1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডুয়েল, অথচ সংঘাত নয়

১২ মে ২০১৪

ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান হতে চান দুই শীর্ষ নেতা৷ অথচ প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও তাঁদের মধ্যে মতের মিলই বেশি৷ ইউরোপীয় সমন্বয় প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে দুজনেই বদ্ধপরিকর৷ টেলিভিশন ডুয়েলে সেই মনোভাবই তুলে ধরলেন দু’জনে৷

Jean-Claude Juncker und Martin Schulz TV Duell
টেলিভিশন ডুয়েলে মার্টিন শুলৎস ও জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার (ডানে)ছবি: picture-alliance/dpa

এ এক আজব নির্বাচন৷ রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়েও বড় বিষয় ভোটারদের আদৌ ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তাঁদের প্রতিনিধিদের ক্ষমতা বেড়েই চলেছে৷ অথচ পার্লামেন্টে কী হয়, সেখানে গৃহীত সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলে – এ সব নিয়ে ভোটাররা তেমন মাথা ঘামান না৷ এবারের নির্বাচনে যে শিবির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, তাদের নেতাই ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান নিযুক্ত হবেন৷

দুই শীর্ষ প্রার্থী সপ্তাহান্তে জার্মান টেলিভিশনের দর্শকদের সামনে এক বিতর্কসভায় অংশ নিয়েছেন৷ একদিকে সামাজিক গণতন্ত্রী শিবিরের প্রার্থী মার্টিন শুলৎস – যিনি আবার বিদায়ী পার্লামেন্টের স্পিকার ছিলেন৷ অন্যদিকে রক্ষণশীল শিবিরের প্রার্থী জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার – যিনি দীর্ঘদিন লুক্সেমবুর্গ-এর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন৷

ডুয়েল বলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যে সংঘাতের দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে আসে, তার ছিটেফোঁটা উত্তেজনাও অবশ্য এ দিন দেখা যায় নি৷ দুই প্রার্থীর মধ্যে মতের মিল এত বেশি, যে তাঁদের মধ্যে কোনো রকম মতপার্থক্য বার করতে সঞ্চালকদের হিমশিম খেতে হচ্ছিল৷

আগামী ২২ থেকে ২৫ মে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচন৷ যে কোনো দেশের জাতীয় নির্বাচনের মতোই ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি দেশের ভোটাররা তাঁদের জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করেন৷ কিন্তু সেখানেই মিল শেষ৷ আজকের ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্তিত্ব, তাদের কাজকর্মের ধারা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, লাল ফিতের ফাঁস ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই৷ এমনকি খোদ পার্লামেন্টে বসেই সংশয়বাদী দলগুলির সদস্যরা ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলির মুণ্ডপাত করেন৷

এমন প্রেক্ষাপটেই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও শুলৎস ও ইয়ুংকার-এর ঐক্য চোখে পড়ার মতো৷ দু'জনেই মনেপ্রাণে ইউরোপীয় সমন্বয়ের পক্ষে৷ ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ঔদাসিন্য বা বিরক্তি থেকে শুরু করে ব্রাসেলস-এর আমলাতন্ত্র সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা কাটিয়ে তুলতে চান তাঁরা৷ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বেকারত্বের উচ্চ হার কমাতে এবং অ্যামেরিকার গোয়েন্দাগিরির মোকাবিলা করতে তাঁরা ইউরোপকে আরও শক্তিশালী করতে চান৷

এসবি / জেডএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ