পঞ্চাশ পেরোলো জার্মানির আন্তর্জাতিক সম্প্রচারকেন্দ্র ডিডাব্লিউর বাংলা বিভাগ৷ ১৯৭৫ সালের এপ্রিলে ডয়চে ভেলে বা ডিডাব্লিউ বাংলা পথচলা শুরু করেছিল কোলন শহরে৷ বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় বনে৷
এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের সাথে যারা ছিলেন, তাদের কয়েকজন জানিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা৷
ডিডাব্লিউ বাংলার সাবেক প্রধান আব্দুল্লাহ আল-ফারূক বলেন, ‘‘বাংলা অনুষ্ঠান অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এই পর্যায়ে এসেছে এবং অত্যন্ত সুন্দর এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে৷ আমি আশা করবো ভবিষ্যতেও তাদের এই পথচলা অব্যাহত থাকবে৷’’
ডিডাব্লিউ বাংলার সাবেক কর্মী নুরুননাহার সাত্তার বলেন, ‘‘আগে আমরা শুনতাম শ্রোতারা সবসময় বলতো, ডয়চে ভেলে নাকি বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচার করে৷ সেটা বজায় থাকবে৷ এখন আরো ভালো হয়েছে, অনেক উন্নত হয়েছে আর এই ধারা বজায় রাখবে এটাই আমি আশা করি৷’’
ডিডাব্লিউ বাংলার আরেক সাবেক কর্মী মারুফ আহমেদ বলেন, ‘‘ডয়চে ভেলে এখন অনেক বেশি পরিচিত আগের চাইতে এবং আমার মনে হয় আরো বেশি পরিচিত হবে৷’’
বাংলাদেশ, ভারতের পাশাপাশি গোটা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য বিভিন্ন কনটেন্ট প্রচার করছে ডিডাব্লিউ৷ বাংলা বিভাগের পঞ্চাশ বছর উদযাপনের অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন দুই বাংলার দুই গুণী শিল্পী৷ তারা জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের কাছে তাদের প্রত্যাশার কথাও৷
বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী রাহুল আনন্দ বলেন, ‘‘আমি মনে করি যেকোনো গণমাধ্যমের প্রথম এবং প্রধান শর্ত হওয়া উচিত তারা যেন মানুষের জন্য মানুষের কথা বলে৷ মানুষ যে কথাগুলো... অনেক মানুষ বলতে চায় কিন্তু বলতে পারে না, যে আওয়াজটা পৌঁছায় না পুরো পৃথিবীর কাছে, ডয়চে ভেলে যেন সেই মাধ্যম হিসেবে কাজ করে৷’’
তিনি বলেন, ‘‘মানুষের মানবতার জন্য... এই পৃথিবী জুড়ে যে মানুষ এখন হাহাকার করছে, চিৎকার করছে, সেই হাহাকার, চিৎকারের যে ভাষাটা সেটা যাতে ডয়চে ভেলের ভাষায়... কারণ ডয়চে ভেলের অনেকগুলো ভাষাভাষী জানালা আছে, সেই জানালাগুলো দিয়ে যেন সারা পৃথিবী জানাতে পারে মানুষের কথা৷’’
ভারতের সংগীত শিল্পী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, ‘‘এই মুহূর্তে সংবাদ আমি বলবো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সারা পৃথিবী জুড়ে৷ তার কারণ দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্র নায়করা যারা ক্ষমতাসীন একটা জায়গায় পৌঁছচ্ছে, তাদের প্রধান আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে মিডিয়া৷ তারা প্রথমে সবার আগে দখল করতে চাচ্ছে প্রায় দুর্গ দখল করার মতোই মিডিয়াকে৷
ফলে মিডিয়ার এখন সত্যিই এমন এক অবস্থা, যে সে রাজ অনুগ্রহ পাবে বলে অনেক সময় তারা আত্মসমর্পন করছে৷’’
তিনি বলেন, ‘‘এটুকুই বলার যে ডয়চে ভেলে যেন সে জায়গায় না পৌঁছয়৷ সংবাদপত্রের বা সংবাদমাধ্যমের যে নিরপেক্ষতা, সেই নিরপেক্ষতা, তার যে চতুর্থ স্তম্ভ হয়ে ওঠা গণতন্ত্রের - সেই আদর্শটা যেন বজায় রেখে ডয়চে ভেলে চলে৷’’