাধ্য হবে৷
স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ায় যা ঘটছে
এখন স্মার্টফোন ছাড়া আর জীবন কল্পনা করতে পারেন না বিশ্বের অনেক মানুষ৷ বিশ বছর আগে প্রথম বাজারে আসে মোবাইল ফোন৷ দ্রুতগতিতে এর ব্যবহার বাড়ায় কী ঘটছে দেখি চলুন৷
ছবি: DW/M.Bösch
আকর্ষণীয় ‘ডাইনোসর’
পৃথিবীর প্রথম স্মার্টফোনটি দেখতে ছিল এরকম৷ নকিয়া ৯০০০ কমিউনিকেটরে কম্পিউটারের অনেক ফিচারসহ ছিল অফিস সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজিং এবং ফ্যাক্সের সুবিধা৷ ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট এটির বিক্রি শুর হয়, দাম ছিল ১৪০০ ইউরোর মতো৷
ছবি: dpa/Nokia
ওজনে হালকা, তবে শক্তিশালী
গতকয়েক বছরে স্মার্টফোন অনেকটা পথ এগিয়েছে৷ ওজন কমেছে, তবে তার অর্থ এই নয় সেটির ক্ষমতাও কমে গেছে৷ বরং আজকের স্মার্টফোনের কম্পিউটিং পাওয়ার চাঁদে অবতরণের জন্য অ্যাপোলো ১১-তে ব্যবহৃত কম্পিউটারের তুলনায় কয়েক মিলিয়ন গুণ বেশি৷
ছবি: Getty Images
অপ্রত্যাশিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
স্মার্টফোনের জন্য রয়েছে অসংখ্য অ্যাপ, যা এগুলোর ব্যবহারকারীদের সবসময় সক্রিয় থাকতে সহায়তা করে৷ কিছু অ্যাপ আবার কতৃপক্ষকে তথ্যও দেয়৷ ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ বনে অবৈধভাবে কাঠ কাটা রোধে অ্যাপের সহায়তা নিয়ে থাকে৷ এই অ্যাপ গাছ কাটার শব্দ সনাক্ত করে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে৷
ছবি: Getty Images
ফোন যখন ‘ওয়েদারম্যান’
নেটওয়ার্কিং গ্রুপ ওপেনসিগন্যালের গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোনে থাকা সেন্সর শুধু ব্যাটারির তাপমাত্রা, আলোর ঘনত্ব এবং চাপই শনাক্ত করতে পারে না, আশেপাশের আবহাওয়ার নিঁখুত হিসেবও নিতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মূত্র দিয়ে মোবাইল চার্জ করা
ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, মানুষ একবার টয়লেটে গিয়ে যে পরিমান প্রস্রাব করে, তা দিয়ে একটি মোবাইল তিন ঘণ্টা পর্যন্ত চালানো সম্ভব৷ এজন্য প্রস্রাবনির্ভর বিশেষ ধরনের ফুয়েল সেল তৈরি করেছেন তারা৷ এর সঙ্গে আরেকটি তথ্য, প্রতিবছর শুধু ইংল্যান্ডেই এক লাখ স্মার্টফোন টয়লেটে পড়ে যায়৷
ছবি: Imago
রোমিং
যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ফ্লোরিডার ক্যালিন অ্যারোনেস কয়েকবছর আগে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন৷ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন বিলটি তিনি দিয়েছেন৷ ক্যানাডায় ছুটি কাটাতে গিয়ে টানা টেক্সটিংয়ের জন্য রোমিং চার্জ হিসেবে তাঁর গুণতে হয়েছিল এক লাখ আশি হাজার ইউরো৷
ছবি: Imago
সাফল্যের অতুলণীয় গল্প
বিশ্বে বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক দশমিক নয় বিলিয়ন৷ সংখ্যাটি ক্রমশ বাড়ছে৷ চলতি বছরের শুরুতে গোটা বিশ্বে ৩৪৯ মিলিয়ন স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে৷ গত বছরের তুলনায় এই বিক্রি ৩ দশমিক নয় শতাংশ বেশি৷ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সেভেন৷ এরপরই রয়েছে অ্যাপলের আইফোন ৬এস এবং ৬এস প্লাস৷
ছবি: Reuters/A. Gea
7 ছবি1 | 7
২) ব্যক্তিজীবনে নিরাপত্তা: বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ এখন ইন্টারনেট বা অন্ততপক্ষে ফেইসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকেনG সাম্প্রতিক দিনগুলোতে একটু একটু করে ব্যক্তিগত জীবনে সাইবার অপরাধের বিস্তারের আভাস মিলছে৷ আদ্দিকালের নানা রকমের প্রতারণার ডিজিটাল সংস্করণ তো আছেই, তার সাথে যোগ হচ্ছে অনলাইনে হয়রানি, প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড, এমনকি পরিচয় চুরি করে নকল অ্যাকাউন্ট খোলা৷ এর কিছু কিছু অপরাধ বাস্তব জীবনে প্রভাব না ফেললেও অন্যগুলো গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করছে৷ ফেইসবুকে, বিশেষ করে নারীদের অনেকেই নকল অ্যাকাউন্টের শিকার হন, তাঁদের পাবলিক করা ছবি চুরি করে নকল অ্যাকাউন্ট খুলে হেনস্থা করার প্রচুর ঘটনার খবর পেয়েছি৷
আবার ফেইসবুকে কারো নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বেআইনি বা উস্কানিমূলক লেখা পোস্ট করে, অথবা নকল স্ক্রিনশট বানিয়ে কাউকে বিপদে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে প্রচুর৷ এসবের অনেকগুলোর মূলেই রয়েছে সচেতনতার অভাব — সেটা অনলাইনে নিরাপদ থাকার সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন না করা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর এই বিষয়ে নিয়মিত ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে হয়েছে৷ সম্প্রতি এর পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে রানসমওয়ার-এর প্রাদুর্ভাব। এসব বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ম্যালওয়ার-এর কাজ হলো আক্রান্ত কম্পিউটারের যাবতীয় ফাইল এনক্রিপ্ট করে তার পরে সেগুলো ফেরত দেয়ার জন্য মুক্তিপণ দাবি করা৷ বাংলাদেশের প্রচুর কম্পিউটার ব্যবহারকারী এবং অনেক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান রানসমওয়ারের আক্রমণের শিকার হয়েছেন৷
এসব সমস্যার সমাধান করতে হলে প্রয়োজন কম্পিউটার নিরাপত্তা সম্পর্কে সাধারণ ধারণাগুলো জনসাধারণের কাছে সহজে তুলে ধরা৷ ডিজিটাল বাংলাদেশের নানা উদ্যোগের সাথে এটির দিকে খুব বড় জোর দিতে হবে সরকারকে৷
৩) রাষ্ট্রীয় ও অবকাঠামোগত নিরাপত্তা: আধুনিক বিশ্বে যুদ্ধ বিগ্রহ ও দেশের সার্বিক নিরাপত্তাতেও কম্পিউটার ও সাইবারসিকিউরিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এক সময় যুদ্ধ হতো মাঠে ময়দানে, বেয়নেটে বুলেটে৷ কিন্তু এখন যেভাবে সবকিছুই তথ্যপ্রযুক্তির অধীনে এসে গেছে, তাতে করে নানা দেশ এখন সাইবার আর্মি চালু করে তা দিয়েই দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এর পাশাপাশি অন্যান্য দেশের উপরে আক্রমণ চালাবার কাজটা করছে৷ সাইবার আক্রমণের একটি অনলাইন লাইভ ম্যাপ থেকে দেখা যায়, প্রতিদিন প্রতিক্ষণ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এরকম সাইবার আক্রমণ চলছে দুনিয়ার সর্বত্র৷ দেশের সরকারি মন্ত্রণালয়সহ সর্বত্র তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কয়েক বছর আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়ে আমরা দেখেছি, কীভাবে একজন বিচারকের কম্পিউটারে স্পাইওয়ার সফটওয়ার বসিয়ে তাঁর কথা ও ইমেইল চুরি করা হয়েছিল৷ আস্তে আস্তে বাংলাদেশ সরকারের নানা বিভাগ ‘কম্পিউটারাইজড' হচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশে এটা খুবই আশাব্যঞ্জক ব্যাপার৷ কিন্তু এসব ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত করা হতে হবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়৷
অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ বিদ্যুৎ গ্রিড, ট্রাফিক, টেলিযোগাযোগসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বিশ্বের সর্বত্র কম্পিউটার দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে৷ এসব সিস্টেমে বাইরের বা ভিতরের শত্রুর আক্রমণও তাই বাড়ছে৷ অল্প কয়দিন আগেই ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বসে পড়েছিল এ রকম একটি সাইবার আক্রমণের ফলে৷ এ রকম নানা সিস্টেমের নিরাপত্তা যাতে কোনো অবস্থাতেই বিঘ্নিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করা সারা দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য খুব বেশি দরকার৷
বাংলাদেশে ই-হেলথ ও ই-স্বাস্থ্য সেবাসমূহ
বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য মোবাইল ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের কিছু সুযোগ তৈরি করেছে সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা
প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে সরকার একটি করে মোবাইল ফোন দিয়েছে৷ রোগীরা সেখানে দিনের যে-কোনো সময় ফোন করে সরকারি চিকিৎসকের কাছ থেকে সেবা ও পরামর্শ নিতে পারবেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে৷ আপনার এলাকার ফোন নম্বর পাবেন এই লিংকে... http://app.dghs.gov.bd/inst_info/mobile_search.php
ছবি: TAUSEEF MUSTAFA/AFP/Getty Images
এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রসূতি পরামর্শ
একজন মা গর্ভধারণ করলে তিনি এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রসূতি পরামর্শ নিতে পারেন৷ এজন্য তাঁকে আগে নিবন্ধিত হতে হবে৷ তাহলে তিনি নিয়মতিভাবে প্রসূতি বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ পেতে থাকবেন৷ নিবন্ধনের নিয়মের জন্য যেতে হবে এই লিংকে.. http://www.dghs.gov.bd/index.php/bd/e-health/2013-06-18-09-06-38/279-pregnancy-care-advice-by-sms
ছবি: Getty Images
‘আপনজন’
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও প্রসূতি মায়েদের মোবাইলের মাধ্যমে পরামর্শ ও সেবা দেয়ার ব্যবস্থা চালু আছে৷ এমন একটি সেবার নাম ‘আপনজন’৷ এর মাধ্যমে গ্রাহকরা বার্তা পাওয়ার পাশাপাশি কম খরচে টেলিফোনে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারেন৷ এই লিংকে (http://aponjon.com.bd/Content.php?MId=36&SubMId=25) গেলে গ্রাহক হওয়ার নিয়ম জানা যাবে৷
ছবি: Noah Seelam/AFP/Getty Images
টেলিমেডিসিন
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দূর থেকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া ও পাওয়ার নাম টেলিমেডিসিন৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট বলছে, দেশের ১৮টি হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে৷ শিগগিরই আরও ১০টি হাসপাতালে এই সেবা শুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে৷
ছবি: Bay Ismoyo/AFP/Getty Images
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ওয়েব ক্যামেরা প্রদান করা হয়েছে৷ ফলে নিম্ন পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীদের জন্য উচ্চ পর্যায়ের হাসপাতালসমূহে কর্মরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে৷
ছবি: Bay Ismoyo/AFP/Getty Images
কমিউনিটি ক্লিনিকে টেলিমেডিসিন
কমিউনিটি ক্লিনিকে টেলিমেডিসিন সেবা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ ইতিমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওয়েব ক্যামেরাযুক্ত মিনি ল্যাপটপ কম্পিউটার সরবরাহ করা শুরু হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে টেলিমেডিসিন
দেশের ২২টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রেও স্কাইপে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে টেলিমেডিসিন সেবা দেয়া হচ্ছে৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বসে চিকিৎসকগণ বিনামূল্যে প্রতি কর্মদিবসে এই সেবা দিচ্ছেন বলে অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
7 ছবি1 | 7
ডিজিটাল বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কিছু পরামর্শ -
১) শিক্ষা ও সচেতনতা: সবার আগে দরকার সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সচেতনতার জন্য পদক্ষেপ নেয়া৷ নানা বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, স্কুল পর্যায় থেকেই কম্পিউটার নিরাপত্তার মূল বিষয়গুলো শেখানো প্রয়োজন৷ এছাড়া রাষ্ট্রের নানা প্রতিষ্ঠানের সবাইকে নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশিক্ষিত করতে হবে৷ ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেকদিন ধরেই বাংলায় সহজে কম্পিউটার নিরাপত্তার সবকিছু সহজ ভাষায় তুলে ধরার চেষ্টা করছি৷ এই কাজটা আরো বড় আকারে দেশব্যপী করতে হবে৷
২) নীতিমালা ও আইন: সাইবারক্রাইম সংক্রান্ত নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন ও আধুনিকায়ন করাটা জরুরি৷ ব্যাংকিং, অর্থ লেনদেন, তথ্য নিরাপত্তা — এর সবকিছুর জন্য আইন প্রণয়ন এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে৷ গ্রাহকদের তথ্য চুরি গেলে ব্যাংক বা অন্য প্রতিষ্ঠানের দায় বা শাস্তি কী হবে, তা নির্ধারণ করতে হবে৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গাফিলতির জন্য অর্থ বা তথ্য চুরি যেন না যায়, কড়া নীতিমালা ও আইনের মাধ্যমে সেটা নিশ্চিত করতে হবে৷
৩) জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা ইন্সটিটিউট: জাতীয় পর্যায়ে কম্পিউটার সিকিউরিটির ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান করা যেতে পারে, যার কাজ হবে সাইবার নিরাপত্তার নীতিমালা প্রণয়ন এবং এই সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আইন ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা৷ সম্প্রতি নানা ঘটনার বা সাইবার অপরাধের সময়ে পত্রপত্রিকায় যা দেখছি, প্রশিক্ষণবিহীন অনেক ব্যক্তি, যাদের কাজ হলো নানা ওয়েবসাইট ‘ডিফেস' করে নষ্ট করে দেয়া পর্যন্তই, তাদেরকে সরকারের নানা মন্ত্রণালয়ে বা অন্যত্র কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ সেটা না করে সুপ্রশিক্ষিত এবং অ্যাকাডেমিক পর্যায়ে শিক্ষক/বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কম্পিউটার নিরাপত্তার জাতীয় সংস্থা গঠন করতে হবে৷ সারা বিশ্বে অনেক বাংলাদেশি কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আছেন, যাঁদের অনেকেই দেশের স্বার্থে নিখরচায় তাঁদের জ্ঞান ও সময় দিতে প্রস্তুত৷ এসব বিশেষজ্ঞের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে৷
ডিজিটাল বাংলাদেশ, অর্থাৎ দেশের সর্বত্র তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও প্রয়োগ আমাদের দেশের উন্নয়নের একটি বড় নিয়ামক৷ এই ডিজিটাল বাংলাদেশ সবার জন্য হোক নিরাপদ — সবার তথ্য, অর্থ, এবং জাতীয় নিরাপত্তা — সবকিছুই নিরাপদে থাকুক, এটা নিশ্চিত করা খুব জরুরি একটি বিষয়৷ আশা করি এই সংক্রান্ত নীতিনির্ধারকেরা আমার এই লেখাটি পড়বেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন৷
যে ৫ কারণে মোবাইল আনলক অবস্থায় রাখা ঠিক না
মোবাইলে বা স্মার্টফোনে আজকাল সবই করা যায়, এটা যেমন সত্যি তেমনি মোবাইলের মাধ্যমে আপনার অনেক কিছুও এখন সহজে জানা যায়৷ তাই মোবাইল ফোন ‘আনলক’ অবস্থায় কোথাও রাখা উচিত নয়৷
ছবি: picture alliance/Denkou Images
দুশ্চিন্তা
আপনার আনলক করা ফোনটি অন্য কারো হাতে গেলে সে অনেক কিছুই দেখে ফেলতে পারে৷ আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের অভ্যাস, রাতের বেলা গুগলে কী খুঁজছেন কিংবা নিজের নাম ইন্টারনেটে কতবার খোঁজেন এমন তথ্যও জেনে যেতে পারেন সেই ব্যক্তি, যা আপনাকে বিব্রত করতে পারে৷ ব্যক্তিগত বিষয়াদি ব্যক্তিগত থাকলেই ভালো, নাকি?
ছবি: Fotolia/Martinan
আপনার ফোন, অন্যের কল
দেখা গেল আপনার আনলক করা ফোন দিয়ে আপনারই বন্ধু কিংবা সহকর্মী ভুল করে কিংবা জেনেবুঝে কোথাও ফোন করছে৷ আর সেই ফোন যদি হয় শুধু খোশগল্পের জন্য, তখন কেমন লাগবে আপনার?
ছবি: Colourbox
চ্যাটে কাকে কী বলছেন?
ফেসবুক, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাটের মতো অ্যাপে ঢুকতে বারবার পাসওয়ার্ড দিতে হয় না৷ আপনার ফোন অন্য কারো কাছে যাওয়া মানে আপনার সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অবাধ প্রবেশের সুযোগ৷ আর যদি এমন হয় যার কাছে ফোন তার নামেই হয়ত ফেসবুক মেসেঞ্জারে কিছু লিখেছিলেন আপনি৷ সম্পর্কটা তখন কোথায় পৌঁছাবে ভেবে দেখেছেন?
ছবি: picture alliance/Denkou Images
কার বার্তা কখন আসবে কে জানে
আপনার বন্ধু বা সহকর্মীর কাছে ফোনটা থাকার সময় যদি এমন কোন বার্তা চলে আসে যা একান্ত ব্যক্তিগত, তখন কী হবে? এই আতঙ্কে থাকার চেয়ে ফোন লক করে রাখা অনেক ভালো৷
মোবাইলে শপিং
স্মার্টফোনে ব্যবহার করে আজকাল শপিংও করা যায় খুব সহজে৷ আপনার মোবাইল আনলক অবস্থায় অসৎ কারো হাতে পরলে আর্থিক ক্ষতি হবার শঙ্কাও থেকে যায় মারাত্মক আকারে৷ তাই নিরাপদে থাকতে চাইলে ফোন সবসময় লক করে রাখুন৷
ছবি: picture-alliance/ZB/J. Büttner
5 ছবি1 | 5
(ড. রাগিব হাসান, সহকারী অধ্যাপক, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামা অ্যাট বার্মিংহাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, http://fb.com/ragibhasan )