ইদানীং কালে ড্রোন দিয়ে তৈরি অসংখ্য ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়৷ পাখির চোখে পৃথিবী দেখার এক চমৎকার উপায় ড্রোন৷ কিন্তু আর কোনো কাজ কি আছে যেখানে ড্রোন সহায়ক হতে পারে?
বিজ্ঞাপন
আমাদের দেশে অনেক সময় নদীর তীর ধরে কিছু মানুষকে হেঁটে যেতে দেখা যায়৷ তাঁরা আসলে দড়ি দিয়ে ভাসমান কোনো নৌকা টেনে নিয়ে যান৷ ড্রোন দিয়ে কি এই কাজ সম্ভব? না, বড় কোনো নৌকা টানা সাধারণ ড্রোনের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে ডেভিড ফ্রাইহাইটের ছোট্ট ড্রোন তাঁর ডিঙি নৌকাটিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে৷
আর শুধু নৌকা কেন, ড্রোন দিয়ে মাছও ধরেন ডেভিড৷ এমনকি ছোট্ট শিশুদের দাঁতও টেনে তুলতে দিব্যি সহায়তা করে ড্রোন৷ শুধু তাই নয়, ড্রোনের সহায়তায় গ্রিলও করেন তিনি৷ আর বাস্কেটবল খেলার কথা না হয় না-ই বললাম৷
ডেভিডের একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে৷ নিজের পরিবারের আর নিজের নানা ভিডিও সেখানে পোস্ট করেন তিনি৷ সেগুলো মাঝেমাঝেই সাড়া জাগায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷ তাঁর সেই চ্যানেল ভিজিট করতে ক্লিক করুন এখানে৷
এআই/এসিবি
ইনস্টাগ্রাম নয়, ড্রোনস্টাগ্রামের জগৎ
ড্রোন দিয়ে আকাশ থেকে তোলা ছবিকে বলে – ইনস্টাগ্রামের নকলে – ড্রোনস্টাগ্রাম৷ ‘ড্রোনস্টাগ্রাম’ নামের ফরাসি অনলাইন পরিষেবা আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকা মিলে বছরের সেরা ড্রোনস্টাগ্রাম ছবিগুলো বাছাই করেছে৷
ছবি: dronestagram/jcourtial
ল্যাভেন্ডার ফুলের বন্যা
ফ্রান্সের প্রোভোঁস অঞ্চলে ল্যাভেন্ডার ফুলের চাষ হয় সুগন্ধী তৈরির জন্য৷ ট্র্যাক্টর দিয়ে যখন সবে ‘ফুল তোলার’ কাজ শুরু হচ্ছে, ঠিক তখন ড্রোনের ক্যামেরার শাটার টিপেছেন জেরোম কুর্তিয়া – এবং ড্রোনস্টাগ্রাম প্রতিযোগিতার ‘‘প্রকৃতি’’ বিভাগে প্রথম পুরস্কার লাভ করেছেন৷
ছবি: dronestagram/jcourtial
সর্পিল রাস্তা
রক্তচোষা কাউন্ট ড্র্যাকুলার দেশ ট্রান্সিলভানিয়ার এই আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথটির ছবি তোলেন রোমানিয়ান ফটোগ্রাফার কালিন স্টান – এবং ‘‘প্রকৃতি’’ পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন৷
ছবি: dronestagram/Calin-Andrei Stan
তুষারসূর্য
ফরাসি নাগরিক ফ্লোরিওঁ লেদুর সুমেরু অঞ্চল এতোই পছন্দ যে, তিনি সম্প্রতি বাস উঠিয়ে আইসল্যান্ডে দেশান্তরী হয়েছেন৷ ছবিটি তোলেন গ্রিনল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে৷ মাইনাস বিশ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বরফের আস্তরণের তিন কিলোমিটার উপরে ড্রোনটা আদৌ কাজ করবে কিনা, তাই নিয়েই ছিল চিন্তা৷ পরিবর্তে সেই ছবির জন্য জন্য পেলেন ‘‘প্রকৃতি’’ বিভাগে তৃতীয় পুরস্কার৷
ছবি: dronestagram/Florian Ledoux
ব্যাঙের ছাতা
দুবাইয়ের স্কাইক্রেপারগুলোকে ড্রোন থেকে সেরকমই দেখায় বটে – ইস্পাত আর কংক্রিটের তৈরি আখাম্বা সব ব্যাঙের ছাতা, দশ বছর আগেও যেখানে মরুভূমি ধু ধু করত, সেখানে কোন জাদুবলে হঠাৎ গজিয়ে উঠেছে৷ লেবাননের মুকার্জেল তাঁর এই ছবিটির জন্য ‘‘নগরজীবন’’ বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন৷
ছবি: dronestagram/Bachirm
আসল স্পাইডারম্যান
মস্কোর মার্কারি টাওয়ার-এর কাচ যারা পরিষ্কার করেন, তাদের ছবি তোলার জন্য আলেক্সেই গঞ্চারভকে ড্রোন ব্যবহার করতে হয়েছে৷ দেখলে মনে হবে, তারা কাচ পরিষ্কার করছেন না – গোটা শহরটাকেই পরিষ্কার করছেন৷ ‘‘নগরজীবন’’ বিভাগে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে ছবিটি৷
ছবি: dronestagram/Alexeygo
গেম, সেট অ্যান্ড ম্যাচ
তিনটিই জিতেছেন মার্টিন সাঞ্চেজ – এই ছবিটির জন্য ‘‘মানুষ’’ বিভাগে প্রথম পুরস্কার জয় করে৷ নিউ জার্সির একটি ফাঁকা টেনিস কোর্টের এককোণে মার্টিনকে পড়ে থাকতে দেখে অন্য প্লেয়াররা ভেবেছিলেন মার্টিন বোধহয় পড়ে গেছেন বা চোট পেয়েছেন!
ছবি: Martin Sanchez
সৃজনশীলতা
ফরাসি নাগরিক টিবো বেগু ও তাঁর বান্ধবী মানোঁ আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুবান্ধবদের মানোঁর সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবরটা দিতে চাইছিলেন – একটু অন্যভাবে৷ তাই নর্মান্ডির সমুদ্রসৈকতে তোলা এই ড্রোনস্টাগ্রাম: টিবো আর মানোঁ মাটিতে শুয়ে ভিডিও গেমের কায়দায় পরস্পরের দিকে একটি পুরনো প্যারাম্বুলেটার ঠেলে দিচ্ছেন৷ ছবিটি ‘‘সৃজনশীলতা’’ বিভাগে প্রথম পুরস্কার পায়৷