ফেক নিউজ বা ভুয়া খবরের শেষ নেই৷ সেইসঙ্গে ভুয়া ছবি ও ভিডিওর মানও এত বেড়ে চলেছে, যে সেগুলি শনাক্ত করার কাজও কঠিন হয়ে উঠছে৷ বিশেষ সফটওয়্যারের সাহায্যে সেই ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে৷
বিজ্ঞাপন
আজকাল শুধু একটা ফটোর সাহায্যেই অত্যন্ত দ্রুত ফেক ভিডিও তৈরি করা যায়৷ সত্যি বিস্ময়কর সেই প্রক্রিয়া৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তিন মিনিটেরও কম সময়ে যে কোনো ফটোকে জীবন্ত করে তুলে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব৷ কয়েকটি টাটকা উদাহরণের মাধ্যমে এই প্রযুক্তির ক্ষমতা টের পাওয়া যায়৷
মাল্টি সিগন্যাল প্রসেসিং গ্রুপের তুরাজ এব্রাহিমির বিশেষজ্ঞ টিম এমন ‘ডিপ ফেক' ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে৷ ভবিষ্যতে এমন প্রযুক্তির প্রয়োজন অনেক বাড়বে৷ এব্রাহিমি বলেন, ‘‘ডিপ ফেক ডিটেক্টর নিখুঁত না হলেও সেগুলি ছড়ানোর আগেই বেশিরভাগ নকল ভিডিও শনাক্ত করতে পারবে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটা হলেই যথেষ্ট৷ তবে সেই সমাধানসূত্র এমন হতে হবে, যাতে সেগুলি ডিপ ফেক প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও সতর্ক হয়ে উঠতে পারে৷''
অর্থনীতি জগতেও ডিপ ফেক নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ বিমার ক্ষেত্রে প্রতারণার মতো ঘটনা ঘটলে ভুল ছবি শনাক্ত করা অত্যন্ত জরুরি৷ গ্রাফিক বিশেষজ্ঞরা ছবির মধ্যে এমন সব সূচক নির্ণয় করার চেষ্টা করছেন, যাতে ডিপ ফেক শনাক্ত করা যায়৷ ইন্টেলিজেন্ট রেকগনিশন সফটওয়্যারে অসংখ্য নকল ছবি ও ভিডিও ঢুকিয়ে অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যগুলি শেখানো হচ্ছে৷ স্পষ্ট ফেক-মার্কার শনাক্ত হলেই লাল চিহ্ন ফুটে ওঠে৷ বোঝা যায়, ছবিতে হেরফের করা হয়েছে৷ এব্রাহিমি বলেন, ‘‘ছয় মাস আগের ডিপ ফেক প্রযুক্তির দিকে ফিরে তাকালে খেয়াল হবে, যে অনেক ভিডিও সহজেই শনাক্ত করা যেত৷ খালি চোখেই গোলমাল ধরা পড়তো৷ আর আজ সেগুলি অনেক বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে৷ কোনো ভিডিও আসল না নকল, তা ধরা কঠিন হয়ে পড়ছে৷ তিন থেকে নয় মাসের মধ্যে ৯৯.৯ শতাংশ মানুষ ফেক ভিডিও দেখলে পার্থক্য বুঝতে পারবেন না৷''
অর্থাৎ তথ্য-পরীক্ষকদের সামনে কঠিন সময় আসছে৷ মিমিকামা নামের এমন এক কোম্পানির জন্য সৌভাগ্যবশত ডিপ ফেক এখনো দৈনন্দিন কাজের অংশ হয়ে ওঠে নি৷ তবে নতুন রেকগনিশন টুল ছাড়া ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে উঠতে পারে৷ মিমিকামার বিশেষজ্ঞ আন্দ্রে ভল্ফ বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি আরও সহজ ও আরও উন্নত হলে আমাদের টুলগুলিও আরও সহজে সেগুলি শনাক্ত করতে পারবে বলে আমার আশা৷''
তারকাদের গোপন ভিডিও ফাঁসের ১৬ ঘটনা
তারকাদের ছবি বা ভিডিও ফাঁসের ঘটনা মাঝেমাঝেই আলোড়ন সৃষ্টি করে৷ সাধারণত কোন হ্যাকার বা প্রতিহিংসার বশে কেউ সেগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়৷ ছবিঘরে থাকছে অস্ট্রেলিয়ার ‘হু’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এরকম ঘটনার শিকার ১৬ তারকার কথা৷
ছবি: picture-alliance/empics/Y. Mok
কিম কার্দেশিয়ান
সোশ্যাল মিডিয়া তারকা কিম কার্দেশিয়ানের সেক্স টেপ প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে৷ ভিডিওটিতে তাঁর সঙ্গী ছিলেন তাঁর সাবেক ছেলেবন্ধু রেই জে৷ ভিভিড এন্টারটেইনমেন্ট সেই ভিডিও প্রকাশ করলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেন কিম৷ ফলে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পান তিনি৷
ছবি: Getty Images/D. Becker
প্যারিস হিল্টন
প্যারিস হিল্টনের সঙ্গে তাঁর ছেলেবন্ধু রিক সালেমানের যৌন মিলনের কিছু দৃশ্য নিয়ে ‘ওয়ান নাইট ইন প্যারিস’ নামে একটি পর্ন ফিল্ম মুক্তি পায় ২০০৪ সালে৷ হিল্টন দাবি করেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়াই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছিল৷ এমনকি ভিডিও ধারণের সময়ও তিনি সেই বিষয়ে সচেতন ছিলেন না বলে জানিয়েছেন এই তারকা৷ বিষয়টি নিয়ে আদালতে গেলে চার লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
পামেলা এন্ডারসন
হানিমুনে গিয়ে স্বামী টমি লিয়ের সঙ্গে শখের বশে একটি সেক্স টেপ তৈরি করেছিলেন বেওয়াচ তারকা পামেলা এন্ডারসন৷ কিন্তু পরবর্তীতে কেউ একজন তাঁর বাড়ি থেকে সেই ভিডিও চুরি করেন এবং ‘ইন্টারনেট এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপের’ কাছে বিক্রি করে দেন৷ এই তারকার আরো একটি একই ধরনের ভিডিও ইন্টারনেটে ফাঁস হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Bruna
ফারাহ আব্রাহাম
যখন জানাজানি হয় যে ফারাহ আব্রাহাম এবং জেমস ডিনের একটি সেক্স টেপ আছে তখন বাধ্য হয়েই সেটি প্রকাশে সম্মতি দেন তিনি৷ আব্রাহাম জানিয়েছেন ভিডিও প্রকাশের ফলে তাঁর ক্যারিয়ারে তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি৷ তবে ডিন সেটির কথা মানুষকে জানিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ করেছিলেন বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/M. Winkelmeyer
কেট রিচি
২০০০ সালে গুজব ছড়িয়েছিল যে কেট রিচির সঙ্গে তাঁর এক সাবেক ছেলেবন্ধুর একটি সেক্স ভিডিও রয়েছে৷ তবে, সেই খবর কখনো নিশ্চিত করেননি কিংবা প্রকাশ্যে সেই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি এই সোপ অপেরা তারকা৷ ইন্টারনেটে তাঁর নাম সার্চ করলে অবশ্য ভিডিওটির স্ক্রিনশট এখনো দেখা যায়৷
ছবি: Getty Images/L. M. Williams
ব্লাক সায়না
প্রাক্তন এক ছেলেবন্ধু তাঁকে না জানিয়েই তাদের এক অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ভিডিও করেছিলেন৷ পরবর্তীতে সেই ঘটনাকে ‘অপমানকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ব্লাক সায়না৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Weiss
জেনিফার লরেন্স
২০১৪ সালে একশোর বেশি তারকার আইক্লাউড একাউন্ট হ্যাকড হয়েছিল৷ তাদের একজন জেনিফার লরেন্স৷ তাঁর নগ্ন ছবি ফাঁস হয় তখন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Close
ম্যাল বি
প্রাক্তন স্বামী স্টেফেন বেলাফন্টের এক কুকীর্তির কথা জেনে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন মেল বি৷ তিনি নাকি তাঁকে না জানিয়েই তাদের যৌন জীবনের ৬০টি ভিডিও তৈরি করেছিলেন৷ সেসব ভিডিও যাতে ফাঁস না হয় সেজন্য স্বামীর বিরুদ্ধে আনা গৃহ নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন সাবেক এই স্পাইস গার্ল৷
ছবি: AFP/Getty Images/A. Pizzoli
বেলা থর্নে
এক হ্যাকার বেলা থর্নের নগ্ন ছবি ফাঁসের হুমকি দিয়েছিলেন৷ সেই হুমকিতে ভয় না পেয়ে নিজেই সেসব ছবি প্রকাশ করেন বেলা৷ অনেকে তাঁর এই উদ্যোগকে এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন৷ তবে, হুপি গোল্ডবার্গ এমন ছবি তোলাই উচিত নয় বলে বেলা থর্নের সমালোচনা করেছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/A. Pizzoli
রব লো
১৬ বছর বয়সি এক মেয়ের সঙ্গে যৌন মিলনের ভিডিও টেপ প্রকাশের পর ভালোই বিপাকে পড়েছিলেন রব লো৷ ১৯৮৮ সালের ঘটনা সেটা৷ তখন তাঁর বয়স ছিল ২৪ বছর৷ জর্জিয়ায় সেই ভিডিওটি করা হয়েছিল৷ সেখানকার আইনে একটি মেয়ে ১৪ বছর বয়সেই যৌন সঙ্গমে সম্মতি দিতে পারতো৷ কিন্তু, কোন ভিডিওতে নিজের উপস্থিতির সম্মতি দেয়ার বয়স ছিল ১৮৷ সেই ঘটনা রবের ক্যারিয়ারের মারাত্মক ক্ষতি করেছিল৷
ছবি: AFP/Getty Images/V. Hache
আম্বার রোস
আম্বার রোসের আসলেই কোন সেক্স টেপ আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ তবে, অসংখ্য ভিডিও ইন্টারনেটে রয়েছে যেগুলোতে তাঁকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় অন্য কারো সঙ্গে দেখা গেছে৷ নগ্ন ছবি প্রকাশেরক্ষেত্রে তিনি অবশ্য বেশ উদার হিসেবেই পরিচিত৷
ছবি: Getty Images/F. Harrison
জেনিফার লোপেজ
জেনিফার লোপেজের প্রাক্তন স্বামী ওজানি নোয়া ২০০০ সালের দিকে তাদের একটি সেক্স ভিডিও ফাঁস করে স্ত্রীর উপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু লোপেজ তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে এই কাজ করা থেকে রুখতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ তাসত্ত্বেও কয়েকটি ওয়েবসাইট দাবি করেছে তাদের কাছে সেই ভিডিওর কপি রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Lane
নিকোল শেরজিঞ্জার
নিকোল শেরজিঞ্জার এবং তাঁর প্রাক্তন ছেলেবন্ধু লুইস হ্যামিল্টনের ফাঁস হওয়া ভিডিওটিতে দু’জনের আলিঙ্গন ও চুম্বন দৃশ্য ছাড়া আর কিছু ছিল না৷ তাসত্ত্বেও সেই ভিডিও প্রকাশের পর বেজায় ক্ষেপেছিলেন নিকোল৷ তিনি সেই ঘটনাকে ‘যৌন সহিংসতা’ আখ্যা দিয়ে তাঁর ব্যক্তি গোপনীয়তা এবং সম্মতির অধিকারের চরম লঙ্ঘন আখ্যা দিয়েছিলেন৷ নিকোলের ভয় ছিল ভবিষ্যতে তাদের অন্য কোন ভিডিও ফাঁস হতে পারে যা আরো বেশি অন্তরঙ্গ৷
ছবি: Imago/Zumapress
কেন্ড্র উইলকিনসন
মাত্র ১৮ বছর বয়সে এক এডাল্ট ভিডিও বানিয়েছিলেন কেন্ড্র উইলকিনসন৷ তবে সেটি ২০১০ সালের আগ অবধি প্রচার করেনি ভিভিড এন্টারটেইমেন্ট৷ আর যখন সেটি প্রকাশ হয় তখন কেন্ড্র বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা৷ এই ঘটনাকে অত্যন্ত বিব্রতকর আখ্যা দিয়েছন কেন্ড্র৷ এমনকি ভিডিওটির প্রকাশ রুখতে আদালতেও গিয়েছিলেন তিনি৷ তবে সফল হননি৷
ছবি: Getty Images/G. Olsen
স্কারলেট ইয়োহানসন
যদি কোন ওয়েবসাইট দাবি করে যে সেটির কাছে স্কারলেট ইয়োহানসনের সেক্স ভিডিও রয়েছে, তবে তা বিশ্বাস না করাই ভালো৷ কেননা, স্কারলেট নিজে জানিয়েছেন সেগুলো ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি ভুয়া ভিডিও৷ ২০১১ সালে এক হ্যাকার অবশ্য তাঁর ফান থেকে একটি নগ্ন ছবি চুরি করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছিল৷ স্কারলেট সফলভাবে সেই হ্যাকারকে বিচারের মুখোমুখি করতে পরেছেন৷ এবং হ্যাকারের এক দশক কারাবাসের শাস্তি হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Ralston
মাইলি সাইরাস
স্টেজে এবং ক্যামেরার সামনে প্রায়ই নানা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি করেন মাইলি সাইরাস৷ ২০১৭ সালে তাঁর কিছু অন্তরঙ্গ ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস করে একটি পর্ন ওয়েবসাইট৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Riley
রিহানা
অজ্ঞাতপরিচয়ের এক হ্যাকার ২০০৯ সালে রিহানার নগ্ন ছবি ফাঁস করে৷ এটাকে তাঁর সঙ্গে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিলেও ক্যারিয়ারের উপর তার যেন কোন প্রভাব না পড়ে সচেষ্ট ছিলেন এই সঙ্গীতশিল্পী৷ তবে নিজের নগ্ন ছবি তোলাকে কোন অপরাধ হিসেবে মানতে রাজি নন রিহানা৷ বরং যেসব ছেলেবন্ধুদের তাদের বান্ধবীরা নগ্ন ছবি পাঠায় না তাদের জন্য তাঁর খারাপ লাগে বলে জানিয়েছেন রিহানা৷
ছবি: Getty Images/C.Jackson
17 ছবি1 | 17
বিশেষ করে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে এত দ্রুত ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে, যে ইউজারদের ফ্যাক্ট-চেকারদের নিয়ম জানা জরুরি হয়ে পড়ছে৷ আন্দ্রে ভল্ফ বলেন, ‘‘সবার আগে নিজেকে এবং মিডিয়ার ক্ষেত্রে নিজের অভ্যাস ও আচরণ চেনা জরুরি৷ কারণ যে সব বিষয় মানুষকে নাড়া দেয়, সংবাদের যে সব উৎসের প্রতি যথেষ্ট আস্থা রয়েছে, সেই পরিচিত বলয়ে অঘটন ঘটলে বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়তে পারে৷ তারপর উৎস ভালো করে যাচাই করতে হবে৷ সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে৷ সেটি কীভাবে কাজ করে, ফলাফলের মধ্যে কীভাবে তুলনা করতে হয়, সে সবও জানতে হবে৷ সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ছবি সন্ধান করে যাচাইয়ের পদ্ধতিও রপ্ত করা চাই৷ কোনো কিছুর মাত্রা অস্বাভাবিক মনে হলে সে বিষয়ে অবগত মানুষের মতামত জেনে নিলে ভালো হয়৷''
তবে এভাবে শুধু সতর্ক থাকলেই চলবে না৷ একইসঙ্গে ভুয়া তথ্য সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে৷ ভল্ফ মনে করেন, ‘‘স্কুলেও সেই লক্ষ্যে কিছু হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি৷ তবে একদিকে সেই প্রয়োজনীয়তার কথা বলে অন্যদিকে ফেসবুকে অতিরিক্ত ফেক নিউজ সম্পর্কে অভিযোগ করলে চলবে না৷ কারণ কিশোর-কিশোরীরা মোটেই ফেসবুকে তেমন সক্রিয় নয়৷ ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সিরাই প্রধানত সেটি ব্যবহার করেন৷ অর্থাৎ সমস্যা হলো, প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষা দেবার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কাজ হচ্ছে না৷''