1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোপেনহেগেন হত্যাকাণ্ড

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সোমবার সন্ধ্যায় ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের একটি চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেছেন ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী হেলে টর্নিং-স্মিট৷ শনিবারের গুলিচালনার প্রথম অকুস্থল এই চত্বরের কাছেই৷

Gedenkveranstaltung in Kopenhagen
ছবি: Reuters/Hanschke

প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ঐ ব়্যালিতে সামিল হন; তাঁদের অনেকের হাতে ছিল মশাল৷ টর্নিং-স্মিট জনতাকে বলেন, ডেনমার্কের ‘‘সামাজিক চেতনা'' যারা ‘‘আমাদের ক্ষতি করতে চায়'', তাদের হাত থেকে বাঁচাবে৷

শহরের মুখ্য সিনাগগের প্রহরী ৩৭ বছর বয়সি ড্যান উজান আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন: ‘‘আজ আমি সব ডেনিশ ইহুদিদের বলতে চাই, আপনারা একা নন৷ ডেনমার্কের ইহুদিদের উপর আক্রমণ ডেনমার্কের উপর, আমাদের সকলের উপর আক্রমণ৷''

শনিবার একটি কাফেতে কলা ও বাকস্বাধীনতা সংক্রান্ত একটি আলোচনাচক্র চলার সময় বন্দুকধারী গুলি চালাতে শুরু করে৷ এখানে যে ৫৫ বছর বয়সি অতিথি প্রাণ হারান, পরে তাঁর পরিচয় জানা যায়: তিনি ছিলেন তথ্যচিত্র নির্মাতা ফিন নোয়েরগার্ড৷

পরে আততায়ী কোপেনহেগেনের মুখ্য সিনাগগের উপর আক্রমণ চালিয়ে প্রহরী ড্যান উজানকে হত্যা করে৷ এর কয়েক ঘণ্টা পরে পুলিশ শহরের অভিবাসী অধ্যুষিত নোয়েরব্রো এলাকায় আততায়ীর সন্ধান পায় এবং তার বাসভবনের সামনে সংঘটিত গুলিযুদ্ধে আততায়ী প্রাণ হারায়৷

সম্ভাব্য আতাতায়ী ওমর আবদেল হামিদ আল-হুসেইনছবি: Reuters/Danish Police handout/Scanpix

পুলিশ সরকারিভাবে আততায়ীকে শনাক্ত না করলেও, ডেনিশ মিডিয়া জানিয়েছে যে আততায়ী ছিল ২২ বছর বয়সি ওমর আবদেল হামিদ আল-হুসেইন; ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ডেনিশ নাগরিক, ডেনমার্কেই জন্ম; সহিংসতা ও অস্ত্র আইন লঙ্ঘনের জন্য পুলিশের কাছে পরিচিত৷

ইতিমধ্যে ডেনিশ পুলিশ আরো দু'জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে৷ গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা ক্রুডটোনডেন এবং ক্রিস্টালগাডের হত্যাকাণ্ডের আততায়ীকে পরামর্শ দিয়েছে এবং সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেছে, বলে পুলিশের অভিযোগ৷ নোয়েরব্রো এলাকার একটি ইন্টারনেট কাফে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়৷

তবে আততায়ী যে কোনো ‘টেরর সেল' বা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সদস্য ছিল, কিংবা সিরিয়া অথবা ইরাকে গিয়ে জিহাদিদের কাছে প্রশিক্ষণ পেয়েছিল, তার কোনো হদিশ নেই, বলে পুলিশ জানিয়েছে৷

একটি ছুরিচালনার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে আততায়ী বছর খানেক আগে কারাবদ্ধ ছিল৷ কারা কর্তৃপক্ষ তখনই নিরাপত্তা বিভাগকে তার ‘‘চরমপন্থি মনোভাব'' সম্পর্কে জানান৷ দৃশ্যত আততায়ী সে বলেছিল যে, সে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট জিহাদিদের সঙ্গে যোগদান করতে চায়৷ নিরাপত্তা বিভাগ তার নামে নথিপত্র থাকার কথাও স্বীকার করেছে৷

প্রধানমন্ত্রী হেলে টর্নিং-স্মিটছবি: picture-alliance/dpa/Pedersen

বিশ্বের নেতৃবর্গ এই আক্রমণের নিন্দা করেছেন৷ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু পুনরায় ইউরোপীয় ইহুদিদের বাস উঠিয়ে ইসরায়েলে আসার পরামর্শ দিয়েছেন, প্যারিসে শার্লি এব্দো পত্রিকার কার্যালয়ে আক্রমণের পর তিনি যেমন ফরাসি ইহুদিদের ইসরায়েলে দেশান্তরী হতে বলেছিলেন৷ ফরাসি ইহুদিদের মধ্যে সত্যিই দেশত্যাগীদের সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু ডেনিশ ইহুদিরা বলেছেন, তারা নিজেদের ডেনিশ বলেই বোধ করেন এবং সন্ত্রাস তাদের ইসরায়েলে যেতে বাধ্য করতে পারবে না৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, জার্মানিতে ইহুদি স্থানগুলি যা-তে সুরক্ষিত থাকে, সেজন্য সরকার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন৷ ম্যার্কেল বার্লিনে বলেন, ‘‘জার্মানিতে যে আবার ইহুদিরা বসবাস করছেন, সেজন্য আমরা সুখি ও কৃতজ্ঞ৷ এবং আজ যে সব ইহুদিরা জার্মানিতে আছেন, আমরা তাদের সঙ্গে মিলেমিশে জীবনযাপন করতে চাই৷''

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এপি, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ