ড্রোনের সাহায্যে মাদক এবং অস্ত্র পাচার করা হচ্ছিল ভারত-পাক সীমান্তে। চক্রের সন্ধান পেয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
ড্রাগ এবং অস্ত্র পাচারের অভিনব চক্রের সন্ধান পেল পাঞ্জাব পুলিশ। এখনো পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে রিমোট চালিত ড্রোনের সাহায্যে বর্ডারের দুই পারে পাচারের কাজ চলতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ একটি কোয়াডকপ্টার ড্রোন বাজেয়াপ্ত করেছে। এই ধরনের ড্রোন সেনাবাহিনী সীমান্তে ব্যবহার করে। নজরদারির জন্য ভারত-পাক সীমান্তে এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হয়। সেই ড্রোনকেই নিজেদের কাজে লাগিয়েছিল চোরা পাচারকারীরা। ড্রোনে ড্রাগ এবং অস্ত্র লাগিয়ে তা সীমান্তের এক দিক থেকে অন্য দিকে রিমোটের সাহায্যে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। নিরাপদ জায়গায় সেই ড্রোন নামানো হতো। পাচারকারীরা প্রয়োজনীয় জিনিস খুলে ফের তা পাঠিয়ে দিত সীমান্তের অন্য প্রান্তে। পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন এবং খালিস্তানপন্থী সংগঠনের যোগ মিলেছে ওই চক্রে। ধৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন নতুন তথ্য মিলছে। সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে চক্রের অন্য পাণ্ডাদের।
আধুনিক ইলেকট্রনিক পণ্যের অনন্য এক প্রদর্শনী
অ্যামেরিকার বাৎসরিক ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্যের প্রদর্শনী নিজেকে ‘নবধারার বিশ্বায়িত মঞ্চ’ বলে জাহির করে থাকে৷ ৯ই জানুয়ারি থেকে চলছে আধুনিকতম টেক পণ্যের এই প্রদর্শনী৷
অ্যামেরিকার বাৎসরিক ‘কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স শো’ (সিইএস) প্রথম চালু হয় ১৯৬৭ সালে নিউ ইয়র্ক শহরে৷ কিন্তু গত ২০ বছর ধরে তা লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শনের আদর্শ স্থান এই সিইএস, এবছর যেমন আভাটারমাইন্ডস কোম্পানির আইপ্যাল স্মার্ট এআই রোবটগুলি নজর কাড়ছে৷ ছবিতে তাদের ক্যালিস্থেনিক্স করতে দেখা যাচ্ছে৷ এই রোবটগুলি শিশু ও প্রবীণদের সঙ্গী হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/S. Marcus
এটুকু বুঝলে না, ওয়াটসন?
২০১২ সালে মাইক্রোসফ্ট ঘোষণা করে যে, তারা আর সিইএস-এ তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে না৷ কিন্তু আইবিএম-এর মতো অন্যান্য কম্পিউটার কোম্পানি পূর্বাপর পুরোমাত্রায় উপস্থিত৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দর্শকরা কিভাবে ‘আইবিএম ওয়াটসন’ সিস্টেমটি পরখ করে দেখছেন: কম্পিউটার প্রণালীটি সাধারণ ভাষায় জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের জবাব দিতে সক্ষম৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. McNew
কী আরামের, না?
২০১৭ সালের সিইএস প্রদর্শনীতে ১,৮৪,০০০ দর্শক এসেছিলেন প্রায় ৪,০০০ কোম্পানির পেশ করা ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্য দেখতে৷ যে কোনো পণ্য নিজে পরীক্ষা করেও দেখা যায়৷ ছবিতে যেমন দর্শকরা প্যানাসোনিকের নতুন এমএজে৭ ম্যাসেজ চেয়ারে শুয়ে দেখছেন, বৈদ্যুতিন মালিশ ঠিক কতটা আরামের...৷
ছবি: Reuters/S. Marcus
হালের উড়ন্ত চাকির নাম ড্রোন
সিইএস-এর উদ্যোক্তা কম্পিউটার টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন বলছে যে, এ বছরের প্রদর্শনীতে বিশ হাজার নতুন পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে৷ এইসব নতুন পণ্যের মধ্যে একাধিক নতুন ড্রোন প্রযুক্তি রয়েছে, যেমন চীনের সুয়েফেং চেন-এর প্রদর্শিত কুড্রোন ড্রোন, চেন যা তাঁর আইফোনের মাধ্যমে পরিচালনা করছেন (ছবি)৷ এ ধরনের সংযোগকে আজকাল ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’ বলা হয়ে থাকে৷
ছবি: Reuters/S. Marcus
রোবট রাইডার
রোবটিক্স সিইএস-এ ক্রমেই আরো বেশি প্রতিপত্তি অর্জন করছে, বিশেষ করে যখন সিইএস-এর ঘোষিত লক্ষ্য হলো, ‘বুদ্ধিযুক্ত, স্বয়ংচালিত সব যন্ত্র, যা আমাদের জীবনধারা পাল্টে দিচ্ছে৷’ এবছরের প্রদর্শনীতে ‘মোটোবট’ নামের এক যান্ত্রিক মোটর সাইকেল চালককে দেখানো হয়েছে (ছবি)৷ কিন্তু এ ধরনের রোবোটিক্সের কোনো বাস্তব, ব্যবহারিক উপযোগিতা আছে কিনা, সে বিষয়ে সমালোচকরা নিশ্চিত নন৷
ছবি: Reuters/S. Marcus
মার্সিডিজ টু-সিটার
২০১৮ সালের সিইএস-এ মোটর গাড়ি প্রযুক্তি বিশেষভাবে বর্তমান৷ তার কারণ, ‘কনসেপ্ট কার’ মানেই আজকাল ‘ইলেকট্রোমোবিলিটি’ ও ‘সেল্ফড্রাইভিং’ বা স্বয়ংচালিত গাড়ি৷ এবারের প্রদর্শনীতে নজর কেড়েছে মার্সিডিজ-এএমজি প্রোজেক্ট ওয়ান গাড়ি – একটি প্লাগ-ইন হাইব্রিড সুপারকার যাতে ফর্মুলা ওয়ান রেসিংয়ের টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/S. Marcus
চমকের পর চমক
সিইএস-এর প্রচার অভিযানে আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে, এ বছরের প্রদর্শনীতে আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি চমক থাকবে৷ কিন্তু অধিকাংশ বড় টেকনোলজি কোম্পানি আজকাল তাদের পণ্য পেশ করার জন্য আলাদা ‘ইভেন্ট’-এর ব্যবস্থা করে থাকে, যার ফলে সিইএস-এর চমক কিছুটা কমেছে বৈকি৷
ছবি: Reuters/R. Wilking
7 ছবি1 | 7
যে ড্রোনটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে, তার থেকে একটি .৩২ বোরের পিস্তল, গুলি এবং ড্রাগ উদ্ধার হয়েছে। যে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে তাঁদের নাম লখবীর সিং এবং বাচিত্তার সিং। দুইজনই পাঞ্জাবের বাসিন্দা। অমৃতসর গ্রামীণ পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করেছে। তাদের জেরা করে খালিস্তানপন্থী সংগঠনের যোগ মিলেছে বলে পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে।
পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান দীনকর সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জেরায় লখবীর জানিয়েছেন পাকিস্তানের কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়া চিস্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁদের। পঞ্জাবের কয়েকজন জেলবন্দি ড্রাগ পেডলারও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। লখবীর জানিয়েছেন, চার মাস আগে দিল্লি থেকে তাঁরা ড্রোনটি কিনেছিলেন। তারপর অপারেশন শুরু হয়।
পুলিশের ধারণা, এই ধরনের আরো বেশ কিছু চক্র সীমান্তে কাজ করছে। তাদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে।