প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রথম সারিতে নিয়ে এসেছেন, তা স্পষ্ট হলো মঙ্গলবার মোদীকে ফোন করার মধ্য দিয়েই৷ এর উদ্দেশ্য কি শুধুই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করা, না অন্য কিছু?
বিজ্ঞাপন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় ভারতের গুরুত্ব কি আরও বাড়তে চলেছে? অন্তত শাসনভার নেবার সঙ্গে সঙ্গে সে রকমই আভাস দিয়েছেন স্বয়ং ট্রাম্প৷ বিশ্বের অন্যান্য তাবড় তাবড় রাষ্ট্র নেতাদের ছেড়ে গত মঙ্গলবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে এগারোটায় মোদীকে ফোন করে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন তিনি৷ ফোনালাপে আগামী দিনে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করে এগিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি ছিল৷ ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের সত্যিকারের বন্ধু বলে ট্রাম্প উল্লেখ করেন৷ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ভারতকে প্রকৃত বন্ধু ও সহযোগী বলে মনে করে পাশে পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র৷ অবশ্য নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকেই তিনি মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করে এসেছেন৷ বলেছেন, মোদীর মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত কর্মশক্তি৷
বলা বাহুল্য, মোদীকে ফোন করে অ্যামেরিকার ভারত-বান্ধব অবস্থানকে আবারো প্রমাণ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট৷ পরে টুইটারে মোদী জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা ছিল উষ্ণ ও আন্তরিক৷ মোদী বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত৷
দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপে উঠে আসে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ ইস্যু৷ উঠে আসে সন্ত্রাস মোকাবিলায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার ঘোষণা৷ আর পরমাণু পণ্যসামগ্রী সরবরাহকারী দেশগোষ্ঠীতে ভারতের অন্তর্ভুক্তি সুনিশ্চিত করার ইস্যুটি৷
‘‘অ্যামেরিকা শুধু অ্যামেরিকানদের জন্য'' – নির্বাচনি প্রচার পর্বে এবং শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের এই উক্তি এবং কঠোর অভিবাসী নীতিতে ভারত কিছুটা শঙ্কিত ছিল৷ তাই সেই শঙ্কা দূর করতে মোদীকে কতটা আশ্বস্ত করতে পেরেছেন ট্রাম্প, কিংবা এ বিষয়ে মোদী কতটা বোঝাতে পেরেছেন ট্রাম্পকে – সেটা এখনও পরিষ্কার না হলেও পরিস্থিতি ইতিবাচক বলেই ধারণা করা হচ্ছে৷ এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ি ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘ট্রাম্প বি-ওয়ান ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি করার কথা বললেও, মনে হয় না যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে আউটসোর্সিং ছাঁটাই করবে৷ তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পে ভারতের মেধাশক্তির চাহিদা অস্বীকার করতে পারবে না অ্যামেরিকা৷ কারণ এত কম পয়সায় এ রকম ভালো মেধাশক্তি অ্যামেরিকায় পাওয়া মুশকিল৷
ট্রাম্পের জয়ে বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
প্রথমে বিমূঢ়তা, পরে পরিস্থিতি সামাল দেবার প্রচেষ্টা, এই ছিল ইউরোপের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া, তবে দক্ষিণপন্থি মহল ট্রাম্পের জয়ে উৎসাহিত বোধ করছে৷ অপরদিকে মুসলিম দেশগুলিতে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷
ছবি: Reuters/C. Allegri
মুসলিম দেশগুলিতে উদ্বেগ
পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া অথবা বাংলাদেশের মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে ট্রাম্পের এই জয় ইসলামি দুনিয়ার পক্ষে কী তাৎপর্য বহন করছে, তাই নিয়েই দুশ্চিন্তা৷ বিশেষ করে ট্রাম্প যে মুসলিমদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছেন, তা নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন কেননা অ্যামেরিকায় তাদের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজন আছেন৷ এছাড়া ট্রাম্পের নীতি ইসলামি চরমপন্থিদের উসকে দিতে পারে, বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Indahono
বাংলাদেশ: আমন্ত্রণ
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, উভয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ শেখ হাসিনা তাঁর পত্রে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ও তাঁর ফার্স্ট লেডিকে বাংলাদেশে এসে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন দেখে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও ট্রাম্পকে একটি বার্তা পাঠিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
ছবি: imago/Xinhua
জার্মানি: ‘একটা বড় ধাক্কা’
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উর্সুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হবার পর পরই টেলিভিশনে তাঁর প্রতিক্রিয়া হিসেবে একটা বড় ‘শক’ পাওয়ার কথা বলেন৷ অপরদিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেছেন, ‘‘আমাদের (ট্রাম্পের জয়) মেনে নিতে হবে’’৷ তাঁর মতে আগামীতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি আগের মতো ভবিষ্যৎবাচ্য থাকবে না৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Schwarz
ব্রিটেন: ‘বিশেষ সম্পর্ক’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে উভয় দেশের ‘‘বিশেষ সম্পর্কের’’ কথা বলেছেন৷ ‘‘আমরা বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষায় আগের মতোই জোরালো ও ঘনিষ্ঠ অংশীদার থাকব’’, বলে মে তাঁর বিবৃতিতে মন্তব্য করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Rain
ভারত: ‘ভারতের প্রতি বন্ধুত্ব’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছে বলেছেন, ‘‘আপনি আপনার নির্বাচনি প্রচার অভিযানে ভারতের প্রতি যে বন্ধুত্ব দেখিয়েছেন, আমরা তা উপলব্ধি করি৷ ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটা নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবার আশা রাখি৷’’
ছবি: picture-alliance/Xinhua
ইসরায়েল: ‘প্রকৃত বন্ধু’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রকৃত বন্ধু’’ বলে অভিহিত করেছেন৷ অপরদিকে কট্টরপন্থি ইহুদি স্বদেশ দলের প্রধান শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট মন্তব্য করেছেন, ‘‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণার এখানেই অবসান৷’’ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস একটি বিবৃতিতে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘তাঁর কর্মকালে শান্তি অর্জিত হবে’’, বলে আব্বাস আশা করেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Sultan
রাশিয়া: ‘গঠনমূলক সংলাপ’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ডেনাল্ড ট্রাম্পকে টেলিগ্রাম পাঠিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ পুটিন একটি বিবৃতিতে বলেন, তিনি রুশ-মার্কিন সম্পর্ককে বর্তমান ‘‘সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি’’ থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার আশা রাখেন৷ মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ‘‘গঠনমূলক সংলাপ’’ গড়ে উঠবে, বলে তাঁর আস্থা আছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M.Schreiber
ইউরোপীয় ইউনিয়ন: গভীর সম্পর্ক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোঘেরিনি একটি টুইটে বলেছেন যে, ইইউ-মার্কিন সম্পর্ক রাজনৈতিক পরিবর্তনের চেয়ে বেশি গভীর৷ আমরা একত্রে কাজ করে ইউরোপের শক্তি পুনরাবিষ্কার করব’’, লিখেছেন মোঘেরিনি৷ অপরদিকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলৎস ট্রাম্পকে ‘‘লক্ষ লক্ষ মার্কিনির ভয়ভীতির প্রতিনিধি’’ বলে অভিহিত করেছেন৷
ছবি: DW/B. Riegert
হাঙ্গেরি: ‘গণতন্ত্র আজও বেঁচে’
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বান ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়কে ‘‘দারুণ খবর’’ বলে অভিহিত করেছেন৷ এর থেকে বোঝা যায় যে, ‘‘গণতন্ত্র আজও বেঁচে’’৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ইতিপূর্বে ওর্বানের সমালোচনা করা হয়েছে, তিনি হাঙ্গেরিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে দুর্বল করছেন বলে – পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনও যে সমালোচনায় যোগ দিয়েছিলেন৷ ওর্বান তাঁর ফেসবুক পেজে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/V. Simicek
9 ছবি1 | 9
দ্বিতীয়ত পরিষেবা ক্ষেত্রেও সেটা দরকার হবে৷ যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব পরিকাঠামো শিল্পে যথেষ্ট মেধাশক্তি গড়ে তোলা সময়সাপেক্ষ৷ পাশাপাশি ভারতের মতো বড় বাজার অর্থনীতি আর এশিয়ায় নেই৷ চীন তার বাজার নিয়ন্ত্রণ করে নিজেই৷ চীনকে বাদ দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সরাসরি বাজার আর নেই৷ অন্যদিকে, ইসলামিক জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে ভারত ও অ্যামেরিকা এক মানসিক যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে৷ তবে ভুললে চলবে না পাকিস্তান এখনও ন্যাটো তালিকাভুক্ত৷ তাই সন্ত্রাস মোকাবিলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে৷''
অপর একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক উদয়ন বন্দোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আউটসোর্সিং কম করা বা অভিবাসী সংক্রান্ত ট্রাম্পের ঘোষিত নীতি ভারতের ওপর কতটা প্রযোজ্য হবে, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়৷ তবে ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব নিবিড় করার শর্তে মোদী কতটা দর কষাকষি করতে পেরেছেন বা পারবেন, তার ওপরই এটা নির্ভর করছে৷ এটা অবশ্য যে ঠিক এশিয়া অঞ্চলে চীন, পাকিস্তান, রাশিয়ার নতুন অক্ষশক্তির প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারত-মার্কিন সহযোগিতা পারস্পরিক স্বার্থে জরুরি৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চালিকা শক্তি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ৷ তাই ট্রান্স-প্যাসিফিক-পার্টনারশিপ বা চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসায় পরোক্ষভাবে ভারতের সুবিধাই হবে৷''
ফোনালাপে উভয় নেতা একে-অপরকে নিজের দেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে খবর৷ খুব সম্ভবত মোদী এ বছরের শেষাশেষি ওয়াশিংটন যেতে পারেন৷ অবশ্য তার আগেই, এ বছরের জুলাই মাসে, উভয় নেতা মিলিত হচ্ছেন জার্মানির হামবুর্গ শহরে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে৷
প্রেসিডেন্ট হয়েই যা যা বললেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণে জনতার প্রশংসা করেন ট্রাম্প৷ বলেন, ‘‘আজ ওয়াশিংটন থেকে ক্ষমতা তুলে দেয়া হচ্ছে আপনাদের হাতে৷’’
ছবি: Reuters/C. Barria
জনগণের হাতেই ক্ষমতা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই দিনটিকে স্মরণ করা হবে জনগণের জয় হিসেবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Loeb
বিক্ষোভ সত্ত্বেও ভিড়
ট্রাম্পের শপথগ্রহণের দিনেও যুক্তরাষ্ট্র শান্ত ছিল না৷ এমনকি ওয়াশিংটন ডিসিতেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে৷ তারপরও তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লাখো মানুষ৷ ট্রাম্প তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন৷
ছবি: Reuters/K. Lamarque
সবার জন্য শিক্ষা, সুরক্ষা, চাকরি
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণে সবার জন্য উন্নত শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থানের আশ্বাস দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
ছবি: Getty Images/A. Wong
প্রেসিডেন্টের কাছে জনতাই সব
‘‘আপনার-আমার সবারই এক দেশ, আপনাদের সাফল্যই আমার সাফল্য, আপনাদের হৃদয়ই আমার হৃদয়৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/M. Ralston
শুধু দেশের জন্য কাজ
ধনকুবের থেকে রাজনীতির ময়দানে এসেই রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে যাওয়া ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘এখন থেকে আমার লক্ষ্য শুধু দেশের ভবিষ্যৎ গড়া৷’’
ছবি: Reuters/L. Nicholson
‘ওবামা পরিবার ছিল চমৎকার’
ট্রাম্প ভাষণ শুরু করেছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে৷ এ সময় ওবামা দম্পতির প্রশংসা করেছেন৷ ওবামা ও মিশেলের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওবামা পরিবার ছিল চমৎকার৷’’
ছবি: Reuters/B. Snyder
অ্যামেরিকায় উগ্রবাদীদের জায়গা নেই
‘‘অ্যামেরিকার মানুষের আর ভয়ের কারণ নেই৷’’ এ কথা বলে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, উগ্রবাদী ইসলামপন্থিদের সমূলে উৎপাটন করা হবে৷
ছবি: Reuters/B. Snyder
দেখুন বড় স্বপ্ন
ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমাদের এখন আগামীর পথে এগিয়ে যেতে হবে৷ বড় কাজের জন্য দেখতে হবে বড় স্বপ্ন৷’’
ছবি: Reuters/L. Nicholson
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক স্মরণীয় দিন
২০ জানুয়ারি, ২০১৭ – এই তারিখটিকে অ্যামেরিকা চিরকাল স্মরণ করবে বলেও মনে করেন ট্রাম্প৷
ছবি: Reuters/C. Barria
‘অ্যামেরিকা উইল বি গ্রেট এগেইন’
ট্রাম্প বলেন, ‘‘আজ থেকে এ দেশ চলবে নতুন দৃষ্টভঙ্গি নিয়ে আর তা হবে ‘অ্যামেরিকা প্রথম’৷’’ পাশাপাশি নির্বাচনি প্রচারাভিযানের সময় থেকে বলে আসা ‘আমরা আবার একসঙ্গে অ্যামেরিকাকে মহান জাতির উচ্চতায় নিয়ে যাবো’ অঙ্গিকারেরও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি৷