গত ৬৫ বছর ধরে বিশ্বের মানুষকে সংবাদ এবং তথ্য সরবরাহ করছে ডয়চে ভেলে৷ আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জার্মানির আন্তর্জাতিক সম্প্রচার কেন্দ্রটির বৈচিত্রময়তা এবং এটির ব্যবহারের পরিধিও বিস্তৃত হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
‘‘দূরবর্তী দেশগুলোর প্রিয় শ্রোতারা'' – এই শব্দগুলো দিয়েই ১৯৫৩ সালের ৩ মে জার্মানির আন্তর্জাতিক সম্প্রচারকেন্দ্র ডয়চে ভেলের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন তৎকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট টেওডোর হয়েস৷ জার্মানির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক চিত্র বিদেশে শ্রোতাদের কাছে তুলতে ধরতে জন্ম হয়েছিল দেশটির আন্তর্জাতিক রেডিও কেন্দ্রটির৷
শুরুতে শর্টওয়েভে এবং শুধুমাত্র জার্মান ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করতো ডয়চে ভেলে৷ সম্প্রচারকেন্দ্রটিতে প্রথম বিদেশি ভাষা যোগ করা হয় ১৯৫৪ সালে৷ আর ১৯৯২ সালে টেলিভিশন অনুষ্ঠান শুরু করে৷ এর কিছুদিন পরেই যাত্রা শুরু করে ইন্টারনেটে৷
ডয়চে ভেলের ৬৫ বছর পূর্তি
00:33
‘‘অবশ্যই শর্টওয়েভের দিনগুলো অনেক সহজ ছিল,'' বলেন ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পেটার লিমবুর্গ৷ ‘‘তবে ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এবং আমাদের সহযোগীদের নেটওয়ার্ককে ধন্যবাদ৷ এসবের কল্যাণে এখন আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছি৷ আমরা সংবাদ, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং মতামতধর্মী কন্টেন্ট তৈরি করছি, যেগুলো আধুনিক ফ্যাশনে এবং আমাদের বৈচিত্রময় ও আমাদের লক্ষ্যের ভিত্তিতে অপেক্ষাকৃত তরুণ শ্রোতা, পাঠক, দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী প্রকাশ করা হচ্ছে৷''
লিমবুর্গ গত সাড়ে চারবছর ধরে ডয়চে ভেলের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন৷
রেডিওর চেয়ে অনেক বেশি কিছু
ডয়চে ভেলে রেডিওর যুগ থেকে অনেক দূরে চলে গেছে৷ প্রতিষ্ঠানটি এখন চারটি ভাষায় টেলিভিশন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে, পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অডিও কন্টেন্ট এবং ত্রিশটি ভাষায় ওয়েবসাইট৷ মোটের উপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডয়চে ভেলের বিস্তৃত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়৷
একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সংবাদ গ্রহণের প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন এসেছে৷ স্মার্টফোনের মাধ্যমে সংবাদ পাওয়া মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে৷ আগে যারা শ্রোতা ছিলেন এখন তারা অনুসারীতে পরিণত হচ্ছেন৷
ডয়চে ভেলের একাডেমি ১৯৬৫ সাল থেকে এখন অবধি বিশ্বের কয়েক হাজার সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে৷ জার্মান সরকারের মন্ত্রীরা যখন বিদেশ সফরে যান, তখন তারা প্রায়ই ডয়চে ভেলের হাইব়্যাংকিং সহযোগীদের সাক্ষাৎ পান যারা তাদের উপর ডয়চে ভেলের প্রভাব সম্পর্কে বর্ণনা করেন৷
কঠিন সময়
বিভাগ ও কর্মীরা
জার্মানির আন্তর্জাতিক সম্প্রচার কেন্দ্র ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের কর্মীরা৷
ছবি: DW/Philipp Böll
বাংলা বিভাগ
আমাদের কর্মীদল – প্রতিদিন আমরাই আপনাদের সামনে তুলে ধরি নিত্যদিনের খবর, ঘটনা৷ তৈরি করি প্রতিবেদন, নানা বিষয় ও মেজাজের পটভূমি ভিত্তিক ফিচার৷ আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান, ওয়েবসাইট, ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউব চ্যানেলের মধ্য দিয়ে আপনাদের সঙ্গে এক অচ্ছেদ্য সংযোগ গড়ে তুলতে আমরা সদা সচেষ্ট৷
ছবি: DW/Philipp Böll
দেবারতি গুহ
দেবারতি গুহ ডয়চে ভেলের এশিয়া বিভাগের প্রধান৷ কলকাতা-ঢাকায় শৈশব-কৈশোর কাটানোর পর তিনি নতুন দিল্লির জওয়াহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ও এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন৷ পরে জার্মান দৈনিক ফ্রাংকফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং-এর সঙ্গে কর্মরত থাকেন৷ ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের সমন্বয়কারী সম্পাদক এবং ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সালের মে মাস অবধি বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি৷
ছবি: DW/P. Henriksen
সঞ্জীব বর্মন
সঞ্জীব বর্মন ডয়চে ভেলেতে যোগদান করেন ১৯৯৯ সালে৷ এর আগে তিনি কলকাতার গ্যোটে ইনস্টিটিউটে জার্মান ভাষায় শিক্ষকতা করেছেন এবং কলকাতার জার্মান কনস্যুলেটের প্রেস ও জনসংযোগ অফিসার হয়ে কাজ করেছেন৷ ভারত ও জার্মানির মধ্যে পারস্পরিক মৈত্রীসুলভ সম্পর্ক গড়ে তোলাও তাঁর কর্তব্যের মধ্যে পড়ত৷
ছবি: DW
আশীষ চক্রবর্তী
আশীষ চক্রবর্তী বাংলাদেশের একাধিক মুখ্য দৈনিকে কাজ করেছেন: যেমন প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ ও যায় যায় দিন৷ পরে তিনি বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমেও ছিলেন৷ স্নাতকোত্তর পর্যায় অবধি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র৷ পেশাগত জীবন শুরু করেন শিক্ষক হিসেবে, পরে ধারা বদলে হন সাংবাদিক৷ অপরদিকে গায়ক হিসেবে জলসা করেছেন এবং মঞ্চে অভিনয় করেছেন৷ সংগীত আজও তাঁর জীবনে একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে৷
ছবি: DW/P. Henriksen
জাহিদুল হক
জাহিদুল হক ২০১০ সাল থেকে ডয়চে ভেলের হয়ে কাজ করছেন৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক জাহিদ ২০০১ সালে সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন৷ তখন তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত ইংরিজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর বিজনেস রিপোর্টার৷ জার্মানিতে আসা পর্যন্ত তিনি পত্রিকাটির সাব এডিটর হিসেবে কাজ করছিলেন৷ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বাধুনিক চমক হল জাহিদের নেশা৷
ছবি: DW/Matthias Müller
নুরুননাহার সাত্তার
বিগত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নুরুননাহার সাত্তার বাংলা বিভাগের চিঠিপত্র বিভাগের দেখাশোনা করছেন এবং আজ facebook.com/dw.bengali-র দেখাশোনা করতে তাঁর ঠিক ততটাই ভালো লাগছে৷
ছবি: DW/Matthias Müller
আরাফাতুল ইসলাম
আরাফাতুল ইসলাম তাঁর সাংবাদিক জীবন শুরু করেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার তথ্য প্রযুক্তি প্রতিবেদক হিসেবে৷ পরবর্তীতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও সাপ্তাহিক ২০০০-এর হয়ে কাজ করেছেন৷ ২০০৭ সালে তিনি ‘অফ দ্য রাডার’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন৷ ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটের বিকাশে আরাফাতের বিশেষ অবদান আছে৷ তাঁর অবসর সময় কাটে ব্লগ লিখে৷ এবং আরো অনেক ব্লগারের মতো তিনিও বেড়াতে ভালোবাসেন৷
ছবি: DW/Matthias Müller
অমৃতা পারভেজ
অমৃতা পারভেজ বাংলা বিভাগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ বিষয়ক অনুষ্ঠান অন্বেষণের সঞ্চালক এবং সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন৷ দিনাজপুরে শৈশব-কৈশোর কাটানোর পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে এমএস ডিগ্রি লাভ করেন৷ পরে বাংলাভিশন এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে সংবাদ পাঠিকা ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷ পাশাপাশি ভ্রমণ বিষয়ক লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি৷
ছবি: DW/P. Henriksen
যুবায়ের আহমেদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান ও অ্যাটেনিও ডি ম্যানিলা ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতা পড়েছেন তিনি৷ প্রায় এক যুগ কাজ বাংলাভিশন ও মাছরাঙা টিভিতে৷ মূলত রাজনীতি, জ্বালানি খাত, অর্থনীতি ও খেলা কাভার করেছেন৷ আবৃত্তি ও অভিনয় করতেন৷ লিখতে, ছবি তুলতে ও পড়তে ভালোবাসেন৷
অনুপম দেব কানুনজ্ঞ
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগে যোগ দেয়ার আগে এক দশকেরও বেশি সময় কাজ করেছেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও নিউ এইজে৷ ইংরেজি সাহিত্য ও ভাষাতত্ত্বে স্নাতক-স্নাতকোত্তর করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে৷ ঘুরতে ভালোবাসেন৷ বিভিন্ন দেশের, সংস্কৃতির মুখোশের সংগ্রহ রয়েছে তাঁর৷ টুইটার: @anupamdkan
ছবি: DW/P. Böll
ফয়সাল শোভন
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ডয়চে ভেলেতে যোগ দেন তিনি৷ এর আগে আট বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশের মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে৷ সাংবাদিকতায় আগ্রহ ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি ও তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি৷ ইমেইল: faisal.ahmed@dw.com
ছবি: Masum Billah
11 ছবি1 | 11
ডয়চে ভেলে প্রতিষ্ঠার পর ৬৫ বছর পার হলেও বিশ্বের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বেশকিছু ক্ষেত্রে এখনো ১৯৫৩ সালের মতোই রয়ে গেছে৷ নতুন শীতল যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে আর বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো অনেক দেশে হুমকির মুখে রয়েছে৷ চীন এবং ইরানে এখনো আংশিকভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে ডয়চে ভেলে, যা এক অর্থে উদ্বেগজনক, আবার অন্যদিক থেকে চিন্তা করলে প্রমাণ হয় যে ডয়চে ভেলে তার নীতিতে অটল থাকায় এমন বাধার মুখে পড়ছে৷
কফির আমন্ত্রণ
ডয়চে ভেলের বন এবং বার্লিন কার্যালয়ে বিশ্বের ৬০টি দেশের ৩,৪০০ কর্মী কাজ করছেন, যা প্রতিষ্ঠানটিকে জার্মানির সবচেয়ে বহুসাংস্কৃতিক সম্প্রচার কেন্দ্রের স্বীকৃতি দিয়েছে৷ পাশাপাশি সময়ের সাথে সাথে ডয়চে ভেলের আফ্রিকা, এশিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকার প্রতিনিধিদের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে৷
ডয়চে ভেলের বিস্তৃতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সাংবাদিক সান্দ্রা পেটার্সম্যান ২০০০ সালের এক ঘটনার কথা স্মরণ করেন৷ সেসময় তিনি একদল চিকিৎসকের সঙ্গে সাংবাদিক হিসেবে ইরিত্রিয়ায় গিয়েছিলেন৷ তখন এক গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি লক্ষ্য করেন যে, একটি গাছের নীচে একদল মানুষ ব্যাটারিচালিত ছোট্ট একটি রেডিওতে প্রচারিত অনুষ্ঠান শুনছেন৷ আমারিক ভাষায় প্রচারিত সেই অনুষ্ঠানের মর্মার্থ কিছু না বুঝলেও সান্দ্রা বুঝতে পারেন সেটি ডয়চে ভেলে থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠান৷ সেসময় নিজেকে ডয়চে ভেলের সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিলে স্থানীয় জনতা তাঁকে তাৎক্ষণিক কফির দাওয়াত দেন৷
পেটার্সম্যান আফগানিস্তানেও একইরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন যেখানে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে টেলিভিশন না থাকলেও তথ্য পেতে তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন৷ তাদের তথ্যক্ষুধা মেটায় রেডিও অনুষ্ঠান৷ ডয়চে ভেলের আরো অনেক সাংবাদিকও এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন, যা তাদের মধ্যে কাজের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ৷
আন্তর্জাতিক একাধিক জরিপে দেখা গেছে, ডয়চে ভেলের ৯৬ শতাংশ ব্যবহারকারীই প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বস্ত মনে করে৷ প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিলিয়নের বেশি মানুষ ডয়চে ভেলে থেকে নানা তথ্য পেয়ে থাকেন, আর এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে৷
ডয়চে ভেলেকে জানুন
বিশ্বের ৩০টি ভাষায় কাজ করছে জার্মানির আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে৷ এখনো কয়েকটি ভাষায় রেডিও অনুষ্ঠান আছে, তবে মূলত অনলাইন সার্ভিসকে ধরে রেখে ডয়চে ভেলে ধীরে ধীরে বৈচিত্র্য আনছে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: Dagmar Schall
কৌতূহলীদের উপযু্ক্ত জায়গা
আপনি ডয়চে ভেলে সম্পর্কে আরো জানতে চান? প্রতিদিন বহু ভাষার এই প্রতিষ্ঠান কিভাবে কাজ করে, তা জানতে আগ্রহী? তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযু্ক্ত জায়গা ডয়চে ভেলে৷
ছবি: DW
এক ছাদের নীচে গোটা বিশ্ব
বন শহরে ডয়চে ভেলের প্রধান কার্যালয়ে আমরা সারা বিশ্বের জন্য ৩০টিরও বেশি ভাষায় ‘মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট’ পরিবেশন করি৷ আমাদের হয়ে কাজ করছে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশের মানুষ৷
ছবি: DW
আয়তনে বিশাল, পরিবেশনায় আধুনিক
বন-এর প্রধান কার্যালয়ে কাজের পরিবেশ চমৎকার৷ কার্যালয়টির আকার অনেকটা ছোটখাট একটি শহরের মতো৷ আলাদা আলাদা ন’টা বাড়ি নিয়ে একটা বিশাল প্রাঙ্গন৷ কনফারেন্স রুম, ক্যানটিন, ক্যাফিটেরিয়া, খেলাধুলার জায়গা, আড্ডা মারা বা বসে গল্প করার জায়গা, লম্বা বারান্দা৷ তারপর সামনেই মাঠ, রাইন নদী – এক কথায় অপূর্ব!
ছবি: DW
যাঁর ডিজাইন
ডয়চে ভেলের বন কার্যালয়টির ‘ডিজাইন’ করেছিলেন স্থপতি অধ্যাপক ইওয়াখিম শুমান৷ ছবিতে ডয়চে ভেলের ভিজিটর্স সার্ভিসের প্রধান ক্যাথেরিন বেকমানের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তাঁকে৷
ছবি: DW
টেলিভিশন অনুষ্ঠান
একটা অনুষ্ঠান তৈরি করতে পর্দার আড়ালে কতজন, কত রকমের কাজ করেন, জানতে চান? অনুষ্ঠান তৈরিতে টিমওয়ার্ক কেন বেশি গুরুত্বপূর্ণ? আপনার সব কৌতূহল মেটাতে আমরা প্রস্তুত৷
ছবি: DW
বিশ্ব সংবাদ
বন শহরের কার্যালয়টির পাশাপাশি রাজধানীতেও কার্যালয় আছে ডয়চে ভেলের৷ সংবাদভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘জার্নাল’ তৈরি হয় সেই বার্লিনের স্টুডিয়োতেই৷ এছাড়া জার্মানির সংসদ ভবনের অদূরেও রয়েছে ডিডাব্লিউ-র একটি অফিসঘর৷
ছবি: DW/Jan Röhl
ক্যামেরার সামনে
টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে চান? প্রতিভা এবং ভাষার ওপর দক্ষতা থাকলে ডয়চে ভেলেতে আপনার এ স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন৷ বিশ্বাস হচ্ছে না? একটু চেষ্টা করেই দেখুন...
ছবি: DW/Jan Röhl
বিশেষজ্ঞের মতামত
আপনার আগ্রহের বিষয়ের কথা লিখে জানান৷ আমরা সেই বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অনুষ্ঠান করবো৷ আর এভাবেই ডিডাব্লিউ মেটাবে আপনার কৌতূহল৷
ছবি: DW
স্বাগতম
ডিডাব্লিউ সম্পর্কে জানতে চান? আপনাকে স্বাগতম৷ সময়মতো চলে আসুন আমাদের কার্যালয়ে, আমরাই আপনাকে ঘুরিয়ে দেখাবো এখানকার সমস্ত কাজকর্ম, কর্ম পদ্ধতি৷
ছবি: Dagmar Schall
আমরা আছি আপনাদের জন্য
দেখুন আমাদের অনুষ্ঠান, আমাদের ওয়েবসাইট৷ আপনাদের অপেক্ষায় আছি আমরা৷ ডিডাব্লিউ – ‘মেড ফর মাইন্ডস’৷