গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামের সূচনা
১৭ জুন ২০১৩বন শহরের সাবেক সংসদভবনে পুরাতনকে অভিবাদন, নতুনকে স্বাগতম৷ জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক সংকট আর সন্ত্রাসবাদের মতো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন এই বিশ্বে ডয়চে ভেলেকে জার্মানির ‘‘মিডিয়া কণ্ঠ'' বলে অভিহিত করলেন মহাপরিচালক এরিক বেটারমান৷
ফেডারাল সরকারের সংস্কৃতি ও মিডিয়া কমিশনার বের্ন্ড নয়মান ডয়চে ভেলেকে ‘‘বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধনের'' জন্য অভিনন্দন জানান৷ নয়মান বলেন, ডয়চে ভেলে বিগত ছয় দশকে জার্মানির মিডিয়া সংক্রান্ত ‘ভিজিটিং কার্ড' হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
বাড়ছে ডয়চে ভেলের পসরা
জার্মানির মুখ্য সরকারি বেতার ও টেলিভিশনকেন্দ্রগুলিকে মিলিয়ে সৃষ্ট এআরডি সংস্থার সভাপতি লুটৎস মার্মর বিশেষ করে এআরডি ও জেডডিএফ, এই দুটি সরকারি টেলিভিশন সংস্থা ও ডয়েচলান্ডরাডিও-র সঙ্গে ডয়চে ভেলের গত বৃহস্পতিবার যে নতুন সমঝোতা হয়েছে, তার তাৎপর্যকে তুলে ধরেন৷
সমঝোতা অনুযায়ী ভবিষ্যতে ডয়চে ভেলে আরো বেশিভাবে অন্যান্য সহযোগীদের অনুষ্ঠানের অংশ ব্যবহার করতে পারবে৷ প্রযোজনার ক্ষেত্রেও বৃহত্তর সহযোগিতা, এমনকি যৌথ নীতির কথা বলা হয়েছে৷ এই সমঝোতা হল ডয়চে ভেলের ৬০ বছর পূর্তিতে সেরা উপহার, বলেন মার্মর৷
গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম
একই সঙ্গে শুরু হল গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম, যা চলবে বুধবার অবধি৷ এবারকার সম্মেলনের মটো: ‘‘প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যৎ: অর্থনীতি, মূল্যবোধ ও মিডিয়া''৷ প্রায় ২,৫০০ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থাকছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে, বিকল্প নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় মানবাধিকার আন্দোলনকারী বন্দনা শিবা ও চীনের ব্লগার লি চেংপেং৷
গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে এবার ঠিক সেই প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনা হবে, যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধির জন্য কি প্রবৃদ্ধি অত্যাবশ্যক, অপরিহার্য? নাকি অর্থনৈতিক মূল্যবোধেই পরিবর্তনের সময় আসছে? এক্ষেত্রে মিডিয়ারই বা কি ভূমিকা?
উত্তর আগামীতে৷
এসি/ডিজি (ডিডাব্লিউ)