1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডেনমার্কে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন

৭ ডিসেম্বর ২০০৯

ইউরোপের উত্তরের দেশ ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে সোমবার সকাল দশটা থেকে শুরু হলো জাতিসংঘ আয়োজিত ১৫তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন৷

ছবি: AP

অনেক আশা আর সম্ভাবনাকে সামনে রেখে বিশ্বের প্রায় ১৯২ টি দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় মিলিত হয়েছেন৷

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে যোগ দেবেন সম্মেলনে৷ থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

১৫তম জলবায়ু সম্মেলনে ঠিক কত মানুষ উপস্থিত হয়েছেন তার একটা অনুমান করা সম্ভব হয়, যখন ঘন্টার পর ঘন্টা শূণ্য তাপমাত্রার নীচে কয়েক হাজার মানুষ তাদের পরিচয় পত্র সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন৷ বলা হচ্ছে, প্রায় একলাখ প্রতিনিধি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক উপস্থিত হয়েছেন৷ তাদের স্বাগত জানাতে পুরো কোপেনহেগেন শহরই সাজানো হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের নানা শ্লোগান আর ব্যানার দিয়ে৷ পুরো শহরের ট্রাম, বাস বা ট্রেন সবখানেই এই সম্মেলন উপলক্ষ্যে আগত ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা৷

সম্মেলন যেখানে হবে সেই বেলা সেন্টারে ঢোকার মুখেই বড় করে বৈদ্যুতিক বোর্ডে লেখা, আজকের এই দিনে মোট ৫২৭ জন জলবায়ু উদ্বাস্তু হবেন৷ আর সেখানে আরো বড় করে লাল আলোয় লেখা উঠছে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ২০০ বিলিয়নে৷ এই সংখ্যা সহজেই মানুষের মনে দুশ্চিন্তা এনে দেয়৷ আরো বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ বা মালদ্বীপের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ক্ষতির শিকার এমন দেশ থেকে আগত সাংবাদিক বা প্রতিনিধিরা৷ এই সংখ্যা যেনো এতে বড় না হয় বা এই সব উদ্বাস্তুর পুনর্বাসনের জন্য দেশগুলোর সরকার যেনো সঠিক পরিমাণে অর্থ সহায়তা পায় এমনই হাজার আলোচনা উঠে আসবে এবারের সম্মেলনে৷

সম্মেলনের শুরুতে জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনের নির্বাহী পরিচালক এভো দ্য ব্যোয়ের তাঁর বক্তব্যে বলেন, তাঁর আশা দুই সপ্তাহের এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সর্বোচ্চ পর্যায়ের চেষ্টা চালাবে৷ আলোচনাকারীরা ইতিমধ্যেই বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে তাদের মনোভাব বিষয়ে পরিস্কার ধারণা পেয়েছেন৷ তিনি তিন পর্যায়ের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন তার বক্তব্যে৷ প্রথমত বর্তমানে যে পরিকল্পনা আছে তার পূর্ণ এবং জোরালো বাস্তবায়ন, দ্বিতীয়ত কার্বন নির্গমনের মাত্রা কমিয়ে আনার ব্যপারে একটি চুক্তিতে আসা এবং ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর ক্ষতিপূরণে যথেষ্ট ফান্ডের ব্যবস্থা করা৷ তার মতে ২০১২ সালের মধ্যে পরিকল্পনা হাতে নিতে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজেদের তৈরি করতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রয়োজন ১০ বিলিয়ন ডলার৷

জোর প্রত্যাশা, কার্বন নির্গমন কমানোর বিষয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলো একটি সমঝোতায় আসুক৷ আরও দাবি হল উন্নয়নশীল দেশগুলো কার্বন নির্গমনের মাত্রা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নামিয়ে আনুক এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়ার জন্য তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট অংকের তহবিলের ব্যবস্থা করা হোক৷ সর্বোপরি অর্থ এবং কারিগরি সহায়তার জন্য অবকাঠামো নির্মাণের নিশ্চয়তা দিতে হবে৷

আলোচনা যাই হোক আর উন্নত বা উন্নয়নশীলদেশগুলোর মতামত যাই থাক বাংলাদেশ, মালদ্বীপ বা ট্যুভালুর এর মতো দেশগুলো চেষ্টা চালাবে যেনো ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দূষণের মাত্রা শতাকরা ৫০ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়৷

প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী, কোপেনহেগেন থেকে

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ