1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে বলিউড

১১ এপ্রিল ২০১২

বিশ্বের পয়লা নম্বর অ্যানিমেশন স্টুডিও'ই শুধু নয়, এশিয়াকে বাদ দিয়ে ফিল্মের বাজারে প্রবৃদ্ধির কথা ভাবা যাচ্ছে না৷

ছবি: 2010 DreamWorks Animation LLC

২০১১ সালে হলিউডের বক্স অফিস বিক্রি বিগত ১৬ বছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে৷ যদিও যুক্তরাষ্ট্র এখনও বক্স অফিসের হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার৷ অন্যদিক দিয়ে দেখতে গেলে, মার্কিন মোশান পিকচার অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৭ সাল যাবৎ যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডায় বক্স অফিস সেলস বেড়েছে মাত্র ৬.৩ শতাংশ, সাকুল্যে ১০ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি৷ সেক্ষেত্রে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বক্স অফিসের আমদানি বেড়েছে ৩৮ শতাংশ, এবং দাঁড়িয়েছে ৯ বিলিয়ন ডলারে৷

চীনের অ্যানিমেশন ছবি ‘ব়্যাবিট কুয়াংকুয়াং’ছবি: Beijing HUTOON Animation LTD

এশীয়, এবং বিশেষ করে চীনা বিষয়বস্তুর ফিল্ম যে বাণিজ্যিক সাফল্যের একটা গ্যারান্টি হতে পারে, বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে, সেটা হলিউডের নজর এড়ায়নি৷ তাই কিয়ানু রিভস'এর মতো অভিনেতা পরিচালক হিসেবে প্রথম যে ছবিটি করছেন, সেটি হল ‘‘দ্য ম্যান অফ তাই চি''৷ অন্যদিকে বলিউডের আমির খানের ‘‘থ্রি ইডিয়টস''-এর হলিউড রিমেক তৈরি নিয়ে কথাবার্তা চলেছে৷

মোট কথা, হলিউড যখন দ্বিধাগ্রস্ত, তখন চীনে বক্স অফিস সেলস ২০১০ থেকে ২০১১, শুধু এই এক বছরেই বেড়েছে ৩০ শতাংশ৷ এএফপি সংবাদ সংস্থার বিবরণ অনুযায়ী, এ'বছর চীনে আরো আড়াই হাজার সিনেমা হল খুলবে৷

‘থ্রি ইডিয়টস''-এর হলিউড রিমেক তৈরি নিয়ে কথাবার্তা চলেছেছবি: AP

ভদ্র ছাগল ও ধেড়ে নেকড়ে

অ্যানিমেশনের কথা উঠলে, ২০০৮ সালের ‘‘কুং ফু পান্ডা''-র বিশ্বজয়ের কাহিনি সুবিদিত৷ ফিল্মটিতে চীনা সংস্কৃতির প্রতি যে শ্রদ্ধাপূর্ণ মনোভাব প্রদর্শন করা হয়েছে, সেটাই চীনের মানুষদের ভালো লেগেছে৷ কাজেই পো নামধারী গোবেচারা পান্ডা যখন সারা বিশ্বে ৬৩০ মিলিয়ন ডলার কামায়, তখন তার ২৬ মিলিয়ন এসেছিল চীন থেকে৷

আবার ঐ জায়ান্ট পান্ডার দেশ থেকেই এসেছে পো'র নতুন প্রতিযোগী৷ ‘ইম্যাজি' নামধারী একটি চীনা স্টুডিও ‘‘ভদ্র ছাগল ও ধেড়ে নেকড়ে'' নাম দিয়ে গত চার বছরে চারটি অ্যানিমেশন ছবি বানিয়েছে, যেগুলি চীনে সব মিলিয়ে মোট ৮৭ মিলিয়ন ডলার কামিয়েছে, যা কিনা কুং ফু পান্ডা'র ঠিক পরেই, জানাচ্ছে এএফপি৷

ওদিকে চীনে অ্যানিমেশনের ট্র্যাডিশন চলে আসছে ষাটের দশক থেকে৷ এবং প্রথমদিকের সেই চাইনিজ ইংকে আঁকা কাব্যিক ধারার ছবি থেকে আজ বহুদূরে সরে এসেছে চীনের কার্টুন আঁকিয়েরা৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রের ড্রিমওয়ার্কস'এর মতো স্টুডিও তাদের চীনা শাখা খুলছে শাংহাই'এর বিভিন্ন মিডিয়া সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতায়৷ সহযোগিতার সহজ কারণ: চীনে বছরে মাত্র ২০টি বিদেশি ফিল্ম রিলিজ করতে দেওয়া হয়৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, এএফপি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ