1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রমিকদের ঠকিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

৩ জানুয়ারি ২০২৪

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ডের বিষয়ে আইন এবং শাস্তির কারণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ শ্রমিকদের ঠকিয়েছেন বলেই আদালত তার বিরুদ্ধে এ রায় দিয়েছে৷

ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘‘আমাদের নোবেল লরিয়েট ক্রিমিনাল কাজ করেছেন৷’’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘‘আমাদের নোবেল লরিয়েট ক্রিমিনাল কাজ করেছেন৷’’ছবি: DW

গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়ে সিলেট-১ আসনে তার নির্বাচনি কার্যালয়ে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

 শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,

‘‘মুহাম্মদ ইউনূস একজন নোবেল লরিয়েট। আমরা তাকে অত্যন্ত সম্মান করি। পৃথিবীতে অনেক নোবেল লরিয়েটই আছেন যারা অন্যায় করেছেন, ক্রিমিনাল কাজ করেছেন, তাদের শাস্তি হয়েছে। আমাদের নোবেল লরিয়েট ক্রিমিনাল কাজ করেছেন৷''

তিনি বলেন, ‘‘উনি ওনার লেবারদের পয়সা দেননি। ওদের তিনি ঠকিয়েছেন। সেই জন্য তার বিরুদ্ধে জাজমেন্ট হয়েছে। এটা কোর্টের ব্যাপার। এটা একটা প্রচলিত আইনের হিউজ প্রসেস। উনি সুযোগ পেয়েছেন আইনি লড়াই করার। উনি সুযোগ পেয়েছেন যুক্তিতর্কের। তারপর এভিডেন্সের বেসিসে তারা জাজমেন্ট করেছেন।''

ড. ইউনূসের কারাদণ্ডাদেশের ফলে বৈদেশিক সম্পর্ক অবনতি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রত্যেক দেশ আইনকে সম্মান করে। এর ফলে কোনো অসুবিধা হবে বলে আমার মনে হয় না।''

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত সোমবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিবিসিতে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বিবিসি একটি মিডিয়া। মিডিয়া অনেক সময় ঝকমারি কিছু করে পাঠক টানতে চায়। তারা প্রায়ই এরকম করে। কিন্তু মিডিয়ার রিপোর্ট দেখে কোনো দেশই তাদের পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করে না। সব সরকারই বিচার বিশ্লেষণ করে, ভবিষ্যৎ সম্পর্ক, নিজেদের স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা সিদ্ধান্ত নেয়।''

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য হলো অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা। এটা করতে পারলেই আমরা সফল। আমাদের দেশবাসী কী বললো সেটাই বড় কথা। দেশবাসী যদি নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য মনে করে তবেই আমরা সফল। অন্য কে কী মনে করলোসেটা সেকেন্ডারি বিষয়।''

এপিবি/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ