হোয়াইট হাউজ করেসপনডেন্টস’ অ্যাসোসিয়েশনের সাংবাদিকরা এ বছর ডয়চে ভেলের ‘ফ্রিডম অফ স্পিচ অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন৷ ডয়চে ভেলে মনে করে, ডাব্লিউএইচসিএ মার্কিন নেতৃত্বকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে নতুন মাইল ফলক রচনা করেছে৷
বিজ্ঞাপন
বুধবার এই পুরস্কার ঘোষণা করে ডয়চে ভেলে বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগ আনা সত্ত্বেও ‘হোয়াইট হাউজ করেসপনডেন্টস’ অ্যাসোসিয়েশন’ (ডাব্লিউএইচসিএ) তাদের প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মানদণ্ড রক্ষা করেছে৷ ডয়চে ভেলে মহাপরিচালক পেটার লিমব্যুর্গ বলেছেন, ‘‘ডাব্লিউএইচসিএ-র ক্ষমতাবানদের লাগাম টেনে ধরার ক্ষমতা আছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে৷ আর এ কারণেই আমরা শক্তিশালী গণমাধ্যমের উপর আস্থা রাখতে পারি৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের যোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন, তা দেশের গণমাধ্যমের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে৷’’
ডাব্লিউএইচসিএ’র প্রেসিডেন্ট জেফ ম্যাসন বলেছেন, এই পুরস্কার পেয়ে তিনি আপ্লুত এবং সম্মানিত বোধ করছেন৷ তিনি বলেছেন, ‘‘এ সংস্থা প্রতিদিন সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় লড়াই করে যাচ্ছে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কোনো ব্যক্তির দেয়ার দায়িত্ব নয়, রাষ্ট্রের সংবিধান সে অধিকার দিয়ে রেখেছে৷’’
দুই বছর আগে ডয়চে ভেলে এই পুরস্কারের প্রচলন করে৷ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার দেয়া হয়৷ চলতি বছরের ১৯ জুন ডয়চে ভেলে আয়োজিত গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হবে৷
এপিবি/এসিবি
যে দেশের গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই
না দেশটা বাংলাদেশ নয়৷ তবে বাংলাদেশের অবস্থা যে খুব একটা সুবিধাজনক তাও নয়৷ চলুন দেখে নেই, প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুযায়ী কোন দেশের গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন৷
ছবি: DW/D. Olmos
ইরিত্রিয়া
রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্সের প্রকাশিত ২০১৬ প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুযায়ী, যে দেশটিতে গণমাধ্যমের কোনোই স্বাধীনতা নেই, সেটি হচ্ছে ইরিত্রিয়া৷ গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে স্বৈরশাসকের কবলে থাকে দেশটির কমপক্ষে ১৫ সাংবাদিক এই মুহূর্তে জেলে আছেন৷ প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ১৮০টি দেশের মধ্যে সবার নীচে আছে ইরিত্রিয়া৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Lopez
উত্তর কোরিয়া
ইরিত্রিয়ার পরই নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে উত্তর কোরিয়া৷ কিম জুন-উনের নেতৃত্বাধীন দেশটি গত ১৫ বছর ধরেই প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের একেবারে নীচের দিকে অবস্থান করছে৷ দেশটিতে বিদেশি সাংবাদিকদের ভিসা তেমন দেয়া হয় না, যদিও বা কেউ ভিসা পান, তাঁকে রাখা হয় কড়া নজরদারিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap/Kcna
তুর্কমেনিস্তান
এই দেশটিকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম তথ্য কৃষ্ণ গহ্বর৷ স্বাধীনভাবে কোনো সাংবাদিক কাজ করতে চাইলে তাঁর জন্য মোটামুটি কারাভোগ এবং নির্যাতন নিশ্চিত দেশটিতে৷ ইনডেক্সে তাদের অবস্থান নীচের দিক থেকে তৃতীয়৷
ছবি: Stringer/AFP/Getty Images
ফিনল্যান্ড
এবার যাওয়া যাক, তালিকার উপরের দিকের অবস্থা৷ গত পাঁচবছর ধরেই প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের শীর্ষে অবস্থান করছে ফিনল্যান্ড৷ দেশটির গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে৷ তবে সেদেশের অধিকাংশ পত্রিকা দু’টি মিডিয়া গ্রুপের মালিকানায় রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/van Weel
নেদারল্যান্ডস
প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে গত একবছরে দু’ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে নেদারল্যান্ডস৷ দেশটির গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আইনিভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে৷
ছবি: Imago/SylviaxLederer
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে গতবছর চারজন ব্লগার এবং প্রকাশক খুন হওয়ার পরও প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে কিঞ্চিৎ উন্নতি ঘটেছে৷ আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ এগিয়ে দেশটির অবস্থান এখন ১৪৪তম, তবে গ্লোবাল স্কোর কমেছে মাইনাস ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ৷