1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদ্মায় লঞ্চ ডুবি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ আগস্ট ২০১৪

পদ্মায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ ‘পিনাক-৬’ এর অবস্থান শনাক্ত করতেই এখনো হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা৷ নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালান হচ্ছে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি শনাক্ত করতে৷

Fähre mit mehr als 200 Passagieren in Bangladesch gesunken
স্বজনদের আহাজারিছবি: picture-alliance/dpa

শনিবার দুপুরে লঞ্চ শনাক্তকারী জাহাজ কান্ডারি-২ এর ইকো সাউন্ডারে এ সংকেত ধরা পড়ে৷ গত সোমবার মাওয়া ঘাটের অদূরে এমএল পিনাক-৬ লঞ্চটি প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়৷ দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি জায়গায় ওই সংকেত পাওয়া গেছে৷

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডাবিউ'র চেয়ারম্যান ড. শামসুজ্জোহা খন্দকার ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘বিশেষ উদ্ধার জাহাজ কান্ডারি-২ এর ইকো সাউন্ডারে নদীর তলদেশে অস্বাভাবিক কোনো কিছুর সংকেত পাওয়া গেছে৷ এ ব্যাপারে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷''

নৌ বাহিনীর সদরদপ্তরের উপ পরিচালক কমান্ডার হাবিবুল আলম জানান, ‘কান্ডারি-২' দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় কয়েক দফা খোঁজ করার পর এখন স্রোতের অনুকূলে নদীর তলদেশের মাটির সাথে ‘গ্রাফনল' বেঁধে দিয়েছে৷ স্রোত যেদিকে যাচ্ছে গ্রাফনলসহ জাহাজটিও সেদিকেই যাচ্ছে৷ এভাবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ভাটির দিকে ২০ কিলোমিটার এগিয়ে যাচ্ছে কান্ডারি-২৷

তিনি বলেন, ‘‘ডুবে যাওয়ার পর লঞ্চটির ওজন অনুযায়ী এবং স্রোতের তীব্রতায় কোথায় গিয়ে লঞ্চটি পড়ে থাকতে পারে তা হিসাব-নিকাশ করে কয়েকটি সম্ভাব্য এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে৷''

লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে ৪২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ এখনো শতাধিক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন৷ ছয় দিনেও লঞ্চের অবস্থান নিশ্চিত করতে না পারায় ক্ষোভ বাড়ছে স্বজনহারা পরিবারের৷ অনেকেই লঞ্চ উদ্ধারের আশা ছেড়ে দিয়ে লাশের জন্য সম্ভাব্য স্থানগুলোতে নিজ উদ্যোগে খুঁজে ফিরছেন৷

নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের অভিযোগ, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে বিলম্ব করার কারণে লঞ্চটি পাওয়া যাচ্ছে না৷ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিআইডাব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার জানান, চেষ্টার কোন ত্রুটি হচ্ছে না৷ দুর্ঘটনাস্থলে প্রবল ঘূর্ণি স্রোত এবং পানির গভীরতা প্রায় ৮০/৯০ ফুট৷ ঘূর্ণির কারণে নদীর তলদেশে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে৷ স্রোতের কারণে লঞ্চটি দূরে সরে গিয়ে বালুর নিচে চাপা পরে থাকতে পারে বলে তার ধারণা৷

বাংলাদেশে নদীর তলদেশে অনুসন্ধান প্রযুক্তি পর্যাপ্ত নয় বলে জানান বিআইডাব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার৷ তবে বাংলাদেশের কিছু তরুণ নদী ও সাগরের তলদেশে অনুসন্ধান চালাতে সক্ষম রোবট তৈরি করেছে৷ সেই ধরনের দেশীয় রোবট ব্যবহার করা হবে কী না জানতে চাইলে বিআইডাব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা আমাদের কাছে থাকা সব ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করছি৷ দেখি কি হয়৷''

লঞ্চের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টাছবি: picture-alliance/dpa

প্রয়োজনে এধরনের রোবটও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানান তিনি৷ তবে এসব রোবট আসলেই কার্যকর কী না তা তাঁর জানা নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ