ডেল্টা সহ করোনা ভাইরাসের সব প্রজাতিকেই থামাবে তাদের ভ্যাকসিন। দাবি করলো জনসন অ্যান্ড জনসন।
জনসন অ্যান্ড জনসনের দাবি, তাদের ভ্যাকসিন ৮৫ শতাংশ কার্যকর। ছবি: Michael Ciaglo/Getty Images
বিজ্ঞাপন
গত আট মাসের তথ্য সামনে এনে জনসন অ্যান্ড জনসনের দাবি, তাদের ভ্যাকসিন করোনা রোখার ক্ষেত্রে ৮৫ ভাগ সফল। আর এই ভ্যাকসিন নিলে করোনা মারাত্মক হবে না বা হাসপাতালে ভর্তিরও খুব একটা দরকার হবে না। তাদের ভ্যাকসিন ডেল্টার মোকাবিলায় সফল বলে জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে।
কোম্পানি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গত আট মাসের সংখ্যাতত্ত্ব বলছে, জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের একটা ডোজ নিলেই করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। যত দিন যাবে, তত এই অ্যান্টিবডি শক্তিশালী হবে। তাদের গত আট মাসের অভিজ্ঞতা এটাই।
ইউরোপের অবস্থা
জার্মানির মানুষকে অবিলম্বে ভ্যাকসিন নিতে বললেন সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, জার্মানিতে এখন ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাস ছড়াচ্ছে। ডেল্টার মোকাবিলা করতে গেলে ভ্যাকসিন নেয়া জরুরি। ডেল্টাকে আক্রমণের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি তাই সাধারণ মানুষের উপর নির্ভর করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ও করোনা টিকা
15:21
This browser does not support the video element.
রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট জানাচ্ছে, জার্মানিতে এখন যাদের করোনা হচ্ছে, তাদের অর্ধেকই ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাসে আক্রান্ত।
জার্মানির ভ্যাকসিন কর্তৃপক্ষ এখন বলছেন, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের একটা ডোজ নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে বায়োনটেক বা মডার্নার ভ্যাকসিনের একটা ডোজ নিন। এতে শরীরে করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতা আরো বাড়বে।
অন্যদিকে ডেনমার্ক বলকান দেশগুলিকে ১০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েছে। ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিম বলকানের দেশগুলি তাদের প্রতিবেশী। তাই তারা এভাবে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
ইউরো কাপ: করোনা, মাস্ক ও সামাজিক দূরত্বের প্রশ্ন
শুরু হয়েছে ইউরো কাপ। জমজমাট ফুটবলের আসর। কিন্তু করোনাকালের এই ইউরো কাপ নিয়ে উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন।
ছবি: Wolfgang Rattay/REUTERS
মাস্ক কোথায়?
ইউরো কাপ হচ্ছে ইউরোপের অনেকগুলি শহরে। স্টেডিয়ামে দর্শকরা থাকছেন। কোথাও ২0 শতাংশ, কোথাও ৩২ শতাংশ, কোথাও ৫০ শতাংশ। বুদাপেস্টে ভর্তি স্টেডিয়ামে ম্যাচ হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, দর্শকদের মুখে মাস্ক নেই।
ছবি: Dean Mouhtaropoulos/REUTERS
সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই
মাস্ক তো নেই-ই, সামাজিক দূরত্বও রাখছেন না দর্শকরা। ফুটবলে মশগুল দর্শকরা একসঙ্গে বসছেন, গোল দিলে বা টিভি ক্যামেরা ঘুরলে একসঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। করোনাকালে যা বিপজ্জনক হতে বাধ্য।
ছবি: Dean Mouhtaropoulos/REUTERS
দেখে মনে হচ্ছে করোনা নেই
ইউরো কাপের অধিকাংশ খেলায় দর্শকদের দেখে মনে হচ্ছে, করোনা বিদায় নিয়েছে। ফলে সুরক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছিল, তার কোনো দরকার নেই।
ছবি: Dean Mouhtaropoulos/REUTERS
নিয়ম হলো
অথচ দর্শকদের মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব রেখে বসার কথা। হাত মেলানো, কোলাকুলি করা, হাই ফাইভ, খুব কাছে আসায় নিষেধ রয়েছে। অ্যামস্টারডামে তো নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে হবে। বুখারেস্টে ভ্যাকসিন নিলে পরীক্ষা রিপোর্ট লাগবে না। তবে কোপেনহেগেনে রিপোর্ট লাগবে। মিউনিখেও রিপোর্ট জরুরি।
ছবি: Jonathan Nackstrand/REUTERS
ইউরোপে করোনা
ইউরোপে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এখন করোনার প্রকোপ কম। প্রচুর মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এ সব ঠিক। কিন্তু করোনা চলে যায়নি। বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট, জার্মানিতে এক হাজার ৩৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭ জন, ইংল্যান্ডে গত মে মাসের তুলনায় করোনার প্রকোপ ৫০ শতাংশ বেড়েছে। সেখানে করোনার ভারতীয় প্রজাতির ভাইরাস ছড়াচ্ছে। অস্ট্রিয়ায় ১ জুলাই থেকে রেস্তোরাঁ,খুলবে।
ছবি: Jonathan Nackstrand/REUTERS
স্পেনের ক্যাপ্টেন
সপ্তাহ দুয়েক আগে স্পেনের ক্যাপ্টেন সের্জিও বাসকেস করোনায় আক্রান্ত হন। তাকে বাড়ি ফিরে নিভৃতবাসে থাকতে হয়। বায়ো বাবলে থাকা বাকি সব ফুটবলারের পরীক্ষা হয়। তবে তারা কেউ আক্রান্ত হননি।
ছবি: Jose Breton/NurPhoto/picture alliance
উয়েফার সিদ্ধান্ত
করোনার কথা মাথায় রেখে উয়েফা এবার প্রতিটি টিমে ফুটবলারদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। টিমগুলি অতিরিক্ত পাঁচ ফুটবলারকে নিয়ে আসতে পারবে। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে দ্রুত তার বদলি নিয়ে আসা যাবে। অথচ, দর্শকদের জন্য নিয়ম কড়াভাবে রূপায়ণ করা হচ্ছে না।
ছবি: Koen Van Weel/REUTERS
7 ছবি1 | 7
ইউরোর দর্শকদের জন্য
ইটালির কর্তৃপক্ষ ইংল্যান্ডের সমর্থকদের জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের ইটালি এসে পাঁচদিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। তার প্রমাণ দেখাতে হবে। তারপরই তারা স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখতে পারবেন। শনিবার ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড।
ইতালির কর্তৃপক্ষ উয়েফাকে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন বৃহস্পতিবারের পরে কোনো টিকিট বিক্রি না করেন এবং ইংল্যান্ডের বাসিন্দাদের বিক্রি করা টিকিট যেন বাতিল করে দেন।