1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডেঙ্গু নিয়ে ব্যবসার ফাঁদ!

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৩১ জুলাই ২০১৯

দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতার মধ্যেও চিকিৎসা নিয়ে ব্যবসার ফাঁদ পাতার অভিযোগ উঠেছে৷ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনিস্টক সেন্টার এবং ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ৷ রোগ পরীক্ষার দাম ঠিক করে দেয়ার পরেও তা মানা হচ্ছে না৷

Bangladesh Dengue
ছবি: DW/H. U. R. Swapan

ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে এক ডেঙ্গু রোগীর ২২ ঘন্টার চিকিৎসায় বিল ধরা হয়েছে এক লাখ ৮৬ হাজার ৪৭৪ টাকা৷ এটা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন ছাপা হলেও চুপ আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর৷ ওই রোগী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফিরোজ কবীর স্বাধীন৷ ২৬ জুলাই রাতে মারা যান তিনি৷ আরো একটি হাসাপতালের বিলের কপি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল৷ সেখানে পাঁচ দিনের চিকিৎসা খরচ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা৷ মুখ বন্ধ রেখেছে ওই হাসপাতালটিও৷

ডেঙ্গু পরীক্ষা ফি পাঁচশ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও মানছে না ঢাকার বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ল্যাবএইড স্পেসালাইজড হাসপাতাল, পপুলার ডায়গনিস্টিক সেন্টার ও ইবনে সিনা হাসপাতাল৷ দ্বিগুনের বেশি অর্থ আদায়ের কারণে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর৷

উত্তম কুমার বড়ুয়া

This browser does not support the audio element.

২৮ জুলাই ডেঙ্গুর তিন ধরনের পরীক্ষার দাম বেধে দেয় সরকার৷ অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পাঁচশ, সিবিসি চারশো টাকা৷ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘‘প্রাইভেট হাসপাতালের জন্য সরকার যেটা নির্ধারণ করে দিয়েছে তাও অনেক বেশি৷ অ্যান্টিজেন হল ডেঙ্গু নির্ণয়ের টেস্ট৷ তিন দিনের মধ্যে করতে হয়৷ এর একটি কিটের দাম মাত্র একশ ৪৫ টাকা৷ সিবিসি প্লাটিলেট কাউন্টের পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ একশ টাকার বেশি লাগেনা৷ আর অ্যান্টিবডি টেস্ট করতে হয় ছয় দিন পর৷ এটার টেস্ট কিটও ১৪৫ টাকা৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় হাসপাতালে সর্বোচ্চ পাঁচ দিনের বেশি থাকতে হয়না৷ বেসরকারি হাসপাতালে কেবিনে সব মিলিয়ে ২০-২৫ হাজার টাকার বেশি চিকিৎসা খরচ হওয়া উচিত না৷ সরকারি হাসপতালে সাধারণ বেডে চিকিৎসা ফ্রি৷ আর কেবিনে পাঁচ দিনে সর্বোচ্চ সাত-আট হাজার টাকা লাগে৷ ডেঙ্গু চিকিৎসায় তেমন কোনো ওষুধ লাগে না৷''
‘‘এখন প্রাইভেট হাসপাতালগুলো এই সুযোগে অতিরিক্ত মুনাফা করতে চাইছে৷ শুধু তাই নয় বাজারে স্যালাইন সংকট তৈরি হওয়ায় এটা নিয়েও ব্যবসা করা হচ্ছে৷'', জানালেন উত্তম কুমার বড়ুয়া৷
চিকিৎসা শেষে সুন্থ হওয়া কয়েকজন ডেঙ্গু রোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে মধ্যম মানের বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ দিন ভর্তি থাকলে ৩৫-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়৷ তবে প্রতিবেদনে যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম আছে সেখানে ৬০-৭০ হজার টাকা নেয়া হয়৷

মাসুম আরেফিন

This browser does not support the audio element.

এদিকে, পরীক্ষা না করেও রিপোর্ট দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে৷ এই অপরাধে উত্তরার একটি হাসপাতালকে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে৷ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মাসুম আরেফিন বলেন, ‘‘আমরা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেউ বেশি দাম নিচ্ছে কিনা তা দেখছি৷ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালাচ্ছি৷ আবার নিজেরা উদ্যোগী হয়েও অভিযান চালাচ্ছি৷ টেস্টের দাম বেশি নেয়ায় আজও (বুধবার) পুরান ঢাকার দুটি ক্লিনিককে জরিমানা করা হয়েছে৷''

এদিকে বেসরকারি হাসপাতালের বেড, কেবিন ভাড়া ও চিকিৎসক ফি'র ব্যাপারে কোনো নীতিমালা নেই৷ ফলে এখানে কোনো আইন প্রয়োগ করা যাচ্ছেনা৷ কোনো কোনো প্রাইভেট হাসপাতালে রোগীকে চিকিৎসকের ভিজিটিং দিতে হয় তিন হাজার টাকা৷ বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ