গাড়ি চলার রাস্তায় গর্ত হবে, তা-তে অস্বাভাবিক কিছু নেই৷ যদি না ফাটল আগে থেকে খুঁজে বের করে তার মেরামতির ব্যবস্থা করা যায়৷ তার জন্য আবার লাগবে হাই-টেক, স্ট্রোব লাইট, হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা৷
বিজ্ঞাপন
রোদবৃষ্টি, ঝড়-জল তো আছেই, সেই সঙ্গে আছে বাস-লরি-ট্রাকের ভারি টায়ার৷ রাস্তায় ফাটল ধরবেই আর সে' ফাটল থেকে গর্ত তৈরি হবে৷ ভারতে তা নিয়ে বিশেষ কেউ মাথা ঘামান না৷ যদি কেউ মাথা ঘামান, তো জার্মানরা৷
ভারতের মতো সুবিশাল দেশে রাস্তার অভাব নেই, যদিও তার অর্ধেক মাত্র পাকা রাস্তা৷ সেই রাস্তার অ্যাসফাল্ট বা পিচের অবস্থাও খুব জুতসই নয়৷ রাস্তার উঁচু-নীচু, খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত গাড়ি চালানোটাকে গাড়ি ও চালক, উভয়ের পক্ষেই কষ্টদায়ক করে তোলে৷ একটি জার্মান কোম্পানি ভারতের রাস্তা ও তার দুরবস্থার একটি ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করতে শুরু করেছে৷
পরিবেশ বান্ধব হাইব্রিড গাড়ি
গাড়ি তৈরির প্রযুক্তি এখন দু’টি বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে৷ প্রথমত, কত কম জ্বালানি খরচ করবে, দ্বিতীয়ত, এ গাড়ি কতটা পরিবেশবান্ধব৷ হাইব্রিড গাড়ি পরিবেশ বান্ধব৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হাইব্রিড গাড়ির পাশে ম্যার্কেল
দু বছর আগে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ফ্রাঙ্কফুর্টে গিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক গাড়ি প্রদর্শনী উদ্বোধন করতে৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই গাড়ি প্রদর্শনীতে জার্মানির গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি ডাইমলার-এর সিইও ডিটার সেচে-র সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তাঁকে৷ তাঁরা দাঁড়িয়েছেন কিন্তু মার্সিডিজের এফ ১২৫ মডেলের হাইব্রিড গাড়ির সামনে৷
ছবি: Patrik Stollarz/AFP/Getty Images
বিএমডব্লিউ-র নতুন উপহার
জার্মানির আরেক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিএমডব্লিউ৷ গত মাসে হয়ে গেল ফ্রাঙ্কফুর্ট প্রদর্শনীর ৬৫তম আয়োজন৷ সেখানে বিএমডব্লিউ-র হাইব্রিড গাড়ির নবতম সংযোজন ইড্রাইভ এক্সফাইভ মডেলটিও ছিল৷
ছবি: JOHANNES EISELE/AFP/Getty Images
পর্শে-র গর্বিত সিইও
ভালো কিছু উপহার দিতে পারলে কে না খুশি হয়! মাটিয়াস ম্যুলারও খুব খুশি৷ এবারের ফ্রাঙ্কফুট প্রদর্শনীর আকর্ষণ বাড়িয়েছে পর্শে ৯১৮ স্পাইডার হাইব্রিড গাড়ি৷ পর্শে কোম্পানির সিইও মাটিয়াস ম্যুলার-কে তাই দেখা গেল নতুন মডেলের পরিবেশবান্ধব গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে ছবি তুলতে৷
ছবি: Reuters
ফলক্সভাগেনের হাইব্রিড
জেনেভার গাড়ি প্রদর্শনীতে নিজেদের সেরা হাইব্রিড গাড়িটি পাঠাতে চায় বলে গত মার্চে ছোট আঙ্গিকের এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল জার্মানির ফলক্সভাগেন৷ সেখানে এভাবেই হাজির করা হয় এক্সএলওয়ান মডেলের হাইব্রিড গাড়িটি৷
ছবি: Fabrice Coffrini/AFP/Getty Images
হোটেলে হাইব্রিড গাড়ি
টোকিওর হোটেলেও দেখা গেল হাইব্রিড গাড়ি৷ নতুন গাড়ি খদ্দেরদের দেখাতে ফাইভ স্টার হোটেলে নিয়ে হাজির করা অবশ্য নতুন কিছু নয়৷ জাপানের হন্ডা কোম্পানি টোকিওর এক হোটেলে এই গাড়িটি দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শাংহাইয়ের প্রদর্শনীতে...
দু বছর আগের শাংহাইয়ের আন্তর্জাতিক গাড়ি শিল্প প্রদর্শনী৷ সেদিন ছিল ‘মিডিয়া ডে’৷ গণমাধ্যমের শত শত ক্যামেরা সামনে হাজির লেক্সাস ইএস২৪০ মডেলের হাইব্রিড গাড়ি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
6 ছবি1 | 6
স্ট্রোব লাইটেরঝলকে
পদ্ধতিটা এই: একটি যন্ত্র ও সাজসরঞ্জাম বোঝাই ভ্যান রাস্তা দিয়ে যাবার সময় রাস্তার বাস্তবিক পরিস্থিতি নিখুঁতভাবে মাপজোক করে৷ লক্ষ্য হল: রাস্তায় গর্ত ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি দেখা দেবার আগেই সেগুলোকে খুঁজে বার করা৷ লেমান অ্যান্ড পার্টনার কোম্পানির ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ডিটার ক্লাসেন বলেন: ‘‘এই গাড়িটা দিয়ে আমরা রাস্তার অবস্থা ও পরিস্থিতি যাচাই করি৷ রাস্তা তৈরি করতে যা খরচ হয়েছে, তার সঙ্গে এই রিডিং-গুলোর তুলনা করলে রাস্তা আর কতদিন টিকবে ও তার বর্তমান মূল্য কত, সেটা বোঝা যায়৷''
জিপিএস নিয়ন্ত্রিত এই ন্যাভিগেটর প্রণালী এক সেন্টিমিটারের মধ্যে বলে দিতে পারে, গাড়িটা এখন ঠিক কোথায় আছে৷ সঠিক অবস্থান না জানলে এমন তথ্যের কোনো গুরুত্ব থাকে না৷ স্ট্রোবোস্কোপ থেকে স্ট্রোব লাইটের ঝলকে রাস্তার প্রতিটি ফাটল দৃষ্টিগোচর হয়৷ ছবি তোলা হয় কলকারখানায় ব্যবহৃত হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা দিয়ে৷ কালো পিচের রাস্তার প্রতিটি মিলিমিটার আলোকিত করার জন্য এই ক্যামেরার প্রচুর পরিমাণ আলো লাগে৷ স্ট্রোবোস্কোপের ফ্ল্যাশগুলো জ্বলে এক সেকেন্ডের বিশ হাজার ভাগের এক ভাগ সময় ধরে৷
ডিটার ক্লাসেন বলেন: ‘‘রাস্তার অ্যাসফাল্ট খুবই কালো, খুব কম আলো প্রতিফলিত করে৷ ওদিকে আমাদের ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে যেতে যেতে এক মিলিমিটার প্রস্থের একটি ফাটল দেখাতে হবে৷ সে জন্য প্রচুর পরিমাণ আলো লাগে, আর শাটার স্পিড খুব কম রাখতে হয়৷ সে আলো পাই আমরা এই স্ট্রোব লাইট থেকে, যার আলো সূর্যালোকের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল৷ এর ফলে আমরা পূর্ণ দিবালোকেও সব ছায়া বাদ দিতে পারি৷''
গন্তব্য, পার্টি! জার্মানরা বেপরোয়া যেখানে...
সংস্কৃতি? না, ধন্যবাদ৷ অনেক জার্মানের কাছে ছুটি মানে ‘পার্টি টাইম’৷ অবশ্য মায়র্কা দ্বীপের ‘বালারমান ৬’ সমুদ্রসৈকতে মদ্যপানের উপর খানিকটা বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে৷ তাই বেপরোয়া হতে বিকল্প উপায় খুঁজতে বাধ্য অনেকে৷
ছবি: Getty Images
বিদায় ‘বালারমান ৬’?
পাব, গান এমনকি সিনেমাতেও খুঁজে পাওয়া যায় ‘বালারমান ৬’ সমুদ্রসৈকতকে৷ মায়র্কা-র এই (অ)খ্যাত সৈকত কোনো এক কারণে অধিকাংশ জার্মানের অত্যন্ত প্রিয়৷ কিন্তু সম্প্রতি এই সৈকতে মদ্যপানের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷ দশটার পর মদ্যপান করা যাবেনা, ককটেল পান করতে হবে নির্দিষ্ট হারে – এসব নিয়মে হতাশ অনেকে৷ কিন্তু তাই বলে কি থেমে থাকবে পার্টি?
ছবি: picture-alliance/dpa
সকাল আটটায় পার্টি শুরু
মায়র্কা-র দক্ষিণের দ্বীপ ইবিজা৷ গত শতকের নব্বই দশক থেকেই দ্বীপটি ক্লাবের জন্য বিখ্যাত৷ এখানকার ‘স্পেস’ ক্লাবটি বিশ্বের সবচেয়ে সেরা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সংগীত বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘ডিজেম্যাগ’৷ সম্ভবত ক্লাবটির অস্বাভাবিক পার্ট টাইমের জন্য এই স্বীকৃতি৷ এখানে পার্টি শুরু হয় সকাল আটটায়৷
ছবি: Getty Images
অন্য ঠিকানা
মায়র্কা এবং ‘বালারমান’ ছাড়াও স্পেনের মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন এলাকা তরুণ পর্যটকদের বিশেষ পছন্দ৷ উত্তর ইউরোপের হাজার হাজার পর্যটক কস্টা ব্রাভা’র লোরে ডে মার-এ যেতে পছন্দ করেন৷ জার্মানদের মধ্যে ১৩ শতাংশ স্পেন ভ্রমণ করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নতুন পছন্দ: ক্রোয়েশিয়া
পহেলা জুলাই থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়েছে ক্রোয়েশিয়া৷ সেদেশের স্রচে সৈকতে প্রচুর পর্যটক ভিড় করেন৷ জার্মানরাও সেখানে নিজেদের একটি জায়গা করে নিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/PIXSELL
কৃষ্ণ সাগরে বিনোদন
বুলগেরিয়ার কৃষ্ণ সাগরের সৈকতও পার্টির জন্য উপযুক্ত৷ বিকেল থেকেই এখানে জমে আড্ডা৷ আর গ্রিসেও জার্মানদের ভালো ভিড় থেকে৷ ব্রিটিশ এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর মানুষও এসব জায়গা পছন্দ করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নতুন নাগরিকত্বের সন্ধান?
গোটা বিশ্বের আড্ডাবাজদের আমন্ত্রণ জানায় ইউক্রেনের ক্রিমিয়ান উপদ্বীপের ‘মিনিস্টার অফ গুড মুডস’৷ কাজান্ট্রিপ উৎসবের কর্মকাণ্ড অনেকটা একটি দেশের মতো পরিচালিত হয়৷ এই উৎসবের জন্য রয়েছে ভিসা, সরকারি চাকুরি এবং সংবিধান৷ প্রতি বছর এক লাখ সত্তর হাজারের মতো তরুণ-যুবা এই উৎসবে হাজির হন৷ জার্মানরা এই উৎসবের ‘নাগরিক’ হতে পারেন, এ জন্য প্রয়োজন শুধু ‘ভালো মুড’ এবং কমলা রংয়ের পোশাক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উদ্যাপনে আভিজাত্য
যারা বৈচিত্রময়তার চেয়ে রুচিকে বেশি প্রাধান্য দিতে আগ্রহী, তাদের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে স্যাঁ ত্রোপে বা সেন্ট ট্রপেজ৷ দক্ষিণ ফ্রান্সের এই পার্টি গন্তব্য সেই ১৯৭০ থেকেই বিশেষ প্রসিদ্ধ৷ তবে খরচাপাতির ক্ষেত্রে হিসেবী পার্টিপ্রেমিদের জন্য এই গন্তব্য বিশেষ আকর্ষণীয় নয়৷ যদিও এখন সেখানেও দরদামের সুযোগ তৈরি হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট দরে অনির্দিষ্ট হারে মদ্যপানেরও সুযোগ রয়েছে৷
ছবি: Getty Images
উত্তর সাগরের সৈকতে
জার্মানদের সবচেয়ে প্রিয় ছুটি কাটানোর গন্তব্য আপন দেশ জার্মানি৷ ফলে জার্মানির উত্তরাঞ্চলের সিল্ট দ্বীপে পার্টি করতে যান অনেক জার্মান৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রঙিন এবং উষ্ণ
উত্তর জার্মানির ফিশ স্যান্ডউইচ এবং স্পার্কলিং ওয়াইন হয়ত এখানে পাওয়া যাবেনা, তবে পার্টির উপযোগী সবকিছুই আছে এখানে৷ বলছি ভারতের গোয়ার কথা৷ পার্টির খোঁজে দুনিয়া ঘোরাদের জন্য একটি পছন্দ হতে পারে এই এলাকা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
মায়ামিতে স্বাগতম
মায়ামি সৈকতের অন্যতম পরিচিত এক রাস্তার নাম ‘ওশেন ড্রাইভ’৷ টেলিভিশনের কল্যাণে জার্মান পর্যটকরাও এই জায়গা সম্পর্কে পরিচিত৷ অনেক টেলিভিশন সিরিজে মায়ামিকে দেখানো হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শালোম, পার্টি!
তেল আভিভে এই তরুণ-যুবাদের হাতে হঠাৎ পানি পিস্তল দেখে যে কেউ হয়ত ঘাবড়ে যেতে পারেন, তবে এগুলো শুধুই মজা করার জন্য৷ রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও ইসরায়েল ক্রমশ পর্যটকদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে৷ সে দেশে রয়েছে অসংখ্য ক্লাব, পাব, রেস্তোরাঁ এবং লম্বা সমুদ্র সৈকত৷
ছবি: Jack Guez/AFP/Getty Images
11 ছবি1 | 11
রাস্তার লেজার স্ক্যান
রাস্তার গর্ত শুরু হয় অ্যাসফাল্টের উপর চুলের মতো সরু সব ফাটল থেকে৷ রাস্তা কতদিন টিকবে, তা বস্তুত নির্ভর করবে এই সব ফাটলের উপর৷ ডিটার ক্লাসেন জানান: ‘‘রাস্তার এই ফাটলগুলো গাড়িচালকদের পক্ষে বিপজ্জনক না হলেও রাস্তার জন্য বিপজ্জনক৷ জার্মানির রাস্তায় শীতে এ সব গর্তে জল ঢুকে, পরে সেই জল জমে বরফ হয়ে গর্তগুলোকে বাড়িয়ে দেয়৷ এখানে সেটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে৷''
একটি লেজার স্ক্যানার রাস্তাটা স্ক্যান করে যাচ্ছে সেকেন্ডে দশ লাখ বার করে৷ এই স্ক্যানারই রাস্তার উঁচু-নীচু এবং ‘হুইল রাটস', অর্থাৎ অনবরত গাড়ি চলার ফলে রাস্তায় যে দাগের সৃষ্টি হয়, সেগুলি মেপে চলেছে৷ কেননা গাড়ির চাকার ঐ দাগ বরাবর বৃষ্টির জল জমে দ্রুতগামী গাড়িগুলির অ্যাকোয়া-প্লেনিং ঘটাতে পারে৷ ডিটার ক্লাসেন ব্যাখ্যা করলেন: ‘‘এখানে আমরা একটি পুরনো, বহু ব্যবহৃত রাস্তা ধরে চলেছি৷ রাস্তার প্রোফাইলটা আর অত মসৃণ নয়, সহজেই চাকার দাগ দেখা যাচ্ছে৷ এই সব চাকার দাগ আর ট্র্যান্সভার্স গ্রেডিয়েন্ট মানে রাস্তার ঢালে কতটা জল জমবে, তা হিসেব করে দেখা যায়৷ তখন সাইন লাগাতে হয়: বৃষ্টি নামলে স্পিড কমাও৷''
ফুটোফাটার চালচিত্র
মাপ নেওয়ার গাড়ি থেকে তথ্য পাঠানো হয় সরাসরি জার্মানির এয়ারফুর্ট শহরে, কোম্পানির মুখ্য কার্যালয়ে৷ এখানে তৈরি করা মানচিত্রে রাস্তার অবস্থা দেখানো হয় – যে মানচিত্র অনুযায়ী শহর ও পৌর প্রশাসন রাস্তা মেরামতির পরিকল্পনা করতে পারে৷ লেমান অ্যান্ড পার্টনারের পূর্ত ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস বিশফ বলেন: ‘‘মাপ নেওয়ার গাড়ি থেকে নেওয়া সব তথ্য আমার কাছে এসে জমা হয়৷ এখানে সেগুলোর মূল্যায়ন করে এক থেকে পাঁচের স্কেলে ফেলা হয়: পাঁচ হলো খুবই খারাপ, মানচিত্রে যেটা লাল রং হিসেবে দেখানো হচ্ছে৷ অপরদিকে নীল মানে রাস্তার অবস্থা খুব ভালো৷''
এক থেকে পাঁচের মূল্যায়ন দেখে কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন, কোন রাস্তায় মেরামতি সবচেয়ে আগে করা প্রয়োজন – এবং সেটা গর্ত তৈরি হবার আগেই, কেননা দেশটা যে জার্মানি৷