‘ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক’
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসনের নেতৃত্বে বিশ্বের নামি পঞ্চাশ ব্যক্তিত্ব বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই নোবেলজয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আক্রমণগুলো রচনা করা হয়েছে৷
অতি সম্প্রতি নোবেলজয়ী এই বাংলাদেশি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে তাঁর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ ছেড়ে দেয়া উচিত বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহীত৷
১৯৮০ সালে ড. মোহাম্মদ ইউনুস গঠন করেন গ্রামীণ ব্যাংক৷ ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণে এই ব্যাংকের সাফল্য এবং দারিদ্র বিমোচনে অবদান রাখার জন্য তিনি এবং গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন৷
সম্প্রতি নরওয়ের একটি টেলিভিশনে প্রচারিত গ্রামীণ ব্যাংকের তহবিল অন্যত্র সরিয়ে নেয়া বিষয়ক একটি প্রতিবেদনের পরপরই মূলত বাংলাদেশের মিডিয়াতে ড. ইউনুসকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা৷ এর পরপরই তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে রুজু হয় মামলা৷ গত মাসে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলায় তিনি আদালতে হাজিরাও দিয়েছেন এরই মধ্যে৷ সরকারের পক্ষ থেকে তহবিল সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে৷ অর্থমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘আমি তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলাম যে, তিনি যদি তদন্ত চলাকালীন সময়ে নিজে থেকেই সাময়িক সময়ের জন্য ব্যাংক থেকে সরে দাঁড়ান তাহলে সেটা তার জন্য ভালো হবে৷'' কিন্তু ড. ইউনূস তার পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে দাবি অর্থমন্ত্রীর৷
‘ফ্রেন্ডস অফ গ্রামীণ কমিটি'র প্রধান আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন বুধবার ঐ বিবৃতিতে বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক এই সব আক্রমণে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন৷ অন্যদিকে, কমিটির অপর সদস্য বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেমস ওলফেনসন বলেছেন, ভুল তথ্যের প্রচারণার শিকার হয়েছেন ড. ইউনুস এবং গ্রামীণ ব্যাংক৷ তাঁরা বলেছেন, ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণে একটি অসামান্য উদাহরণ গ্রামীণ ব্যাংক, যাদের প্রতিটি কাজে রয়েছে স্বচ্ছতা, রয়েছে ঋণের সুদের হারেও গ্রহণযোগ্যতা৷ তারা বলেছেন, ‘‘ভালো কাজের দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী এই ব্যাংকের জন্য, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের জন্য এবং তাঁর সততাকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব৷''
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন