ডিজেলচালিত গাড়ি থেকে নির্গত হওয়া বিষাক্ত নাইট্রোজেন অক্সাইডের কারণে শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত নানা রোগ হতে পারে৷ তাই বিশ্বের বিভিন্ন শহর এসব গাড়ির উপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারির পরিকল্পনা করছে৷
বিজ্ঞাপন
মার্সিডিজ বেনৎস ও পোরশে গাড়ির শহর বলে পরিচিত জার্মানির স্টুটগার্টের একটি আদালত ইতিমধ্যে ডিজেলচালিত গাড়ির উপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷ শহরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখার খাতিরে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত৷
এই অবস্থায় ডিজেলচালিত গাড়ির ভবিষ্যৎ নিয়ে গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোর প্রধান ও জার্মান সরকারের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ পেট্রোলচালিত গাড়ির চেয়ে ডিজেলচালিত গাড়ি কম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে বলে জার্মান গাড়ি নির্মাতারা এই খাতে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করেছে৷ তবে ডিজেল ইঞ্জিন থেকে বেশি পরিমাণে নাইট্রোজেন অক্সাইড বের হওয়ার খবরে জার্মান নাগরিকদের মধ্যেও এখন এর বিরোধিতা বেড়েছে৷ পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ জার্মান মনে করেন, যেসব শহরে বাতাস ততটা বিশুদ্ধ নয় সেসব শহরে এই গাড়ি চলাচল বন্ধ করা যেতে পারে৷
ইউরোপে পেট্রোল-ডিজেলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার?
শুধু জার্মানিতে ডিজেলগেট কেলেঙ্কারির কারণে নয়, বায়ুদূষণ কমাতে ডিজেল ও পেট্রোলচালিত গাড়ি ধাপে ধাপে বন্ধ করার জন্য চাপ বাড়ছে গোটা ইউরোপে৷ কিন্তু এমন বৈপ্লবিক পদক্ষেপের পথে রয়েছে অনেক বাধা-বিপত্তি ও জটিলতা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Woitas
বিকল্প জ্বালানির ধীর অগ্রগতি
২০১৬ সালের হিসেব অনুযায়ী গোটা ইউরোপে মাত্র ০ দশমিক ২ শতাংশ গাড়ি পুরোপুরি বিদ্যুৎচালিত ছিল৷ হাইব্রিড গাড়ি ধরলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ৷ প্রযুক্তির উন্নতি সত্ত্বেও রাজনৈতিক সদিচ্ছা, অবকাঠামোর অভাবের মতো অনেক কারণে ইউরোপে পরিবহণের ক্ষেত্রে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার এখনো নগণ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Woitas
গাড়ি কোম্পানিগুলির প্রতিরোধ
পেট্রোল-ডিজেল ‘লবি’ প্রচলিত গাড়ির পক্ষে যে সব যুক্তি দেখায়, কর্মসংস্থান তার মধ্যে অন্যতম৷ যেমন জার্মানির গাড়ি শিল্পের সংগঠন ভিডিএ-র দাবি, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রচলিত পেট্রোল-ডিজেল ইঞ্জিন উৎপাদন বন্ধ করলে জার্মানিতে প্রায় ছ’লক্ষ মানুষ চাকরি হারাতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jan Woitas
বিকল্প জ্বালানি ও কর্মসংস্থান
বিকল্প জ্বালানির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপানের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের যে জোয়ার দেখা গেছে, ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রেও তেমনটা ঘটবে বলে পূর্বাভাষ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ একটি হিসেব অনুযায়ী ২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপে এক্ষেত্রে ২৫ হাজার নতুন চাকরি হবে৷
ছবি: picture alliance/dpa/U. Zucchi
দুর্বল ব্যাটারি নিয়ে সমস্যা
ইলেকট্রিক গাড়ির অন্যতম সমস্যা ঘনঘন ব্যাটারি চার্জের প্রয়োজনীয়তা৷ তার উপর চার্জিং-স্টেশনের সংখ্যা এখনো কম৷ সেই নেটওয়ার্ক বাড়ালে ও ব্যাটারির দাম কিলোওয়াট-প্রতি ১০০ মার্কিন ডলারে নেমে এলে প্রচলিত গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে ইলেকট্রিক গাড়ি৷ ২০২০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এমনটা সম্ভব হবে বলে পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
নিষেধাজ্ঞার পথ
ব্রিটেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে দেশে ২০৪০ সাল থেকে কোনো নতুন পেট্রোল ও ডিজেলচালিত গাড়িকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে না৷ ইউরোপে একের পর এক দেশ ও শহর এমন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে চলেছে৷ বায়ুদূষণ কমাতে ও বিকল্প জ্বালানিচালিত গাড়ির উৎপাদনকে উৎসাহ দিতে এমন সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/S.Barbour
‘একলা চলো রে’ নীতির সমস্যা
ইউরোপের গাড়ি শিল্প পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত৷ তাই ব্রিটেনের মতো দেশ বা কিছু শহর বিচ্ছিন্নভাবে পেট্রোল-ডিজেল বর্জন করলে নির্গমনহীন গাড়ি তৈরির প্রয়াস উলটে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন৷ আমদানি-রপ্তানির ক্ষতি, যন্ত্রাংশ সরবরাহে বিঘ্নের ফলে বিকল্প জ্বালানির গাড়িতে বিনিয়োগ কমে যাবার আশঙ্কা রয়েছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/L. M. Mirgeler
চাপের মুখে গাড়ি শিল্প
জার্মানির দু’টি প্রধান গাড়ি কোম্পানি ‘ক্লিন ডিজেল’ প্রযুক্তিতে বিশাল বিনিয়োগ করেছে৷ কিন্তু ২০১৫ সালে অ্যামেরিকায় গাড়ির কার্বন নির্গমন পরীক্ষায় কারচুপি স্বীকার করে নেয় ফলক্সভাগেন কোম্পানি৷ আউডি, পর্শে সহ কোম্পানির এই অসৎ কাজ জার্মানির পরিবহণ কর্তৃপক্ষ ধরতে পারেনি৷ তাই জার্মান গাড়ি শিল্প ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাপের মুখে পড়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
পরিবর্তনের শীর্ষে ভলভো
সুইডেনের ভলভো কোম্পানি জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৯ সালের পর তারা আর কোনো পেট্রোল ও ডিজেলচালিত গাড়ি উৎপাদন করবে না৷ এই প্রথম কোনো বড় আকারের গাড়ি কোম্পানি এমন সাহসি পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ উল্লেখ্য, সুইডেন ২০৪৫ সালের মধ্যে সব ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বন্ধ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে৷
ছবি: picture-alliance/Photoagency Interpress
8 ছবি1 | 8
ডিজেল গাড়ির এই সমস্যার সমাধানে গাড়ি নির্মাতারা স্বেচ্ছায় ক্রেতাদের একটি সফটওয়্যার প্যাচ দিচ্ছেন৷ এর ফলে বায়ু দূষণের পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে বলে জানানো হচ্ছে৷ গাড়ি নির্মাতারা ইতিমধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির দিকে তাদের মনোযোগ দেয়া শুরু করেছেন৷ সেটি যতদিন পর্যন্ত না প্রত্যাশিত মাত্রায় পৌঁছাতে পারছে, ততদিন এভাবে সফটওয়্যার প্যাচ দিয়ে যেতে চায় গাড়ি নির্মাতারা৷ উল্লেখ্য, ফলক্সভাগেন কোম্পানি ২০২৫ সালের মধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনে বিশ্বের সেরা হতে চায়৷
রাজনীতি
ডিজেল গাড়ি নিয়ে এই নেতিবাচক পরিস্থিতির শুরু ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে৷ সেই সময় ফলক্সভাগেন স্বীকার করে যে, তারা বিশ্বব্যাপী বিক্রি হওয়া লক্ষ লক্ষ গাড়িতে একটি অবৈধ ডিভাইস ইনস্টল করেছে, যেটা বায়ু দূষণের পরিমাণ কম দেখায়৷ এরপর একে একে মার্সিডিজ বেনৎস প্রস্তুতকারক ডাইমলার ও বিএমডাব্লিউও এমন প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়৷
এ সব খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ডিজেলচালিত গাড়ি সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক মনোভাব দেখা দেয়৷ তবে গাড়ি নির্মাতাদের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের সুসম্পর্ক থাকায় এবং জার্মানির রপ্তানি আয়ের একটি বড় অংশ গাড়ি শিল্প থেকে আসায় নির্মাতাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে সমালোচকদের অভিযোগ৷
জার্মানিতে আর মাস দুয়েকের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ তার আগে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে গাড়ি নির্মাতাদের বিরুদ্ধে সরকার ততটা কঠোর ব্যবস্থা নেবে না বলেই মনে করছেন অনেকে৷ বরং পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে৷ দূষণ কমাতে সরকার ও গাড়ি নির্মাতারা মিলে ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর একটি বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারে বলে জানা গেছে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)
জার্মানরা আজও যে সব গাড়ি নিয়ে পাগল...
এই সব মডেলের গাড়ি দেখে গাড়ি প্রেমিকদের চোখে আজও জল আসে৷ ফল্কসভাগেন থেকে বিএমডাব্লিউ, ওপেল থেকে মার্সিডিজ বেঞ্জ অবধি জার্মান গাড়ি নির্মাতারা নানা ‘কাল্ট মডেল’ তৈরি করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
ফল্কসভাগেন বিটল (১৯৩৮)
এক কথায় ‘ওল্ড ফেইথফুল’৷ সর্বসাকুল্যে দু’কোটি দশ লাখের বেশি বিটল তৈরি হয়েছে৷ ফল্কসভাগেন বিটল সম্ভবত বিশ্বের প্রখ্যাততম মোটরগাড়ি৷ ১৯৩৮ থেকে ২০০৩ সাল অবধি বিটল-এর ডিজাইন বিশেষ বদলায়নি৷ ‘হার্বি’ ফিল্মটার কথা মনে করুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ফল্কসভাগেন টি-ওয়ান (১৯৫০)
...বলতে বোঝায় ফল্কসভাগেন ক্যাম্পার ভ্যান, যা হিপি আন্দোলনের সময় খুব জনপ্রিয় হয়েছিল৷ জার্মানরা এর নাম দিয়েছিলেন ‘বুলি’৷ সে-যাবৎ এক কোটির বেশি ফল্কসভাগেন বাস বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে টি-ওয়ান মডেলের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮ লাখ৷
ছবি: DW/M. Reitz
মেসারস্মিট কেবিন স্কুটার (১৯৫৩)
মেসারস্মিট যে আদতে এয়ারোপ্লেন তৈরি করত, তিন চাকার এই এয়ায়োডাইনামিক গাড়িটির চেহারা দেখলেই তা বোঝা যায়৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিমান তৈরি বন্ধ হয়ে যায়, কাজেই মেসারস্মিট কিছুদিন ইঞ্জিনিয়ার ফ্রিটৎস ফেন্ড-এর সঙ্গে ‘ফ্লিটৎসার’ গাড়ির মডেলটি নিয়ে কাজ করে৷ তবে ১৯৫৬ সালের মধ্যেই মেসারস্মিট আবার বিমান উৎপাদনে ফেরে৷
ছবি: picture alliance/dpa/H. Galuschka
মার্সিডিজ ৩০০ এসএল (১৯৫৪)
গাড়িটার ডাকনাম হয়েছিল ‘গালউইং’ বা ‘গাঙচিলের পাখা’, কারণ দরজাগুলো ঠিক সেভাবেই ওপরের দিকে খুলত৷ ৩০০ এসএল সিলভার অ্যারো রেসিং কার-গুলো থেকেই মার্সিডিজ বেঞ্জ আবার মোটর রেসিং-এ ফেরে৷ লে মান্সের ২৪ ঘণ্টার মোটর দৌড় আর ক্যারেরা প্যানঅ্যামেরিকানা রেসিং ইভেন্টে জেতার পর ৩০০ এসএল গাড়ির একটি রাস্তায় চলা ও চালানোর মতো মডেল বার করা হয়৷
ছবি: Daimler AG
বিএমডাব্লিউ ইসেটা (১৯৫৫)
১৯৫৫ থেকে ১৯৬২ সাল অবধি ভালোই রোজগার করেছে বিএমডাব্লিউ এই ‘বাবল কার’ বা ‘বুদবুদ গাড়ি’-টি তৈরি করে৷ সস্তার কিন্তু কাজের এই মিনিগাড়িটিতে একটি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন লাগানো ছিল৷ খুলতে হতো সামনে, ঠিক একটা ফ্রিজিডেয়ারের মতো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
পোর্শে নাইন-ইলেভেন (১৯৬৩)
ভাবলেই আশ্চর্য লাগে, পোর্শে ৯১১ স্পোর্টিং মডেলটি চলে আসছে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে! মোটরগাড়ির ইতিহাসে খুব কম মডেলই এতদিন ধরে চলে৷ তার উঁচু করা হেডলাইট আর পিছনদিকে নীচু বুট দেখলেই নাইন ইলেভেনকে চেনা যায়৷
ছবি: picture-alliance//HIP
মার্সিডিজ বেঞ্জ ৬০০ (১৯৬৪)
টেলিফোন, এয়ার কন্ডিশনিং আর ফ্রিজ লাগানো এই জার্মান লাক্সারি সেডানটি সত্তর আর আশির দশকে পোপ থেকে শুরু করে জন লেনন অবধি সেলিব্রিটিদের খুব প্রিয় ছিল৷ এমনকি ১৯৫৫ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন রাষ্ট্রীয় সফরে জার্মানিতে আসেন, তখন জার্মান সরকার মাননীয় অতিথির জন্য একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ ৬০০ ভাড়া করেছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ট্রাবান্ট ৬০১ (১৯৬৪)
ফল্কসভাগেন বিটল পশ্চিম জার্মানিতে যা ছিল, পূর্ব জার্মানিতে ট্রাবান্ট ৬০১ ছিল ঠিক তাই৷ প্লাস্টিকের বডি আর টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন সংযুক্ত এই ‘ট্রাবি’ ছিল এক হিসেবে পূর্ব জার্মানির প্রতীক৷ আজও প্রায় ৩৩,০০০ ‘ট্রাবি’ জার্মানির পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷
ছবি: Imago/Sven Simon
ভার্টবুর্গ ৩৫৩ (১৯৬৬)
আইসেনাখ শহরের কাছে ভার্টবুর্গ দুর্গ, তারই নামে নাম রাখা হয়েছিল পূর্ব জার্মানির এই দ্বিতীয় আইকনিক গাড়িটির৷ তৈরি হতো প্রধানত রপ্তানির জন্য, যেমন হাঙ্গেরি অথবা ব্রিটেনে৷ তবে পশ্চিম জার্মানিতে ভার্টবুর্গ গাড়ির বিশেষ চাহিদা ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/ZB/J. Wolf
ওপেল মান্টা (১৯৭০)
সৃষ্টি হয়েছিল মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য একটি স্পোর্টস মডেল হিসেবে – পরে সেটাই জার্মানির ‘ইয়ং ম্যান’-দের কাছে অভীপ্স বস্তু হয়ে দাঁড়ায়৷ মান্টা চালকদের নিয়ে জার্মানিতে অসংখ্য রসিকতা আছে: বিশেষ করে মান্টা চালকদের বুদ্ধি – অথবা তার অভাব নিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ফল্কসভাগেন গল্ফ (১৯৭৪)
১৯৭৪ সালে ফল্কসভাগেন কোম্পানি তাদের প্রথম গল্ফ মডেল বার করে – সুবিখ্যাত বিটল গাড়ির উত্তরসূরি হিসেবে৷ কমপ্যাক্ট হলেও, গল্ফ ছিল বেশ ‘স্পোর্টি’ আর তেলও খেতো কম – যা সত্তরের দশকের ‘অয়েল ক্রাইসিসে’ খুবই কাজে লেগেছে৷